বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা জয় : কয়েকটি এলোমেলো ভাবনা

 

১৪ই মার্চ সমুদ্রসীমা বিষয়ক বাংলাদেশ ও মায়ানমারের বিরোধের রায় পাওয়া যায় আন্তর্জাতিক আদালত থেকে। বাংলাদেশের জয় পাওয়ার সাথে সাথে সাধারণ জনতার আনন্দ প্রকাশ পায় তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে। একই সাথে রাজনৈতিক দলগুলো এই রায়ে সরকারের কতটা বেশি অবদান বা সরকারের কত কম অবদান তা নিয়ে উত্তাল হয়।

এই লেখাটা এই সমুদ্রসীমা বিরোধের কারণ, দেশগুলোর দাবি ও এর ফলাফল নিয়ে।

কেন এই সমুদ্রসীমা বিরোধ?

আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশে সমুদ্রসীমা নির্ণয়ের দাবি করে ‘ন্যায্যতার ভিত্তি’তে। তবে ভারত ও মায়ানমারের দাবি ‘সমদূরত্বের ভিত্তি’তে সমুদ্রসীমা নির্ণয়।

একটি দেশের সমুদ্রসীমায় প্রথম ১২ নটিক্যাল মাইল ওই দেশের সর্বভৌম সামুদ্রিক অঞ্চল। এর পরবর্তী একচ্ছত্র অর্থিনৈতিক অঞ্চল ও পরবর্তী   মহীসোপান(অপেক্ষাকৃত কম গভীর অঞ্চল, যা বরফ যুগে স্থল হিসেবে ছিল), যা সম্পূর্ণই নিয়ন্ত্রণ করে ওই দেশ। তবে মহীসোপান এলাকায় যে কোন দেশের জাহাজ চলাচল করতে পারে, যদিও সম্পদের অধিকার শুধুমাত্রই ওই দেশের থাকে।

সমুদ্রতলের সম্পদের মালিকানা নিশ্চিত করতে, ১৯৮২ সালে জাতিসংঘ প্রনয়ন করে সমুদ্র সীমা আইন আনক্লজ-থৃ। আনক্লজ থৃ অনুযায়ী প্রতিটি দেশের সমদ্র তটরেখা বা ভাটার রেখা থেকে, ১২ নটিক্যাল মাইল সেই দেশের সর্বভৌম সমুদ্র অঞ্চল। ভৌগলিক কাঠামো যাইই হোক, এই সার্বভৌম এলাকা ঠিক হবে সমদূরত্বের ভিত্তিতে। পরের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মহীসোপান এলাকা ভাগ হবার ক্ষেত্রে, বিবেচনা করা হয়, দেশগুলোর ভৌগলিক অবস্থানকে। বাংলাদেশের দুই ধারে ভারত ও মায়ানমারের অবস্থানের ধরনের সমুদ্রসীমার সার্বভৌম অঞ্চলের পরে সবটুকু ভাগ হবে, সমতার ভিত্তিতে। কিন্তু ভারত ও মায়ানমার দুই দেশই সমদুরত্বের ভিত্তিতে জাতিসংঘে তাদের সমুদ্রসীমার দাবি জমা দেয়। এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে সমাধানের আবেদন করে বাংলাদেশ।

ভারত ও মায়ানমারের দাবির ভিত্তিতে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় পায় মাত্র ১৩০ নটিক্যাল মাইল অঞ্চল, যা বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী হওয়া উচিত ৪৬০ নটিক্যাল মাইল।

ভারত ও মায়ানমারের উৎসাহের কারণ কী?

ভারত এবং মায়ানমারের বিস্তীর্ণ সমুদ্র অঞ্চল থাকলেও এই সমুদ্রঞ্চলের প্রতি তাদের আকর্ষণের ক্যেকটি কারণ আছে:
১. বাংলাদেশের মহীসোপানের এই অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ খনিজ সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় সমীক্ষায় দেখা যায়, সমুদ্র তলদেশে ১০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং মায়ানমারের অনুসন্ধানে আবিষ্কৃত হয় ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ এই দুই দেশের প্রধান আকর্ষণ।

২. বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড খুবই ছোট হলেও এর উপর দিয়ে বয়ে আসা শত শত নদী নিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণ পলিমাটি। ফলে সমুদ্রের এই অঞ্চলে নতুন ভূখন্ড বা দ্বীপ তৈরি হবার সম্ভাবনাও অনেক।

৩. দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সামরিক শক্তির দিক থেকে বাংলাদেশের মহীসোপানের গুরুত্বও অনেক।

আন্তর্জাতিক আদালয়ের রায় ও এর প্রভাব:

আন্তর্জাতিক আদালত গত ১৪ই মার্চ, ২০১২ তে মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধের রায় ঘোষণা করে বাংলাদেশের পক্ষে। এই রায়ের ফলে বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৪৬০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়। সমুদ্রে বাংলাদেশ পায় ১ লাখ ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা।

মায়নমারের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতে যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের সাথে মামলাতেও একইভাবে সীমানা নির্ধারণ করবে আদালত। ফলে বাংলাদেশ ভারতের সাথেও বিরোধে জিততে যাচ্ছে বলে ধারণা করা যায়।

এই রায়ের ফলে গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের ২৮টি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করা সম্ভব হবে।

কয়েকটি এলোমেলো ভাবনা:

বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য একেকটি ব্লক ইজারা দেয়া হয় বিদেশী খনিজ উত্তোলন কোম্পানিগুলোকে।  তাদের সাথে চুক্তির বিষয়ে পিএসসি ২০০৮ নামক একটি নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে। এই চুক্তি নিয়ে প্রচুর বিরোধীতা থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো এই চুক্তি নির্দ্বিধায় মেনে যাচ্ছে। কেন এই চুক্তির বিরোধিতা:

এই চুক্তি অনুসারে সমুদ্রবক্ষে থেকে গ্যাস পাওয়া গেলে সেই গ্যাসের ৮০% উত্তোলক কোম্পানীর হবে। এছাড়া এই উত্তোলন এর সংশ্লিষ্ট সকল খরচ এবং সমুদ্র থেকে মূল ভূখন্ডে আনা-নেয়ার সকল খরচ দিতে হবে অবশিষ্ট ২০% থেকে। ফলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পাবে মোটামুটি উত্তোলিত গ্যাসের ১০%! আবার, যদি কোন তেল বা অন্যান্য খনিজ পাওয়া যায়, তার মালিকানা বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু চুক্তিতে বলা হয় নি।

ফলে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রসীমা বিরোধে বাংলাদেশ জয়লাভ করলে আসলে বিদেশী কোম্পানীগুলোর বিশাল লাভ হচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশের সাথে চুক্তিতে যতটা লাভ করতে পারছে কোম্পানীগুলো, ভারতীয় কূটনৈতিক বা মায়ানমারের সামরিক শাসক কারও কাছ থেকেই এতোটা লাভ তারা করতে পারবে না।

সরকারের কাছে কী আশা করি:

১. রাজনৈতিকভাবে যে মতাদর্শের দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বাংলাদেশের ভালো হয় যেভাবে সেভাবেই যেন চুক্তিগুলো সংশোধন করা হয়।

২. বিদেশী কোম্পানীগুলো না দিয়ে পেট্রোবাংলারমাধ্যমে খনিজ উত্তোলনের চেষ্টা করা হোক। সেটা বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভব না হলে, নিজের দেশের সম্পক নিজেরা ১০% পাওয়ার চেয়ে ২০ বছর পর নিজেদের চেষ্টায় ১০০% পাওয়া ভালো।

৩. সমুদ্রসীমা বিষয়ক আদালত যা-ই রায় দিক না কেন, সমুদ্রসীমা কিন্তু দখল করে রাখতে হবে নিজেদেরই। নিজেদের সমুদ্রসীমায় যেন বাংলাদেশ পরিপূর্ণ দখল বজায় রাখে, তার জন্য নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে উন্নত করা হোক।

 

সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশ নিজেদের দখল পাওয়ায় অন্য সকল বাংলাদেশীর মতো আমি নিজেও ‘যার পর নাই’ আনন্দিত। তবে, সব বাংলাদেশীর মতো আমারও আশা সরকার থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে, যেন এই রায়ের ফলে প্রাপ্য সমুদ্র এলাকা যেন বাংলাদেশ সম্পূর্নরূপে এবং উপযুক্তভাবে ব্যবহার করতে পারে, যেন বাংলাদেশেরই সবচেয়ে বেশী লাভ হয়।

স্বপ্ন বিলাস সম্পর্কে

বাস্তবে মানুষ হবার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জীবনের নানা পথ ঘুরে ইদানীং মনে হচ্ছে গোলকধাঁধায় হারিয়েছি আমি। পথ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি আর দেখে যাই চারপাশ। ক্লান্ত হয়ে হারাই যখন স্বপ্নে, তখন আমার পৃথিবীর আমার মতো......ছন্নছাড়া, বাঁধনহারা। আর তাই, স্বপ্ন দেখি..........স্বপ্নে বাস করি.....
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে চিন্তাভাবনা, সচেতনতা-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

33 Responses to বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা জয় : কয়েকটি এলোমেলো ভাবনা

  1. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    দারুণ লেখা। এবং সময়োপযোগী।
    আর উত্তোলনকারি কোম্পানি যে বেশি নেয় এটা তো অন্যান্য জায়গা থেকেই দেখলাম। দালাল আছে কিছু যারা এইভাবে দেশের সম্পদ অন্যের হাতে তুলে দেয়।

    অনেক জরুরি একটা লেখা। আমরা সবাই এটাকে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করি যেন।

  2. মুবিন বলেছেনঃ

    দাবি নায্য হলে তাতে বিজয় সুনিশ্চিত। কারো চোখ রাঙানিতে আমাদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।

  3. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    অসাধারণ পোস্ট। ভীষণ প্রয়োজন ছিল এই সময়ে।
    সত্যের জয় হোক, এই প্রত্যাশা করি।

  4. Jayed Ullash বলেছেনঃ

    আন্তর্র্জাতিক এই বিরোধের মিমাংসা একটা বড় অর্র্জন …যার মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান চালাতে আমাদের আর বাধা থাকলো না মায়ানমারের সাথে…..একই রকমভাবে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ মেটাতে গেলে এই রায়ের ফল আমাদের জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনার টেবিলে অনেক সুবিধা করে দিবে.
    তবে আসছে এপ্রিলে পেট্রোবাংলার বিডিং শুরুর আগে পিএইস্সি ২০০৮ এর সংশোধন না হলে এই বিজয়ের ফসল ঘরে আসবে না ..

    নুতুন মিমাংসিত সমুদ্রসীমানার সাথে পেট্রোবাংলার অফশোর বিডিং এর ম্যাপ মেলালে দেখা যায় আমাদের কয়েকটি গভীর সমুদ্রব্লক মায়ানমারের দখলে গেছে

    abar মায়ানমার দায়্যুকে বিবাদমান AD-৭ গ্যাস ব্লকটি অনুসন্ধানের জন্য বরাদ্দ দেয়ায় দেশটির বা দায়য়ুর বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে

  5. Awnonna Mariyam বলেছেনঃ

    “নিজের দেশের সম্পদ নিজেরা ১০% পাওয়ার চেয়ে ২০ বছর পর নিজেদের চেষ্টায় ১০০% পাওয়া ভালো।”
    আশা করি,এই সহজ-সাধারণ কথাটুকু আমাদের সরকার প্রধানের ‘সবুজ পদার্থে ভরা উর্বর মস্তিস্কে’ খেলবে…-.-

    • স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

      “আশা করি,এই সহজ-সাধারণ কথাটুকু আমাদের সরকার প্রধানের ‘সবুজ পদার্থে ভরা উর্বর মস্তিস্কে’ খেলবে”

  6. তাওহীদ হাসান বলেছেনঃ

    সরকারের একটি অন্যতম সাফল্য। তবে এখন এই সুবিধা ভোগ করতে পারলেই জয়টা সার্থক হবে। আশা করি আমরা এই জয়ের ভালো ব্যবহার করতে পারব। তবে মায়ানমারের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকুক এটাই সবার কাম্য।

  7. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    “আশা করি আমরা এই জয়ের ভালো ব্যবহার করতে পারব।”

    প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক ভালো থাকুক, সব সময় প্রত্যাশ করি। তবে অবশ্যই নিজের খারাপ করে না……

  8. এখনও শিশু বলেছেনঃ

    চমৎকার, চমৎকার !!!
    দারুণ একটা জিনিস লিখলি ব্যাটা ! :clappinghands:

  9. অনাবিল বলেছেনঃ

    তেমন কিছুই জানা ছিলো না এই বিষয় নিয়ে, জেনে খুব ভালো লাগ্লো, তবে এলোমেলো ভাবনাটুকু পড়ে চিন্তিত হয়ে গেলাম।

    আমাদের নীতিনির্ধারকরা যেন দেশকে ভালোবেসে সিদ্ধান্তগুলো নেন, এটাই কামনা………

  10. অক্ষর বলেছেনঃ

    এই চুক্তি অনুসারে সমুদ্রবক্ষে থেকে গ্যাস পাওয়া গেলে সেই গ্যাসের ৮০% উত্তোলক কোম্পানীর হবে। এছাড়া এই উত্তোলন এর সংশ্লিষ্ট সকল খরচ এবং সমুদ্র থেকে মূল ভূখন্ডে আনা-নেয়ার সকল খরচ দিতে হবে অবশিষ্ট ২০% থেকে। ফলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পাবে মোটামুটি উত্তোলিত গ্যাসের ১০%! আবার, যদি কোন তেল বা অন্যান্য খনিজ পাওয়া যায়, তার মালিকানা বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু চুক্তিতে বলা হয় নি।

    ভাইয়া , বাংলাদেশে এমনিতেও যে গ্যাস উত্তোলন করা হয় তাতেও কি এই উপরের ঘটনা ঘটে ??
    আর যদি গ্যাস উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানকেই ৮০-৯০% দিয়ে দিতে হয় তাহলে আমাদের ঐ গ্যাস দরকার নাই । :thinking:

  11. বাবুনি সুপ্তি বলেছেনঃ

    আমি এই জয় দেখে খুশি হলেও না পাওয়ার সম্ভাবনার ভয় টাই বেশী হয়। অন্যেরা এসে লুটে নিবে। আমরা তাকিয়ে দেখব শুধু।

  12. শামসীর বলেছেনঃ

    . রাজনৈতিকভাবে যে মতাদর্শের দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বাংলাদেশের ভালো হয় যেভাবে সেভাবেই যেন চুক্তিগুলো সংশোধন করা হয়।

    . বিদেশী কোম্পানীগুলো না দিয়ে পেট্রোবাংলারমাধ্যমে খনিজ উত্তোলনের চেষ্টা করা হোক। সেটা বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভব না হলে, নিজের দেশের সম্পক নিজেরা ১০% পাওয়ার চেয়ে ২০ বছর পর নিজেদের চেষ্টায় ১০০% পাওয়া ভালো।

  13. অদ্ভুত ছেলে বলেছেনঃ

    এই দেশে যে আরো কত সম্পদ কোথায় লুকিয়ে আছে কে জানে!
    আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। সকল সরকারের কাছেই আশা থাকবে অন্তত দেশের সম্পদের ব্যাপারে সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিবেন। 🙂

  14. ইয়াদ বলেছেনঃ

    দল-মতের পার্থক্য থাকবেই, কিন্তু দেশের স্বার্থ ডেখা ঊচিত সবার আগে!

    এই রায় নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে!

    শেষ পর্যন্ত যদি বিদেশীদের হাতেই সব তুলে দিতে হয়, তাহলে আফসোস বাড়বে 🙁

  15. noName বলেছেনঃ

    সেন্টমার্টিনে তিন যুগের স্বীকৃত অধিকার হারাল বাংলাদেশ: http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/04/21/141797

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।