কালকে রাত থেকে ঘুম হচ্ছে না ঠিকমতো। শুধু মনে হচ্ছে, কখন বাজবে দুপুর দুইটা। কখন একটা নতুন দিগন্তে পথচলা শুরু হবে। নতুন দিগন্তই তো! এমন শক্তিশালী ক্রিকেট দলগুলোকে হারিয়ে এসে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা তো এক নতুন অভিজ্ঞতাই।
শুধু আমি নই, পুরো বাংলাদেশ যেন বসে আছে এই খেলার প্রতিক্ষায়। যতই নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করি, খেলায় তো বাংলাদেশ হারতেও পারে, ততবারই মনের গভীর থেকে দৃঢ় বিশ্বাসে ভেসে আসে, বাংলাদেশ অবশ্যই জিতবে।
কেন আশা করবো না আমরা? আমরা তো সেই ১৯৯৭ সালেও রেডিওতে খেলা শুনে শুনে মনের পর্দায় খেলা দেখেছি। শেষ ওভারের ১১ রানের বাঁধার সামনে তো আমরা আশা হারাই নি।
১৯৯৯-এ পরাক্রমশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলায়ও আমাদের খেলোয়াড়দের সর্বস্ব দিয়ে লড়তে দেখে তো আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম।
পরপর প্রায় পাঁচটা বছর যখন বাংলাদেশ খেলতে নামলেই হারতো তখনও কি প্রতিটা খেলা দেখেছি না আমরা? আমরা ১৫০ করতে পেরেছি কি না, কেউ দু’টা উইকেট পেয়েছি কি না, কেউ একটা সুন্দর ক্যাচ ধরেছে কি না-এমন কত ছোট ছোট আনন্দে চাপা দিতে চেয়েছি হারের তীব্র ব্যথা।
২০০৫-এ রুদ্র অস্ট্রেলিয়ার ২৫০ রান দেখেই তো আশায় বুক বেঁধেছিলাম আমরা। ২৫০টা রান কীভাবে একটা জাতিকে আনন্দে ভাসাতে পারে, তা তো বাংলাদেশীদের কাছ থেকে দেখতে পারে কেউ।
২০০৭-এ বিশ্বকাপে ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিলো যে দল তার পরের বিশ্বাসই তো আমাদের দিয়েছে নতুন যুগের পথচলার সূচনা।
নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ হোয়াইটওয়াশের পথে পরের ম্যাচগুলোতে তো বাংলাদেশ বলে-কয়ে হারালো। এমন অগাধ বিশ্বাস কি আমাদের ভরসা দেয় না?
সদ্য যৌবনে পা দেয়া যুবকদের তৈরী একটা দল, যাদের মতো কম বয়সী দল আর একটাও নেই ক্রিকেট বিশ্ব, তেমন একটা দলের উপর আমরা কতটা বিশ্বাস, কতটা আস্থা নিয়ে আছি আমরা। এটা নতুন একয়াট বাংলাদেশ দল যে প্রতিটা ম্যাচ জিততে পারার বিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামে, এটা সেই দল যার জন্য আশায় বুক বেঁধে থাকি ১৬ কোটি মানুষ। এটা সেই দল যার খেলা চলার সময় রাস্তাঘাট ফাঁকা প্রান্তরে পরিণত হয় খেলা শেষে আনন্দ বন্যায় পথ ভাসানোর ইচ্ছায়।
এটা আমাদের বাংলাদেশ দল যে শুধু একটা-দু’টো খেলোয়াড়ের উপর ভরসা করে চলে না, চলে একটা দল হসেবে জেতার প্রত্যয়ে।
১৬ কোটি মানুষের শুভকামনা আর অগাধা আস্থায়, নিশ্চয়ই বাংলাদেশ আজ জিতবে!
ছোট্ট একটা কথা: বাংলাদেশ জিতলেই আনন্দ মিছিলে একাকার হয় পথঘাট, শহর, গ্রাম-পুরো বাংলাদেশ। এমন আনন্দের দিনে কিছু অমানুষ আমাদেরই বোনদের গায়ে হাত দিয়ে বিষাদের কালিতে ঢেকে দেয় তাদের উৎসব। এমন কোন অমানুষ যদি লিখাটা পড়তে থাকেন, তাকে অনুরোধ একবার ভাবুন, আপনার বোনের গায়ে এভাবে কেউ হাত দিলে কেমন লাগবে? ভেবে দেখুন মানুষ হওয়া যায় কি না………
বাংলাদেশ অবশ্যই জিতবে :love:
নিশ্চয়ই!
কবিতার মতো লেখা পড়লাম। দারুন।
বাংলাদেশ প্রতিদিন কবে নকল করবে? :penguindance:
ধন্যবাদ রাজিন ভাই।
বাংলাদেশ প্রতিদিন এ প্রকাশ হলেই জানতে পারবো 😛
ইনশাআল্লাহ্
আর শেষ প্যারার সাথে একমত!
বাংলাদেশ ম্যাচে হেরে গেলেও এই টুর্নামেন্টে বিজয়ী দল অবশ্যই বাংলাদেশ……
অবশ্যই জিতবে, ১৬ কোটি বাঙ্গালীর প্রার্থনা বৃথা যেতে পারেনা 🙂
বাংলাদেশ ম্যাচে হেরে গেলেও এই টুর্নামেন্টে বিজয়ী দল অবশ্যই বাংলাদেশ…
ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ জিতবে। আমরা প্রার্থনা চালিয়ে যাচ্ছি সবাই মিলে।
এই প্রার্থনাতেই তো এতো ভালো একটা দল পেয়েছি আমরা
ইনশাআল্লাহ্!
🙁
এই টুর্নামেন্টে পারফরমেন্স বিবেচনায় বিজয়ী দল শুধুই বাংলাদেশ!
🙁
অনেক ভালো খেলেছি। প্রায় তৃপ্ত
প্রায় তৃপ্ত! এক্কেবারে মনের কথা!
ম্যাচ হেরে গেলাম। কিন্তু, খেলা হারি নি।
অনেকেই মন খারাপ করে, নানান খেলোয়াড়কে গালমন্দ করছেন। আমরা সেই বেদনার মধ্য থেকে কেন আনন্দের মুহূর্তগুলো মনে করবো না?
পাক ইনিংসের শুরুতেই একের পর এক উইকেট পতনের মুহূর্তগুলো?
আফ্রিদীর শটে নাসিরের সেই দুর্দান্ত ক্যাচ?
তামিম ইকবালের ঝড়ো ব্যাটিংএর ফিফটি শেষে সেই চারটে আংগুল?
অথবা, মুশফিকের সেই একই ওভারে তিন তিনটি চারের মার?
হেরে যেতাম তো অনেক আগেই? কই? শেষ বলটা পর্যন্ত তো লড়ে গেছে তারা।
এই যে নতুন উদ্দীপণা, তাকে বরণ করে নিতেই ফুটুক গৌরবের বারুদ-বোমা।
সবশেষে, আমার মতের সাথে মত মিলবে সবার।
আমাদের হারটা ছিল এক্সিডেন্ট।
সম্পূর্ণরূপে সহমত!
তিনটা চার তো মাশরাফির ছিলো!
চোখের সামনে ইতিহাস কিভাবে গড়ে উঠে, দেখলাম ………..
“চোখের সামনে ইতিহাস কিভাবে গড়ে উঠে, দেখলাম”
:clappinghands:
জিতেছি, এই হার কে হার বলে না………আমরা ১৬ কোটি মানুষের হৃদয় জিতে নিয়েছি……আর কী চাই
অবশ্যই। পুরো ক্রিকেট বিশ্বের হৃদয় জিতে আমরা জিতেছি……
ছবি গুলো দেখতে দেখতে হারিয়ে যাচ্ছিলাম……………
আমরাই জিতেছি!
আমরাই জিতেছি…… :happy: