ওদিকে খলখল হাসছে তরল-তরল যুবতীরা
জোয়ান জোয়ান ছেলেগুলো ব্যস্ত তাদের পর্যবেক্ষণে
বিয়েবাড়ি, ঘেমে অস্থির বুড়ো-বুড়ির দল
কন্যার বাপ-কাকারা ব্যস্ত অতিথি আপ্যায়নে
একদিকে হাস্যজ্জ্বল বর, আর একদিকে ক্রন্দনরত কনে।
গনগনে চুলোয় চেপেছে সুখাদ্য
সবাই ব্যস্ত নিজ নিজ প্রয়োজনে
আনন্দে মত্ত, আনন্দের বেলায়
কেউ সত্যই, কেউবা জীবিকার প্রয়োজনে।
বৃদ্ধ ব্যান্ডমাস্টার, কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা
অন্যের মেয়ের বিয়ের আয়োজনে
বাজিয়ে চলেছে সে, “মালকা বানুর দেশে…”
এক অদ্ভুত যান্ত্রিক দক্ষতায়
এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা, সারাদিন একমনে।
নিয়তির কী প্রসহন!
ঘরে তার আইবুড়ো মেয়ে, অসুস্থ স্ত্রী
ছেলেটা বছর হল জেলে
অথচ, নিষ্ঠুর সময়, জীবনের শেষে,
রং করা বেশে, জোর করে হেসে,
বাজাতেই হয়, নিরন্তর, যান্ত্রিক দক্ষতায়
“মালকা বানুর দেশে…..”
ভালো লেগেছে!
কী ভয়ংকর একটা ছবি চোখের সামনে দিয়ে ভেসে গেল!
ঘরে তার আইবুড়ো মেয়ে, অসুস্থ স্ত্রী
ছেলেটা বছর হল জেলে
অথচ, নিষ্ঠুর সময়, জীবনের শেষে,
রং করা বেশে, জোর করে হেসে,
বাজাতেই হয়, নিরন্তর, যান্ত্রিক দক্ষতায়
“মালকা বানুর দেশে…..”
বিষণ্নতা ছুঁয়ে গেলো…
কী অদ্ভুত ভাবে একটানে ছবিটা একে ফেলেছেন!!
মন খারাপ হয়ে গেল……
ঘরের পাশেই কমুনিটি সেন্টার। আজ পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় লক্ষ করলাম. বুড়ো ব্যান্ডমাস্টার বাজাচ্ছেন আর বিয়েবাড়ি মেতে আছে। তখনই লেখাটা মাথায় এলো। বহু কষ্টে মাথায় রেখে ফিরে এসেই লিখে ফেলেছি। একটুখানি স্পর্শ করলেই অসংখ্য ধন্যবাদ
🙁
শেষ প্যারাটা পড়তে গিয়ে কেমন মন খারাপ হয়ে গেলো……