টিচার আমি কিন্তু তোমার আম্মুকে বলে দিব। দিবো বলে তাহলে তোমাকে মারবে কিন্তু। – খুব গম্ভীর ভাব নিয়ে আমার ছাত্রী আমাকে বলল। আমি কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে হাহা করে হেসে উঠলাম। দেখলাম যে সেও গম্ভীর ভাব ছেড়ে হেসে উঠল। তার আমাকে এই ধমকি দেওয়ার কারণ – এর আগে ও পড়ে না বলে আমি ওকে ভয় দেখাচ্ছিলাম, যে ও যদি না পড়ে তো আমি আন্টিকে ডাক দিবো, আন্টি ওকে মারবে তা না হলে আমিই ওকে মারবো। এই হল আমার ছাত্রী মোহনা। মোহনা নার্সারিতে পড়ে। সবসময় শুধু প্রশ্ন করে আর বকবক করে। ওর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আমার হিমশিম খাওয়া লাগে। স তে সূর্য – টিচার সূর্য কি? সূর্য কোথায় থাকে? সূর্য আমাদের কী করে? সূর্য কি ভালো? সূর্য কাউকে মারে না টিচার? এত প্রশ্নের উত্তর আমি কোত্থেকে পাই। গুগল সার্চ করলেও তো পাওয়া যাবেনা যে সূর্য আমাদের মারে
কি না বা ভালো কি না?! হায়রে পোলাপান। একদিন আমি মোহনাকে বললাম বলতো মোহনা আমার নাম কী? সে খুব ইনোসেন্টলি আমাকে বলল “টিচার”। আমি ওকে হেসে বললাম বললাম যে না,আমার নাম মনি। সে প্রথমে খুব অবাক হল যে টিচারের নাম আবার মনি হয়! তারপর থেকে সে আমাকে মনি ডাকা শুরু করলো। এখন অবশ্য টিচারই ডাকে। শুধু তাই না মোহনার ছোটো দুই ভাইবোন আছে। একজনের বয়স আড়াই ওর নাম রুদ্ধ আর একজনের দেড় বছর ওর নাম গুলগুলি। ওরা দুইজন ও আমাকে ডাকে তিচার। আগে মোহনা পড়তে চাইত না বলে আমি ওকে শাঁকচুন্নি ভয় দেখাতাম যে যেসব বাচ্চারা পড়াশুনা করে না তাদের শাঁকচুন্নি ধরে নিয়ে যায়। আর এখন সে পড়বে না বলে পেন্সিল লুকিয়ে রেখে আমাকে বলে যে পেন্সিল শাঁকচুন্নি নিয়ে গিয়েছে। আর আমি যদি ওকে একটু বকা দিতাম, আমাকে তো মোহনা কিছু বলতে পারতো না তাই ওর ছোটো ভাইকে শিখিয়ে দিতো আমাকে মারার জন্য। আর সেও বড় বোনের আদেশ মোতাবেক আমাকে মারতে আসতো আর আমি মজা করে ওকে বলতাম যে ছি রুদ্ধ টিচারকে মারতে হয় না, মোহনা পচা ওকে মার। এরপর সে মোহনাকে মেরে দৌড় দিতো। আর বেচারি মোহনা একমাত্র উপায় রুদ্ধ বিশ্বাসঘাতকতা দেখে আমার কাছেই আবার বলত রুদ্ধ একটা পচা তাই না টিচার। ওর মুখের অবস্থা দেখে আমার হাসি পেত কিন্তু তারপরেও আমি ওর সাথে একমত হতাম যে রুদ্ধ একটা পচা। এখন যখন ক্লাস শেষ করে ওকে পড়াতে যাই যতই ক্লান্ত থাকি না কেন বা মন খারাপ থাকুক না কেন মন ভালো হয়ে যায়। কারণ সে যে আমার রাজকুমারী যে তার স্বপ্নের রাজ্যের মজার মজার অভিজ্ঞতার কথা বলে আমার মন ভালো করে দেয়।
ছবির এলাইনমেন্ট ঠিক হয় নাই!
আর প্যারা করে দেয়া উচিৎ!
মজা পাইছি
আরেকটু লম্বা করতি!
ধন্যবাদ। 😀
বাচ্চাগুলো সবসময়ে এত্ত কিউট হয়! :love:
বাচ্চাগুলো সবসময়ই কিউট হয় :love: :love:
বাহ্ !!!
তবে এমন হঠাতই শেষ হয়ে গেল যে?
🙂
ধন্যবাদ। 😀
ওকে নিয়ে লিখতে থাকলে আর লিখা শেষ হবে না 😛 তাই হঠাৎ করেই শেষ করলাম।
বাচ্চারা!!
তাদের কান্ডকারখানা যে কী হয়………… বলতে গেলে শেষ হয় না……
মজা লেগেছে পড়ে…
🙂
ধন্যবাদ আপুনি 😀
তুই নিজেই তো পিচ্চি!!! :happy:
লেখাটা ভালই হয়েছে,চালায় যা…… :love:
আমি না তুই পিচ্চি … 😛
ধন্যবাদ :happy:
:love:
পিচ্চিটার কান্ডকারখানা পড়ে মজা লাগছিলো! আরও পড়তে চাই……
ধন্যবাদ ভাইয়া। :happy: সামনে ওকে নিয়ে আরও লিখার চেষ্টা করবো।
🙂 আপু তোমার তাহলে পিচ্চিদের পড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার নাই। অবশ্য এমনিতে বাসায় ৫ পিচকি আছে। যাদের কথা শুনে শুনে দিন পার করি। মাঝে মাঝে নিজেই অবাক হই কি করে শিখল এসব! আমার ২ বছর ৪ মাসের ভাগনি বলে – “ভাল লাগে না!”
হাহাহা আপুনি আপনার ভাগনিটা তো অনেক কিউট :love:
ধন্যবাদ 😀
টিচারের নাম আবার মনি হয় নাকি! 🙄
ছবিটা মাঝখানে দিও। বাঁয়ে সরে আছে।
গুলগুলি হয় কেন মানুষের নাম? 😛 হাহাহা।
:happy:
হা ওকে সবাই আদর করে গুলগুলি ডাকে কিন্তু ওর নাম এমনিতে ফারহা। 😛
হা পোস্ট করার পর খেয়াল করেছি যে ছবিটা বাঁয়ে সরে আছে। 😳
পিচ্চি গুলা আসলেই খুব কিউট হয় , আমিও মনে হয় ছিলাম 😛
:happy:
তুমি তো এখনও পিচ্চি :happy:
বাচ্চাদের প্রশ্নটশ্নে আমি সবসময়ই বোকা হয়ে যাই, লেখা পড়ে মজা পেলাম 🙂
ধন্যবাদ 😀
হা হা মজা লাগলো। একটা অল্টারনেটিভ আছে। টিচার ও ডাকা লাগবে না, মনিও ডাকা লাগবে না। ‘আপু’ ডাকবে 😛
ধন্যবাদ । 😀
পিচ্চিরা এমনই হয়……।
আমার চার বছ্রের ছেলের ধারণা, আমি ওর বাবা ।তাই সবার বাবা। ওর সামনে আমাকে বাবা ছাড়া অন্য কিছু ডাকলে মাইন্ড করে।
হাহাহা 🙄
আপনার ছেলে তো অনেক কিউট । :love:
বাচ্চারা সব সমই অনেক কিউট হয় যা আগের চেয়ে এখন ভাল বুঝি।
আমার ৫মাসের মেয়ে কত্ত কিযে বলে।
আমকে বলে আম্বু (আম্মু+ আব্বু)।
🙄 আপনার মেয়ে তো অনেক কিউট :love:
ছবি টা চোখে লাগছে-=/-বাচ্চাদের নিয়ে কিন্তু content এর অভাব নেই-আরো ভালো লেখা চাই।
😳
ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো 🙂
ধন্যবাদ। 🙂