:penguindance:
সরবে প্রথম পোস্ট কবিতার দিতে ইচ্ছা হলো না। আমি তো বিষয় ভিত্তিক পোস্ট তেমন ভালো লিখতে পারি না। কারন সব তথ্য বা যা কিছু শিখি সব আমার মধ্যে এসে কেমন যেন গুবলেট হয়ে যায় ফলে গুছিয়ে যেমন করে লোকে বিষয়ভিত্তিক পোস্ট লেখে তেমন আমার হয় না তবে আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করি মাঝে মাঝে এক টপিকে আটকে থাকার 🙂 দেখা যাক আজ এখানে কেমন কতটা সেটা পারি 🙂
এখন বাংলাদেশে যেমন বাতাসটা হচ্ছে এই বাতাসটা বেশ সুন্দর। ঢাকাতে টিপ টিপ পানির ফোটা পড়েছে বাতাস হচ্ছে মাঝে মাঝে দমকা, দেশের কোথাও কোথাও আস্ত কালবৈশাখি (বৈশাখ ছাড়াই) হয়েছে। এই সময়ে উত্তরে হাওয়া আর দখিনা হাওয়ার একটা যুদ্ধ লাগে, ফলে হালকা ঠান্ডার মধ্যে গায়ে একটু গরম বাতাস লাগার মত মনে হয়, অথবা একটু গরমের মধ্যে একটু ঠান্ডা মত বাতাস গায়ে লাগার মত মনে হয়। ইহাই বসন্ত বাতাস, এই বৃষ্টিই বসন্তবৃষ্টি। ইহার অনুভূতি ভাষায় ফুটাইতে মনে চায়। মনে আরো অনেক কিছু চায়, যা কিছু মনের ভালো লাগে তার সবই মন শেয়ার দিতে চায়। সঙ্গীত ভালো লাগে বিধায় সংগীতের আকুলিবিকুলি সুড়সুড়ি কাতুকুতু ধস্তাধস্তি সব কিছু লেখার অক্ষর হইতেও বাহির হউক এমন মনে চায় – লেখার অক্ষর চোক্ষু দিয়া পড়িতে পড়িতে মগজের ভিতরে সান্ধাইবে, হৃদয়ে আকুলিবিকুলি তুলিবে, কানে কাতুকুতু দিবে ধীরে – কেমনে তা সম্ভব?
———-
অনেকেই এমন কাজ করে, করে এসেছে বহু বছর ধরে, লেখার মধ্যে গন্ধ শব্দ/আওয়াজ স্পর্শ ঢুকানো এমন ভাবে যেন এক ইউনিট হয়ে অক্ষর, অক্ষর দিয়ে বানানো-দৃশ্য-আওয়াজ-গন্ধ-স্বাদ মাথার মধ্যে এক সাথে ঢোকে। এটা যারা করে তারা করে, এবং যারা এটা আসলেই করে তারা সাবলাইমলি – প্রকট ভাবে না – মানব মস্তিস্কের কাজ করার কিছু সিস্টেম আছে। তাকে অনেক সময় যা দেখানো হয় সে তা দেখে না, যা শোনানো হয় সে তা শোনে না, বরং কোন দুরে কোথায় কি একটা গুনগুনে শব্দ হলে চোখের সামনের ড্রাম পিটানো রেখে কান খাড়া করে ঐ গুনগুন শব্দ কেন কোথা থেকে আসছে সে দিকে মন দেবার চেষ্টা করে। এরকম করে কিছু লোক সবাই না। সুতরাং এখানে আসে কারা আমার শ্রোতাপাঠকদর্শক – সেটা হওয়া ভালো স্বাধীন মানুষেরা, মানে আমি নিজে মনে করি পৃথিবীতে একদিন সব মানুষ স্বাধীন হবে – সেটাই হওয়া উচিত। পরাধীন মানুষের সমস্যা হলো তারা পরাধীন। এখানে আসে পরাধীনতা কেমন কি হ্যান ত্যান অনেক কিছু। আপাতত আমি পরাধীনতা ব্যাখ্যা করবো না। সেটা পরে কখনো হয়তো পরিস্কার হয়ে যাবে। তবে এখানে এভাবে হালকা করে অনুভব করা যাবে সমস্ত কিছু কিভাবে একসাথে জড়ানো।
একেক লেখক একেক বিষয়বস্তুতে আগ্রহী থাকেন, সেই বিষয়বস্তু অনুযায়ী তারা লেখার ফর্ম ঠিক করেন। লেখার বিষয়বস্তু অনুসারে ফর্ম ঠিক না করলে লেখা বিরক্তিকর হতে বাধ্য। আমরা এরকম ফরমের মিসম্যাচ অনেক দেখতে পাই। বাংলাদেশে ছাত্রদের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট করে সামাজিক ভাবে বাধ্যগত কিছু প্রাণী তৈরির সমাজ ব্যবস্থা চালু থাকায় আমাদের দেশে ফর্মের মিসম্যাচ টাইপ “সাহিত্য” ইদানিং বেশি পরিমানে সৃষ্টি হচ্ছে। লেখককে আগে নিজেকে জানতে হবে বুঝতে হবে তিনি নিজে কি চান। এই নিজে কি চান কেবল অ্যামেরিকান ভোগবাদি টাইপ প্রশ্ন না – আসলে আসলে নিজে কি। এখান থেকে হালকা অনুমান লাগানো হয়তো সম্ভব যে, লেখক যে ফর্ম বা ফরম্যাট ব্যবহার করেন তা যে কেবল তার উদ্দিষ্ট বিষয়বস্তু রিভিল করে তা নয় – তা তার উদ্দিষ্ট পাঠক এবং আরো বিশেষ করে নিজেকে বোঝার তিনি পর্যায়ে আছেন তাও রিভিল করে। কেউ কেউ আবার সব জেনে বুঝে ইচ্ছা করে আলসেমি করেন বা অন্যকিছু সেটাও তার ভিতরকার সেলফের ইনটেগ্রিটি বুঝিয়ে দেয়। সাহিত্যের যে অংশটা এখানে এখন লেখককে সবচেয়ে নাঙ্গা করে দেয় সেটা হলো কবিতা।
আজ সকালে এক কবির লাইন পড়ছিলাম, কবিতা বিষয়ে আমার ধারনা তার এই লাইনগুলোর মতই অনেকটা নির্জনে নিজের উর্ধ্বে উঠা,,, ফুল হয়ে ফোটা ফুল হয়ে ফুটে তার পর মানুষকে দেখানোর একটা সলজ্জ ব্যাপারও কিন্তু আছে কবিতা। অর্থাৎ ধরেন কোনো রাগ হলো, হিংসা হলো, ঘৃনা হলো, লোভ হলো, কোনো না কোনো অতৃপ্তি অশান্তি হলো, সেটা নিয়ে নির্জনে মাথা ঘামিয়ে নিজেকে শান্ত করা কোনো না কোনো ভাবে (ফুল হয়ে ফোটা), তারপর পুরো ব্যাপারটায় নিজেকে ভদ্র ভাবে, সভ্য ভাবে, বন্ধুসুলভ ভাবে প্রকাশ করা -> বিউটিফিকেশন অফ পোয়েট্রি – অ্যাসথেটিকস আসে কবিতায় কবির আত্মার সৌন্দর্য থেকে এমন ধরনের কথাও কোথাও শুনেছি মনে হয়। এইগুলো সব না এটা একটা দিক। যাই হোক এই একটা দিকেও অনেক ঘাপলা আছে। সেসবও যাক। আমার ইদানিংকার সমস্যা হলো আগে রূপচর্চার যা ব্যবহার করতাম এখন তা ব্যবহার করতে ইচ্ছা করে না। স্রেফ ইচ্ছা করে না। প্রত্যেক মেকাপ-মুখোশ-ক্রিমপাউডারের দোষ আছে, গুন আছে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অপরিহার্যতারও লেভেল আছে। পালক না থাকলে আপনি একটা প্রানীকে মুরগি বলতে পারেন না। যেহেতু পাবলিক মাংস খাবে, পালক তো খাবে না – আর পালক বাতাসে উড়ে আমার গালের মধ্যে ঢুকে বিরক্ত লাগায়, তাই আমি পালক ছাড়া মুরগি বানাবো,,, – তাকে তো কেউ মুরগী বলবে না। এরকম ন্যাড়া মুরগী হেটে বেড়ালে পাবলিক খাবেও কিনা সন্দেহ। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক এরকমও না। কিরকম যে সমস্যাটা তাও বুঝাতে পারছি না 🙁
:welcome:
এমনি লেখার ফুল ফুটুক সব সময় 🙂
অনেক ধন্যবাদ বাবুনি সুপ্তি 🙂 😀
আর বিলম্বিত শুভ জন্মদিন 🙂 😀
অনেক ভালো আছো আশা করি 🙂 😀
সাকাধু আপু কেমন আছেন?
আমি তো পোষ্ট দিতে পারছিনা, নতুন পোষ্টের লিংকে ক্লিক করলে বলে আপনার অনুমতি নাই!
কি করা যায় পরামর্শ দরকার! আছে নি?
ভালো আছি পলাশ মিজানুর রহমান 🙂 😀
আপনিও ভালো আছেন আশাকরি 🙂
আপনার সাথে মনে হয় অন্য কোথাও অন্য কোনো নামে পরিচয় আছে, তাই না 🙂
তা তো জানি নারে ভাই, তবে পোস্ট দেবার পর এডিট করা নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়লাম – কেন কে জানে – মনে হয় আমার নেট বেশ স্লো।
ভালো থাকবেন 🙂
মুরগীর পালকটা প্রকৃতির অংশ, আর মেকাপ তো একটা মুখোশ। তাই দু’টার তুলনা না করাই কি শ্রেয় নয়?
“বাংলাদেশে ছাত্রদের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট করে সামাজিক ভাবে বাধ্যগত কিছু প্রাণী তৈরির সমাজ ব্যবস্থা চালু থাকায় আমাদের দেশে ফর্মের মিসম্যাচ টাইপ “সাহিত্য” ইদানিং বেশি পরিমানে সৃষ্টি হচ্ছে।”
:clappinghands:
সরব হোক আপনার লেখা!
:welcome:
:welcome:
:welcome:
আমি নিজে মনে করি পৃথিবীতে একদিন সব মানুষ স্বাধীন হবে – এই জায়গা পড়ে ভাবলাম আলোচনা জমে উঠবে কিন্তু আপনি তো পরাধীনতা ক্লিয়ার করলেন না!
আমার মনে হয় না *সব* মানুষ আসলে স্বাধীন হবে! (আমি আর আপনি একই লাইনে কথা বলছি কীনা সেটা একটা প্রশ্ন।)
কবিতাই লেখককে নাঙ্গা করে সেটার সাথে আমি পুরো একমত হবো কিনা নিশ্চিত না। যেইসব লেখক কবিতা লিখেন না?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর কথাই চিন্তা করুন তার কবিতা তাঁকে যে উচ্চতায় উঠায় তার অনুরোধে-ঢেঁকি-গেলা(সম্পাদকের অনুরোধে/ ওর্থের কারণে লেখা) সাহিত্য? সেই সবই তো তাকে পুরোটা বুঝতে সাহায্য করে।
বানান এর দিকে একটু নজর দিলে ভালো হয়। আপনার চিন্তাভাবনার সাথে যুক্ত হতে ভুল বানান কিছুটা সমস্যা তৈরি করবে মনে হয়। সরব এর দারুণ একটা বানান সিরিজ আছে। এতটা ইনোভেশন বাংলা আন্তর্জালে আমি অন্তত দেখি নাই! http://shorob.com/tag/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F/
আর :welcome:
:welcome:
:welcome:
সরবে স্বাগতম!
একটু কঠিন লাগলো লেখাটা… 🙂