ঈর্ষা এবং মা

ইশ্‌ আজকাল আমার যে কী হয়েছে! আমি বেশিরভাগ মানুষকে হিংসা করছি। মানুষ যদি আমার মনের কথা জানতে পারতো তবে আমাকে কী ভাবতো? ভাবতো মেয়েটা কী হিংসুটে! কিন্তু আমি তো কাউকে হিংসা করতে চাই না! কিন্তু যখন দেখি আমার কোন ফ্রেন্ডকে তার মা স্কুল থেকে নিয়ে যাচ্ছে আদর করতে করতে কিংবা বকা দিতে দিতে, তখন আমার এত কষ্ট হয় কেন? আবার পরীক্ষার সময় যখন কারও মা চিন্তিত মুখে স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে, কিংবা ডাক্তার চাচুর ওখানেও কারও মা তাকে বারবার জিজ্ঞাসা  করে কেমন লাগছে – তখন আমার এত কষ্ট  লাগে কেন? কী অদ্ভুত কষ্ট! কিন্তু আমি তো আমার কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারি না। আব্বুকেও না, তাহলে আব্বু যে কষ্ট পাবে! আর আমি আব্বুকে খুব ভালবাসি। কিন্তু আমি যে আম্মুকে অনেক মিস করি! আমার মা যে থেকেও নেই! আম্মুর সাথে দেখা হয় না অনেক দিন, কিন্তু দেখা করতে গেলে যে আরও কষ্ট লাগে! তবুও মার সুন্দর মুখটা দেখতে অনেক ভালো লাগে। ইশ্‌ আজকে অনেক দিন পর মাকে দেখতে যাব।

কিন্তু গিয়ে আমি গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি । আব্বু বলে, “কী রে মা? চল্‌ ভেতরে চল্‌। কী দেখিস?”

“না আব্বু কিছু না।”

আমি আসলে আব্বুকে মিথ্যা কথা বলেছি। আমি গেটের বাইরের সাইনবোর্ড দেখছিলাম, যাতে লেখা –

পাবনা মেন্টাল হসপিটাল

একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমি গেটের ভেতরে ঢুকি।

– মনি

এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে গল্প, সাহিত্য-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

15 Responses to ঈর্ষা এবং মা

  1. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    একদমই আশা করি নি এমন কিছু হবে!
    মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো……

  2. সামিরা বলেছেনঃ

    চমৎকার গল্প।

  3. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    দারুণ একটা গল্প! ছোট্ট অথচ টাচি!

  4. নূরবাহার ঈয়াশা বলেছেনঃ

    ২০ সেকেন্ডের গল্প…অসাধারণ করুণ…

    নিয়মিত লেখা চাই!!

  5. নিলয় বলেছেনঃ

    ভালো লেগেছে
    🙁

  6. তুসিন বলেছেনঃ

    এটা গল্প…..সত্যি অসাধারন হয়েছে এত ছোট করে কি করে এত সুন্দর গল্প লিখলে :/
    খুভ ভাল হয়েছে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।