এক.
বরাবরের মতো সেই রাতেও রশিদ সাহেব একা একা রাতের খাবারটি সেরে নিচ্ছিলেন। পার্থক্য এই যে আজ বাসায় খাচ্ছেন না। কোন কারণ ছাড়াই সেদিন অফিস থেকে বাসার দিকে না গিয়ে উল্টো পথ ধরলেন। মিনাক্ষী সিনেমার উল্টো দিকে যে রেস্টুরেন্টটি আছে- বে ভিউ রেস্টুরেন্ট, সেখানেই খাচ্ছিলেন। আলো-আধারী পরিবেশে চোখ ছিলো খাবারের মেন্যুতে আর কান আশে পাশের কথাগুলো চেখে নিচ্ছিল।
‘আমি মশকরা করছি না, আমার ননদ প্রতিদিন রাতে পাঁচ বছর আগে মরে যাওয়া স্বামীর জন্য খাবার বানায়। এটা নিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তার রোজ ঝগড়া হয়’।
‘আমার চাচাতো মরিয়মের মতো অবস্থা। সে তো প্রায় ভুল করে প্রেমিকের নাম ধরে স্বামীকে ডাকে। আরে আমি নিজের কানে শুনেছি’।
রশিদ সাহেব জানালা দিয়ে সচল মিটিমিটি আলোর গাড়ীগুলোকে অনুসরণ করেন। ভাবেন কতদিন চট্টগ্রামের বাইরে যান নাই। তার জীবনে কোন বৈচিত্র্য নাই।ওয়েটার এলে নান, তান্দুরী চিকেন আর কফির অর্ডার দেন। দুই মহিলা কথা বলেই চলছে।মনে হচ্ছে না রেস্টুরেন্ট থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত থামবে। তিনি রেস্টুরেন্টের চারপাশটা দেখে নেন। রাত মোটে দশটা। রেস্টুরেন্ট ফাঁকাই বলা যায়।
নান আর চিকেন আস্তে আস্তে চিবুতে থাকেন। তার অভ্যাস হলো মুখে দেবার আগে প্রতি লোকমা খাবার দেখে নেয়া।মা একদিন বলেছিলেন, খাবারের মধ্যে কি দেখস? তিনি কিছু না বললেও মা ভাবতেন খাবারের মধ্যে চুল বা অন্য কিছু আছে।তাই তার মা বেশ সাবধানে থাকতেন। একই কথা তার প্রাক্তন স্ত্রী শারমিনও বলত।
দশ মিনিট বা তারও পর, রেস্টুরেন্টে বেশ উত্তেজনা তৈরি হলো। যদিও কারণ বুঝা যাচ্ছিল না।। তাকে সার্ভ করা ওয়েটার এবং ম্যানেজার রান্নাঘরে উচ্চকন্ঠে কিছু বলছিল কিন্তু চেষ্টা করছিল যাতে কেউ না শুনে। এর প্রায় বিশ মিনিট পর পুলিশ আসল। তিনি অবাক হলেন এতো তাড়াতাড়ি পুলিশ কোত্থেকে এলো। পুলিশ সবাইকে ঘর খালি করে করে রেস্টুরেন্টের লনে দাড়াতে বলল। রশিদ সাহেব গুনে দেখলেন তিনিসহ মোট সাতজন লোক খাবার খাচ্ছিল।বিরামহীন কথা বলা দুই মহিলা, তিনি নিজে এবং চারজনের একটি পরিবার। তারা সবাই জেরার অপেক্ষায় ছিলেন। মহিলা দুইজন খুব উত্তেজিত। রশিদ সাহেব ভাবছিলেন তাদের গল্পের অনেক খোরাক পাওয়া গেছে। ননদের গল্প করা মহিলাটি পাশের জনকে বলল, আমাদের প্রতিটি পলক ফেলার মুহুর্তের মধ্যে ভয়ানক কিছু না কিছু ঘটে। গত হপ্তাটায় কি হয়েছিলো শোন- ভাবলে এখনো ভয়ে চুল পর্যন্ত খাড়া হয়ে যায়….।
পুলিশের কাজের মধ্যে কোন তাড়াহুড়ো নাই। বেশ ডাকাডাকি ও গর্জন থাকলেও ধীর সুস্থ্যে কাজ করছিলো। অনেকটা স্লো মোশন মুভির মতো। রুটিন মাফিক কাজ করছে। যদিও এখনো কেউ জানে না কি ঘটেছে। তার খাবার পরখ করার বিষয়টি মনে হয় ওয়েটারও খেয়াল করেছে। রশিদ সাহেবের পাশে দাড়ানো সেই ওয়েটারটি নিশ্চিত করার জন্যই যেন বলল, যা ঘটেছে তার সাথে খাবারের সম্পর্ক নাই। যদিও তিনি কিছু জিজ্ঞেস করে নাই। তাদের মধ্যে পুলিশী বিষয়টা নিয়ে কথা হলো অতি সংক্ষেপে-
‘কি ঘটেছে?’ ‘ওয়াশরূমে একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে’। ‘কি!!!’ ‘মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেছে’। ‘আজ রাতেই?’ ‘জি, আজ রাতেই’। ‘কেউ শুনে নাই?’ ‘না।‘
একজন পুলিশ রশিদ সাহেবকে কয়েকটি প্রশ্ন করল। কি করেন, কোথায় থাকেন, এদিকে খেতে আসা কেন ইত্যাদি। তিনি জানালেন এই রেস্টুরেন্টে আগে কখনো আসে নাই। এখানে তার কোন এপয়েন্টমেন্ট ছিলো না, ঘটনাচক্রে খেতে আসা। আরো জানালেন, অস্বাভাবিক কিছু শুনতে পান নাই।তিনি চকচকে টাইলসগুলো দিকে তাকিয়ে লোকটির কথা ভাবছিলেন। খেতে এসে কি হলো। ভাবছিলেন আধ-খাওয়া খাবারের কথা। তিনি কখনো খাবার নষ্ট করেন না। পুলিশ সবার নাম-ঠিকানা রেখে ছেড়ে দিলো। সাবধান করে দিলো কেউ যাতে শহর ছেড়ে না যায়। পুলিশ ফোন নাম্বার দিয়ে বলল অস্বাভাবিক কিছু মনে পড়লে যেন ফোন করে জানায়। সেই দুই মহিলা আলাদা আলাদা গাড়িতে চলে গেল। তিনিও বাড়ি ফিরলেন।
এই হত্যাকান্ড চট্টগ্রামে আলোড়ন তোলার মতো ছিল না। এমন হত্যাকান্ড হর-হামেশায় হয়ে থাকে। দুইদিন পরের দৈনিক চট্টলা ভেতরের পাতায় দুই কলামে হত্যার খবরটি ছাপে। সাথে গোবেচারা টাইপের এক লোকের ফটো। সেই রিপোর্টে তেমন কিছু বলা হয় না। পুলিশও কিছু খুজে পায় নাই। সেদিন রাতে যারা খেতে এসেছিলো তাদের কেউ অভিযুক্ত নয়। ম্যানেজার ওয়াশরুমে গেলে লাশটি দেখতে পান। ওয়াশরুমের জানালা খোলা পাওয়া গিয়েছিলো। পুলিশ ধারণা খুনী এসেছিলো জানালা দিয়ে এবং খুন করে সে পথে বেরিয়ে গেছে।
খুন হওয়া লোকটির নাম আবুল কালাম। একা একা থাকত। বউ চলে গেছে মাস দুয়েক আগে। মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো সে। পুলিশের ধারণা গাছের গুড়ি জাতীয় শক্ত কিছুর আঘাতে মারা গেছে সে।
দুই.
এয়ারপোর্টের দিকের এই রেস্টুরেন্টে রশীদ সাহেবের নিয়মিত আসার কোন কারণ নাই। মূলত পতেঙ্গা সৈকতে যারা বেড়াতে যান তারা এই রেস্টুরেন্টে ভিড় করেন। এছাড়া রশীদ সাহেব নিজেও ভিড়-ভাট্টা পছন্দ করেন না। মূল শহরের দিকে থাকলেও রশিদ সাহেব কাজ করেন ইপিজেডে। একা থাকেন। বউয়ের সাথে তালাক হয়েছে বছরখানেক। তিনি মেনেই নিয়েছেন খুতখুতে স্বভাবের জন্য তার পক্ষে বেশি দিন কারো সাথে থাকা কষ্টকর।
অফিস ছুটি হতে মোটামুটি সাতটা-আটটা বেজে যায়। গত কয়েকদিনে সেই রেষ্টুরেন্টে যাওয়া তার অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছে। ছুটির পর সৈকতে গিয়ে হাটা। নির্জন কোন স্থানে বসে মানুষজন দেখা। তারপর সেই রেষ্টুরেন্টে খেয়ে ঘরে ফেরা।প্রতিদিন এই রেষ্টুরেন্টে যাওয়াটা কেন জানি ম্যানেজার আর ওয়েটার পছন্দ করে না- অন্তত তার পর্যবেক্ষণ সেটায় বলে।
এভাবে দিন পনের চলার পর ম্যানেজার একদিন তার টেবিলে এসে গল্প জুড়ে দেয়। নানা কথাবার্তা বলে বুঝার চেষ্টা করে রশিদ সাহেব আসলে কে। পুলিশের লোক না পত্রিকার রিপোর্টার।রশিদ সাহেব খুন বিষয়ে কোন আগ্রহ দেখান না। এরপর একদিন ম্যানেজার তাকে নতুন একটা রেসিপি টেস্ট করার কথা বললে তিনি রাজি হয়ে যান। শুটকির খাবারটা আসলেই মজার ছিলো। ম্যানেজার ভাবেন- এর দিক থেকে কোন ঝামেলা নাই। তিনি জানালেন, আসলে তিনি খুব চিন্তিত ছিলেন। ব্যবসার সুনাম একবার নষ্ট হলে উদ্ধার করা কঠিন। রশিদ সাহেব সেই কথায় সায় দেন।
কথায় কথায় জানালেন- পুলিশ নতুন কোন তথ্য পায় নাই।ধারণা করা হচ্ছে মাদক চালান সম্পর্কিত কোন ঝামেলার কারণে খুন হয়েছে আবুল কালাম। তার মাথায় মাত্র দুটো আঘাতের চিহৃ ছিলো। অর্থ্যাৎ খুনী পেশাদার কেউ। বলা যায় বয়স্ক ম্যানেজারের সাথে তার ভালোয় খাতির হলো। এরমধ্যে তিনি একদিন আসতে পারেন নাই। ম্যানেজার ফোন করে তার খোজ-খবর নিলো।
রেষ্টুরেন্টে বেশ খাতির পান। না চাইলে তিনি খুন সম্পর্কিত তথ্যগুলো পান। একদিন ওয়েটার নিজে থেকেই জানালো পুলিশ তদন্ত মোটামুটি শেষ করে এনেছে। ইয়াবা পাচারকারী দলের অর্ন্তকোন্দলে লোকটা মারা গেছে। এরসাথে এলাকা প্রভাবশালী ড্রাগ ডিলার জড়িত। সমস্যা হলো লোকে তার নাম বা চেহারা জানে না। এই লোক নাকি খুবই ভয়ংকর- দলের কেউ বিট্রে করলে নিজ হাতে খুন করে।ওয়েটার জানালো, পতেঙ্গার সব লোক সাবধানে থাকে যাতে এই লোকের কুনজরে না পড়ে।রশিদ সাহেব জিজ্ঞেস করলেন , ওয়েটার এতো সব তথ্য কই পেলো। ওয়েটার জানায়, কথা কি আর চাপা থাকে!
তিনি দুই একবার সেই দুই মহিলাকে এখানে খেতে দেখেন। তাদের গল্পগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেন। তাদের গল্পে এখন ননদ বা চাচাতো বোন প্রধান চরিত্র। সেদিনের খুন, কে কতটা ভয় পেয়েছে সে সম্পর্কিত। এরমধ্যে চাচাতো বোনের গল্প বলা মহিলাটি একদিন গলা নামিয়ে বলছিলেন, খুনী কিন্তু আমাদের মধ্যে কেউ হতে পারে। মানুষের চেহারা দেখলে বুঝা যায় কে ঠান্ডা মাথায় খুন করতে পারে আর কে পারে না।রশিদ সাহেব সেদিকে ফিরতে দেখলেন মহিলা তার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। তিনি ভাবলেন তার স্ত্রী তাইলে খুব বেশি বাড়িয়ে বলে নাই। সে বলত, তুমি একটা ঠান্ডা মাথার খুনী। তোমার চোখের দিকে তাকালেই তো ভয় লাগে। তোমার সাথে কোন মহিলা সংসার করতে পারবে না। তিনি মহিলাটির দিকে যথাসম্ভব মিষ্টি করে হাসলেন। মহিলা বুঝি ভড়কে গিয়ে খাবারে মনোযোগ দিলেন।
অন্য একদিন একলোক তার টেবিলে বসতে চাইল। রশিদ সাহেব কোন উত্তর দিলেন না। ম্যানেজার দ্রুত এগিয়ে এসে ভদ্রলোককে জানালেন রশিদ সাহেব একা খেতে পছন্দ করেন। তিনি যেন অন্য টেবিল বেছে নেন।রশিদ সাহেব পরে লোকটিকে চিনতে পারেন। এইলোককে তিনি খুনের দিন দেখেছেন। সেই চারজনের পরিবারটির কর্তা।
যাওয়ার সময় তিনি লোকটির সাথে সৌজন্যতা বিনিময় করেন। জিজ্ঞেস করেন- তার বাচ্চারা কেমন আছে। ভয় পেয়েছে কিনা। ভদ্রলোক জানান- তারা কেউ মৃতদেহটি দেখে নাই। ভয় স্থায়ী হয় নাই।তিনি বেশ ব্যস্ত তবে শিগগির বাচ্চাদের নিয়ে আবার খেতে আসবেন। এখানে খেতে বাচ্চারা খুব পছন্দ করে। রশিদ সাহেবকে তার বিজনেস কার্ডটি এগিয়ে দেন। তার অফিসে চা খেতে আসে খুশী হবেন বলে জানালেন। ভদ্রলোকের নাম আবুল কাসেম, একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিক। তার অফিস কাছেই। রশীদ সাহেব জানালেন সময় করে একদিন চা খেতে আসবেন।
তিন.
রশিদ সাহেব ঠিক করতে পারছিলেন না এখন কোথায় যাওয়া যেতে পারে। ঘড়িতে রাত নয়টা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি। মিনাক্ষী হলে একটা একশান সিনেমা দেখেছেন। অনেক দিন পর সিনেমা দেখে বেশ মজা পেলেন।
আজ আর রেস্টুরেন্টে যেতে ইচ্ছে করছে না। রোজ রোজ এক জায়গায় খাওয়ায় একঘেয়েমী ধরে গেছে। নিজের গাড়ীতে উঠতে গিয়ে কি মনে করে পেছনে তাকালেন। আজো সেই গাড়ীটা দেখতে পেলেন। তিনি লক্ষ্য করেছেন গত কয়েকদিন ধরে এই গাড়ীটা তাকে অনুসরণ করছে। সড়ক বাতির আলোয় দুই আরোহীর চেহারা স্পষ্ট দেখলেন। তারা রশীদ সাহেবের দিকে তাকিয়ে আছে।রশীদ সাহেব গাড়ীতে উঠলেন, স্টার্ট দিতে দিতে আয়নাতে তাকালেন। আয়নায় স্পষ্ট দেখলেন খুন হওয়া লোকটি কাতর চোখে তাকিয়ে আছে। তাকে কি যেন বলতে চায়!
রশীদ সাহেব থানার দিকে রওয়ানা দিলেন।
পরদিন দৈনিক চট্টলার ভেতর পৃষ্টার একটা ছোট্ট খবর হলো,মাদক ব্যবসায়ীর হত্যাকারী ধৃত। খবরে জানা যায়, পুলিশী জেরার মুখে ঠিকাদার আবুল কাসেম ও হোটেল ওয়েটার লোকমান হোসেন খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। আরো জানা যায়, দুই খুনী কোন কারণে স্নায়ু চাপে ভুগছিলো।
বলাবাহুল্যই রশীদ সাহেবের একঘেয়েমী রুটিন কারো স্নায়ুচাপের কারণ হতে পারে তিনি বুঝতে পারেন নাই।
(পিটার অর্নারের গল্প অবলম্বনে)
>আমার লেখার খাতা: ইচ্ছেশূণ্য মানুষ ।
গল্পটা পুরোটা বুঝলাম কীনা বুঝলাম না!!
প্রতিষ্টানের -> প্রতিষ্ঠানের
এই রকম কিছু বানানের ভুল আছে। একটু দেখে নিয়েন 😀
সরব এ স্বাগতম 😀
বুঝাতে না পারার দায় হাত পেতে নিলাম।
ধন্যবাদ।
আশা করছি ফাইনাল ভার্সানে বানান ভুল থাকবে না। এই ব্যাপারে আমি বরাবরই কাঁচা।
:welcome:
ধন্যবাদ রাইয়্যান।
শেষে এসে বুঝলাম না।
:welcome:
ধন্যবাদ অবন্তিকা।
এই সমস্যায় অন্য কোথাও পড়তে হয় নাই। মানে অন্য ব্লগে। সে যাই হোক’ বুঝাতে না পারার ব্যথতাকে আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
শুভ কামনা।
প্রথমবার পড়ে পুরোপুরি ক্লিয়ার হয় নি, কমেন্ট করার জন্য আবার পড়তে এসে বুঝলাম।
মূল গল্পের লিঙ্ক দিয়ে দেবেন প্লীজ? পড়তে ইচ্ছা করছে।
:welcome:
ধন্যবাদ সামিরা।
লিংক:
http://www.guernicamag.com/fiction/3309/orner_12_15_11/
মূল গল্পটা মনেহয় কোথায় যেন পড়েছি…।
ভালো লেগেছে, এমন আরো গল্প চাই… 🙂
স্বাগতম সরবে!
অশেষ ধন্যবাদ।।
রহস্যময় সুন্দর হয়েছে তো!
খুনিরা মনে হয় রশিদ সাহেব কে ভেবেছে গোয়েন্দা বা পুলিশ। ভয় টা কাজ করেছে খুব । এতই ভয় যে শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেই ফেলেছে খুন করার কথা! দারুন লাগল 🙂
ধন্যবাদ বাবুনি সুপ্তি।
ভালো থাকুন।