পটভূমিঃ
একুশে নিয়ে লেখার কথা, কিন্তু লেখিনি। গত তিন মাসে নতুন কিছু লিখেছি বলে মনে পরেনা। লিখতে ভালো লাগেনা কিংবা মাথায় লেখা আসেনা। তো, ঘটনা হলো, ১৯ তারিখে কলেজে নোটিশ দিলো, K-69 ব্যাচ দেয়ালিকা প্রকাশ করবে ২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষ্যে। শেষ দিন লেখা জমা দেবার ২০ তারিখ ! পুরাই হতভম্ব অবস্থা, তাও সান্ত্বনা দিলাম, আমার কী! সমস্যা হলো, যখন ব্যাচের পোলাপান চাপ দিলো, “দোস্ত, প্লিজ কিছু লিখে দে! আমাদের F-Batch এর কোনো লেখা যাচ্ছেনা, প্লিজ যা মন চায় লিখে দে”। আমি ঘটনা জেনেছিই ২০ তারিখ, ঐদিনই শেষ দিন! দেয়ালিকা কর্তৃপক্ষের সাহে কথা বলে ঠিক করলাম, ২১শের সকালে লেখা দিয়ে আসবো, একটু টাইম ম্যানেজ করে দিতে। ব্যাচের মান-সম্মান এর ব্যাপার! রাতে লিখতে বসলাম, ফোন কথা বলে ঘুমিয়ে গেলাম, লেখা আর হলোনা। সকাল ১০টায় মেডিকেলে থাকার কথা লেখা নিয়ে, ঘুম থেকে উঠলাম ১১টায়। আমি বড়ই নিষ্কর্মা, না হলোনা, বড়ই দুষ্কর্মা ! এরপর মিনিট পঞ্চাশেকের মাথায় যা মন চায় লিখে আমি আর সাল্লু দিলাম দৌড় ! এই হলো ঘটনার আড়ালের ঘটনা !
ঘামে ভেজা শার্ট,
ক্রমশ অরুনরঙ্গায় রুপ নিচ্ছে,
বুকে চিনচিনে ব্যাথা।
বহুকষ্টে চোখ মেলে তাকালাম,
সারি সারি স্টেনগান তাক করে রাখা,
এক রাশ গুলি ছুটে আসছে,
ঝাঝড়া হতে দেখলাম নিজেকে।
তখনও বুঝতে পারিনি,
আমার রক্তহীন ফ্যাকাশে দেহ জন্ম দিতে যাচ্ছে,
রাষ্ট্রভাষা বাংলা,
কিংবা বাংলা ভাষার রাষ্ট্র।
মুখ থুবড়ে পরে আছি,
বুটের লাথিও অনুভূতিহীন,
বন্ধ হয়ে হৃদযন্ত্র,
তৃপ্তিতে ভরা।
ঐ যে, আরেকটু দূরে,
হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আমার মা
রাষ্ট্রভাষা বাংলা।
খাকি পোশাকের অবয়ব সামনে দাঁড়িয়ে,
বিকৃত মুখে তার ক্রর হাসি,
বেয়োনেট নেমে এসে স্পর্শ করে বুকের ঠিক মাঝখানটা,
অস্ফুট স্বরে আমি বলে উঠি – “বাংলা”।
লোহিত সিক্ত মাটিতে
জন্ম নিলো একটি বর্নমালা।
রক্ত দিয়ে কেনা বাংলা,
এ কারও করুনা নয়, নয় কারও ভিক্ষা,
এ আমার অধিকার।
কেউ পারেনি কেড়ে নিতে, পারবেও না,
আমি আছি এর অস্তিত্ব-সম্ভ্রম রক্ষার্থে,
আমি কে?
আমি বাঙ্গালী, আমিই বাংলা।
এমনি এমনিঃ
১) “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই কিংবা বাংলা ভাষার রাষ্ট্র চাই” – এই বাক্যটি তানিয়াপুর পোস্ট থেকে পেয়েছি। মুলতঃ চিত্রশিল্পি হাশেম খানের এক বন্ধু ৫২ সালে ভাষার অধিকার আদায়ের জন্য মিছিলে “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” এর বদলে বারবার “বাংলাভাষার রাষ্ট্র চাই” বলে ভুল করছিলেন। পরবর্তীতে সে বন্ধু তাঁকে বলেছিলেন, “আমাদের এখন দরকার একটা বাংলা ভাষার রাষ্ট্র। ” এ ঘটনাটি আমাকে প্রচন্ড আলোড়িত করেছে।
২) নামটি ও এক জায়গা থেকে নেয়া, আমার খুব পছন্দের একটি ছবিতে ব্যবহৃত একটি অসাধারণ কবিতা থেকে। প্রাসঙ্গিক বিধায় ছবিটি যুক্ত করা হলো।
কবিতাটা চমৎকার
বিশেষ করে শেষ লাইনটা।
হঠাৎ দেখি আমাদের পিচ্চি (কিন্তু আসলে বড়!) নিশম এর বায়োগ্রাফি নাই! বায়ো লাগাও বাবু! 😛
*বাঙালি* কি বেটার শব্দ না?
বর্ণমালা বানান ভুল!! বানান আফারা মাইর দিবে!!
ঝাঝড়া, ক্রর এই দুইটা বানানও ভুল। মাইর!!! :haturi: :haturi: :haturi:
বানান আফারা মনে হয় স্টেনগান আনতে গেসেন !!
বাননটা কি দীর্ঘ-ঈ নাকি হ্রস-ই হবে বাঙ্গালী বানানে ? আর, বাঙ্গালী/ বাঙালি
কোনটা শুদ্ধ?
বড়দা, পড়বার জন্য ধনেপাতা 🙂
আমি স্টেনগান নিয়ে আসছি। :fire:
এত্ত ভুল করো তুমি নিশম! কয় মিনিট লাগছে এইটা লিখতে, ৫ মিনিট? :haturi:
“না/নি” এগুলি শব্দের সাথে বসে না, একলা একলা বসে। “পারেনা, আসেনি” এগুলি ভুল, ঠিকটা হল “পারে না”, “আসে নি”।
শব্দের শেষে বিসর্গ হয় না, “মূলতঃ” না, “মূলত”।
আর উদাহরণ দিতে গেলে বিসর্গ হয়, নাকি কোলন? “এমনি এমনিঃ”, নাকি “এমনি এমনি:”?
:dhisya:
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। 🙂
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্তিপু ! :happy:
ইন্সট্যান্ট কাব্য রচনার অভিজ্ঞতা আমারও হইছে 😀 অনুরোধে ঢেঁকি গেলা টাইপের 😛 ভাল লাগছে তোমারটা!! :love:
ইন্সট্যান্ট কমেন্ট কইরতে গিয়ে দেরী কইরে ফেললাম, দুশকিত ব্রো ভাই !!! ধন্যবাদ 🙂
দারুন রকমের সুন্দর রে ভাইরা…! :clappinghands:
অনেক অনেক ধন্যবাদ অবনীপু 🙂
দারুণ কবিতা।
‘বাংলা ভাষার রাষ্ট্র চাই’ কথাটা মনে ধরলো বেশ। এটাই কেন যেন বেশি ভালো লাগতেসে।
একেবারে মনের কথা !!! এই বাক্যটা পুরো গেঁথে গেছে কলজেতে !
ভাল হইছে কবিতা। 🙂 বানান ভুল ধরতে গিয়ে বলতে ভুলে গেছিলাম। 😛
অনেক চমৎকার হয়েছে কবিতা 🙂
এমন হঠাৎ চলে আসুক আরো অনেক কবিতা… 🙂