টেকি ইনসাইটমূলক লেখা বাংলা ভাষায় নাই। সরবে উইন্ডোজ , কিন্ডল ফায়ার নিয়ে ২টা লেখা দেখে উৎসাহ পেলাম। বাংলা ভাষায় শুধু টেকি জিনিসের খবর না, কিংবা শুধু খবরের অনুবাদ না, কিছু ইনসাইট আসুক। গুগল ইদানিং নিজেই ইভিল হয়ে উঠছে। একটা সময় যেই কোম্পানি বলতো Don’t be evil এখন সেই ইভিল হচ্ছে! একজন গুগল ইঞ্জিনিয়ার জব ছেড়ে দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন সেটা নিয়ে একটা লেখা লিখেছেন। আজ সেটার অনুবাদ দিলাম।
ঠিক আছে, হার মানছি আমি। সবাই জানতে চাইছে কেন আমি গুগলকে ছেড়ে এসেছি, আর প্রত্যেককে আলাদাভাবে উত্তর দেওয়া যেহেতু সম্ভব নয় তাই পুরো গল্পটা আমি এখানে তুলে ধরছি। আপনারা চাইলে এর কিছুটা পড়তে পারেন (তৃতীয় প্যারায় মূল কথাটা বলেছি আমি) কিংবা পুরোটাই পড়তে পারেন। কিন্তু একটা কথা শুরুতেই জানিয়ে রাখি: এখানে কোন নাটকীয়তা নেই, কোন গোপন কথা ফাঁস করা নেই, কোন পুরনো সহকর্মীকে হেনস্তা করা নেই, আর গুগলকে নিয়ে, ব্যবহারকারীদের তথ্যের গোপনীয়তা ও সফ্টওয়্যার ডেভেলপারদের প্রতি এর মনোভাব নিয়ে সংবাদপত্রে পাওয়া খবর থেকে ইতোমধ্যে আপনারা যতটা অনুমান করেছেন তার চাইতে বেশি কিছুও নেই। কেবল এটা পুরো ঘটনার আরেকটু ব্যক্তিগত পর্যালোচনা।
গুগল ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা যে খুব সহজ ছিল, এমন নয়। ওখানে থাকার সময়টাতে প্রতিষ্ঠানটা নিয়ে আমি বেশ আবেগতাড়িত ছিলাম। আমি চারটা ‘গুগল ডেভেলপার ডে ইভেন্ট’, দুটো ‘গুগল টেস্ট অটোমেশন কনফারেন্সের’ তদারকি করেছি আর গুগলের পরীক্ষামূলক ব্লগের নিয়মিত লেখকও ছিলাম। প্রতিষ্ঠানে নিজেদের উঁচুদরের প্রার্থীদেরকে বিক্রি করার জন্য নিয়োগকর্তারা প্রায়ই আমার সাহায্য চাইতেন। গুগলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কারো আমাকে দু’বার বলতে হয় নি, আর সেটা যখন আর করতে পারলাম না তখন আমার নিজের চাইতে অবাকও আর কেউ হয় নি। সত্যি কথা বলতে গেলে, গুগলে আমার চাকরির শেষ তিন বছর আমাকে প্রচণ্ড হতাশার মধ্যে কাটাতে হয়েছে, যে সময় প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে পুরনো আবেগ ফিরে পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি আমি।
যে গুগলকে নিয়ে আমি আবেগতাড়িত ছিলাম তা ছিল একটা টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান, যা এর কর্মীদেরকে উদ্ভাবনে উদ্বুদ্ধ করে। যে গুগলকে আমি ছেড়ে এসেছি তা হচ্ছে একটা বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান(advertising company), যাদের একটাই মাত্র বিধিবদ্ধ লক্ষ্য ছিল।
একদিক থেকে চিন্তা করলে বলতে হবে গুগল সবসময়েই একটা বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান ছিল, কিন্তু গত তিন বছরের ভাল অংশটুকুতে একে তেমনটা মনে হয় নি। গুগল কেবল সেই অর্থেই বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান ছিল যেমনটা হয় টিভির ভাল একটা অনুষ্ঠান: বিষয়বস্তু ভাল হলে তা বিজ্ঞাপনদাতাদেরকে আকৃষ্ট করবেই।
এরিক স্মিথের(Eric Schmidt) সময়ে বিজ্ঞাপন সবসময়েই পেছনের সারিতে ছিল। গুগল তখন চলতো একটা উদ্ভাবন কারখানার মত, যা এর কর্মীদেরকে ফাউন্ডার’স অ্যাওয়ার্ড, পিয়ার বোনাস আর ২০% সময়ের মধ্য দিয়ে উদ্যোক্তা করে তুলতো। বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া অর্থ আমাদের ভাবনা, উদ্ভাবন আর সৃষ্টিতে কাজে লাগতো। অ্যাপ ইঞ্জিন, গুগল ল্যাবস আর ওপেন সোর্সের মত ফোরামগুলো আমাদের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছিল। এর সবই যে বিজ্ঞাপন থেকে আসা অর্থভর্তি একটা ক্যাশ মেশিন থেকে আসতো তা আমাদের চিন্তাতেই ছিল না। যেসব প্রকৌশলী সরাসরি বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করছিলেন তারা হয়তো বা এটা টের পেয়েছিলেন, কিন্তু বাকিরা এটা ভেবেই সন্তুষ্ট ছিলাম যে গুগল প্রথমত, আর প্রধানত একটা টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান; যা বুদ্ধিমান লোকদের কাজে লাগিয়ে তাদের উদ্ভাবন ক্ষমতাকে একটা দারুণ প্ল্যাটফর্ম যোগায়।
এই উদ্ভাবন কারখানা থেকে জিমেইল আর ক্রোমের মত কিছু পণ্য এসেছে, কৌশলগত দিক থেকে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে নিচের স্তরের উদ্যোগের ফলাফল এগুলো। উদ্ভাবনের এরকম ক্ষণস্থায়ী হুজুগের কিছু সমস্যা থাকে, আর গুগলেরও অবশ্যই সেগুলো ছিল, কিন্তু কীভাবে তাড়াতাড়ি ব্যর্থ হয়ে আবার তা কাটিয়ে ওঠা যায় সেটা তো গুগল সবসময়েই জেনে এসেছে।
এমন পরিবেশে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে কোন দায়িত্বশীলের কাছের মানুষ হওয়ার দরকার নেই। দারুণ একটা ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনাকে সৌভাগ্যবান হওয়ার কিংবা কোন আকর্ষণীয় প্রোজেক্টে হাত দেওয়ার দরকার নেই। আইডিয়া আছে কিংবা কাজ করার দক্ষতা আছে এমন যে কেউ এর সাথে জড়াতে পারে। এই সময়ে গুগলকে ছেড়ে যাওয়া কোন ব্যাপারই ছিল না আমার জন্য, কিন্তু কাজ করার জন্য এর চাইতে ভাল কোন জায়গার কথা চিন্তা করাটা কষ্টকর ছিল।
কিন্তু সেটা ছিল তখন, যেমনটা বলা হয়ে থাকে, আর এটা হচ্ছে এখন।
তারপর দেখা গেলো, এমন একটা জায়গা আছে যেখানে গুগলের উদ্ভাবন কারখানা হোঁচট খাচ্ছে, আর যেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণও বটে: ফেইসবুকের সাথে প্রতিযোগিতা। টুকটাক চেষ্টার ফলে Wave আর Buzzএ কিছু অসামাজিক কুকুর তৈরি হল। Orkut কখনোই ব্রাজিলের বাইরে যেতে পারলো না। গল্পের খরগোশ যেমন দৌড়ে প্রথম সারিতে চলে যাওয়ার পর একটু ঘুমিয়ে নেওয়ার ঝুঁকি নিয়েছিল, গুগলও তার সেই ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখলো, বিজ্ঞাপনদাতা হিসেবে তার প্রথম সারির অবস্থান ঝুঁকির মুখে।
ফেইসবুক যত মানুষের কাছে বিজ্ঞাপন পৌঁছাতে পারে, গুগল এখনো তার চাইতে বেশি মানুষের কাছে যেতে পারে, কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে – এই মানুষদের সম্পর্কে গুগলের চাইতে ফেইসবুক অনেক বেশি জানে। বিজ্ঞাপনদাতা আর প্রকাশকেরা এসব ব্যক্তিগত তথ্য এতটাই পছন্দ করে যে সেজন্য নিজেদের ব্র্যান্ডকে ফেইসবুকের ব্র্যান্ডের পেছনে জায়গা দিতেও তারা দ্বিধা করে না। যেমন: www.facebook.com/nike, Nikeএর মত ক্ষমতাবান আর প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানও এই কাজ করছে? গুগলের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান কখনোই এমনটা করে নি আর সেটা গুগল যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে নিয়েছে।
ল্যারি পেইজ(Larry Page) নিজে এই ভুলকে ঠিক করার দায়িত্ব নিলেন। ‘সামাজিক’ হয়ে গেলো রাষ্ট্রশাসিত, ‘গুগল+’ নামের রাষ্ট্রীয় হুকুম জারি হল। গুগল নিজেই যে যথেষ্ট নয় – এই ভীতিকর নাম যেন সেটাই প্রকাশ করছিল। ‘সার্চ’কে সামাজিক হতে হল। ‘অ্যান্ড্রয়েড’কে সামাজিক হতে হল। ‘ইউটিউব’, এককালে যা নিজের স্বাধীনতা নিয়ে খুশি ছিল, তাকেও হতে হল…আচ্ছা, বুঝতেই তো পারছেন। তার চেয়েও খারাপ যেটা, উদ্ভাবনকে ‘সামাজিক’ হতে হল। ‘গুগল+’কে সবার মনোযোগের কেন্দ্রে নিয়ে আসার আইডিয়াগুলো একের পর এক ব্যর্থ হতে লাগলো।
হঠাৎ করে ‘২০%’এর মানে হয়ে দাঁড়ালো হ-য-ব-র-ল। ‘গুগল ল্যাবস’ বন্ধ করে দেওয়া হল। ‘অ্যাপ ইঞ্জিনের’ দাম দেওয়া হল বাড়িয়ে। বছরের পর বছর ধরে ফ্রী APIগুলোর অনুমোদন হয় বন্ধ করে দেওয়া হল নয়তো এগুলোর জন্য দাম নেওয়া হতে লাগলো। উদ্যোক্তাদের জন্য প্ল্যাটফর্ম – এই মুখোশ যখন খুলে যেতে শুরু করলো, ‘অল্প পণ্য বেশি শ্রম’ এই নীতিতে বিশ্বাসী নতুন গুগলের সমর্থনে পুরনো গুগল, আর ফেইসবুকের সাথে তার পাল্লা দেওয়ার দুর্বল চেষ্টা নিয়ে কৌতুকপূর্ণ কথাবার্তা শোনা যেতে লাগলো।
পুরনো গুগলের বুদ্ধিমান কর্মী নিয়োগ আর তাদেরকে ভবিষ্যৎ গড়ার শক্তি যোগানোর দিন চলে গেলো। ভবিষ্যতে কী হবে – তা যেন কেবল নতুন গুগলই জানতো। যেন কর্মীরা সব ভুল বুঝেছে আর কর্পোরেট হস্তক্ষেপই শুধু একে শোধরাতে পারে।
গুগল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিল যে “ওয়েব শেয়ারিং ঠিকভাবে হচ্ছে না” আর গুগল+কে ঘিরে আমাদের যে সামষ্টিক শক্তি, তা-ই কেবল একে ঠিক করতে পারে। একটা প্রতিষ্ঠান যখন নিজের ব্যবসার ঝুঁকিকে সামাল দিতে এর মেধাগুলোকে ব্যবহার করে তখন তাকে আপনার প্রশংসা করতেই হবে। গুগল যদি ঠিক হত, তাহলে সবার চেষ্টা যথেষ্ট বীরোচিত হত আর পরিষ্কারভাবেই, আমরা অনেকেই এর সাথে জড়িত থাকতে চাইতাম। আমি নিজে এতে বিশ্বাস করেছিলাম। গুগল+এ আমি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছি আর অনেকগুলো কোডও তৈরি করেছি। কিন্তু পৃথিবী পালটায় নি; শেয়ারিং পালটায় নি। ফেইসবুক যে আগের চাইতে ভাল হয়েছে এই ব্যাপারে সন্দেহ থাকতে পারে, কিন্তু এর পক্ষে দেখানোর মত একটা জিনিসই কেবল ছিল আমার কাছে, তা হচ্ছে আরো বেশি রিভিউ স্কোর।
শেষমেশ দেখা গেলো, শেয়ারিং-এ কোন সমস্যা ছিল না। শেয়ারিং-এর কাজ খুব ভালভাবেই চলছিল, কেবল গুগলেরই তাতে কোন অবদান ছিল না। চারপাশের সবাই শেয়ারিং করছিল, তা নিয়ে বেশ সন্তুষ্টও ছিল। মানুষের ফেইসবুক ব্যবহারে ধস নামার কোন লক্ষণই দেখা গেলো না। এমন কি আমার নিজের কিশোরী মেয়েকে আমি একবারের বেশি দু’বার গুগল+ ব্যবহার করাতে পারি নি, “‘সামাজিক’ কোন পণ্য নয়,” একটা ডেমো দেখার পর তার মন্তব্য, “‘সামাজিক’ হচ্ছে মানুষ আর সেই মানুষেরা সব ফেইসবুকে।” গুগল হল বড়লোকের সেই ছেলের মত, যাকে পার্টিতে দাওয়াত দেওয়া হয় নি জানার পর বদলা নিতে সে নিজেই পার্টি দেয়, কেবল তার পার্টিতে কেউ আসে না।
গুগল+ আর আমি, আমাদের পথ কখনোই মিলবে না। সত্যি কথা হচ্ছে বিজ্ঞাপনের সাথে আমার তেমন সম্পর্ক নেই। আমি কখনো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করি না। আমি ইমেইল মেসেজে কী লিখছি সে অনুযায়ী গুগল যখন আমাকে বিজ্ঞাপন দেখায় আমার তখন ভয় হয়। সার্চ রেজাল্টে আমি কখনো গুগল+এর (অথবা ফেইসবুক/টুইটারের) পোস্টার দেখতে চাই না। “লন্ডন পাব ওয়াক(London pub walks)” লিখে সার্চ করলে আমি “ওয়ালমার্ট(Walmart) থেকে একটি লন্ডন পাব ওয়াক কিনুন”এর চাইতে ভাল সাজেশন পেতে চাই।
পুরনো গুগলের বিষয়বস্তু ভাল ছিল বলে বিজ্ঞাপন থেকে তারা বিশাল পরিমাণ আয় করতে পেরেছে, যেমনটা হয় টিভির ভাল অনুষ্ঠানের বেলায়; সবচেয়ে ভাল অনুষ্ঠান বিজ্ঞাপন থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করতে পারে। কিন্তু নতুন গুগলকে দেখে মনে হচ্ছে বিষয়বস্তুর চেয়ে বিজ্ঞাপন নিয়েই তারা বেশি ব্যস্ত।
গুগল হয়তো বা ঠিক কাজটাই করছে। হয়তো মানুষের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে যে যত জানতে পারবে, তার জন্য তত ভাল হবে ভবিষ্যতে। আমার মাকে কখন ফোন করতে হবে কিংবা নর্ডস্ট্রম থেকে কেনাকাটা করলে আমার জীবনে উন্নতি হবে কিনা, হয়তো এসব সিদ্ধান্ত গুগলই আমার চাইতে ভাল নিতে পারবে। হয়তো ক্যালেন্ডারে ফাঁকা সময়গুলো নিয়ে গুগল আমাকে বেশি জ্বালাতন করলে শরীরের যত্ন নিতে আমি আরো বেশি মনোযোগী হব। আমার ১৪ বছরের ছেলের সাথে তার গার্লফ্রেন্ডের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে, ইমেইলে এই কথা লেখার সময় তারা যদি আমাকে ডিভোর্স ল’ইয়ারের বিজ্ঞাপন দেখায় তাহলে সেটা হয়তো আমার এতটাই পছন্দ হবে যে চাই কি আমি নিজের বিয়ের ইতি টানার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলতে পারি। কিংবা, হতে পারে এত সব সিদ্ধান্ত আমি নিজেই নেব।
কাজ করার জন্য পুরনো গুগল একটা চমৎকার জায়গা ছিল। আর নতুন গুগল?
-1
– অন্যরকম
টেকি পোস্ট এমনিতে কম বুঝি। এই পোস্টটা বেশ বুঝলাম।
গুগলির এই অবস্থা হল কেন? 🙁
অনুবাদ ভাল লেগেছে! 😀
নিয়মিত হবেন আশা করছি।
:welcome:
বরাবরই টেকি সাইডে একটু ঝোঁক ছিলো, আছে……
দুর্দান্ত লাগলো লিখাটি পড়ে, আরো চাই এমন অসাধারণ অনুবাদ……
এই ধরনের লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে, যদিও টেকি জিনিস একটু কম বুঝি…
আরো লেখা চাই এমন… 🙂
লেখা পড়ে অন্যরকম লাগলো।
এইরকম অনুবাদ আরও চলুক। 🙂
:welcome:
চমৎকার পোস্ট। যদিও অনুবাদ আরও একটু প্রাঞ্জল হলে পড়ে আরাম পাওয়া যেত। তারপরও খুবই সময়োপযোগী অনুবাদ।
একটা কথা আছে, যদি তুমি তোমার প্রতিযোগীর সাথে টেক্কা দিয়ে জিততে না পারো, তবে তাকে তোমার ব্যাটলফিল্ডে নিয়ে আসো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গুগল ফেসবুককে টেক্কা দিতে গিয়ে ফেসবুকের রাস্তা ধরেছে। আগামী দিনের সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক কিরকম হওয়া উচিত এটা নিয়ে আমার ছোট্ট একটা আইডিয়া ছিল। একমাত্র গুগলের পক্ষেই এরকম একটা নতুন ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
আমার ধারণা, মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে একধরণের ফ্যাটিগ পিরিয়ডের দিকে যাচ্ছে। গুগল হয়তো সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা করে আছে। তারপরও তারা সফল হবে কি না, নিশ্চিত নই। কারণ ফেসবুক থেকে এক্সিট কস্ট এর ইউজার জন্য অনেক বেশি।
গুগুলকে সব সময় অন্যরকম ভাবতাম। তবে তাদের অনেক প্রোডাক্ট এসে চলে যেতে দেখেছি। সত্যি বলতে আমার নিজেরও ভাল লাগেনি সেগুলো। অনেক দরকারি কিছু কাজ ও বন্ধ দেখলাম। সেটা খারাপ লেগেছে।
কিন্তু এমন সরাসরি বা বলা যায় গুগুলের ভিতরের কথা এমন হবে ভাবি নি।
গুগলের এই অবস্থা জানতাম না। তবে এটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছিলাম, গুগল আগের মতো সার্চের মাধ্যমে খুশি করতে পারছে না।
দেখা যাক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান এই সমস্যা সামাল দিতে পারে কী না……
ভাল লাগল সরল অনুবাদ । একটা জিনিসই বের হয়ে আসল দিন শেষে টাকা আসাটাই যেকোন কোম্পানির কাছে প্রধান বিবেচ্য ।
:clappinghands:
ধন্যবাদ।।
লেখাটা আমার বড়োই একপেশে লেগেছে । একজন পদত্যাগি কর্মির ক্ষোভ বলে মনে হয়েছে । গুগলপ্লাস বেশ ভালোই করছে ।
সামনে আরো ভালো করবে । যখন সবখানে প্লাস চলে যাবে । গুগলপ্লাস আসার পর ফেসবুকের ভাংগাচোরা চেহারা ঠিক হয়েছে।
ফেসবুক একসময় নষ্টামি করবে – তখন গুগলপ্লাস ছাড়া উপায় থাকবে না।
মোটের উপর মোটেই কনভিন্সিং মনে হয় নি।
মনের সব ঝাল ঝেড়েছেন বেচারা!