“The story of humanity is much shorter, more elegant, and more interconnected than scientists had once ever imagined”
১৯৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারির একটি রিপোর্ট ((http://205.173.44.50/~jmagee/APBiologySite/AP/Readings/EveReading.pdf))
জীববিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন, ‘মা হাওয়া’ ((এই ‘মা হাওয়া’ কিন্তু বাইবেল/ কোরআনের ‘মা হাওয়া’ না। )) সাহারার দক্ষিণে আফ্রিকার কোন অংশে থাকতো।
হ্যাঁ বাইবেল এর সেই ইভ নামেই এই ‘আদি মানবী’র নাম দেয়া হয়েছে, যার অনুবাদে হাওয়া লিখেছি। বিজ্ঞানীদের গবেষণা অবশেষে প্রমাণ করে আমরা পৃথিবীর সব মানুষ আসলেই একে অন্যের আত্মীয় ((তবে ইনি ঠিক আদি মানবী না। ঠিকভাবে বললে আমাদের “মায়ের বংশধারার ভিত্তিতে এখনকার পৃথিবীতে জীবিত সব মানুষের সবচেয়ে সাম্প্রতিক কমন পূর্বপুরুষ(নারী আর কি!) ))!
কিন্তু এই চমৎকার কাহিনীটা বলার আগে কিছু স্কুল পর্যায়ের জীববিজ্ঞান আলোচনা করা যাক। আমাদের কোষের ৪ ধরনের ডিএনএ আছে ((http://learn.genetics.utah.edu/content/extras/molgen/four_types.html))। ক্রোমোজোমীয় এবং মাইটোকন্ড্রিয়, অটোজোমাল, এক্স ক্রোমোজোমাল।
আমাদের চিন্তার বিষয় মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ। মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের পাওয়ার হাউজ এর মত। শক্তি উৎপাদনে নিয়োজিত। মাইটোকন্ড্রিয়ার নিজস্ব ডিএনএ আছে। এবং তারা কোষ থেকে স্বাধীনভাবে রেপ্লিকেট করে। মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ মা থেকে সন্তানের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। ধরা যাক, সালেহা নামের মায়ের ২ সন্তান (জাহের এবং জাহানারা) থাকলে সালেহার মধ্যে শুধু জাহানারাই পাবে এবং সে তার সন্তানদের মধ্যে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ পাস করতে পারবে (যেহেতু শুধু মা থেকেই সন্তানের কাছে এই প্রকারের ডিএনএ পৌছায়)। এভাবে জাহানারার সন্তানদের মধ্যে মেয়ে থাকলে সেই মেয়ে তার সন্তানদের মধ্যে পাস করতে পারবে সেই ডিএনএ। শুধু তাই না, মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর মধ্যে পরিবর্তনও হয় সামান্য (কারণ এখানে রিকম্বিনেশন ঘটে না।)। তার মানে সন্তান থেকে তার মা, তার মা থেকে নানি…সেখান থেকে তার নানী ট্রেস করা সম্ভব!! এভাবে হয়ত আমরা পৌঁছে যেতে পারি আদি মাতার কাছে!
২.
ইতিহাসের সাক্ষী!
জেনেটিসিস্ট ডঃ উয়েজলি ব্রাউন (Wesley Brown) ১৯৭৯ তে একটি অসাধারণ বিষয় লক্ষ্য করেন। তিনি মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর মধ্যে পার্থক্য করার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন ((Wiley-Blackwell encyclopedia of human evolution))। সেটা করতে গিয়ে টের পেলেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর মধ্যে পার্থক্য অনেক কম! মানে কোন আফ্রিকান আমেরিকান কিংবা নেটিভ আমেরিকান কিংবা ব্রিটিশ এদের সবার মধ্যে তুলনা করে যতটা পার্থক্য আশা করা গিয়েছিলো ততোটা পার্থক্য পাওয়া যায় নি! মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর পার্থক্য কম হওয়া মানে কম পরিবর্তন, তার মানে বংশধারা ছোট…কম পূর্বপুরুষ! এটা থেকে তিনি মত প্রকাশ করেন পৃথিবীর মানুষ সম্ভবত বেশ সাম্প্রতিক একটি ছোট জনগোষ্ঠী থেকে এসেছে ((Wiley-Blackwell encyclopedia of human evolution))!!
এরই মাঝে স্ট্যানফোর্ডের জেনেটিসিস্ট ডগলাস ওয়ালেস (ইনিই প্রথম দেখান যে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ শুধু মা থেকেই সন্তানদের মধ্যে যায়) restriction mapping নামের একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ স্টাডি করার জন্য। তিনি ২০০ ব্যক্তির মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ সংগ্রহ করেন। বৈচিত্র্য রক্ষার্থে এই ব্যক্তিরা বিভিন্ন জায়গার ছিল। যেমন আফ্রিকা, নেটিভ আমেরিকান, সাদা চামড়ার মানুষ এবং পূর্ব এশিয়া। তিনিও ব্রাউনের মতই ফলাফল পেলেন। বিভিন্ন স্থান হওয়া সত্ত্বেও এদের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর মধ্যে পার্থক্য অনেক কম। তিনি আরও লক্ষ্য করেন আফ্রিকার লোকদের নিজেদের মধ্যে পার্থক্য, আফ্রিকা এবং নন আফ্রিকার লোকদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে বেশি!!
১৯৮৬ সালে ডঃ ক্যান ((rebecca cann)) এবং তার সহযোগীরা ইউরোপ, এশিয়া, দক্ষিন প্যাসিফিক এবং আফ্রিকান আমেরিকান (আফ্রিকান স্যাম্পল সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন তারা কিন্তু সেটা সংগ্রহ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে আফ্রিকান আমেরিকান দিয়েই কাজ করেন ) তারা একটি এলগোরিদমের মাধ্যমে একটি বংশলতিকা টাইপের ট্রি করেন যাকে বলা হয় Phylogenetic Tree ((http://en.wikipedia.org/wiki/Phylogenetic_tree))। সেই ট্রিতে ২ টা প্রধান শাখা হয়। একটি ছোট, যাতে মূলত আফ্রিকানরা। অন্যদিকে আরেক শাখায় অন্য সব জায়গার লোকেরা এবং কিছু আফ্রিকান স্থান পায়। যেহেতু মূল একটি শাখা আফ্রিকানদের এবং অন্য আরেকটি শাখা আফ্রিকানদের বেইজ থেকে এসেছে তাই ক্যান এবং তার সহযোগী গবেষকরা সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন আফ্রিকার কোন এক নারী থেকে আমাদের সবার মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর আগমন! তার মানে আমাদের “আদিমাতা”র(কিংবা নানী) জন্ম আফ্রিকায়। (এই আবিষ্কার অনেক কিছুকেই উল্টে পাল্টে দেয়। সারা বিশ্বে মানুষ কীভাবে ছড়িয়েছে সেটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বেশ কিছু হাইপোথিসিস আছে তার মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ২ টি হলো “আউট অফ আফ্রিকা” ((http://en.wikipedia.org/wiki/Out_of_Africa_theory)) এবং মাল্টিরিজিওনাল ((http://en.wikipedia.org/wiki/Multiregional_origin_of_modern_humans))। যেহেতু এই লেখার মূল ফোকাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই সে বিষয়ে এখনই কিছু লিখছি না। ‘মাইটোকন্ড্রিয়াল ঈভ’ আউট অব আফ্রিকা থিওরির কোমরে অনেক বেশী জোর এনে দেয়। এবং এখন পর্যন্ত আউট অব আফ্রিকাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য।)
গবেষকরা মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর মিউটেশন রেইট এর উপর ভিত্তি করে বলেন ১৪০০০০ থেকে ২৯০০০০বছর এর মাঝের কোন এক সময় এই আদি মাতার অবস্থান ছিল। তারা মোটামুটিভাবে যেই রাফ নাম্বার বললেন সেটি হচ্ছে ২০০০০০ বছর আগের। তারা এই নারীর নাম দিয়েছিলেন মাইটোকন্ড্রিয়াল ইভ।
এর পর টাইম ম্যাগাজিন সহ নানান জায়গায় এই গবেষণা নিয়ে হৈচৈ হল। এই গবেষণার একটি ত্রুটির কথা বলা হলো যে আসল আফ্রিকান না নিয়ে আফ্রিকান আমেরিকানদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়েছে। পরবর্তিতে আফ্রিকানদের দিয়ে করানো হলেও দেখা গেলো ফলাফল একই!! আর আদিমাতা কত বছর আগে সেটা ঠিক কিনা এটা নিয়েও প্রশ্ন ছিলো। কারণ মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর মিউটেশন রেইট নিশ্চিত ভাবে আমরা জানি না। ২০১০ সালের সায়েন্স ডেইলির একটি লিঙ্ক থেকে দেখা যাচ্ছে ২ লক্ষ বছর আগের চিন্তাটাই ঠিক ((http://www.sciencedaily.com/releases/2010/08/100817122405.htm))
৩.
আদিপিতার সন্ধানে:
ওয়াই ক্রোমোজোমাল ডিএনএ এর উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা একজন আদিপিতা বের করেছেন। যার ওয়াই ক্রোমোজোম থেকে বাকি সবার এসেছে। সেই আদিপিতার নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন ওয়াই ক্রোমোজোমাল এডাম (ক্রোমোজোমীয় আদম)। ওয়াই ক্রোমোজোমাল ডিএনএ শুধুমাত্র বাবা থেকে ছেলের কাছে আসে ((http://learn.genetics.utah.edu/content/extras/molgen/y_chromo.html))। পুরুষের দেহে একটিই ওয়াই ক্রোমোজোম থাকে এবং তেমন পরিবর্তনও হয় না। তাই বহুদূরের পূর্বপুরুষ সম্পর্কে জানা সম্ভব।
৪.
কিন্তু মাত্র একজন নারীর সাথে আমরা সবাই কানেক্টেড?
এটা কি আসলেও সম্ভব? এত এত নারীর ভিড়ে কেবল একজন?
আমাদের বিবর্তনীয় বটলনেক এর কথা মাথায় রাখতে হবে। প্রায় ৭১০০০ বছর আগে একটি ভলকানিক উইন্টার এর কারণে মানবজাতি প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে বসেছিলো বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা ((http://news.bbc.co.uk/2/hi/science/nature/166869.stm)) সেই সময়ে মানুষ কমে এসে মাত্র ১৫০০০ এ নেমে এসেছিলো বলে তারা অনুমান করছেন।
সুমাত্রা তুবা পাহাড়ের অগ্নুৎপাত একটি ‘আগ্নেয় শীতের’ (volcanic winter)) জন্ম দিয়েছিলো যা কিনা ৬ বছর ধরে স্থায়ী ছিল। পৃথিবীর তাপমাত্রা অনেক খানি কমে এসেছিলো, খরা-দুর্ভিক্ষে অনেকেই মারা যায়। সেই ১৫০০০ জনের মধ্যে যেই সব নারী ছিলেন তাদের মধ্যে একজন ভাগ্যবান নারী ছিলেন! যার সাথে আমরা সবাই কানেক্টেড। বাকি আরও নারী ছিল, কিন্তু তাদের হয়ত পরবর্তী বংশধররা নিঃসন্তান অথবা পুরুষ বংশধর ছিলো (মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ শুধুমাত্র মা থেকে সন্তানের মধ্যে পাস হয়। তার মানে এক নারীর ৩ বা তারও বেশি পুরুষ সন্তান হলেও তার মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ আর সঞ্চারিত হচ্ছে না!)
৫.
কিছু ভুল ধারণাঃ
এই মাইটোকন্ড্রিয়াল ইভ কি সেই সময়ের একমাত্র নারী?
নাহ! বিজ্ঞানীরা বলছেন সেই সময়ে অন্তত আরও কয়েক হাজার নারী ছিলো। কিন্তু শুধুমাত্র এই এক নারী থেকেই ডিএনএ সঞ্চারিত হয়েছে সবার মধ্যে!!
মাইটোকন্ড্রিয়াল ইভ আর ক্রোমোজোমাল এডাম এরা কি একই সময়ের ছিলো?
নাহ। এদের মধ্যে বিশাল পার্থক্য ছিল। মাইটোকন্ড্রিয়াল ইভ ২ লক্ষ বছর আগের আর ক্রোমোজোমীয় আদম ৬২ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪২ বছর এর মাঝামাঝি কোন সময়ের বলে ধারণা। তার মানে তাদের মধ্যে অন্তত ৫০০০০ বছরের পার্থক্য ছিলো!
৬.
সহযোগিতা এবং সহযোগিতা
এই বিষয় নিয়ে যখন পড়ার চেষ্টা করছিলাম, আন্তর্জালে চমৎকার একটি লাইন পেয়েছিলাম
The story of humanity is much shorter, more elegant, and more interconnected than scientists had once ever imagined।
আমি এই লেখাটা মূলত লিখেছি সবার মাঝে আবার সেই কথাটি ছড়িয়ে দিতে, আমরা পৃথিবীর ৭ বিলিয়ন মানুষ আসলে কানেক্টেড!
এই চমৎকার একটা আইডিয়া (ফ্যাক্ট), আমরা সবাই আসলে রিলেটেড! এই আইডিয়াটা আমার কাছে অনেক ইতিবাচক একটা বিষয় মনে হয়।
হার্ভার্ডের ম্যাথমেটিকাল বায়োলজিস্ট মার্টিন নোভাক ((martin nowak)) এর সুপারকোঅপারেটরস নামের সাম্প্রতিক একটি বই লিখেছেন। বইটির শিরোনামেই আছে Why we need each other to succeed. ঈশ্বরে বিশ্বাসী এই অসাধারণ প্রতিভাধর জীববিজ্ঞানী, জীবনের কথা বলেন গণিত দিয়ে! তিনি সহযোগিতাকে বিবর্তনের একটি মৌলিক ফিচার মনে করেন। ((http://www.amazon.com/SuperCooperators-Altruism-Evolution-Other-Succeed/dp/1439100187))
৭
শেষ কথা, “শুরু”র কথা!
আমাদের সবাইকে সহাবস্থান, সহযোগিতা, কম্প্যাশন, ইতিবাচকতা নিয়ে ভাবা উচিৎ।
যারা ধার্মিক তারা কারেন আর্মস্ট্রং এর চার্টার অব কম্প্যাশন দেখতে পারেন (মূলকথা অন্যদের সাথে ঠিক তেমনই আচরণ করতে, যা আমরা তাদের কাছ থেকে পেতে চাই) আর নাস্তিকরাও এই টেড টকটা ((http://www.ted.com/talks/alain_de_botton_atheism_2_0.html)) দেখতে পারেন, মাথায় রাখুন we need to be polite about differences।
বিজ্ঞান বলছে আমরা পুরো ৭ বিলিয়ন মানুষ আসলে কানেক্টেড। (বিজ্ঞান পছন্দ না হইলে নিচেরটা দেখেন!)
ধর্মও বলছে আমরা সবাই আদম হাওয়ার সন্তান! (মানে কানেক্টেড!) (আপনি অবিশ্বাসী হইলে এইটা বাদ দেন :P)
যেহেতু আমরা পৃথিবীর সবাই একে অপরের সাথে কানেক্টেড কেন আমরা নিজেদের মধ্যে ধর্ম/জাতীয়তা/বর্ণ/ …এই সব নিয়ে ক্যাচাল করব? আমরা সবাই মিলে যদি একটি প্লুরালিস্টিক আগামী করতে পারি সেটা একটা চমৎকার সাফল্য হতে পারে।
সবার জীবন মঙ্গলময় হোক।
জানার নেই কো শেষ !!!
অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়লাম লেখাটা। আবার পড়তে হবে! রেফারেন্সগুলিও দেখি নাই এখনো, দেখবো।
জেনেটিক্স নিয়ে পড়াশোনার কিঞ্চিৎ আগ্রহ ছিল, সেইটা নিয়ে নতুন করে হা-হুতাশ জাগলো। 🙁
কোন জায়গায় কনফিউশন?
কনফিউশন না তো, আরেকটু সময় নিয়ে আরেকবার পড়তে হবে – সেটা বললাম।
দৈর্ঘ্য একটু বড় হলেও অসাধারণ লেখা।
থ্যাঙ্কিউ রাজিন ভাই 😀
বিষয়টা দারুন উপভোগ্য যে আমরা রিলেটেড! ধরুন এই রিলেশন ধরে আপনি ওবামা কে বললেন দেখো তুমি কিন্তু আমার কাজিন লাগো! আমিও হোয়াইট হাউজে থাকবো!!!!!
কিন্তু কিছু খটকা থেকে যাচ্ছে এবং আপনার লেখার সাথে সেটা মেলাতে চাচ্ছি।
আপনি যে কথাটা ছড়িয়ে দিতে চান যেমনটা বাইবেল বা কোরআনে আছে( ৬ নম্বর প্যারা) । বাইবেল কিংবা কোরআন দুটোই কিন্তু বলে আগে আদম কে সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু এখানে আপনি দেখিয়েছেন ইভ আগে সৃষ্টি এবং অ্যাডামের সাথে তার বয়স পার্থক্য অন্তত ৫০,০০০ বছর। যদি কানেক্টেড এই থিওরি মানেন তাহলে creation of time বা time of creation সেটা তো মানবেন। বিষয়টা খোলাসা করলে ভালো হয়।
আরেকটি বিষয় খটকা লাগলো আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক নিয়ে। যদিও এটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এই বিতর্ক সভ্যতা ও জ্ঞান সৃষ্টিতে অসাধারন ভুমিকা রেখেছে। আপনার বাইবেল’র ধারনার উপর বেঁচে থাকলে অন্তত সেটা হত না।
আপনার পুরো লেখার নির্মাণ যেহেতু এরকম কাঠামো ধারণ করে যে ‘ বহু বছর পর আবিষ্কৃত হয়েছে যে বাইবেল এবং কোরআন যা বলেছে তাই সত্য ছিল এবং এগুলো নিয়ে প্রশ্ন করার, বিতর্ক করার এবং অহেতুক সময় নষ্ট করার কোন দরকার নেই, কারন ঘুরে ফিরে সেই আসলে ফিরে যেতে হবে’, তাই বলছি কোথাও বোধহয় দ্বিতীয় চিন্তার আলো ফেলবার দরকার আছে।
চিন্তা প্রদায়ক লেখার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি যেই জায়গা খোলাসা করতে চান, আমি বলেছি
আপনি কি আক্ষরিক ভাবেই ধরে নেন নাকি মানুষ সরাসরি মাটির তৈরি? “মহাবিশ্ব ৬ দিনে তৈরি” এটাও কি আপনি আক্ষরিক ভাবে ধরে নিন ৬*২৪ ঘণ্টায় তৈরি?? যদি না ধরে নেন তাহলে আদম (আ) হাওয়া সংক্রান্ত জায়গারও *আলাদা* চিন্তার অবকাশ আছে।
এখানে যেই আদম হাওয়ার কথা আসছে সেটা তো আক্ষরিকভাবে কোরআন/ বাইবেল এর আদম/হাওয়া না। তাই সময় মিলবে না।
আমার মূল বক্তব্য বিজ্ঞান+ ধর্ম ২ জনই বলছে আমরা “কানেক্টেড”। তাই আমি বলতে চাইছি আমরা যেন আরেকটু সহনশীল হই।
বোহেমিয়ান ভাই,
লিখাটা নোটিশ বোর্ডে পিন আপ করে রাখলাম 😀 পরীক্ষার যন্ত্রণা শেষ হলে মনোযোগ দিয়ে পড়ে তারপর বলতেসি 😀
৭ নম্বর পয়েন্ট এ এসে আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম
এই আগ্রহ হারিয়ে ফেলার জায়গায় আমার কিছু আপত্তি আছে। পোস্টের মূল সুর কি বুঝেছেন?
এবারে কিছুটা এডিট করেছি। বিতর্ক আশা করি কম হবে।
খালি গিয়ামজ্যাম!
:clappinghands:
জেনেটিক হিসটোরি পেপার… ভালো 🙂
বিশাল তথ্যবহুল লেখা। :clappinghands: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিলো। কপালে টানে নাই। :wallbash: ভালো লাগছে অনেক দাদা। 🙂 🙂
জেনেটিক্স ব্যাপারটা সব সময়ই interesting,ভাইয়া দারুন হয়েছে লেখাটা।”আমরা পৃথিবীর ৭ বিলিয়ন মানুষ আসলে কানেক্টেড!”—এই কথাটাই বলা হল কুরআনে “আমরা একে অপরের ভাই ভাই”।আমি মনে করি,ধর্ম এবং বিজ্ঞানকে আলাদা না ভাবাই মঙ্গলজনক, যেখানে বিজ্ঞানের কথা হবে সেখানে ধর্মের কথা বললে আস্তিকতা হবে আর যেখানে ধর্মের কাজ চলছে সেখানে বিজ্ঞানের কথা আনলে নাস্তিক হয়ে যেতে হবে-এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসাটাই কি উত্তম নয়??
@স্রোতস্বিনী বিজ্ঞান আর ধর্মের সম্পর্ক নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। সাধারণত কোরআনে বিজ্ঞান খোঁজার যে চেষ্টা চালানো হয় সেটা বিজ্ঞান কিংবা ধর্ম কোনটার দৃষ্টিতেই গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয় না! (সাহাবা কিংবা বড় বড় আলেমরা কি কোরআনের বিজ্ঞান খুঁজেছিলেন?!! তাই মনে হয় কোরআনে বিজ্ঞান খোঁজা ঠিক হবে না। আর বিজ্ঞানকে ধর্মের বিপরীতে দাঁড় করানোর চেষ্টাও বিজ্ঞান সম্মত মনে হয় না! )
সাদা আর কালোতেই তো সব নেই!
অনেক কিছুই জানতে পারলাম যা আগে জানতাম না। :clappinghands:
অসাধারণ পোস্ট!
সত্যিই ৭ বিলিয়ন মানুষ একে আরেকজনের সাথে কানেক্টেড ভাবনাটাই অসাধারণ।
কোন একদিন আমরা পুরো ট্রি টা ট্র্যাক করতে পারব হয়তো। তখন বোহেমিয়ানদা’র সাথে দ্যাখা হলে বলবো, বুঝলেন দাদা, আমাদের ১৭পুরুষ আগে কিছু দেনাপাওনা বাকি ছিল, সুতরাং এইবার একটা ট্রিট হয়ে যাক! 😀
দারুণ লেগেছে লেখাটি। শেষ অংশটাই সবচেয়ে ভাল লেগেছে, এপর্যায়েই পোস্টটির মেসেজ পরিষ্কার হয়েছে।
ইতিবাচকতার জয় হোক!
শুধু ট্রিটের চিন্তা রাইয়্যানের মাথায়! 😛
হাহা! দারুণ পর্যবেক্ষণ
জেনেটিক্স নিয়ে সব সময়ই আগ্রহ ছিল। তাই, পড়ে মজা পেলাম। :clappinghands:
DNA- দিয়ে আমরা সব মানুষ যেমন কানেক্টেড, মানসিক চিন্তার দিক থেকেও যদি এভাবে যুক্ত থাকতে পারতাম, পৃথিবীটা কত সুন্দর হতো! 🙁
একমত
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
In Muslim belief, all human in this world are of course connected by by born and relative. They dispersed over the earth. and geographically their race, color, language etc are evolved!!!! When go through the Holy Quran. and we will find many verses as a reference and hints of research.