আনুমানিক সাত কী দশ তলা হাসপাতালের ছাদ থেকে লোকটা হঠাৎ করেই লাফিয়ে নিচে পড়ে গেল! একেবারে পরিষ্কার আত্মহত্যা। আমি জানি এই দৃশ্য দেখে আমার মতই কেঁপে উঠেছেন আপনারাও, যারা ইতিমধ্যেই বিবিসি ওয়ানে প্রচারিত শার্লক টিভি সিরিয়ালটির ভক্ত হয়ে গিয়েছেন। আমার কথা বলি, পরীক্ষা চলছিল। তার মাঝে বন্ধুদের মুখে শুনলাম শার্লকের কথা। দুই বছরে যার মাত্র ছয়টি পর্ব বের করেছেন কাহিনীকার স্টিভেন মোফাট। সামান্য একটা টিভি সিরিয়াল, তাও কিনা দুই বছরে এর মাত্র ছয় পর্ব দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন দর্শকরা! তার মানে বোঝাই যায়, দীর্ঘ সময় ধরে কত যত্ন করে সিরিয়ালটির একেকটি পর্ব তৈরি করা হয়েছে। আর এর প্রতিফলন তো দেখতেই পেলাম- আইএমডিবি রেটিং ৯.১, বেস্ট ড্রামা সিরিজ হিসেবে জিতে নেয়া বাফটা অ্যাওয়ার্ড, সাথে আছে অজস্র দর্শকদের ভালোবাসা। স্যার আর্থার কোনান ডয়েল এর রচনাকে ভিত্তি হিসেবে নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন গল্পের উপর তৈরি করা শার্লকের কাহিনীগুলোর প্রশংসা শুনতে শুনতে কান ভারি হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষার মাঝেই বাধ্য হয়ে দেখতে বসলাম সিরিজটি।
এর পরের ইতিহাস বাকি সবার মত আমার ক্ষেত্রেও একইরকম। গোগ্রাসে দেখেতে লাগলাম এক-একটি পর্ব আর শার্লকের প্রেমে পড়ে যেতে লাগলাম আরও গভীরভাবে। ‘দ্য রাইচেনবাগ ফল ‘ এ শার্লকের আত্মহত্যা দেখে আমি আর প্রায় নেই, ঝরঝর করে কখন যে আমার দু’চোখ বেয়ে জল ঝরতে লাগলো আমি নিজেও জানি না! পুরো বাচ্চাদের মন-মানসিকতা নিয়ে দেখতে দেখতে পর্বের শেষে এসে একটা বিরাট ধাক্কা খেলাম। শার্লক বেঁচে আছে! কিন্তু কীভাবে? নিজের চোখে দেখলাম তার আত্মহত্যা, তাহলে?
শার্লক বেঁচে যাওয়ায় ভিতরে ভিতরে ভয়ংকরভাবে খুশি হলেও সাজানো মৃত্যু রহস্য ভেদ করতে নিজেই শার্লক হয়ে যাবার একটা টান দারুণভাবে আমাকে আকৃষ্ট করতে লাগলো। শার্লকের ব্যবচ্ছেদে বসে গেলাম। ব্যবচ্ছেদের সবটুকু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করতেই এই পোস্টের অবতারণা। মনের ভিতর অনেক প্রশ্ন কিন্তু উত্তর খুঁজে পাই নি এখনও। ঘটের এই বুদ্ধি নিয়ে চাইলেই কি আর স্টিভেন মোফাটের শার্লক হওয়া যায়!
সারসংক্ষেপ:
শার্লকের সাথে তার শত্রু মরিয়ারটির সম্পর্ক তিক্ততায় পৌঁছায় শেষ পর্বে। জিনিয়াস ডিটেকটিভকে সবার চোখে ফ্রড হিসেবে তুলে ধরে মরিয়ারটি। শার্লকের ভাই মাইক্রফটকে বাধ্য করে শার্লকের জীবনকাহিনী শোনাতে। শার্লকের সম্পর্কে মাত্র একটা মিথ্যাকে বাকি সব সত্যের আড়াল করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। পরিচিত দু’চারজন ছাড়া বাকি সবাই যখন শার্লকের মেধা নিয়ে সন্দিহান তখন তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। ঠান্ডা মাথার মরিয়ারটি শেষ চাল চালে শার্লকের তিন বন্ধুকে গিনিপিগ বানিয়ে। বন্ধুদের বাঁচাতে হলে আত্মহত্যা করতে হবে তাকে নতুবা ঝরে যাবে তিন-তিনটি জীবন।
ম্যাজিশিয়ান মোফাট:
শার্লক আগে থেকেই জানতো যে তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করবে মরিয়ারটি। কারণ না জানলে বেঁচে ফিরে আসা তো সম্ভব নয় (কাহিনীর শেষে আমরা তাকে জীবিত দেখতে পাই)। স্টিভেন মোফাট দুর্দান্তভাবে খেলেছেন দর্শকদের অনুভূতি নিয়ে। পার্থক্য শুধু মাঝের টেলিভিশন কিংবা কম্পিউটার স্ক্রিনে। সরাসরি দেখবার বদলে আমরা মোফাটের ম্যাজিক দেখেছি পর্দার ওপাশ থেকে।
যারা ‘প্রেস্টিজ’ মুভিটা দেখেছেন তারা জানেন যে একটা ম্যাজিকের মূলত তিনটি অংশ থাকে-
১. ম্যাজিশিয়ান প্রথমে আপনাকে একটি সত্যিকার বিশ্বাসযোগ্য বস্তু দেখান। কিন্তু আপনি যা দেখতে পান, তার সবটাই আসলে সত্যি নয় যদিও আপনার কাছে তা সত্যি বলেই ভ্রম হয়!
২. দ্বিতীয় অংশে ম্যাজিশিয়ান সেই সাধারণ বিশ্বাসযোগ্য বস্তু দিয়ে অসাধারণ কিছু ঘটিয়ে ফেলেন। আপনি হাজার চেষ্টা করেও সেই অভাবনীয় ব্যাপারটির সিক্রেট ধরতে পারেন না। কারণ আপনাকে সেই অসাধারণ বিষয়টির পেছনের গল্প দেখানো হয় না। আপনি চোখের সামনে ভুল জিনিসটি দেখে বিশ্বাস করেন এবং হয়তোবা অভাবনীয় কাহিনী দেখে অবাক হতে ভালোবাসেন বলেই সত্যিটা যাচাই করে দেখতেও যান না।
৩. কিন্তু এটুকু দেখেই আপনি সন্তুষ্ট থাকেন না। একজন ভালো ম্যাজিশিয়ান তখনই সার্থক হন যখন সেই সাধারণ বস্তুটি পুনরায় আপনার চোখের সামনে এনে হাজির করেন।
তার মানে ছোটখাট ম্যাজিশিয়ানরা সাধারণ একটা সাদা রুমালকে পায়রাতে পরিণত করলেও একজন বড় মাপের ম্যাজিশিয়ানই কেবল সেই পায়রাকে আপনার সামনে আবার রুমাল হিসেবে ফেরত আনবেন। আর তখনই আপনি সত্যিকারভাবে মুগ্ধ হবেন। স্টিভেন মোফাট যে অসাধারণের কাতারে পড়েন তা বলাই বাহুল্য। ম্যাজিশিয়ান হিসেবে তিনি চরম সার্থক। তা না হলে আমার মত হাজার হাজার দর্শক কেন খামোখা শার্লকের মৃত্যু রহস্য নিয়ে ফের ভাবতে বসবে?
ব্যবচ্ছেদ:
এ পর্যন্ত বেশ অনেকগুলো থিওরি মাথায় আসলেও যেটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে সেটাই আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
• শার্লক জানতো তাকে আত্মহত্যা করতে হবে, তাই হাসপাতালের ছাদকে মরিয়ারটির সাথে দেখা করার স্থান হিসেবে ঠিক করেছিলো সে নিজেই।
• তার সাথে সাথে ওয়াটসনের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত বলেই সে চেয়েছিলো ওয়াটসন তার মৃত্যুকে সত্যি হিসেবে জানুক। আর তাই মরিয়ারটির সাথে দেখা করবার ঠিক আগে আগে শার্লক চালাকি করে ওয়াটসনকে হাসপাতাল থেকে বেকার স্ট্রিটের বাসায় ফেরত পাঠায়। অচেনা ফোনকলে মিসেস হাডসনের আহত হবার সংবাদ (যদিও সেটা মিথ্যে সংবাদ ছিলো) শুনেও শার্লক কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় না, বরং ওয়াটসনের সাথে তাকে দেখতে যেতে অনুরোধ করলেও আপত্তি জানায়। যে শার্লক মিসেস হাডসনের সামান্য একটু রক্তপাত ঘটানোর কারণে আক্রমণকারীকে জানালা দিয়ে ছুঁড়ে বাইরে ফেলে দেয় (‘আ স্ক্যান্ডাল ইন বেলগ্রাভিয়া’ এপিসোড দ্রষ্টব্য) সেই শার্লক মিসেস হাডসনের গুলিবিদ্ধ হবার খবর শুনেও নিরাসক্ত ভাব দেখালে অবাকই লাগার কথা বৈকি!
• কেবল মিথ্যে মৃত্যু সংবাদ ছড়াতে চাইলেই ঘটনার সমাধান হয়ে যায় না, বরং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হয়। আর এ কারণেই মরিয়ারটির মূল অস্ত্র ‘কম্পিউটার কোড’ মিথ্যে জানার পরেও শার্লক তার সামনে না জানার ভান করে তাকে উস্কে দেয় আসল কাহিনী বলতে (এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত)। কারণ সবার সামনে রিচার্ড ব্রুককে মিথ্যা আর মরিয়ারটিকে সত্যি প্রমাণ করতে হলে শার্লকের উপযুক্ত তথ্য প্রয়োজন। মরিয়ারটির স্বীকারোক্তির মাধ্যমে তাই শার্লক নিশ্চিত হতে চেয়েছিল তার সব অপকর্মের কৌশল সম্পর্কে।
• শার্লকের আত্মহত্যার ঘটনাটি আমরা আসলে দেখতে পাই ওয়াটসনের ভিউতে অর্থাৎ ওয়াটসন যেভাবে মৃত্যুটি দেখেছিলো সেই একই দৃষ্টিকোণ থেকে পরিচালক আমাদের ঘটনাটি দেখান। তার মানে আমরা সবাই ছিলাম ম্যাজিক নাইটের দর্শক! ওয়াটসন ফিরে এলে শার্লক ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে তাকে কল করে। কথার জালে ওয়াটসনকে এমন একটা জায়গায় আটকিয়ে রাখে যেখান থেকে হাসপাতালের ছাদ দেখা গেলেও মাটি বা ফুটপাথ দেখা যায় না!
আর তাই ওয়াটসন শার্লককে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে দেখলেও ফুটপাথে পড়েছে কিনা দেখতে পায় নি! দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে শুরু করলে এক সাইকেলচালক এসে তাকে ধাক্কা দেয়।
তার একটু আগে স্ক্রিনে মাত্র এক সেকেন্ডের জন্য আমরা একটা ট্র্যাশ ট্রাক দেখতে পাই। আমার ধারণা, শার্লক ঐ ট্রাকের উপর নিরাপদে পড়ার পর সেখান থেকে নেমে রাস্তায় শুয়ে পড়ে। ওয়াটসনের অনুপস্থিতিতে আশেপাশের মানুষ (সম্ভবত শার্লকের ‘হোমলেস নেটওয়ার্ক’ এর লোকজন) তার মাথায় মিথ্যে রক্ত দিয়ে দেয়।
ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় পড়ে যাওয়া ওয়াটসন উঠে শার্লকের কাছে গিয়ে একজন ডাক্তার ও শার্লকের বন্ধু পরিচয় দিলেও আশপাশের মানুষ তাকে কাছে ঘেঁষতে দেয় নি। এমনকি শার্লকের পালস নেবার চেষ্টা করার সময়েও একজন তার হাত ধরে টানছিলো!
ওয়াটসন শার্লকের পালস রেট খুঁজে পায় নি। দুটো কারণ হতে পারে। এক, শার্লক এমন কোন ড্রাগ (স্কোয়াশ বল কিংবা Rhododendron ponticum এর মধু, রেণু ইত্যাদি) নিয়েছিলো যার কারণে ভেসোডায়ালেশানে তার হার্টবিট এবং পালস রেট এতোটাই কমে যায় যে বাইরে থেকে তার অস্তিত্ব আর বোঝার উপায় থাকে না।
দুই, ধাক্কার পরপর ঘোরলাগা মস্তিষ্কে এবং আশেপাশের মানুষের ভিড়ে ওয়াটসন তার পালস রেট বুঝতে ব্যর্থ হয়।
• শেষ ব্যপারটি খুব সোজা। শার্লক শুরুতেই মলির সাহায্য চায়। মর্গের দায়িত্বে থাকায় শার্লকের মৃত্যুর মিথ্যে রিপোর্ট দাঁড় করানো তার পক্ষেই সবচেয়ে সহজ।
• আমার ধারণা, মাইক্রফটও শার্লকের এই মিথ্যে আত্মহত্যার খবর জানতো। কারণ জাতীয় পর্যায়ে তার ক্ষমতার যে চিত্র আমরা দেখতে পাই, তাতে করে তার পক্ষে বিভিন্ন নেটওয়ার্কে শার্লকের মিথ্যে মৃত্যুর খবরকে প্রচার করে তাকে সত্যি বলে প্রতীয়মান করা তেমন কঠিন কোন কাজ নয়। তাছাড়া ভাই হিসেবে এই সংবাদটির গ্রহণযোগ্যতাও নিঃসন্দেহে বেশি। সম্পর্ক যেমনই হয়ে থাকুক না কেন, শত্রুর হাত থেকে শার্লককে বারবার বাঁচানোর চেষ্টাও মাইক্রফটের ভেতরে আগে অনেকবারই আমরা দেখতে পাই। তাছাড়া, পুলিস কর্মকর্তা লিস্ট্রাডও এই ঘটনা সম্পর্কে জানলেও জানতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ ঘটনার আগের দৃশ্যে তাকে আমরা একটি ফোনকল রিসিভ করতে দেখি, যেখানে সে ‘ইয়েস স্যার’ বলে কথোপকথন শুরু করে। উল্লেখ্য, মাইক্রফটকে কিন্তু সবাই তার ক্ষমতার কারণে সম্মান করেই সম্বোধন করে!
অমিমাংসিত ঘটনা:
১. শার্লকের মত মরিয়ারটিও আত্মহত্যা করে এই পর্বে। কিন্তু তার কোন খবর আমরা প্রচার মাধ্যমে দেখতে পাই না। এমনকি তার লাশও গায়েব হয়ে যায়! আমার সন্দেহ মরিয়ারটি আসলেও বেঁচে ছিলো কিনা। তা না হলে, তার লাশ না থাকার সাথেও কি মলিই জড়িত?
২. মরিয়ারটির মৃত্যুর পর কার্নিশে (যেখান থেকে শার্লক নিচে লাফ দেয়) লেগে থাকা এই দাগ কি রক্তের? রক্ত হয়ে থাকলে সেটা মরিয়ারটিরই হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু মরিয়ারটির লাশ আর রক্তের ভেতরের অবস্থানগত পার্থক্য কেন?
৩. পুরো সিরিজে আমরা জানতে পারি যে শার্লক পারতপক্ষে কাউকে কল করে না যেটা শেষ মুহূর্তে সে ওয়াটসনকে করেছিলো। সেটা কি শুধুই তাকে একটা বিশেষ স্থানে দাঁড় করিয়ে রেখে মৃত্যুর সাক্ষী হিসেবে সেটাকে সত্যি প্রমাণ করার জন্য?
৪. শার্লককে আমরা কখনো কাঁদতে দেখি নি। এমনকি ‘আ স্টাডি ইন পিংক’ এপিসোডে মৃত্যুর প্রায় কাছাকাছি চলে আসার সময়েও তাকে দৃঢ় মানসিক অবস্থানে দেখা যায়। ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে কাঁপতে থাকা কান্নাজড়িত কণ্ঠের এই শার্লক কি তাহলে অন্য কেউ? কোন ডামি কিংবা মাস্ক পরিহিত নকল শার্লক? নাকি এটা সেই ভেসোডায়ালেশান ঘটানো ড্রাগের ফল যার মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিত আচরণ, মাসকুলার উইকনেস আর কাঁপুনি প্রকাশ পায়?
৫. মাটিতে প্রাথমিকভাবে অল্প সময়ের জন্য আমরা একটি লাশ দেখতে পাই। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য শার্লকের ট্র্যাশ ট্রাকের উপর পড়বার কথা। তাহলে এই লাশটি কার? মৃত মরিয়ারটির? ছাদের কার্নিশে এজন্যই কি রক্তের দাগ দেখা গিয়েছিলো? তার মানে দর্শকের চোখকে ধোঁকা দেয়ার জন্য শার্লকের সাথে সাথে মরিয়ারটির লাশও ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় আর পরে ট্রাক থেকে নেমে শার্লক ঐ লাশের সাথে নিজেকে অদল বদল করে নেয়? ছাদ থেকে লাশ ফেলে দেয়াও কি মলির কাজ?
৬. ছাদ থেকে লাফ দেবার সময় শার্লক আনুভূমিকভাবে পড়ছিলো। কিন্তু মাটিতে পড়বার পর লাশকে আমরা কাত হয়ে শোয়া অবস্থায় দেখতে পাই। অভিকর্ষজ ত্বরণের নিয়ম অনুযায়ী এটা এক ধরণের অসংগতি। এ থেকে কি এটা প্রমাণিত হয় না যে ওয়াটসনের দেখা ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়া শার্লক আর মাটিতে পড়ে থাকা শার্লক একই ব্যক্তি নয়? অথবা একই ব্যক্তি হলেও মাঝখানে কোথাও একটা অসংগতি ঘটেছিল?
এইসব প্রশ্নের উত্তর এখন কেবল একজনই দিতে পারেন। তিনি স্টিভেন মোফাট। উত্তরের অপেক্ষায় অবশ্য ধৈর্য ধরে থাকতে হবে অন্তত আগামী বছর পর্যন্ত! সেই সময় আসার আগে শার্লক ভক্তদের জন্য আমার পক্ষ থেকে ছোট্ট দুটো উপহার- শার্লকের মোবাইল রিংটোন আর কার্টুনিস্ট ইঁদুর এর আঁকা শার্লকের একটি ক্যারিকেচার।
শেষ কথা:
I Am Sherlocked! Are You?
অসাধারণ লাগলো আপনার বিশ্লেষণ। আমিও বিষয়টি নিয়ে অনেক ভেবেছি, কিন্তু আপনার ব্যাখ্যাটা কাছাকাছি বলে মনে হচ্ছে।
অনেক আগ্রহ নিয়ে বসে আছি পরের সিজনের জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনার পড়ে কমেন্ট করার জন্য। আমি নিজেও পরের সিজনের অপেক্ষায় আছি।
দারুণ! ফিনিক্স একটা লেখা লিখলেই সেই রকম রিসার্চ করে লিখে!
এইটা আমার এত প্রিয় একটা সিরিজ! কিন্তু এত চিন্তা করি নাই। বন্ধুদের অনেকেই অনেক রিসার্চ করছে। ওদের সাথে কথা বলতে হবে। এই লিঙ্ক দিয়া দিমু! 😀
চেষ্টা করি/ করেছি ইনফরমেটিভ কিছু লিখতে। গেস তো অনেকেই করে, করেছে কিন্তু আমি ভাবলাম বারবার দেখে একটু ডিটেইলসে লিখি না কেন? নাহলে তো পোস্ট দেয়ার কোন অর্থ হয় না, সবার গেস আর আমারটা একই হয়ে যায়। 🙂
ওয়াও আপু, তুই এত এত এত ভাল লিখেছিস! আমার পুরোই মাথা ঘুরে গেল! তবে আমি শেষের ৩ পর্ব এখনো পাই নি। আগে থেকেই এত কিছু জানা গেল সেটা দেখতে বসলে কাজে লাগবে বুঝতে 🙂
না দেখেই পড়ে ফেলেছো আপু! হায় হায়! পুরোটার মাথায় তো আমি জল ঢেলে দিলাম তাহলে! এখন আর আমার মত মজাটা পাবা না! 🙁
দেখে নেই, তারপর পড়বো। 😀
এখনও দেখিস নি! কী যে মিস করছিস! 😯
yeah, I’m Sherlocked too! 😀
দারুণ লিখেছেন, আপু! :penguindance:
অনেক বিস্তারিত, খুঁটিনাটি ডিটেইলস নিয়ে কথা বলেছেন- যেগুলো হয়ত অনেকেরই চোখ এড়িয়ে যেত…
:clappinghands:
আমার মত আরেকজন Sherlocked দেখলেই খুশি লাগে! :happy:
লিখেছি তো নিজের মত কিন্তু মোফাটের মাথায় যে কী আছে আল্লাহই ভালো জানে! 😛
দারুণ হয়েছে আপুনি :love: পরের সিজনের জন্য অপেক্ষা করছি। আমি তো বহু আগের থেকেই Sherlocked! :love:
ওহ, আরেকটারে পাইছি!
শার্লকের সব ফ্যানদের জন্য আমার ভালোবাসা। :beshikhushi:
দারুণ অ্যানালাইসিস 🙂
শার্লকের টানে অ্যানালাইসিস করতেও কোন ক্লান্তি নাই। 😛
এই এনালাইসিস কি পুরাটাই আপনে বইসা বইসা দেইখা দেইখা বাইর করসেন? :-/
ডরাইসি!
ওরে বাপস! এতো বড় ক্রেডিট নেয়ার শখ আমার নাই।
অ্যানালাইসিস করার আগে নিজে দেখেছি, শার্লক যারা দেখেছে তাদের কয়েকজনের মতামত নিয়েছি, নিজে আবার দেখেছি, নেট ঘাঁটাঘাঁটি করেছি যেমন, Rhododendron ponticum এর সম্পর্কে তথ্য বের করতে নেট ঘাঁটতে হয়েছে, তারপর নিজে আরও একবার দেখেছি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এইটুকু বের করতে পারলাম। তাও কতটা কাছাকাছি গেছি একমাত্র মোফাটই বলতে পারবেন। 😛
তবে সারাদিন ধরে অ্যানালাইসিস করতে একটুও ক্লান্ত লাগে নি নিজের! কারণ,
I Am Sherlocked! :love:
সেই রকম!! :dhisya: :dhisya:
শার্লকটা আসলেও সেইরকম! :dhisya: :dhisya: :dhisya:
বিশ্লেষণের জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে শার্লকের সাজানো মৃত্যুর রহস্যকে আমার মতে এই পর্বেই প্রকাশ করা উচিত ছিল।
কী জানি রে ভাই, মোফাট সাহেবের মাথায় কী চলতেছে। আমি তো আর অপেক্ষায় থাকতে পারছি না! :wallbash:
অ-সা-ধ-র-ণ!!!
খুবই ভালো বিশ্লেষণ হয়েছে। কবে যে সত্যিকারের কাহিনীটা জানতে পারবো!
আগামী বছর আর কতো দেরি!…… 🙁
বিশ্লেষণ তো করলাম নিজের মত, মোফাটের মত কি আর হবে? 🙁
কিন্তু এটা ঠিক।
আগামী বছর আর কত দেরি!…… :crying:
ব্যাখ্যাটা দুর্দান্ত ধরণের ভালো লেগেছে, একটা বছর অপেক্ষা ছাড়া তো কিছু করার নেই! ভালো লাগলো শার্লকের উপর গোয়েন্দাগিরি! 😀
উঁহু, কথাটা হবে,
শার্লকের উপর শার্লকগিরি! (যদিও ভুয়া শার্লকগিরি) 😛
দারুণ এনালাইসিস!
দেখিনি শার্লক, কিন্তু সবার মুখে ‘I AM SHERLOCKED’ শুনে আর বন্ধুদের অনুরোধে দেখবো বলে ভাবছিলাম।
পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগ্লো, গবেষণায় মুগ্ধ!
আপু, দেখার আগেই পড়ে ফেললে! এখন তো আর দেখতে গেলে সেই মজাটা পাবা না! 🙁
আপনার পর্যবেক্ষন ক্ষমতা দেখি সেই লেভেল এর!! দারুন :huzur:
শেষ পর্বটা দেখতে দেখতে মুখস্ত হয়ে গেসে কিন্তু তারপরও কোথায় যেনো ধরতে পারতেসি না।
আমার কাছে মনে হয় মোবাইলটা নিচে ফেলে দিয়ে শার্লক তার লোকজনকে একটা সিগনাল পাঠিয়েছিলো। আর ওয়াটসন দৌড়ে যাবার সময় সাইকেলে যেই লোকটা তাকে ধাক্কা দেয় সেও শার্লকের লোকদের একজন।
আর মরিওরিটির আত্মহত্যার কোনো কুল কিনারা করতে পারলাম না। :thinking:
সেটা তো আগেই বললাম। সাইকেলচালকসহ সবাই শার্লকের লোক ছিল। মাইক্রফটেরও হতে পারে।
মরিয়ারটি চলে যাক, এটা আমি চাই না। ও চলে গেলে এখন লড়াইটা জমবে কীভাবে? শার্লক ফিরে এলে ওর ও ফিরে আসা উচিত। এত সহজে ও হেরে যাবে এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
I’m Sherlocked too 🙂
বিশ্লেষণ এক কথায় অসাধারণ, হ্যাটস অফ! 🙂
আরেজন Sherlocked পেলাম! কী মজা! :penguindance:
*আরেকজন
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল সাহেবের লেখা পড়ে আমার শার্লক হোমস হতে ইচ্ছা করত; 8)
মোফাট সাহেবের এই সিরিজ দেখা হয়নি,কিন্তু আপনার লেখা পড়ে ফেললাম।
এখন আমার কি হপে :thinking:
তবে যে বিশ্লেষণ লিখেছেন্,আমি ‘আপ্নে’locked :huzur:
না দেখেই locked! 😛
এমন কঠিন ভক্ত আগে দেখি নি! 😛
সুন্দর লেখা
ধন্যবাদ! 🙂
:dhisya:
দারুণ!
ডিরেক্টর সাহেব বললেন সবাই নাকি একটা সহজ জিনিস মিস করে যাচ্ছে! রহস্য!
download link ta ki dewa jabe tahole amio dekhtam r apnar analysis ta o bujtam. pode mone holo darun ekta analysis dar koriechen
আর মাত্র দুই মাস! তারপরই রহস্যের দুয়ার খোলা!
পোস্টটা আরেকবার পড়ার লোভ সামলাতে পারলাম নাহ। :dhisya:
আর কিছু জানি না আপু, বাট শেষ দৃশ্যে যখন দেখি শার্লক বেঁচে আছে, তখন খুশিতে ছোটখাটো ড্যান্স দিয়া দিসি…… :yahooo: