“In a global marketplace, a company that has been very successful in its local market may suddenly find itself facing competition from halfway…” মৃদু শব্দে বইয়ের লাইনগুলো বারবার পড়ে যাচ্ছে অপরাজিতা। রাত পৌনে ৩ টা। গুলশান আবাসিক এলাকা। সমস্ত ঢাকাই প্রায় নিস্তব্ধ।কি মনে করে বইটা বন্ধ করে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো অপরাজিতা।
বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি হাত বাড়িয়ে ধরতে যায় সে। কিন্তু হঠাত ই হাত থেমে যায়। আম্মু বলেছে এই সময়ের বৃষ্টি নাকি অনেক খারাপ। গায়ে লাগলেই জ্বর এসে যায়। তখন আবার আরেক সমস্যা। একবার স্কুল থেকে বাসায় আসার সময় একটু বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিল। সেবার কি হুলস্থূল কাণ্ডটাই না হল। ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটেই আম্মু ডাক্তার ডেকে, ঔষধ খাইয়ে অস্থির।
মাঝে মাঝে এইসব আদিখ্যেতা অসহ্য লাগে তার। মনে হয়, এই পৃথিবীতে কি তার একটা সহজ সরল জীবন পার করার অধিকার নেই? মাত্র কলেজে পা দিয়েছে সে। যতই বড় হচ্ছে ততই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে জীবন।জানালার পাশে বসে ভাবতে লাগলো সে, কত স্বপ্নই না ছিল তার চোখে। ছোটবেলা থেকে ভেবেই রেখেছিল বড় হয়ে জীববিজ্ঞানী হবে। পুরো বিশ্ব জুড়ে হাজারও প্রানের সমাবেশ। কেউ ক্ষুদ্র,নগণ্য আর কেউ অপার,বিশাল। এদের দেখে সে ভাবত যে সারা জীবন এই জীবকুলের অসীম সৌন্দর্যের মাঝেই পার করে দিতে পারবে সে। কিন্তু বাবা-মা টা চাইলেন না। “বায়োলজিস্ট!! হতেই পারে না। এই প্রতিযোগিতার বিশ্বে কেউ ফিরেও তাকাবেনা তোমার দিকে। ব্যবসায় শিক্ষা পড়। জীবনের কোন ইচ্ছাই অপূর্ণ থাকবেনা।” তাই ইচ্ছা সত্ত্বেও বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পারল না সে।
আজকাল জীবন কত জটিল। ক্লাস, প্রাইভেট, বাসায় পড়া,অ্যাসাইনমেন্ট করতে করতে জীবনটাকেই যান্ত্রিক করে ফেলেছে সে। আগে গান শিখত, আবৃত্তি করত, স্কুলে বিতর্কও করেছে। কিন্তু এখন পড়ার চাপে কিছুই করা হয়ে ওঠে না। চারিদিকে একটা অদৃশ্য দেয়াল। সেই দেয়ালের ভেতর গোলকধাঁধা। এই ধাঁধা পার হওয়ার জন্য সবাই ব্যতিব্যাস্ত। যে যত বেশিদূর যেতে পারবে সেই জয়ী। প্রয়োজনে আরেকজনকে ধাক্কা মেরে অন্ধকারে ফেলে রাখতেও দ্বিধা করেনা কেউ। সবাই ভালো থাকার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কেন এই প্রতিযোগিতা? জীবনটা কি আরেকটু সহজ হতে পারত না? নিজেরা মিলেই কত জটিল করে দিলাম জীবনটাকে। সব কাজেই আমরা আজকাল স্বার্থ খুঁজি। যে কাজ করে কোন লাভ নেই সে কাজ কেন করতে যাব? কি হবে একদিন একজন বন্ধুকে ‘শুভ জন্মদিন’ না বললে? রাস্তায় পরিচিত কাউকে দেখেও না দেখার ভান করলে কি বিশেষ কোন ক্ষতি হচ্ছে?
-“কি হল? খারাপ লাগছে? পড়তে না ইচ্ছা করলে শুয়ে পর।” মায়ের কথায় হঠাত চমকে উঠলো অপরাজিতা।
-‘না এমনি একটু বসে ছিলাম।’ বলে টেবিলের দিকে গেলো।
আর কেবল একটা কথাই ভাবতে লাগলো, সারভাইভাল অফ দা ফিটেস্ট…সারভাইভাল অফ দা ফিটেস্ট…সারভাইভাল অফ দা ফিটেস্ট…
“নিজেরা মিলেই কত জটিল করে দিলাম জীবনটাকে।” 🙁
🙁
নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করাটা যেন দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজ 🙁
সত্য কথা।
🙁
কি হবে একদিন একজন বন্ধুকে ‘শুভ জন্মদিন’ না বললে? রাস্তায় পরিচিত কাউকে দেখেও না দেখার ভান করলে কি বিশেষ কোন ক্ষতি হচ্ছে?
ভালোই আছি আমরা!
মানুষগুলো যন্ত্র যেন!
ভালোই আছি আমরা!
মানুষগুলো যন্ত্র যেন!
কি নির্মম সত্য! 😳
একটু খাপ ছাড়া হয়ে গেল না লেখাটা? আরো ভালো লেখা চাই। চিন্তা ভাবনা গুলোকে আর একটু গুছিয়ে লিখলে মনে হয় ভালো হয়।
চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইনশা-আল্লাহ সামনে আরও ভালো লেখা লিখব।
😀 😀
ভালো লাগল লেখাটা 🙂
ধন্যবাদ ভাইয়া :happy:
খারাপ লাগেনি।
ধইন্যাপাতা :happy:
যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে সবকিছু……………… 🙁
আসলেই 🙁
জীবনটাকে জটিল না বানালে কেন জানি আমাদের হয়ে ওঠেনা।
আমরা অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি, নিজের থেকেও বুঝি আস্তে আস্তে দূরে চলে যাচ্ছি দিনদিন…… 🙁
লেখাটা পড়তে ভালো লাগছিলো । হঠাৎ শেষ হয়ে গেলো……
কেমন যন্ত্রের মত জীবন হয়ে গেছে আমাদের……নিজের মনের মতো চলতে পারলে কতো ভালো হতো………