বুয়েটে ভর্তি হওয়ার আগে এবং পরে বুয়েট সম্পর্কে একজন শিক্ষার্থীর ধারণার যে আকাশ-পাতাল তফাৎ থাকে সেটা বুয়েটের যেকোনো শিক্ষার্থীরই জানা আছে। অ্যাডমিশন টেস্টের পর থেকেই অনেক ভাইয়ারা বলত, এখন তো অনেক স্বপ্ন নিয়ে বুয়েটে যাচ্ছ, কয়েকদিন পরেই মনে হবে বুয়েটে পড়তে যাওয়া ছিল তোমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আমার অবশ্য এটা মনে হয়নি কখনোই, কিন্তু তারপরেও যে বেশ খানিকটা হতাশ হইনি সেটা অস্বীকার করতে পারব না। কেন সবাই ক্লাস শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় হতাশ হয়ে পড়ে, কেন SSC HSC তে গোল্ডেন এ+ পাওয়া ছাত্রও নিয়মিত ফেল করে (আমার নিজেরও CT তে একাধিকবার ফেল করার রেকর্ড আছে) তার পিছনে ভূরি ভূরি কারণ দেখান যায়। তবে মূল কারণ দুটো, একদল আছে যারা পড়াশোনা ছেড়ে দেয়, আরেকদল আছে পড়াশোনা করে ঠিকই, কিন্তু রেজাল্ট আর ভালো হয় না। আমার লেখা দ্বিতীয় দলটির জন্য।
আমার নিজের কথায় আগে আসা যাক। আগেই বলে রাখছি লেখাটা আমার নিজের চিন্তাভাবনা আর বুয়েটে ক্লাস শুরু হওয়ার পর গত এক বছরে দেখা কিছু ঘটনার বিশ্লেষণ মাত্র, কেউ এতে আত্মম্ভরিতার কোন প্রকাশ খুঁজে পাবেন না বলেই আশা করছি।
SSC দেওয়ার পর ঢাকায় এসে যখন কলেজে ভর্তি হতে গেলাম, ভর্তির দিনই পাশের ছেলেটা আমাকে প্রশ্ন করেছিল, প্রাইভেট পড়বে, নাকি কোচিং করবে? SSC পর্যন্ত আব্বুর সহায়তায় মোটামুটি নিজেই পড়াশোনা করে এসেছিলাম। এখন আব্বু নেই, মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করতে হবে, প্রাইভেট পড়তে হবে কি হবে না এটা নিয়ে ভালই দোটানায় ছিলাম। পড়ব, পড়ব না, পড়লে কোন ভাইয়ার কাছে গিয়ে পড়তে হবে, নাকি ব্যাচে পড়ব… এসব ভাবতেই ভাবতেই বেশ খানিকটা সময় চলে গেল। ততদিনে খেয়াল করলাম প্রাইভেট না পড়ার পরেও আমি বেশ ভালই এগুতে পারছি। অন্যরা যখন ভাবছে এই জিনিসটা তো বুঝতেছি না, পরে কোচিং এ অথবা ভাইয়ার কাছ থেকে বুঝে নিলেই হবে, আমি তখন ভাবছি যে এটা আমাকে বুঝতেই হবে, দরকার হলে লাইব্রেরির সব বই ঘাটবো এই বিষয়ে, একবারের জায়গায় দশবার পড়ব, তাও না বুঝলে অন্য বন্ধুদের সাহায্য নিব অথবা স্যারকে জিজ্ঞাসা করব, কিন্তু বুঝতেই হবে আমাকে। শেষ পর্যন্ত দেখা যেত কীভাবে কীভাবে যেন সবই বুঝতে পেরেছি। মামা এদিকে প্রায়ই বলত, প্রাইভেট পড় না, কোচিংও কর না, কীভাবে হবে? আব্বুও মাঝে মাঝে ফোনে জিজ্ঞাসা করত, কিরে তোর প্রাইভেট পড়া লাগবে না? কিন্তু আমার মন থেকেই বাধা আসত যখন দেখতাম আমার এখনকার খরচ চালাতেই আব্বু মাঝেমাঝে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে, সেখানে কেন আমি বাড়তি টাকা খরচ করে আরেকজনের সাহায্য নিতে যাব, কষ্ট করে হলেও নিজেই যদি বুঝতে পারি? যাহোক, শেষ পর্যন্ত কলেজ লাইফে আমার আর প্রাইভেট পড়া হয়নি। কলেজে রেজাল্ট ভালো হলেও ‘খুব ভালো’ ছেলেদের কাতারেও উঠে আসতে পারিনি।
পরীক্ষার পর যথারীতি একটা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হলাম বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য, এখান থেকে আমি ভালো সাহায্য পেয়েছি, সন্দেহ নেই। কারণ বুয়েট বা প্রায় যেকোনো ভার্সিটির অ্যাডমিশন টেস্ট এমনই যে শুধুমাত্র HSC-র জ্ঞান দিয়ে ভালো করা সম্ভব না, বাইরের সাহায্য কমবেশি লাগেই। অ্যাডমিশন টেস্টের রেজাল্ট আমার জন্য অনেকটা স্বপ্নের মতই ছিল, কলেজে থাকতে এতটা কল্পনাও করিনি। বুয়েটেও সেই ধারাবাহিকতা অনেকটা রক্ষা করতে পেরেছি।
যাই হোক, অ্যাডমিশন টেস্টের পরেই ভাবতে বসলাম, আমি কেন ভালো করলাম। পরে বুঝলাম, আসলে আমি মোটেই ভালো করিনি, অন্যরা খারাপ করেছে। কেন? কারণ বুয়েটের অ্যাডমিশন টেস্টের সিস্টেম এমনই যে কেউ নিজে থেকে কঠোর চেষ্টা করে কোন কিছু বুঝতে না চাইলে কারোরই সাধ্য নেই তাকে ভালো করানো। কারণ সিলেবাস HSC এর মত লিমিটেড না। একই ঘটনার প্রতিফলন দেখলাম বুয়েটে এসে। বুয়েটের ক্লাস মাত্রই ফালতু (হাতেগোনা কিছু ব্যতিক্রম আছে) এটা সবাই জানে। সেই ক্লাস ভালমত বুঝে তা অনুসরণ করার মত মেধা বা ধৈর্য কোনটাই আমার ছিল না। তাই নিজে কষ্ট করে পড়া আর কিছু না বুঝলে গুগলে সার্চ দেওয়া আর তাও না বুঝলে চোখ বুজে মুখস্ত করে ফেলা, এটাই একমাত্র উপায়।
কিন্তু সবাই দেখলাম এই উপায় ঠিকমত অনুসরণ করে যেতে পারছে না। জিনিয়াসদের কথা বাদ দিলে সবার মুখেই এক কথা, আমি কিছুই বুঝি না। কয়েকজনকে হেল্প করতে গেলাম। খুব আশ্চর্য হলাম এদের দুএকজনের পড়ার সিস্টেম দেখে। কোন একটা টপিক সে হয়ত একবার পড়েছে, বুঝতে পারেনি, অতএব “এই জিনিস আমি বুঝিনা, পারি না, আমাকে দিয়ে এটা হবেনা, তুই বুঝিয়ে দে”। আমি যতই বলি এই জিনিস বুঝতে আমারই তিনবার পড়া লাগছে, সে বলেই যাবে যে সে এটা কিছুতেই বুঝতে পারবে না। অনেকে সাথে সাথে এই ডায়ালগও দেয়, “আমাকে দিয়ে বুয়েটে পড়া হবে না, আমি এভাবে পড়তে পারি না, আমার বুয়েটে আসাই ভুল হয়ে গেছে”। একটা উদাহারন দেই।
কিছুদিন আগে অন্য ডিপার্টমেন্টের এক ফ্রেন্ডকে প্রোগ্রামিং শিখাতে গিয়েছিলাম। এর আগেরদিন ওদেরকে ল্যাবে sin x এর মান নির্ণয় করার প্রোগ্রাম লিখতে দেওয়া হয়েছিল। আমি ওকে বললাম, তুমি নিজে আগে কিছুক্ষণ ভাব তো কীভাবে শুরু করা যায়? ও কয়েক সেকেন্ড ভেবে তারপর বলল, কীভাবে করব? পারি না। আমি ওকে বুঝালাম যা এই প্রোগ্রাম আমি যখন প্রথম লিখি আমার প্রায় এক ঘন্টা সময় লেগেছিল, এরপর এটা আমাদের ল্যাবেও অনলাইনে দেওয়া হয়েছিল আর সেখানেও আমার আগে ৫-৭ মিনিট ভেবে তারপর কোডিং করা লেগেছিল। কিন্তু ও নিজে থেকে কষ্ট করে ভাবতে রাজি না। আমাকে লিখে দিতে হবে। যাই হোক, প্রোগ্রাম লিখলাম, ওকে বুঝালাম, বুঝলও। এবার বললাম, আচ্ছা এখন cos x এরটা নিজে চেষ্টা কর। ও কয়েক সেকেন্ড cos x এর ধারার দিকে তাকিয়ে বলল… কীভাবে করব, কিছুই তো বুঝতেছি না!
আমি বললাম, কেন, sin x এরটা যেভাবে cos x এরটাও তো তাইই! ও বলল, হ্যাঁ, sin x এরটা তো লিখে দিয়েছ ওটা তো বুঝছি, কিন্তু এটা তো পারি না!
আমি ওকে সময় নিয়ে বুঝালাম, তোমার উচিৎ আগে ১৫ মিনিট ধরে এই প্রব্লেমটা নিয়ে চিন্তা করা, তারপর বলবা যে পার কি পার না। আমি একবার লিখার পরও যেই প্রোগ্রাম আবার লেখার আগে আমার ৫ মিনিট ভাবা লাগে সেটা তুমি ৫ সেকেন্ড ভেবে কীভাবে পারবা? যাহোক, ও বলল যে পরে চেষ্টা করে দেখবে। কতটুকু চেষ্টা করেছিল জানি না। তবে ওর রুমমেটের কাছ থেকে শুনেছিলাম টার্ম ফাইনালের আগে সে কোড মুখস্ত করে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল।
১-১ এ থাকতে বেশ কিছুদিন একটা কোচিং সেন্টারে ম্যাথ ক্লাস নিয়েছিলাম। ওখানেও একই অবস্থা। পরিচালক ভাইয়ার নির্দেশ ছিল যাতে ক্লাসে সব অঙ্ক করিয়ে না দেওয়া হয়, বেসিক ভালমত আলোচনা করে ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের অঙ্ক করতে দেওয়া হয়। কিন্তু ওরা তা চায় না। ওদের দাবি, শুধু “কমন” অঙ্কগুলো করিয়ে দিলেই হবে, আর কিছু না। আমি যখনই ওদেরকে কোনকিছু করতে দিতে যাই প্রায়ই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, ভাইয়া, আর তো ভালো লাগে না… তারপরও করতে দিলে দেখা যায় খুব কম স্টুডেন্টই নিজে থেকে কোন কিছু করছে, যারা করতে পারছে তাদের প্রায় সবারই ওই অঙ্ক বাসায় প্রাইভেট টিউটরের কাছে করা।
আমাদের চেষ্টা করার ইচ্ছে এত কম কেন? সবাই যে একরকম তা অবশ্যই না, যারা এরকম না শেষ পর্যন্ত তারাই ভালো করে। কলেজ লেভেল পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী পরনির্ভরশীল হয়ে চলতে পারে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা অসম্ভব (যদিও আজকাল নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রাইভেট পড়ে, আমি নিজেও বড় ভাইদের কাছে গিয়ে প্রোগ্রামিং শেখার প্রস্তাব পেয়েছিলাম)। যাদের কথা বললাম, তাদের কেউই কম মেধাবী না।
কিন্তু তারা পারে না, কারণ তারা তাদের মেধা ঠিকভাবে ব্যবহার করতে ভয় পায়। ওরা জানেও না চাইলেই ওদের পক্ষে সব পারা সম্ভব। শুধু দরকার চেষ্টা, আর ধৈর্য।
দোষটা কার? অবশ্যই আমাদের মানসিকতার। আমাকে যদি একজন বলে তার ছেলেকে প্রাইভেট পড়ালে মাসে ৮০০০ টাকা পাবো, তাহলে তো আমি পড়াতে যাবই। কিন্তু আমি যদি তাকে বুঝাতে যাই যে আমি তার ছেলের বেসিক ক্লিয়ার করতে চাই, গৎবাঁধা কিছু অঙ্ক শিখিয়ে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে চাই না, তাহলে তো তিনি আর মানবেন না। আমি আমার সাথের যতজনকে দেখেছি প্রাইভেট পড়ায় বা কোচিংএ ক্লাস নেয়, বেশিরভাগই চেষ্টা করে বেসিক কোন কিছু শিখানোর, কারণ তারা জানে একটা সময় আসবে যখন নিজেকেই সবকিছু বুঝতে হবে, কেউ এসে বুঝিয়ে দিয়ে যাবে না। কিন্তু ছাত্র এবং অভিভাবক, দুজনেরই ইচ্ছে শিক্ষক এসে সবকিছু করিয়ে দিয়ে যাবে, ছাত্রও কিছু শিখুক আর না শিখুক। অতএব তাদেরও শেষপর্যন্ত সেইভাবেই চলা লাগে। “নিজেরই যদি কষ্ট করে কোন কিছু বুঝা লাগে, পড়া লাগে, তাহলে টিচার আছে কী করতে?” এই হচ্ছে আমাদের চিন্তাভাবনা।
আমি বলছি না যে সবাইকে এখন থেকে নিজে নিজেই সবকিছু করা লাগবে, সব প্রবলেম সল্ভ করা লাগবে, কিন্তু এই চিন্তাভাবনার অবসান চাই আমি। পরনির্ভরশীলতা কখনোই কাম্য না, সেটা যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন।
– রাফি কামাল
আসলেই আমরা দিন দিন পরনির্ভর হয়ে যাচ্ছি! খারাপ লাগে ভাবলে। তবে তোমরা তোমাদের এই আত্মবিশ্বাস সবার মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছো, এটা দেখে আবার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি! 🙂
নিয়মিত হও! 🙂 :welcome:
ধন্যবাদ আপু 🙂 আমাদের অনুপ্রেরণা কিন্তু আপনারাই!
:happy: :love:
একেবারে মনের কথাটা বলেছিস
অনেকদিন ধরেই বলব বলব ভাবছি, অনেকেই অন্যভাবে নিতে পারে ভেবে প্রকাশ করিনি…
এই কথাগুলা মনে সবসময় ঘুরপাক খায় কিন্তু ঠিক মত প্রকাশ করতে পারি না। কথাগুলার সাথে সম্পূর্ণ সহমত
কিছু ছাত্রছাত্রীকে সময় থাকতে বোঝাতে পারলে সেটাই কিন্তু অনেক ভবিষ্যতে তাদেরকে অনেক সাহায্য করবে!
:welcome:
ধন্যবাদ 🙂
:welcome:
কথাগুলা সত্য। চেষ্টা না, শর্ট-কাট খোজার মানষিকতা একেবারে ঢুকে গেছে আমাদের মাথায়। সরাতে বিশাল সময় লাগবে, তবে সরানো সম্ভব। কিছু বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিলেই সম্ভব। যেমনঃ বর্তমান সময়ের সৃজনশীল প্রক্রিয়া সেরকম একটি উদাহরন (হয়তো!), হয়তো বললাম এ কারণে, কারণ সৃজনশীল প্রশ্ন যা আসে পরীক্ষাগুলাতে, সৃজনশীল গাইডেই তা দেয়া আছে। এবং তা সৃজনশীল হওয়া সত্ত্বেও কমন (!!) পরে যায় !
জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে নিজের কাছে সততা রক্ষা প্রতিটা ক্ষেত্রে নিজেকে জয়ী করে তুলতে পারে। চমৎকার লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ !
আপনাকেও ধন্যবাদ 🙂
সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে যতটুকু জানি তাতে আমার কাছে এটা যথেষ্ট ভালো পদক্ষেপ মনে হয়েছে। কিন্তু শর্ট-কাট খোঁজার মানসিকতা তাতে কমেনি, এটাই আক্ষেপ। নতুন কোন পদ্ধতি, সেটা যত ভালই হোক না কেন, সাথেসাথে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। তবে শিক্ষক এবং প্রশ্নকর্তারা চাইলে ধীরে ধীরে ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীল হতে ‘বাধ্য’ করতে পারে। বইয়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্নের আরো কিছু উদাহারণ সংযুক্ত করা গেলে গাইড বই বা প্রাইভেটে স্যারের নোটের উপর নির্ভরশীলতা খানিকটা হলেও কমবে বলেই আমার বিশ্বাস।
দারুণ একটা লেখা! এই রকম বিষয় নিয়েই তো সরব হওয়া দরকার!
আমি নিজে এইসএসসি’র সময় এক বছর এর বেশি একা পড়েছি। প্রথম কিছুদিন কোচিং করেছিলাম। আমি যেটা করেছিলাম, বাজারের সব বই কিনতাম তারপর চোখ বুলাতাম কোনটায় সহজ করে লেখা আছে তারপর পড়তাম। খুঁজতে খুঁজতে রসায়ন এর জন্য ওয়ালিউল স্যার এর বই আর জ্যামিতির জন্য পেয়েছিলাম লুৎফুজ্জামান। যদি ভাইয়াদের কাছে পড়তাম তাহলে নিজে নিজে জানার বিষয়টা হতই না। আমি একটা করে চ্যাপ্টার করতাম আর অনুভব করতাম আমি যেন নতুন কিছু আবিষ্কার করছি। ঠিক যেন ইবনে বতুতা/ মার্কো পোলো!
বুয়েট এও একই জিনিস দেখেছি। এই জিনিশ জবের সময়েও হয় 🙁 বাইরে যাবার ক্ষেত্রেও! তারপরে কী করে সেটা দেখা হয় নাই! (তবে পরনির্ভরশীলরা ভালো জায়গায় যেতে পারে না। একটা জায়গা পর্যন্তই হয়! কোথাও না কোথাও থামতেই হয়। আর এরা উদ্ভাবকও হয় না, সৃজনশীলও হতে পারে না। )
সরব এ স্বাগতম ভাইয়া। নিয়মিত চাই। আমরা যদি সবাই মিলে আসল ইস্যুগুলো নিয়ে সচেতন হই তবেই তো সমস্যার সমাধান হবে!
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
ম্যাথ এবং ফিজিক্স-কেমিস্ট্রির কিছু গাণিতিক সমস্যা সমাধান করার জন্য আমাকেও গাইডের সাহায্য নিতে হয়েছিল, এছাড়া সম্ভবও ছিল না। আমার মতে কিছুকিছু ক্ষেত্রে ভালো গাইড বই শিক্ষার্থীর মেধার ক্ষতি না করে বরং নিজে নিজে ভাবতে শিখায় (তবে সেটা অবশ্যই বাংলা সাহিত্য কিংবা ইংরেজি প্যারাগ্রাফের গাইড না)। SSC তে অনেকগুলো ইংরেজি কম্পোজিশন গাইড দেখে শিখেছিলাম, HSC তেও যদি এটা করতাম তাহলে বুয়েটে এসে পরীক্ষার খাতায় লিখতে গিয়ে বিরাট বিপদে পড়তাম।
বলবিদ্যার কিছু অঙ্ক করার পর নাচানাচিও করেছি, আপনার কথা শুনে মনে পরল :happy:
প্লাস!! 🙂
দারুণ একটা লেখা! পড়ে মুগ্ধ!
বুয়েটে যারা ভর্তি হয়, তাদের প্রত্যেকেরই বোঝার ক্ষমতা আছে বলেই আমার বিশ্বাস। সিস্টেমের চাপে পড়েই অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে যায় অনেকে……
:welcome:
ধন্যবাদ 🙂
২-১ টা টার্ম যাওয়ার পর একটা সময় সবাই-ই বুঝতে পারে (আমি মনে করি আমার নিজেরও কিছু ভুল ছিল, যেটা এখন বুঝতে পারছি) কিন্তু ততদিনে রেজাল্ট খারাপ করে অনেকেই হতাশ হয়ে পরে 🙁
লেখাটা সত্যি ভাল লাগলো 🙂
ধন্যবাদ 🙂 সত্যি কথা বলতে কি প্রথম লেখা থেকে এতটা সাড়া আশা করিনি।
:welcome:
ধন্যবাদ আপু 🙂
আমিও তো বুয়েটে প্রাইভেট কোচিং-গাইড বই না পরেই ভর্তি হইলাম,তারপর বুয়েটের প্রোগ্রামিং টিমে চান্সও পাইলাম;তারপরও আমার রেজাল্ট খারাপ কেন তা জানতে পারলাম না……
ভাইয়া প্রোগ্রামিং টীমে একবার চান্স পেলে তো আমার আর কিছুই লাগত না! 😀
:happy: 🙁
valo laglo,rafi..!!
অনেক ধন্যবাদ 🙂
আমি জীবনে প্রাইভেট পড়ি নি বললেই চলে, নোট-গাইডের ধার ধারি নি, এইচএসসিতে যেই ভাইয়ার কাছে পড়তাম উনিও বেসিক জিনিসই বুঝিয়ে দিতেন শুধু।
বুয়েটে ভর্তির জন্যও কোন কোচিং করি নাই। অবশ্য নিজে থেকেও যে খুব বইপত্র ঘেঁটে জ্ঞানার্জনের চেষ্টা করছিলাম এমনও না। কীভাবে যেন চান্স পেয়ে গেছি। সম্ভবত ঐ কারণেই, আমি ভাল করি নি, অন্যরা খারাপ করেছে।
তারপরও বুয়েটে এসে আমি লাড্ডুগুড্ডু। 🙁 অবশ্য এটার পেছনে একটা বড় কারণ হতে পারে যে, ইঞ্জিনিয়ারিং-এ আমার তেমন আগ্রহ নাই। তবে তোমার কথাগুলি অনেকের বেলাতেই হয়ত খাটে।
লেখা অনেক ভাল লেগেছে। এরকম বিশ্লেষণধর্মী লেখাই তো চাই সরবে! নিয়মিত আশা করছি। 😀
কোচিং না করেই বুয়েটে চান্স! শুনতে মোটামুটি অবিশ্বাস্য লাগছে!
মেডিক্যাল টার্গেট ছিল, মেডিক্যাল কোচিং করেছিলাম! রেজাল্ট পাওয়ার পর দেখলাম সিরিয়াল হয়েছে ৫৮৩৯! 😛 হাতে আরো ১০-১২ দিন সময় ছিল ঢাবি+বুয়েট পরীক্ষার, তখন ম্যাথ করেছি কাঁদতে কাঁদতে, হাহা।
ধন্যবাদ আপু 🙂
কঠিন হলেও অসম্ভব কিন্তু না! আমাদের সাথের ৩য়, তুর্যও যতটুকু জানি তেমন কোচিং করেনি। @তুষার
দারুণ!
স্কুল-কলেজে প্রাইভেট/ কোচিং করতে চাইতাম নয়া বলে আব্বু-আম্মু খুব চিন্তা করতেন অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ি নাকি, কিন্তু দেখা গেলো নিজে একটু ভাব্লেই পড়া বুঝতে পারাটা খুব সহজ…
আর এই জিনিস্টা খুব খারাপ লাগে, ইউনিতে এসে দেখেছি, কেউ বুঝার চেষ্টাই করে না, চিন্তাই করে না, ভাবে কেউ তোহ বুঝিয়ে-ই দিবে…… নিজের মাঝে যে অনেক সম্ভাবনা আছে, সেটা হয়তো টের-ই পায়না……
সরবে স্বাগতম!
ধন্যবাদ 😀
রাফি, অতিথি রাইটার হিসাবে ক্যান? অ্যাকাউন্ট খুলে ফ্যাল!! 😀 :welcome:
একাউন্ট এক্টিভেট হচ্ছে না… তাই এভাবে লিখতে হচ্ছে 🙁
ভাইয়া অনেক ভালো লিখেছেন। আশা করি নিয়মিত আপনার লেখা পাব। 😀 :welcome:
ধন্যবাদ তোমাকে 🙂
ami buet 11 batch er student,vaia.apnar lekha ta khub valo laglo.ekta coaching e amio math class nicchi.khub namkora school er tothakothito valo student der vabshab dekhe ami ritimoto hotash.tader chintar bistar ghotate ami majhe majhe tader mathematical dhadha dei,but tara chinta kortei raji na.ssc ba hsc te kokhono e khub beshi porashuna kori ni,lokmukhe shunlam je,buet e naki 1-1 ei programming e uccho matrar bash deya hoy.erpor theke amar vobisshot buet result nie dushchintagrosto hoye gelam.buet e dhukar agei buet bishoye besh hotashajonok kotha shuntesi.koto ta shotti Allah e valo janen.apnader moto medhabi boro vaider shahajjoprarthi,vaia.
ক্লাসে আমিও কয়েকবার ধাঁধা দিয়ে অন্যদের মনোযোগ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি, কেউ কেউ চেষ্টা করে, কেউ করেনা। তারপরও এটা একটা ভালো উদ্যোগ, কিন্তু কেউই যদি চেষ্টা না করে সেটা খুবই দুঃখজনক।
নির্দিষ্ট কোনো সাবজেক্ট নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই, তুমি সম্ভবত ইলেক্ট্রিকালের, সিএসই তে ১-১ এর প্রোগ্রামিং কোর্স অতটা কঠিন হয়না। আর রেজাল্ট খারাপ করার অন্যতম প্রধান কারণ অনেকেই বুয়েটে অনেক স্বপ্ন নিয়ে আসে, কিন্তু বাস্তব অবস্থা ভিন্ন দেখে পুরোপুরি হতাশ হয়ে পড়ে। তুমি যেহেতু আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত, আশা করি তোমার এই সমস্যা হবে না, নিয়মিত পড়াশোনা করতে পারলেই হবে (“নিয়মিত” পড়াশোনা করাটাই বুয়েটে সবচেয়ে কঠিন কাজ :P)
আর বাংলাতে লিখতে পারলে ভালো হয় 🙂
ভাইয়া আপনি আমার মুখের কথাগুলো লিখে ফেলেছেন। কলেজে সেকেন্ডের ইয়ারে বায়োলজিতে(পাশ করার জন্য। এই বিষয়্টাকে আমি কখনো আত্মস্থ করতে পারিনি।) ১ম ও একমাত্র প্রাইভেট পড়েছিলাম 🙂 পরবর্তীতে বুয়েটে চান্স পাবার পড়ে আমার ঠিক আপনার মতই অনুভূতি হয়েছে। আর আপনি প্রোগ্রামিং শেখানোর যে অভিজ্ঞতার কথা বললেন, একই পরিস্থিতিতে আমিও অনেকবার পড়েছি 🙁 সামনেই বুয়েট লাইফ শুরু হতে যাচ্ছে। আশীর্বাদ করেন, সবকিছু যেন ভাল হয় 🙂
আশীর্বাদ রইল 🙂
“আমাকে যদি একজন বলে তার ছেলেকে প্রাইভেট পড়ালে মাসে ৮০০০ টাকা পাবো, তাহলে তো আমি পড়াতে যাবই। কিন্তু আমি যদি তাকে বুঝাতে যাই যে আমি তার ছেলের বেসিক ক্লিয়ার করতে চাই, গৎবাঁধা কিছু অঙ্ক শিখিয়ে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে চাই না, তাহলে তো তিনি আর মানবেন না। আমি আমার সাথের যতজনকে দেখেছি প্রাইভেট পড়ায় বা কোচিংএ ক্লাস নেয়, বেশিরভাগই চেষ্টা করে বেসিক কোন কিছু শিখানোর, কারণ তারা জানে একটা সময় আসবে যখন নিজেকেই সবকিছু বুঝতে হবে, কেউ এসে বুঝিয়ে দিয়ে যাবে না”
অতিরিক্ত মাত্রায় সত্য কথা , আমরা পরনির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি অতি মাত্রায় !
আর মাথার উপর তো একটা খড়গ ঝুলিয়েই রাখা হয় A+ , ফালতু একটা জিনিস জা আসলে অনেক ক্ষেত্রে মানুষের স্বকীয়তা নষ্ট করে দেয়।
অসাধারণ এই লেখাটির জন্য ধন্যবাদ ।
:welcome:
আপনাকেও ধন্যবাদ 🙂
আমার মনে হয় গ্রেডিং সিস্টেমের পাশাপাশি আগের মত সব শিক্ষার্থীর সর্বমোট নাম্বারও প্রকাশ করা উচিৎ, তাহলে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবটা অনেকটাই বাড়ত। যেনতেন উপায়ে A+ পাওয়ার মানসিকতা আসলেই আমাদের স্বকীয়তাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
অনেক ভালো লাগলো লেখাটা।
খুশি হলাম ভালো লেগেছে জেনে 🙂
আলোচনা দারুণ লাগল। এমন পোস্ট আরও চাই
অবশ্যই চেষ্টা করব ভাইয়া নিয়মিত লিখতে 🙂
আমি ইলেক্ট্রিক্যাল এর ই ভাইয়া।আমি একটা ছেলেকে পড়াই,ক্লাস ১০ এ পড়ে এবং সে আইডিয়াল এর ১ম।সে দেখলাম ১১ জনের কাছে পড়ে।তাকে নিউটনের সুত্র লেখতে দিলে আগে ভুমিকা দেয় ৫ লাইন,পরে সুত্র লেখে।তাকে যত ই বুঝাই না কেন যে এগুলা ভুমিকা দিয়ে কোন লাভ নাই,তার কথা এ হইল,স্কুল এ এগুলা ছাড়া াম্বার দিবে না।শিক্ষার চাইতে তার কাছে াম্বার পাওয়াটাই মেইন।লজ্জায় চোখ বন্ধ হয়ে আসে এত মেধাবি একটা ছেলের এমন কথায়।জানি না বুয়েটে কি হবে,আদৌ ভাল রেজাল্ট করতে পারব কিনা,বড় ভাইদের কাছে শুনেছি,বুয়েটে নাকি মুখস্ত আর বেশী করা লাগে।এমন যদি হয়,তাইলে ত ফেল করা ছাড়া আর কোন রাস্তা দেখি না।
মূল ব্যাপারটা ভালমত বুঝলে অবশ্য বেশি নাম্বার পাওয়ার চেষ্টায় কোন সমস্যা দেখি না… সবাইই কমবেশি এটা করে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের বিশেষত স্কুলের শিক্ষকরা শেখান যে যত বেশি আর সাজিয়ে সুন্দর করে লিখা যায় ততই ভালো, ছাত্র বিষয়টা কতটুকু আত্মস্থ করতে পেরেছে সেদিকে আর নজর দেওয়া হয়না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এই সমস্যা খুব একটা নেই 🙂
বুয়েটের কিছু কিছু কোর্সের সিলেবাস এতই বড় আর প্রশ্ন এতটাই বাজে করা হয় যে ওইসব কোর্সে খানিকটা মুখস্ত ছাড়া ভালো করা সম্ভব না, বিশেষ করে ফিজিক্স বা ম্যাথ। তবে এ ধরণের কোর্স খুব বেশি নেই, আর অনেককেই দেখা যায় বোঝার চেষ্টা না করেই মুখস্ত সব করে ফেলতে। এ ধরণের কোর্স গুলোতেও চেষ্টা করলে অধিকাংশই বুঝে পড়া সম্ভব… সিনিয়র ভাইয়ারা আমার চেয়ে ভাল বলতে পারবেন।
ভাইয়া……অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটা দিকনির্দেশনামূলক লেখার জন্যে ।:clappinghands:
এমন লেখা চালিয়ে যাবেন… ……প্লিজ ভাইয়া ……
অবশ্যই ভাইয়া… 🙂
স্কুল ,কলেজে এ+ পেতেই হবে না হলে কোন ভবিষ্যৎ নাই, এই ভাবনাটা ভাইরাসের মত সব ছাত্রছাত্রীর মাঝে ছড়ানো। ভালভাবে বুঝলে,জানলে যে ওটা অটো আসবে এটা বোঝার শক্তি এই স্টুডেন্টগুলোর নেই,আর বোঝানোর ইচ্ছা এদের অভিভাবক, শিক্ষকদের নেই 😳 ।
খুব দুঃখ লাগে যখন ভালো বোঝার আর নিজে ভালো পারার ক্ষমতা থাকার পরেও আমার স্টুডেন্ট এক টার্ম এ এ+ মিস হওয়ায় সমাজ ও ব্যাচে পড়ে আর তিনদিন ধরে পড়া না হওয়ার অজুহাত হয় কোচিং এর লাগাতার চলতে থাকা পরীক্ষা :(।
কেউ মানবে কিনা জানি না কিন্তু এত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় থাকা, বিভিন্ন রকমের স্টুডেন্টদের জানার পরে মনে হল, এই শহরের ছেলেমেয়েগুলো বেশি সুবিধা পাওয়ায় সুযোগ ব্যাবহারের তোড়ে নিজের ভিতরটুকু অনেকেই হারাতে বসেছে। তুলনামুলকভাবে মফস্বল গুলোতে কোচিং এ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দৌড়ানোর প্রবণতা এখনো যথেষ্ট কম। আর এদের মধ্যে চেষ্টা করে পড়া রা ভালো ভার্সিটি গুলোতে চান্স পাওয়ার হার ও বাড়ছে। স্বনির্ভরশীল,নিজের উপরে বিশ্বাস আর পরিবারের অনুপ্রেরণাই আমার কাছে মূল কারণ মনে বলে মনে হয়।
এই তিনটা জিনিসের চর্চা থাকলে শিক্ষক,গাইড,কোচিং আর ব্যাচের থেকে ট্যাবলেট খেয়ে গিলে ফেলার প্রবণতা কমে আসা সম্ভব বলেই মনে করি 🙂
সহমত 🙂
মফস্বলের শিক্ষার্থীরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পায় ঢাকার শিক্ষার্থীদের সাথে তুলনা করতে গেলে বলতে হবে যে এটা কিছুই না, তারপরেও তাদের মধ্যে যে অনেকে ভালো করে সেটা নিজের প্রচেষ্টারই ফসল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মফস্বলেও এই প্রবণতা ধীরে ধীরে বাড়ছে… ক্লাস ওয়ানের ছাত্রকেও আজকাল প্রাইভেট পড়তে দেখি।
শুরুর দিকেই যদি মুখস্ত না করার কারনে হতাশ হতে হয় তাহলে পরে গিয়ে সেই হতাশা কাটানো হয়তো আসলেই কঠিন হবে!! এই কোর্সগুলা করতে গিয়ে ম্যাথ আর ফিজিক্স এর প্রতি কিছুটা ঘৃনা ধরে গেছে!! নিজের দিকেই তাকিয়ে অবাক হয়ে যাই!! এক বছর আগে কি ছিলাম,আর এই এক বছরে বুয়েট আমারে কি বানাইছে!! :ৎ :ৎ
ম্যাথ একসময় প্রিয় সাবজেক্ট ছিল, এখন কবে ম্যাথের কাছ থেকে মুক্তি পাবো সেই চিন্তায় আছি 🙁
ভালো লেখা।=)-পড়ে ভালো লাগল। সবার তো লক্ষ এখন একটাই ভালো রেজাল্ট করা, ভালো কিছুতে চান্স পাওয়া, ভালো একটা চাকরীতে ঢুকে জীবনে স্থির হওয়া এইসব। প্রতিযোগিতায় যদি পিছিয়ে যাই সারাক্ষন সেই ভয়-এই থেকেই রুটিনের মধ্যে পড়াশুনা করা, শর্টকাটে পার পাবার চেষ্টা। =(-আমি নিজেও বুয়েটে ফাঁকিবাজির দলে! কি আর বলব!
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
:welcome:
সত্যিকার অর্থেই আমাদের নতুন প্রজন্মের অভ্যাস খারাপ হয়ে যাচ্ছে, আসলে কিছু না পারলেই চামচে করে খাইয়ে দেয়ায় ফলাফলটা খুব ভালোমতোই টের পাওয়া যায় বুয়েটে এসে, কি হবে পড়ে, পরে বুঝে নিবো, কিন্তু এই “বুঝে নেয়া”-টা আসলে মুখস্তের খাতায় পড়ে যায়, খারাপ লাগে সেটাই, আমাদের নিজেদের চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতাটা অনেক বেশি সীমিত হয়ে গেছে, দারুণ লাগলো লিখাটা,
অপেক্ষায় থাকলাম আরো কিছু দুর্দান্ত ভাবনার……
সহমত 🙂 আগে থেকেই নিজে পড়াশোনা করে আসার অভ্যাস থাকলে বুয়েট লাইফ সবার জন্য এত হতাশার হত না.. অবশ্য ম্যাথ ফিজিক্স কেমিস্ট্রির মত সাবজেক্ট গুলো সবসময়ই পেইনফুল…
আমি তোর লেখাটা পড়ার সময় বার বার মনে হচ্ছিল কেউ যেন আমার মনের কথাই আমার হয়ে লিখে দিসে, আর আমি সেটা পড়তেসি! সারাজীবন বলতে গেলে কোচিং এ না গিয়ে নিজে নিজে পড়ে আমি যা বুঝতে পারসি তা যে কতজনকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম, কেউ যদি বুঝত! কথাটা খুবই সিম্পল, যেই ক্লাসের জন্য যে বই তা সেই ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের উপযোগী করেই লেখা, একটু চেষ্টা করলেই তা বুঝে ফেলা সম্ভব, মোটামুটি পুরোটাই। আর শুরুতে কষ্ট হলেও একসময় তা অভ্যাসের মত হয়ে যাবে, তখন যত কঠিন বিষয়ই সামনে আসুক না কেন, আত্মবিশ্বাসই সাহায্য করবে তা বুঝতে। পড়ালেখার ব্যাপারে আত্মনির্ভরশীল হতে পারাই হচ্ছে সম্ভবত আমার ছাত্রজীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। মাঝে মাঝে নিজের মত কাউকে যখন খুঁজে পাই খুব ভাল লাগে। কথাগুলা এত সুন্দরভাবে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ তোকে! তুই না লিখলে সেইম কথাগুলা হয়ত আমি কোন একদিন লিখতাম (যদিও আমি যেই পরিমাণ অলস, তা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল!), তবে এত ভালভাবে পারতাম কি না জানি না! আবারো আমার মনের কিছ কথা এত অসাধারণভাবে লিখে ফেলার জন্য থ্যাঙ্কস! It’s really great to know that there are others who think exactly this way! 🙂
“It’s really great to know that there are others who think exactly this way! ” তোর কথাটা আবার বলা ছাড়া আর কিছুই বলার নাই! 😀
তুই অলস হয়েই এতদিন ধরে ব্লগ লিখে যাচ্ছিস, অলস না হলে জানি কি হত 😛