ঘটনাবহুল বান্দরবান ভ্রমণ

নৌকায় বসে থাকা বারো জনের মধ্যে কেবল দুজন সাঁতার জানে। মাঝি বলেছিলো আট জনের বেশী নৌকায় ধরবে না। কিন্তু এরা যে পরিমাণ ঘাড় ত্যাড়া তাতে তারা বারো জনই নৌকায় উঠবেই উঠবে। কি আর করা! মাঝিভাই এক এক জনের শরীরের সাইজ দেখে দেখে জায়গামত বসিয়ে নৌকাটাকে ব্যালেন্স করলেন। কেউ একটু নড়লেই নৌকা এপাশ ওপাশ দুলে ওঠে। ঠিকমতই চলছিলো নৌকাটা। মাঝনদীতে এসে ফাহিমের দুলুনিতে নৌকায় পানি ঢুকতে শুরু করলো। এই বারো জনের কেউই বোধ হয় জীবনে কোনোদিন নোকা কিভাবে ডুবে তা দেখেনি। তাই সবাই হা করে নৌকায় পানি ঢোকা দেখতে লাগলো। কেউ কেউ এপাশ ওপাশ করে নৌকাটাকে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করলো। কিন্তু নাহ! শেষ রক্ষা আর হলো না! পানি বাড়তে বাড়তে নৌকাটা একসময় ডুবেই গেলো। কিন্তু কি আশ্চর্য কেউ ডুবল না!

ডুববে কিভাবে নদীতে যে মাত্র হাঁটু পানি! 😛

এইরকম শ্বাসরুদ্ধকর আর মজার সব সব ঘটনার সাক্ষী হয়ে ঘুরে এলাম বান্দরবান। ট্যুরটা বুয়েটের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ঠিক করা ছিলো। কিন্তু শুরুতে যাওয়াটা কনফার্ম করলো মাত্র চারজন। মানুষ বাড়াতে ফেসবুকে তাই খোলা হলো ইভেন্ট। অনেক দরকষাকষি আর শর্তসাপেক্ষে শেষ পর্যন্ত যাত্রী সংখ্যা হলো ১১ জন। সিএসই ‘০৭ ব্যাচের অভিজয়, ফাহিম, এষা, মুক্তা, মিলু, নাঈম, আমি (আদিল), ইইই ‘০৭ ব্যাচের ইমরান, মাশরুক, সিএসই ‘০৯ এর রিকন আর ইইই ‘০৯ এর কেমি। পরীক্ষার পরের দিন ১৯ তারিখ রাত পৌনে বারটায় এই ‘ওরা এগারো জন’ বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো। 😀

বাসে বসে আমার ঘুমানোর অভ্যাস নেই। তাই সারারাত গান শুনে আর নাঈমের সাথে প্যাচাল পেড়েই কাটিয়ে দিলাম। পরদিন সকাল ৯ টায় আমরা বান্দরবান পৌঁছাই। থ্রি স্টার হোটেলে আগে থেকেই বুকিং দেয়া ছিলো। নাস্তা করে ফ্রেশ হয়ে আমরা বান্দরবান ঘুরতে বের হই। আমাদের সাথে যোগ দিলো চট্রগ্রামে থাকা ফাহিমের বন্ধু সাফাত।

আমাদের মাঝে অভিজয় এবং রিকন চাকমা সম্প্রদায়ের। ওদের বাড়ি রাঙ্গামাটি। আর কেমি মেয়েটার বাড়ি বান্দরবানেই। ও মারমা সম্প্রদায়ের।

প্রথম উদ্দেশ্য শৈলপ্রপাত দেখা। যাওয়ার সময় কেমির উক্তিঃ ‘দেখবেন সাবধান। কোথাও পড়লে পরে লাশও খুজে পাওয়া যাব না’ কেমির কথা শুনে আমরা হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছিলাম না। তবে পুরা ট্যুরে সেটাই ছিলো আমাদের থিম। ‘পড়লে লাশও খুজে পাওয়া যাবে না’।
শৈলপ্রপাত জায়গাটা সুন্দর খোলামেলা। ঝিরির পানি পাথরের উপর দিয়ে একটা জায়গায় নেমে যাচ্ছিলো। একটু ভালো করে পরখ করে দেখতে গিয়ে আমার সানগ্লাসটা ডোবার মধ্যে পড়ে গেলো। এই যা! সানগ্লাস ছাড়া ভাব ধরা ছবি তুলব কিভাবে! 8) তাই সানগ্লাস উদ্ধারে নেমে পড়লাম। এক পা বাড়াতেই সাঁই করে ডোবার পানিতে। 😳 গলা পর্যন্ত জল উঠে গেলো! সাঁতার টাঁতার পারি না। আত্মা দুরু দুরু করতে লাগলো। দূরে কিছু চাকমা ছেলে আমাকে দেখে তো হাসতে হাসতে শেষ। মেজাজ খুবই গরম হলো ওদের উপর। আমাদের টিমের বাকী সবাই তখন অন্যদিকে পানিতে পা ডুবিয়ে গল্পে মশগুল। শেষমেষ ঐ চাকমা ছেলেগুলোই হাসি শেষ করে আমাকে টেনে তুললো। ততক্ষনে আমার মোবাইল দুটোতে পানি ঢুকে সেই দুটো ইন্তেকাল করেছে। এদিকে শৈলপ্রপাতের ছোট পুকুরটায় ডুব মেরে ছবি তুলতে গিয়ে মিলুও তার সানগ্লাসটা জলাঞ্জলি দিলো। 😛

শৈলপ্রপাত থেকে আমরা রওয়ানা দিলাম স্বর্ণমন্দির এর দিকে। সুন্দর সাজানো গোছানো মন্দিরটার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন একজন বুদ্ধ। এমনকি যেসব জিনিস সাধারণ মানুষকে দেখানো হয় না কেমির সৌজন্যে সেগুলোও আমাদের দেখালেন। :happy:

বিকালে আমরা নীলাচল দেখতে বের হলাম। নীলাচলের সূর্যাস্ত দেখতে অনেক পর্যটক আসে। লাল সূর্যটাকে দেখে মনে হচ্ছিলো অনেক বড়,খুব কাছাকাছি। যেন ঢিল মারলেই সূর্যটার গায়ে লাগবে।

নীলাচলের সূর্যাস্ত

অভিজয়ের খালার বাসায় হরিণের মাংস দিয়ে আমরা রাতের সুপার ডুপার খাবার সারলাম। হোটেলে ফিরে বসে গেলাম বাংলাদেশের খেলা দেখতে। বাংলাদেশের ফাইনালে উঠার মুহুর্ত আমাদের ট্যুরটাতে যেন আরো আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিলো। :yahooo:

২১ তারিখ সকালে আমরা বগালেকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। রুমাবাজার যাওয়ার পথে ঘটলো সেই নৌকাডুবির ঘটনা। রুমাবাজার থেকে গাড়িতে করে আমরা একটা দোকানের সামনে এসে নামলাম। এখান থেকে গাড়ির রাস্তাটা অনেক বিপজ্জনক। অনেকজন একসাথে গেলে গাড়ি উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভাগ হয়ে একদল গাড়িতে আরেকদল হেঁটেই রওয়ানা দিলাম। হেঁটে বগালেক পোঁছাতে নাঈম আর ইমরানের ভারী শরীরের উপর বেশ ধকল গেলো। 🙁
পৌঁছেই বগালেকের পানিতে সবাই দিলাম এক গোসল। সন্ধ্যার আকাশটা লাগলো অসাধারণ। পরিষ্কার আকাশে এত তারা জ্বলজ্বল করছে যে হাতে গোনার উপায় নেই। ফাহিমের গীটার আর সাফাতের গানের সুরে আমরা হারিয়ে গেলাম অন্য জগতে। :guiter:

রাতে আকাশের দিকে তাকাতেই দেখলাম একটা তারা ঠাস করে নিচে পড়ে হাওয়া হয়ে গেলো। জীবনে যেই তারাখসা কখনো দেখিনি তাও এই ট্যুরে দেখতে পেলাম। :yahooo:

পরেরদিন ২২ তারিখ সকাল ৬ টায় আমরা নয় জন কিওক্রাডং জয় করতে বেরিয়ে পড়লাম। নাঈম আর ইমরানের জন্য পাহাড় বাওয়াটা অনেক কষ্টকর ছিলো। আর মাশরুকের পা একটু মচকানো ছিলো। শুরুতে যেইরকম উৎসাহ নিয়ে আমরা বেরিয়েছিলাম পাহাড়ে উঠার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই তা উবে গেলো। 😡
মুসা ইব্রাহিমের প্রতি সম্মান জাগতে লাগলো। আধা ঘন্টার মধ্যে সবাই কাত হয়ে পড়লাম। এদিকে পাহাড়ি হওয়ায় রিকন আর অভিজয় তো তিড়িং বিড়িং করে উপরে উঠে যায়। হঠাৎ আমাদের মনে পড়লো নাঈমের কেনা অদ্ভূত পাউরুটি গুলোর কথা। প্যাকেট থেকে বের করে সবাই পিঁপড়া সহ খাওয়া শুরু করলাম। খাওয়া পেটে পড়তেই সবাই যেনো Fully Charged! 😛 বিশ্রাম নিতে নিতে, আড্ডা দিতে দিতে, ছবি তুলতে তুলতে প্রায় ঘন্টা চারেক পর আমরা কিওক্রাডং এর চূড়ায় উঠতে সক্ষম হলাম।

কিওক্রাডং জয়ের পথে

কিওক্রাডং এ দুপুরের খাবার শেষ করে আমরা রওয়ানা দিলাম জাদিপাই ঝর্ণা দেখতে। হোটেলের লোকটা বলেছিলো পনেরো মিনিটের পথ। কিন্তু আমরা দেড় ঘন্টা ধরে হাঁটছি তো হাঁটছি। ঝর্ণার কোনো নামগন্ধ নেই। 🙁 হাঁটতে হাঁটতে এমন একটা জায়গার সম্মুখীন হলাম যেখানে পা পিছলালেই একদম গভীর খাদে। রাস্তা সোজা নিচে নেমে গেছে। কিন্তু আগেই তো বলেছি এদের সবাই ঘাড় ত্যাড়া। জাদিপাই যাবেই যাবে। একজন একজন করে সবাই নিচে নামছি। হঠাৎ শুনি কেমির চিৎকার। 😯
পিছন ফিরে তাকাতেই দেখি গড়িয়ে পড়তে গিয়ে কেমি কোনোরকমে দুটো মাঝারি সাইজের গাছ আঁকড়ে ধরেছে। অভিজয় দৌড়ে গিয়ে তাকে টেনে তুললো। মেয়েটা তখন ভয়ে অস্থির। বাকী পথটুকু অভিজয় তাকে এক পা এক পা করে নিয়ে গেলো।
জাদিপাই ঝর্ণা দেখে আর কে কারে পায়। সবাই ঝর্ণার পানিতে দাও ডুব। এতটুকু আসার কষ্টটা যে সার্থক হয়েছে সেটা বুঝতে আর কারো বাকী রইলো না। ঝর্ণার স্বচ্ছ ঠান্ডা পানি দিয়ে সবাই তৃষ্ণা নিবারণ করলাম। 😀

জাদিপাই ঝর্ণা

জাদিপাই থেকে সেদিন আমরা আর কিওক্রাডং এ ফেরত আসতে পারলাম না, বগালেক তো দূরের কথা। সবাই প্রচন্ড রকম ক্লান্ত। পানির ওভাবে আমার প্রাণ তো প্রায় ওষ্ঠাগত। :crying:
তাই সিদ্ধান্ত হলো ওখানে একটা পাড়ায় থেকে যাওয়ার। আমাদেরকে যথেষ্ট আপ্যায়ন করলো তারা। রাতটা কাটিয়ে পরদিন সকালে আমরা বগালেকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।

আমরা কজন

পথে কিওক্রাডং পৌঁছে একটু বিশ্রাম নিলাম। আর সেখানের বসার ছাউনিটাতে লিখে আসলাম আমাদের নয় জনের নাম। 😀
বগালেক পৌঁছে আবার দিলাম লেকের পানিতে ডুব। এইবার লাইফ জ্যাকেট সহ। :happy: সাঁতার কাটার মজাই আলাদা। এমনকি মাশরুকও তার ভাঙ্গা পা টা নিয়ে লেকের পানিতে দাপাদাপি করলো। 😀

বগালেক

রাতে খাওয়া দাওয়ার পর হলো ধুম ধাড়াক্কা কার্ড খেলা। এতজন মানুষ কিন্তু কার্ড মাত্র দুই সেট। ২৯ খেলা তো আর সম্ভব নয়! :thinking: শুরু করলাম ব্লাফিং খেলা। খেলাটা অনেক কাল আগে শিখিয়ে দেয়ার জন্য বন্ধু শাহীনকে অনেক ধন্যবাদ। অভিজয়ের মাত্রাতিরিক্ত ধান্দাবাজিতে আর কেমির সরলতায় খেলাটা পড়ে গেলো ইনফাইনাইট লুপে! 😳 পরে অভিজয়কে বাদ দিয়ে এগারো জন মিলে দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ কয়েকটা রাউন্ড খেললাম। :happy:

পরদিন সকালে গাড়িতে করে রুমাবাজার রওয়ানা দিলাম। আবারো সেই নৌকা ভ্রমণ। তবে এবার দুটো নৌকা ভাড়া করেছিলাম। [বহুত হয়েছে,আর ডুবতে চাই না] রুমাবাজার থেকে বান্দরবান শহরে পৌঁছাতে একটা চাইনিজ হোটেলে সেইরকম পেটপূজা করলাম।

কেমিকে সেখানেই বিদায় দিলাম। ওকে বিদায় দিতে সবারই কষ্ট হচ্ছিলো। 🙁 কারণ সারাটা পথ এই মেয়েটাই পক পক করে আমাদের মাতিয়ে রাখছিলো। মাঝখানে বিদায় নিলো সাফাত। মিলু আর ইমরানের তখনো অনেক তেল বাকী। তাই তারা অভিজয় আর রিকন এর সাথে রাঙ্গামাটি রওয়ানা দিলো। ফাহিম, এষা, মুক্তা, নাইম, মাশরুক আর আমি ধরলাম ঢাকার বাস। ফাহিম মাঝাপথে নেমে গেলো তার বাড়ি চট্রগ্রাম আর আমরা পাঁচজন দীর্ঘ বাস ভ্রমণ শেষে যে যে যার যার বাসস্থানে ফিরলাম।

অনেক ছবি হয়ত তুলে এনেছি। কিন্তু জানি সেগুলো দেখে মন ভরবে না। আমাদের এই দেশটা এত সুন্দর যে ছবি কিংবা ভিডিও দেখে তা বোঝার উপায় নেই। কবির সাথেই বলতে চাই,
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি…

অদ্ভুত ছেলে সম্পর্কে

"অদ্ভুত সেই ছেলেটি আবার শুরু করল হাঁটা.. হাতে তার অ্যাকুয়স্টিক পকেটে হারমোনিকা..."
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে বিবিধ-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

19 Responses to ঘটনাবহুল বান্দরবান ভ্রমণ

  1. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    আদিল এর লেখার হাত দেখি দারুণ!

    কয়েকটা ছবি দিতা! দারুণ ঝরঝরে লেখা।

    আমি এখনও যাই নাই :crying:

  2. অদ্ভুত ছেলে বলেছেনঃ

    কিছু ছবি অ্যাড করে দিচ্ছি।

    এখনো যান নাই! পুরা মিস!

  3. নিবিড় বলেছেনঃ

    মনে হল আমিও আপনাদের সাথে এতক্ষণ ছিলাম, লিখা খুব ই ভালো হয়েছে, ছবির অপেক্ষায় থাকলাম, :clappinghands:

  4. অদ্ভুত ছেলে বলেছেনঃ

    ধন্যবাদ। :happy:
    ছবিগুল সাইজ করে শ্রীঘ্রই আপলোড করবো ইনশাল্লাহ!

  5. খেয়ালী কিশোর বলেছেনঃ

    শঙ্খ নদীতে হাঁটু পানি! বিশ্বাস করা কঠিন :thinking: কিনারার কাছাকাছি ছিলেন নাকি? আমি অবশ্য এই মৌসুমে কখনো যাই নাই, কেবল বর্ষাতেই পাহাড় তারা সৌন্দর্য্যকে পুরোপুরি মেলে ধরে। বগালেক কি এখন সরাসরি চাঁদের গাড়ি যায় ?
    লেখা ভাল্লাছে, ছবি দিলে আরো ভালু পাইতাম 😀

  6. সামিরা বলেছেনঃ

    “ডুববে কিভাবে নদীতে যে মাত্র হাঁটু পানি!” হাহাহা 😀
    অনেক ভাল লাগছে লেখা, আমি যে কবে যাব!

  7. অদ্ভুত ছেলে বলেছেনঃ

    সময় পাইলেই যেয়ে আসবা। না গেলে বিশাল মিস!

  8. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    প্রথমে তো ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম পড়ে। পরে দেখি ছেলেটা ব্লাফ দেয় 😛

    এখন বান্দরবন যাওয়া হলো না, কবে যে যেতে পারবো……

    আরো কিছু ছবি দিলে আরো ভালো লাগতো ।

  9. অদ্ভুত ছেলে বলেছেনঃ

    যত তাড়াতাড়ি পারেন যেয়ে আসবেন। তবে অবশ্যই বর্ষাকালে 😀

  10. Nayeem বলেছেনঃ

    আদিলের বাচ্চামোমার্কা লেখা পড়ে বেশ মজা লাগলো। কিওক্রাডংতাকে মিস করলাম, আর মিস করলাম মেঘ। এর পরের বার বর্ষাকালে আসব ইনশাল্লাহ 😀

  11. ফাহাদ বলেছেনঃ

    মামা…চরম লিখছিস…………যাই হোক তুই যে বান্দরবন থেকে ঢাকাতে সহীহসালাহমতে ফিরা আইছস এতেই আমি অনেক খুশি…………:)

  12. অনাবিল বলেছেনঃ

    কবে যে যাবো………… 🙁

    হিংসিত হয়ে গেলুম ভ্রমণবর্ণনা পড়ে……… 🙂

  13. জাকারিয়া বলেছেনঃ

    সিয়াম দি বা লারামের নাম্বার টা কি যোগাড় করে দেয়া যায়। এই মাসে যাব!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।