সমাজের যান্ত্রিকতায় যখন আমরা নিত্য পিষ্ট হই লালসা, হতাশা আর ফেলে আসা স্মৃতিকাতরতায়, তখনই খুঁজে ফিরি এক টুকরো নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা। একুশে বইমেলা ঠিক তেমনই এক স্বপ্নদ্রষ্টা শক্তির নাম, যেখানে খুঁজে পাওয়া যায় সেই পুরনো ‘আমি’কে। ফেলে আসা জীবনের কথকতা আর নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার সেই বইমেলায় হাজারো বইয়ের ভিড়ে খুঁজে নিতে হয় নিজের কথা বলা বইটিকে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ‘সরব’ ব্লগের এই আয়োজন, ‘আয়নায় মুখোমুখি ব্লগার-লেখক’। লেখালেখি জীবনে ব্লগ থেকে বইতে পা রেখেছেন যারা, তাদের ভাবনার জগত পাঠকদের সামনে উপস্থাপনের ছোট্ট প্রয়াস।
অপেক্ষায় থাকুন নতুন বইয়ের, অপেক্ষায় থাকুন নতুন সাহিত্যিকের…
বইমেলা হোক সরব, প্রাণের উৎসবে!
১. নিজের সম্পর্কে কিছু বলবেন?
– নিজের সম্পর্কে বলবার মত কিছু তো পাই না। কিছু আছে বলেও মনে পড়ে না। আমি রেজওয়ান তানিম, টুকটাক লেখার চেষ্টা করি। এইত।
২. লেখালেখির সাথে সম্পর্কের শুরু হলো কী করে?
– লেখালেখির সাথে আমার সম্পর্কের শুরুটা একটু অন্যরকম। আমি ছোটবেলা থেকে কখনোই লেখালেখির সাথে কিংবা দু এক লাইন লিখবার চেষ্টা করিনি। ২০০৬ সালে যে কোন একটা কারণে দু:খবোধ নিয়ে আমি লিখতে শুরু করি। আমার এখনো মনে আছে প্রথম চারটি লাইন। এই সময়টা ছিল ২০০৬ সালের ১৮ মার্চ। এর পরে আমি কবিতা লিখতে শুরু করি।
দশ বারো দিন পরের কথা। আমি তখনো জানি না আমি সত্যি কবি হব কিনা। বাঙালি মাত্রই যার চিন্তা করবার সময় আছে, সে দু:খ পেলে কবিতা লেখে, সুখের স্পর্শকেও কবিতা লিখে প্রকাশ করতে চায়, তাই ওটা আমার কাছে কবি হওয়া বলে মনে হয় না। চলে গেলাম নীলক্ষেত, কিনে আনলাম সঞ্চয়িতা। দু চার পাতা উল্টে পড়লাম নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ। কি বলব-এমন মোহাবিষ্ট অবস্থা আমার জীবনে কখনো হয়নি । আমি চার পাঁচবার পড়তেই পুরো কবিতাটি আমার মুখস্থ হয়ে গেল। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি কবি হব, কবিতা লিখব। আমি লিখে যাব আজীবন, যত খারাপ হোক, কুৎসিত হোক, নতুন কিছু বলুক আর নাই বলুক- আমি কবি হব, যেমন কবি হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ,নজরুল- চিন্তায় মননে, লেখনীতে।
৩. কেন লিখেন? লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
– কেন লিখি এই প্রশ্নের উত্তর কোন লেখক কবির পক্ষেই দেয়া সম্ভব বলে আমার মনে হয় না। কারণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে লেখা যায় কিনা তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন আছে। সহজ কথায় যদি বলি, ভাল লাগে তাই লিখি, কিছুদিন লেখা বন্ধ থাকলে আপন মনেই ভাবনা আসে, খারাপ লাগে, মনে হয় ফাঁকি দিচ্ছি তাই লিখি। মোটকথা, লেখাটা এখন একটা রুটিনওয়ার্ক হয়ে যাচ্ছে তাই লিখি।
৪. লেখালেখির ক্ষেত্রে কোন অনুপ্রেরণা আছে কি? কাউকে কি অনুসরণ করেন?
– লেখালেখির ক্ষেত্রে যে যাই লিখুন না কেন, তা পূর্ববর্তী লেখার পাঠের উপর থেকেই তো আসে। তাই লেখালেখির জগতে অনুপ্রেরণা ব্যাপারটা খুবই সহজাত। আমার লেখালেখি যেহেতু কবিতা বা কাব্যধারার, তাই আমার লেখার প্রথম অনুপ্রেরণা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রথমেই বলেছি এ কথা। এছাড়াও নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, শামসুর রাহমান, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হেলাল হাফিজ, ইদানিং কালের মজনুশাহ এদের লেখা পাঠ আমার কল্পজগতকে নিরন্তর অনুরণণ করে থাকে।
লেখালেখির ক্ষেত্রে অনুসরণ জিনিসটা খুব বেশি রকমের ক্ষতিকর। আমার মনে হয় না কোন লেখক বা কবি চাইবেন সচেতন ভাবে কারো মতন হতে। কাব্য জগতের ক্ষেত্রে কথাটি একদম ধ্রুব সত্যের মত। আপনি যদি আপনার নিজের বলার ভাষা তৈরি করে নিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার পক্ষে টিকে থাকা দুষ্কর। তাই আমি কখনোই কাউকে অনুসরণ করতে চাই নি, এখনো চাই না।
৫. অনেকের ধারনা এখন অধিকাংশ লেখকের লেখা একই প্যাটার্নের হয়ে থাকে, নতুনত্ব খুব কম পাওয়া যায় – আপনি কি এর সাথে একমত?
– সম্পূর্ণ অর্থহীন কথা। এই কথাটা কতটা ভিত্তিহীন সেটা আমরা বুঝতে পারব রবীন্দ্রযুগ বিচার করলে। দেখুন রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক এবং কিছুক্ষেত্রে আগের কবিদের অনেকেই আজ বিস্মৃতপ্রায়। এর কারণ রবীন্দ্রনাথের এত প্রবল বিস্তার ছিল যে তার প্রভাব বলয় কাটিয়ে উঠবার মত লেখক বাংলা সাহিত্যের সেই স্বর্নযুগেও খুব বেশি ছিল না। তার প্রভাব কাটিয়ে উঠে সেই যুগে কবিতার নতুন ভাষা তৈরি করেছেন সমসাময়িক নজরুল, পরবর্তীতে জীবনানন্দ, বিষ্ণু দে এবং বুদ্ধদেব বসু। এর পরে আবার কাব্য ভাষার বদল ঘটে ষাটের শেষ এবং সত্তরের প্রথম দিকে। কবি আবুল হাসান এবং শামসুর রাহমানের হাত ধরে। অতএব আমি যে কথাটা বলতে চাইছি, বলার ভাষায় নতুনত্ব, কবিতায় নতুন কাব্যভাষা সৃষ্টি খুব কঠিন কাজ। এ কালের লেখকদের নিয়ে সেই বিষয়টি বলবার সময় এখনো আসে নি বলেই বিশ্বাস। তবে কবিরা লিখছেন, প্রতিনিয়ত ভাঙছেন নিজেদের, নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট, ফিউশন চলছে যা কবিতার জন্য সুখের ব্যাপার।
আমার মনে হয় বর্তমানে বিভিন্ন লেখক কবির লেখা পড়লেই আমরা বুঝতে পারব, তারা কত রকম করে তাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছেন। তাই আমার কখনোই মনে হয় না তারা একই রকম লিখছেন। বিশেষত তরুণেরা আজকাল উঠে আসছেন যারা তাদের লেখনীর বৈচিত্র্যের ব্যাপারে সচেতন।
৬. নতুন লেখকদের বিষয়ে পাঠকদের মনোভাব কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
– আমাদের দেশে নতুন লেখকদের প্রতি পাঠকের মনোভাবকে কী করে খারাপ বলব। পাঠকে আর লেখকে যে কমিউনিকেশন গ্যাপ সেটা পূরণের দায়দায়িত্ব কি কেউ নিয়েছে? আমি যে লিখছি সেটাই বা কী করে জানবে পাঠক? ধরি, একটা বই প্রকাশিত হল কোন লেখকের, তাকে সবার সামনে পরিচিত করার কাজটা কি করছে তার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান? কোন দায়বদ্ধতা নেই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের, বরং ভুইফোড় অনেক প্রকাশনী যে কোন লেখা পেলেই বইমেলায় স্টল নেবার জন্য বই ছাপতে শুরু করে। তার মান কেমন, লেখনী কেমন সেটা বিষয় নয়। নবীন লেখক, টাকা দেবে বই ছেপে দেব এই এক খেলা চলছে। এর ফলেই পাঠক রেসপন্স এত কম থাকে। আমাদের পাঠকদের আগে জানাতে হবে লেখক সম্পর্কে। কবিতার বেলায় বিষয়টি আরো বেশি করে প্রযোজ্য।
তবে মননশীল পাঠকের অনেক অভাব আমাদের দেশে আছে। আশা রাখব সামনে এটি কাটবে। সমন্বিত ব্যবস্থা নিলেই এমনটি হতে পারে বলে বিশ্বাস।
৭. একজন ব্লগারের কি তার প্রতি কোন দায়বদ্ধতা আছে? থাকলে কতটুকু? বাংলা ব্লগে দায়বদ্ধতার কী রকম ছাপ দেখতে পান?
– নতুন লেখকদের প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে একজন ব্লগার এবং নতুন লেখক। তাই আমি যাদেরকে পাঠক হিসেবে পেয়েছি তারা সকলেই মোটা দাগে ব্লগার। তাই আমি নিজেও আমার চেনাজানার গন্ডির মধ্যে নতুন ব্লগারদের লেখা পড়বার চেষ্টা করছি। এবং আমি এখনো পর্যন্ত গোটা দশেক বই কিনেছি যার সিংহভাগ এবারে নতুন মেলায় আসা বই, যার লেখক এবং কবি এই ব্লগার গনই। এভাবেই আশা করছি ব্লগাররা নবীন লেখক কবিদের পাশে দাড়াবেন, তাদের লেখা পড়বেন।
৮. ব্লগের ফিডব্যাক নিয়ে আপনার মন্তব্য কী? সবসময় কি ঠিক মনে হয়?
– ব্লগে ফিডব্যাক সবসময়ে সঠিক হবে এমন আশা করার কোন যুক্তি নেই। আমরা জানি ব্লগ ফিডব্যাক দেয়। পাঠক ফিডব্যাকের জন্য ব্লগের চেয়ে ভাল কোন মাধ্যম আছে বলে মনে হয় না। তো এই দিকটা বিবেচনা করে দেখি যে, ব্লগে এই যে ফিডব্যাক আসছে সেটা পেতেই তো দীর্ঘ সময় লেগে যেত অন্য যে কোন মাধ্যমে। এই বিচারে ফিডব্যাকে ভুল বা বেঠিক ভাবটা আমাকে মোটেই ভাবিত করে না। কেননা লেখক ফিডব্যাক পেয়ে যেমন সমৃদ্ধ হয় তেমনি পাঠক কী ফিডব্যাক দেবে সেটা অন্যকে দেখে শেখে। ভুল তো থাকবেই। এটা নিয়ে দু:শ্চিন্তার কিছু দেখি না।
৯. ব্লগ আসার পর মানুষ খুব বেশি ওয়েব-নির্ভর হয়ে গেছে, আগের মত বই কিনে পড়ে না – এ নিয়ে আপনার কী মতামত?
– এই কথাটা একেবারেই ভিত্তিহীন। বরং গত কয়েক বছরে দেখা গেছে মননশীল পাঠক তৈরিতে অনলাইনের উল্লেখযোগ্য অবদান। ব্লগের বাইরের নবীনদের বই এর তুলনায় ব্লগের নবীনদের বই অনেক বেশি পরিমাণে বিক্রি হয়েছে। এই বিষয়টিই প্রমান করে নতুন লেখকদের পাঠক তৈরিতে অর্ন্তজালের সাফল্য। আর আরেকটি বিষয় হল, মোট ওয়েব বা ব্লগ লেখা বা পড়া ব্লগারের সংখ্যা আসলে কত ? বাংলাদেশে প্রায় দু কোটি ইন্টারনেট সংযোগ আছে, (বিটিআরসির হিসাব থেকে)। অথচ বিভিন্ন ব্লগ কমিউনিটির রেজিস্টার্ড ব্লগার এবং পাঠক মিলে বড়জোড় পাঁচ লাখের বেশি হবে না। তাই আমার মনে হয়, আরো বেশি সংখ্যক পাঠক যাতে এই নেট বা ওয়েব জগতে আসে তার দরকার। কেননা দিনশেষে বই এর কোন বিকল্প নেই।
১০. আপনার নতুন প্রকাশিত বই সম্পর্কে পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?
– আমার প্রকাশিত নতুন বইটি সম্পর্কে কি আর বলব ? বইটিতে মোট ৩৭ টি কবিতা রয়েছে। কবিতা গুলো হচ্ছে –
মিশ্র প্রাণের সুর / স্বপ্ন আমার / স্বপ্ন পথের পথিকেরা / পরম্পরা / বিস্ময় / আমি আজ কবিতা লিখতে এসেছি / তুই / জন্ম এবং মৃত্যু বিষয়ক / আর নেই দরকার / নষ্ট ছেলের ইতিকথা / অপঘাত / রেবতী, আমি আইতাছি এই ঈদে / রাত্রির কবিতা / বাবা / অবশেষ / আজব কান্ড / কবি ও কাকের গল্প / ক্ষমা চাই / হায় হেলেন / বিনাশের কবিতা / অন্ধকারের পরের গান / কলম যোদ্ধা / আজ রাত্রে / কেমন আছ প্রিয়ন্তীকা ? / জানি হাত বাড়ালেই পাব না / বলে যাও- ভালবাসি / মহিমান্বিত একুশ / The Exalted Ekush / মৃত্যু / লাবনীতা / হে রুদ্র বৈশাখ / আমারে খুজে নিও / বিচ্ছুরিত বিষাদ কণা / বিষ / খড়কুটো সংসার / বিষাদ দিনের কথা / অপেক্ষা
কবিতা গুলোর শিরোনাম শুনলেই বোঝা যাচ্ছে কবিতা গুলোর কন্টেন্ট। যাই হোক, আমার বইটি পাঠ করে পাঠ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আমার খুব প্রিয় একজন কবি স্বদেশ হাসনাইন। তার কথাগুলো অল্প কথায় আমার গোটা বইটাকেই তুলে ধরেছে মনে করি –
শব্দ-কাচের একটা আলোকযন্ত্র আছে তানিমের, আইকন-ভাঙা কবি সে। বিদ্রোহী, প্রতিবাদী সে, হৃদয় ছুঁয়ে দেয় সহজাত বৈচিত্র্য। যে কবিতা শেলফ ভরিয়ে রাখে অথচ পাঠককে আকৃষ্ট করে না – সেই দুর্বোধ্য কাব্যধারার বিপক্ষে তার অবস্থান। মেহনতি রিকশাওয়ালার কষ্ট পেয়েছি তার কবিতায়। শুনতে পাই উৎসব, জন্ম-মৃত্যু, নিসর্গ, নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষের কথা। তার লেখা কখনো কোলাহল এড়িয়ে সাদা কালো ছবিতে ফিরে যাওয়া আবার কখনো সদ্য আকা ক্যানভাসে ঝোলানো বিমূর্ত ছবির মত।
বই: মৌন মুখর বেলায়
লেখক: রেজওয়ান তানিম
প্রকাশক ও প্রকাশনী : মোর্শেদ আলম, জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন
প্রচ্ছদ : রাজীব চৌধুরী
প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারী ২০১২
বইয়ের দাম : ১১০টাকা
প্রাপ্তিস্থান: একুশে বইমেলা, জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশণ স্টল: ১১৭,১১৮
মোড়ক উন্মোচন: রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন, কবি
তারিখ: ৩ ফেব্রুয়ারি
পূর্বে প্রকাশিত সাহিত্যস্বর:
আয়নায় মুখোমুখি ব্লগার-লেখক(৭): সুস্মিতা রেজা খান
আয়নায় মুখোমুখি ব্লগার-লেখক(৬): নুরুন্নবী হাছিব
আয়নায় মুখোমুখি ব্লগার-লেখক(৫): নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
আয়নায় মুখোমুখি ব্লগার-লেখক(৪): মাইনুল এইচ সিরাজী
আয়নায় মুখোমুখি ব্লগার-লেখক(৩): আবদুল্লাহ আল মাহমুদ
কবিতা পড়তে ভাল লাগে! কোন প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে ভাইয়া?
লেখক-ব্লগারদের লেখালেখির লিঙ্কগুলোও সাথে দিয়ে দিলে আরো জানাশোনার সুযোগ পাওয়া যেত! 🙂
সহমত। 🙂
যেহেতু এই ব্লগে আমি আগে কখনো লিখিনি, আর নিক সেফ হল মাত্র তাই আপনাকে আমি একটা লিঙ্ক দিচ্ছি এখন –
http://www.choturmatrik.com/blogs/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%80/%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A6%83-%E0%A6%AE%E0%A7%8C%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87#comment-237636
আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা এবং ধৈর্য্য ধরে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
একুশের নিরন্তর শুভেচ্ছা।
পোস্টেই বলা আছে জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন (বইমেলা স্টল ১১৭-১১৮) তে বইটি পাবেন।
ভাল থাকা হোক
চমৎকার ইন্টার্ভিউ।
হে হে হে
আপনে দেখি সবখানেই আছেন
ভাল লাগলো।
শুনে খুশি হলাম
স্বদেশ হাসনাইন আমার খুব প্রিয় ব্লগারদের একজন! এটা অবশ্য কখনো তাঁকে বলা হয় নাই!
তোমার চিন্তাভাবনা ভালো লাগছে।
একটা সমন্বিত প্রয়াস এর কথা বলছো। সরব এখানে সামান্য হলেও কিন্তু একটা প্রয়াস নিয়েছে। আমরা আশা করি বাকিরাও এইভাবে এগিয়ে আসবে।
আমি নিজেও নতুনদের বই এর প্রতি দারুণ আগ্রহী।
*মোটকথা, লেখাটা এখন একটা রুটিনওয়ার্ক হয়ে যাচ্ছে তাই লিখি।* – এটা শুনতে একটু কেমন লাগল। রুটিনওয়ার্ক তো বেশ নেতিবাচক একটা ব্যাপার বুঝায়!!
আর আমার মনে হয় লেখকদের কারণ থাকে লেখার পেছনে। নিজেকে এক্সপ্রেস করা, নিজের চিন্তা/ ইডিওলজি ছড়ানো ইত্যাদি।
আপনাকে যেহেতু আমি চিনিনা তাই আপনি করেই বলব, আশা করি আপনিও বলবেন ।
সরবের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি সরবে ঢুকলাম এই মাত্র তাই এর নিয়মকানুন জানিও না। তবে আশা করব বাংলা ব্লগের খাতায় সরব একটি উল্লেখযোগ্য পাতা হবে।
*মোটকথা, লেখাটা এখন একটা রুটিনওয়ার্ক হয়ে যাচ্ছে তাই লিখি।* – এটা শুনতে একটু কেমন লাগল।
একজন লেখক বা কবির জীবনে লেখালেখি রুটিন ওয়ার্ক তখনি হয় যখন লিখতে না পারলে এক ধরণের যাতনা বোধ হয়। আপনি দেখবেন, কোন সঙ্গীতশিল্পী গান কিছুদিন না গাইতে পারলে ছটফট করেন। আমি নিজেও তেমনি কিছুদিন লিখতে না পারলেই অপরাধবোধে ভুগি, মনে হয় ফাকি দিচ্ছি।
আশা করি আমার রুটিন ওয়ার্ক বলার কারণটা ভাল লাগল।
আর আমি লিখি অবশ্যই আমার বিশ্বাস গুলো নিয়েই।
ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট এর জন্য
তুমি করে বলছি কারণ আমি “বাপ্পি, ০৫” 😛
হা হা হা তা আগে বলবে তো ।
ভাল থাকা হোক