কোমলতাকে অধিকার করতে চেয়েছিলাম বলেই ধরতে চেয়েছি মুঠোভরা জোৎস্না।
কিন্তু দূষিত রক্তের ধারা যেখানে আমার একমাত্র প্রাপ্তি, বিশুদ্ধতা সেখানে অধরাই!
নষ্ট বীজবপনে ক্লান্ত আমি এখন আর তারুণ্যের উদ্দামতায় হারিয়ে যাবার উৎসাহ পাই না!
অন্ধকার রাতের মাঝখানে এক চিলতে আলো এখন আর আমাকে বিমোহিত করে না,
এতটুকু সাহায্য আর যৎসামান্য আলোর জন্যই আমি জোনাকির আশ্রয় চাই!
নিঃসঙ্গতার আশ্রয় ওই ছয় তারের বাদ্যযন্ত্রের ঘুণপোকাগুলোও এখন আমার একাকীত্বের স্বেচ্ছা নির্বাসনের সুযোগ নেয়!
আকাশকে উজ্জ্বল করে তোলা ওই কোমল সৌন্দর্য দেখে এখন আর আমি বিমোহিত হই না,
আঁধার রাতের অবিরত পথ চলার জন্যই চাঁদের দিকে আমার এই অবিরাম তাকিয়ে থাকা!
মৃত্তিকার কাছে থেকে আমি কিছুই সইতে শিখিনি,
তাকে শুধুমাত্র শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবেই জেনেছি!
নিশ্চল স্নিগ্ধ দেবদারু আমাকে ঋজু হতে শেখায় না, শুধুই বিস্ময়ের উদ্রেক করে!
নক্ষত্রদের রূপালী আলো আমাকে আজ আর নির্জনতাকে উপলব্ধি করতে শেখায় না,
আমি শুধুই চেয়ে থাকি, আর সে আমার পথ চলার সঙ্গী হয়ে সঙ্গ দেয়!
সেই আমি, ঘুপচি ঘরের কোণা ছেড়ে অবশেষে আজ দিনের আলোতে বাইরে বেরিয়ে এসেছি, সূর্যের সদম্ভ দীপ্তভরা তেজে আমার চোখ ধাঁধিয়ে যাবে, এ আর এমন বিচিত্র কি!
কাঠফাটা রোদ্দুর যে চোখ পোড়াতে পারেনি, বর্ষার অকূল বর্ষণ যাকে আর্দ্র করতে পারেনি,
বসন্তের মাতাল হাওয়াও যেখানে ব্যর্থ ছিলো উৎসব জাগাতে,
তোমার নির্নিমেষ আকুলতা আজ তাকে ভিজিয়ে দিয়ে গেলো!
আর আমি, রক্ত-মাংশের কাকতাড়ুয়া থেকে আরেকবার মানুষ হলাম!
নির্নিমেষ আকুলতাই পারল তাহলে!
ব্যার্থ > ব্যর্থ
ওহে কবি ও লেখক কোন কোন কবির কবিতা পড়া হয়?
এইগুলা টাইপো না, আমি ল্যাখতে গেলেই কেনু জানি সব কিছু ভুইলা যাই, কালকে রাতে আবিষ্কার করলাম, ব্যাক্তি বানান ভুইলা গেসি! :S
খবর আছে! 🙁
আর লিস্টিটা অফলাইনে দিবো নে! 😛
কবিতা ভালো লেগেছে। চালিয়ে যান 🙂
তা সেটা ভালোই চলছে! 🙂
কবিতা বুঝি না তেমন। বোঝার চেষ্টা করলাম। 😀
বানান বিভ্রাট: রুপালী>রূপালি
ধন্যবাদ, পুরা লেখায় মাত্র দুইটা ভুল! আমি তো জিনিয়াস, ব্যাপক উন্নতি হইসে দেখা যায়! 😀 😀 😀
ভুল সংশোধন কইরা দিলাম!
অদ্ভুত ভালো লাগা……
ধন্যবাদ!
এমনিতেই ছন্দহীন কবিতা আমার মাথার উপ্রে দিয়া যায়। তার উপর দাঁতভাঙা শব্দ! :voypaisi:
বেশ ভালো লেগেছে 😀
ধন্যবাদ! 🙂
“বসন্তের মাতাল হাওয়াও যেখানে ব্যর্থ ছিলো উৎসব জাগাতে,
তোমার নির্নিমেষ আকুলতা আজ তাকে ভিজিয়ে দিয়ে গেলো!
আর আমি, রক্ত-মাংশের কাকতাড়ুয়া থেকে আরেকবার মানুষ হলাম!”
:clappinghands:
হৃদয়টা বড্ড অদ্ভুত…………… 🙂
ভালো লেগে গেলো কথামালা… চলুক……… 🙂