আগে এমন একদিন ছিল যখন বিশ্বকাপের প্রিয় টিম হিসেবে বাংলাদেশের পরেও আরেকটি দলের নাম বলতে হতো। কিন্তু এই এশিয়া কাপের পর দেশের অর্ধেক মানুষও কি বলবে না যে আমি শুধুই ‘বাংলাদেশ’কে সমর্থন করি? আমার বিশ্বাস বলবে। কারণ এই মানুষগুলোই তো পুরো এশিয়া কাপ জুড়ে ভেজা চোখের আকণ্ঠ প্রার্থনায় মুড়ে রেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। আমি দেখেছি, এই মানুষেরাই বাংলাদেশের এক-একটা জয়ে কেমন বাধভাঙা উল্লাসে মেতেছিল। রাস্তার পাশের যে শিশুটি ফুল হাতে এ গাড়ি থেকে ও গাড়ি দৌড়ে বেড়ায়, যে রিকশাচালক নিজের ঘাম ঝরিয়ে পুরো পরিবারের অন্নের সংস্থান করেন, ইট ভেঙে যে মা তার শিশুটিকে দু’বেলা খাওয়াবার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন- এইসব শিশু, রিকশাচালক, মা, ছিণ্ন বস্ত্রের এই মানুষগুলোও সব দুঃখ ভুলে সেদিন অন্তত একবার হেসেছিলেন। আর যখন ফাইনালে বাংলাদেশ তাদের স্থান নিশ্চিত করলো তখন যেন হিড়িক পড়ে গেল উৎসবের। ফাইনালের দিন অবস্থা এমন দাঁড়ালো যে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করার দোকান থেকে শুরু করে মোড়ের পুরির দোকানটাও বন্ধ! যাদের দোকানে ছোট্ট একটা টিভি আছে সমস্ত ভিড় যেন সেখানে। আর যাদের টিভি, রেডিও কোন কিছুরই সুযোগ নেই তারা তো খেলার সময়টায় দোকান বন্ধ করে সোজা বাসায়।
খেলা শেষ হয়ে যাবার পরপরই আমি টিভি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পাকিস্তানীদের উল্লাস কিংবা বাংলাদেশিদের অশ্রুজল কোন কিছুই দেখার কোন আগ্রহ ছিল না। বাংলাদেশ জিতবে ভেবে খেলার শেষ ওভারে আশায় বুক বেঁধে মোবাইল থেকে ফেসবুকে ঢুকে স্ট্যাটাস টাইপ করা শুরু করেছিলাম, খেলা শেষে মুছে দিতে হলো পুরোটা। বেশ অনেকক্ষণ পর ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম দলের প্রতি সবার আকুণ্ঠ ভালোবাসা। দর্শকদের মানসিকতার এই পরিবর্তনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম খুশিতে। কিন্তু খুশির রেশ বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না যখন দেখলাম এইরকম কিছু স্ট্যাটাস এবং মন্তব্য:
:: আমার পোষা কুকুরের নামও আমি কখনো ** রাখবো না।
:: আমি এইপার বা ঐপারে কোনদিনও ** কে ক্ষমা করবো না।
:: তুই একটা **।
:: ওর মত ** না থাকলেই আজকে আমরা জিতে যেতাম।
:: তোর ** এ লাত্থি।
:: তুই সিনেমায় যা, খেলায় কাম নাই, জোকার একটা।
:: তুই একটা পাকিস্তানী, রাজাকার, ছাগু। এই জন্যই পাকিস্তানকে শেষ ওভাবে এত্তগুলা রান দিয়ে জিতাইছস।
সবথেকে কষ্টের যে এরা সবাই কোন না কোনভাবে আমার পরিচিত, অনেকেই আবার কাজের সূত্রে অনেক কাছের! কিন্তু শাহাদাত-নাজিমুদ্দীনকে গালি দিয়ে আসলে কী লাভ? আজ ওদের পারফমেন্সে যারা এই ধরণের কথা বলেছেন বা মন্তব্য পোষণ করেছেন, তাদের যতটা দুঃখ, তার থেকে ওদের নিজেদের কি কষ্ট একটুও কম? কেউ কি ইচ্ছে করে খারাপ করতে চায়? বিশেষ করে এইরকম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে? ধরা যাক, আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াডে আমাদের দেশ থেকে চার জনের একটা দল গেল। দু’জনের স্কোর খুব ভাল আর বাকি দু’জনের তেমন ভালো না হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ‘প্রথম’ থেকে ‘চতুর্থ’ তে নামল। তাই বলে সবাই কি সব দোষ ঐ দু’জনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবেন? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে যারা নিজেদের দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লড়াই করেন তারা দেশের নাম ডোবানোর জন্য ইচ্ছে করে শেষে এসে খারাপ করবেন?
হ্যাঁ, সবার মত কেঁদেছি আমিও, যখন মনে হয়েছে প্রতিপক্ষের নাম ‘পাকিস্তান’, এই মার্চ মাসেই যারা আমার পূর্বপুরুষকে রাতের অন্ধকারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। সেই পাকিস্তানই এই একই মার্চ মাসে আমাদেরই মাটিতে আবারও জয়োল্লাস করছে- এটা ভাবতেই আমার সমস্তটা নিংড়ে কষ্টের একটা দলা বুক থেকে গলার কাছে উঠে এসে আটকে ছিল। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এই একটা আক্ষেপ বাদে আমার ভেতর আর কোন আক্ষেপই কাজ করে নি। কেন-ই বা করবে? এশিয়া কাপ খেলতে আসা সবকজন খেলোয়াড়, ধারাভাষ্যকার এবং ক্রিকেটবোদ্ধারা যেখানে স্বীকার করে নিয়েছেন যে কাপটা বাংলাদেশেরই প্রাপ্য ছিল এবং শুধু তাই নয়, ক্রিকেট বিশ্বের নতুন পরাশক্তির নাম এখন ‘বাংলাদেশ’, তখন কেন আমার ভেতরে অন্য কোন আক্ষেপ থাকবে বাংলাদেশের কাপ জেতার ব্যর্থতায়? বাংলাদেশের এই ক্ষুদে-রোগা-পাতলা ছেলেগুলোই যে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে! হৃদয়ের এ দাবীর চেয়ে সত্য আর কি কিছু হতে পারে?
এতো কিছুর পরেও কিছু মানুষের মানসিক অপরিপক্বতা দেখে বিমূঢ় হয়েছি।
কেন এই দোষারোপ? কেন শুধু গালির ফুলঝুরি? কেন প্রাপ্তির ভেতরেও এতোসব অপ্রাপ্তির খোঁজ?
*আমরা আসলে সবসময় মূল ফলাফলের পর হিসাব কষতে বসি, ‘ইশ, যদি ওটা না হতো তাহলে তো আজ এমন হতো না, ইশ ওটা তখন করলে এখন এটা অন্যরকম হতো’, কিন্তু আমার মনে হয়, আমাদের সবকিছু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখা উচিত। আমি নিজে অসম্ভব আশাবাদী একজন মানুষ। যত যাই হোক নেতিবাচক ব্যাপারের বাইরে সবসময়েই ইতিবাচক কিছু খোঁজার চেষ্টা করি। জীবনে ‘আক্ষেপ’ শব্দটাকে বাদ না দিতে পারলে কি জীবনে “চাই, চাই, আরও চাই, এটা নাই, ওটা নাই, কেন নাই? চাই-ই, চাই” এই ভাব কোনদিনই আমরা দূর করতে পারব?
*কাউকে হেয় প্রতিপণ্ন করা আমাদের আরেকটা নেতিবাচক স্বভাবে পরিণত হয়েছে। আমরা ভুলে যাই যে এই সাকিবই যখন খারাপ খেলেছিলেন তখন আমাদেরই কয়েকজন তাকে গালি দিয়েছেন, তার বাসায় হামলা করেছেন। আর এখন যেই সাকিব ভালো খেলছেন, তার এক ফোঁটা কান্নাই আমাদের কাছে অমূল্য হয়ে গেছে!
যে শাহাদাতকে নিয়ে এতো কথা এই শাহাদাতই কিন্তু একসময় লর্ডস’এর সম্মানজনক ‘অনার্স বোর্ড’ এ নাম লিখিয়েছেন, এই শাহাদাতই ওডিআইতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বপ্রথম হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড গড়েন। তখন শুনেছিলাম শাহাদাত নাকি এদেশের নতুন ওয়াসিম আকরাম! অথচ এখন যেই তিনি একটা ওভারে একটু খারাপ করলেন, তার নামের সাথে জড়িয়ে অকথ্য ভাষায় অনেকের অনেক স্ট্যাটাস/ মন্তব্য দেখা গেল! এই ধরণের সুবিধাবাদী মানসিকতা একটি জাতি হিসেবে কি আমাদের সামনে এগোতে বাধা দেয় না?
*অনেকেই আবেগের যুক্তি দেখিয়ে নিজেদের অকথ্য দোষারোপকে সমর্থন যোগান। কিন্তু আবেগ আছে বলে আমার আবেগটাই অমূল্য এবং সত্যি আর যারা ম্যাচে ভালো খেলেছে যেমন, সাকিব, মুশফিক, তাদের কান্না-আবেগ সত্যি এবং যারা তুলনামূলক খারাপ খেলেছে যেমন, শাহাদাতের কান্নার কোন দামই নেই, এইসব ভাবনা আদৌ কতটা যৌক্তিক? কারণ মানুষ হিসেবে আবেগ তো সবারই আছে আর সেভাবে বিচার করলে সবার আবেগকেই মূল্য দেয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আবেগ প্রকাশের পরিমিতিবোধেরও একটা গণ্ডি থাকা উচিত নয় কি?
*কাউকে যখন তখন বিচার করার ব্যাপারটিও আমার কাছে বেশ প্রশ্নবোধক বলে মনে হয়। পাড়া-গ্রাম-জেলা-আন্তঃজেলা-বিভাগ পেরিয়ে যারা এই বয়সে দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরছেন, এই তাদের বয়সে আমরা কী করেছি/করছি? তবে কি নেতিবাচক মন্তব্য প্রদানকারীরা ক্রিকেটের ব্যাপারে বিশেষভাবে বিশেষজ্ঞ (বিশেষ-অজ্ঞ)!?
*কেউ কেউ অন্য একভাবে যুক্তি দিলেন। ভালোবাসা বেশি বলেই নাকি তাদের রাগটাও বেশি। আমি জানতাম না, ভালোবাসা পরিমাপের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোন একক বা মাপকাঠি আছে। নইলে দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসার সাথে আমার ভালোবাসাটাকেও মেপে একবার পরখ করে নিতাম! এই হাস্যকর ইচ্ছেটা হয়তো হতো না, কিন্তু ভালোবাসলে যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার আমার আছে- এই ব্যাপারটাতেই যে আমি একমত নই। আমার কাছে বরং ভালোবাসা তা-ই যা আমার বিশ্বাসকে সবসময় মজবুত আর দৃঢ় রাখে। আমার মনে হয়, ভালোবাসার মানুষের অপারগতায় তাকে মানসিক সাপোর্ট যে দিতে পারে না, সে ভালোবাসার অর্থ কখনো বোঝেই নি, ভালোবাসার সৌন্দর্য কোনদিন দেখেই নি। আর সমষ্টি মানে দেশের বিচারে ব্যক্তিগত পরিমাপ তো আসাই উচিত নয়। আমি অবশ্য ‘লাভগুরু’ নই। তাই এই বিষয়ে চাইলে যে কেউ দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন!
*হঠাৎ করেই শুনলাম, কেউ কেউ নাকি দেশের পরাজয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন! শোকতপ্ত পরিবারের কষ্টে কখনোই হাসব না, তাই আত্মহত্যাকারীদের সাইকোলজি নিয়ে ব্যঙ্গ করবার কোন ইচ্ছেই আমার নেই। তবে যারা এই পথ বেছে নিয়েছেন তাদের প্রতি শুধু একটি কথাই বলতে চাই- এখন যারা আত্মহত্যা করবেন, তারা আগামী দিনে সবচেয়ে সফল ক্রিকেট দলের সাফল্য দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন!
আমরা কি এই বঞ্চিত অভাগা শ্রেণিতে পড়ে থাকতে চাই? নাকি আগামী দিনের আলোর প্রতীক্ষায় সামনে এগিয়ে যেতে চাই? উত্তরটা কিন্তু আপনারই কাছে।
সবশেষে আমার খুব প্রিয় একটি গানের চারটি লাইন-
“হার-জিত চিরদিন থাকবেই,
তবুও এগিয়ে যেতেই হবে
বাধা-বিঘ্ন না পেরিয়ে
বড় হয়েছে কে কবে?”
ভালোবাসার মানুষকে সম্মান জানান সবসময়ের জন্য, নতুবা আপনার সম্মানটাকেও অন্য কেউ তুলে ফেলে দিতে পরমুহূর্তে দ্বিধা নাও করতে পারে!
এখন যারা আত্মহত্যা করবেন, তারা আগামী দিনে সবচেয়ে সফল ক্রিকেট দলের সাফল্য দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন!
অসাধারণ একটা কথা বলেছেন……
নিজেদের অল্প কিছু ভুলের কারণে অন্য আর দশজনের কাছে নিজের সম্পর্কে ভুল জানাতে চাই না……
আমার কাছে বাংলাদেশ দল একটা রূপকথার গল্প লিখেছে, অসাধারণ অনবদ্য এক গল্প……
আর কিচ্ছু জানার ইচ্ছে নেই আমার, আমার বাংলাদেশ এখন অন্যরকম ক্রিকেট খেলে, একজনের উপর নির্ভর করে না, বরং সবাই মিলে…
🙂
আর কিচ্ছু জানার ইচ্ছে নেই আমার, আমার বাংলাদেশ এখন অন্যরকম ক্রিকেট খেলে, একজনের উপর নির্ভর করে না… :beshikhushi:
“হার-জিত চিরদিন থাকবেই,
তবুও এগিয়ে যেতেই হবে
বাধা-বিঘ্ন না পেরিয়ে
বড় হয়েছে কে কবে?
বাংলাদেশকে সাপোর্ট করা মানে তার ভাল-মন্দ দুই সময়েই পাশে থাকা যারা মনে করছে রাজীব-নাজিম দোষী তারা আসলে বুঝতে পারবে না হয়ত ওদের মনেই এখন সবচেয়ে বেশি কষ্ট , যাই হোক দেশকে ভালবাসি , বেসেও যাব , বাংলাদেশ সামনে আরও অনেক ভালো কিছু দিবে আমাদের। এটা আমার প্রত্যাশা না, আমার বিশ্বাস।
আর ফিনিক্স আপি, অসাধারণ এই পোস্টাটার জন্য কয়েকমণ ধইন্যাপাতা :huzur:
মণকে মণ ধইন্যাপাতা ভর্তা কইরা দিয়া যা এখন! 😛
খুব সত্যি কথা!
চমৎকার বলেছেন……………:)
ধন্যবাদ। 🙂
সুন্দর লিখেছ আপু। আমার সব সময়ই এই ব্যাপার টা খারাপ লেগেছে যখন দেখতাম হারলেই সবাই খেলোয়াড়দের যাচ্ছে তাই ভাবে গালি দেয়। সাকিবের বাসায় যেয়ে ঝামেলাও করা হয়েছে একবার আমার মনে আছে। হারলে পাশে থাকব না কিন্তু জিতলে মাথায় নিয়ে নাচব এই চিন্তা ধারণা পালটে ফেলা উচিত।
ঠিক আপু।
এই ধরনের চিন্তাগুলো দেশের জন্য সত্যিই খুব হতাশার।
খারাপ লেগেছে খেলার শেষে, মনে হয়েছে কিছু কিছু জায়গায় পারফরমেন্স আরেকটু ভালো হলেই বাংলাদেশ জিতে যেত। কিন্তু, এর চেয়ে অনেক খারাপ খেলতেও তো বাংলাদেশকে দেখেছি! এই অনেক ভালো খেলাও তো আমাদের প্রাপ্তি।
বাংলাদেশ আরও ভালো খেলবে, সেই দিনতো আসছে সামনে………
বাংলাদেশ আরও ভালো খেলবে, সেই দিনতো আসছে সামনে………>> আমিও স্বপ্ন দেখি! 😐
আরেকটা অসাধারণ পোস্ট লিখেছো আপু! :huzur:
ধইন্যা ভর্তা পুচকি! 😐
একটা ইম্পর্ট্যাণ্ট পয়েন্ট মিস করছো! পাকিজাত বলা হচ্ছে শাহাদাতকে!
এবং সেটায় শত শত মানুষ লাইক দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছে! 🙁
আর আমরা ক্রিকেটটা এত বেশি বুঝি এই রকম ভাব নেই কেন?
গুছিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ফিনিক্স
কোথায় কোন সাক্ষাৎকারে কী বললো তা নিয়ে সবাই কেন এত হইচই ফেললো বুঝলাম না। আমরা সবাই এত কথা প্যাচাই! 🙁
সম্পুর্ন সহমত! আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা বেশ হুজুগে হয়ে যাচ্ছি! হুজুগের বশে আমাদের সবচেয়ে ভাল কাজটা ছিল মুক্তিযুদ্ধ, এইটা আমার এক বন্ধু বলেছিল! আমরা এতটাই এক্সট্রিমিস্ট এখন, যে মাঝামাঝি কিছু চিন্তা করতে পারি না!
গুছিয়ে বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং অভিবাদন! :beerdrink:
আমরা এতটাই এক্সট্রিমিস্ট এখন, যে মাঝামাঝি কিছু চিন্তা করতে পারি না!>> এই বাক্যটা খট করে বুকে এসে বিঁধলো! কী নির্মম সত্যি!
একেবারে সত্যি বলতে, আমি নিজেও শাহাদাতকে সেরাম ধুয়েছি। তবে, শাহাদাত আমার কাছে মান খুইয়েছে সেই ঐতিহাসিক “শাহরুখ খান ও আফ্রীদি হতে চাই” সাক্ষাতকার দেবার পর থেকেই, আর এবারের বোলিংটা পুরান রাগে উস্কানি দেয়া হয়েছিলো অনেকটা।
কিন্তু আজকে শাহাদাতকে যদি কোনো বৈদেশী কেই দুইটা কথা শুনিয়ে ছাড়ে, আমি কথা দিচ্ছি, তাকে এক হাত দেখে নেবো আমি ! আমার ভাই-ব্রাদারকে আমি যা বলার বলবো, বাইরের কেউ সেখানে নাক গলাবে, এটা সহ্য করবার মতোনা।
তবে, শাহাদাতকে নিয়ে লেবু কচলানিটা আসলেই বেশী হয়ে গিয়েছে।
নাজিমুদ্দীনকে দোষ দেয়ার কিছু আছে বলে আমি মনে করিনা। সে ফিল্ডে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়েছিলো, উইএকেটের ছন্দপতন একটা বিশাল লস, এর চেয়ে একজন আগলে ধরে রাখাও অনেক অনেক কার্যকর। তাই নাজিমুদ্দীনকে কেউ গালাগাল করলে তা অবশ্যই অযৌক্তিক।
সবশেষে, নিজের ভুলটাও স্বীকার করে নিলাম, ফিনিক্স পাখি লিখেছেই এমন, ভুল স্বীকার না করে উপায় নাই। অনেক ধন্যবাদ 🙂
বিনয়ের সাথে নিজের ভুল যে ব্যক্তি স্বীকার করতে পারে, সে নিঃসন্দেহে আমার চোখে পরম শ্রদ্ধার! :huzur:
আপু, আজকে লেখাটা খুঁজে বের করে আবার পড়লাম…
বুঝতেই পারছ, কেন…
এত পুরনো লেখা! তুই জানলি কীভাবে যে আমি এই বিষয়ে লিখেছি! 😯
বহুকাল আগেই পড়েছি। এইটা জানা ছিল যে লেখাটা সরবের। কিন্তু কার তা জানা ছিল না। বের করে দেখি লেখাটা তোমার! 😀