পেশা- চলচ্চিত্র নির্মাণ, নেশা- মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, ইতিহাসকে সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে, বাংলা সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে জীবদ্দশায় যুদ্ধ করেছেন অবিরাম। বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম সেই যোদ্ধা- তারেক মাসুদ। সদা- হাস্যোজ্জ্বল, স্বপ্নালু দুটি চোখ। সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে গুটিকয়েক বাঙ্গালির মধ্যে তিনি একজন, ‘কান’ চলচ্চিত্রেও যাঁর পদচারণা! সিনেমা ফেরী করে নিয়ে বেড়িয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
সেই প্রিয় ‘সিনেমার ফেরীওয়ালা’, প্রিয় যোদ্ধা আজ শুধুই একটি নাম, একটি নক্ষত্র!
ঘাতক বাস যে অকালেই কেড়ে নিল তাঁকে, শূণ্য করে দিল বাংলা সংস্কৃতির একটি অপূরণীয় আসন!
তবে, শুধু একজন তারেক মাসুদকে না, আমরা প্রতিনিয়তই এরকম সড়ক দুর্ঘটনায় হারাই সেসব মানুষদের যারা মানুষের কথা, মানবতার কথা তুলে আনতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ছুটে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে। আমরা হারাই মিশুক মুনীরদের। আমরা হারাই এদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের, এমন হাজারো আপনজনদের। টিভি/ পত্রিকা খুললেই কেবল অকালমৃত্যুর খবর!
এসব দুর্ঘটনার কারণ কি, প্রতিকার কি- তা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা আছে কি?
মাথা ব্যথা আছে হয়তো- তবে সমাধানের না, দোষারোপের।
আমরা দোষ দেই সরকারকে- “যা রাস্তা-ঘাট! সরকার তো এগুলা ঠিকও করে না”/ “ড্রাইভাররা যে কি বেপরোয়া! সরকার যে কীভাবে এদের লাইসেন্স দেয়?”
অতঃপর, সরকার দোষ দেয় বিরোধী দলকে- “বিগত সরকার যে দুর্নীতি করে গেছে তার ফলেই তো- রাস্তাঘাটের এমন বেহাল দশা, লাইসেন্সড ড্রাইভাররা এমন বেপরোয়া!”
আর বিরোধী দল প্রত্যুত্তরে আন্দোলনে নামে- “এই দুর্ঘটনার প্রতিবাদে রাজপুত্রের নামে মিথ্যা মামলা পরিহারের জন্য আগামী অমুক তারিখে আমরা মহাসমাবেশের আয়োজন করেছি!”
(হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতেও অন্ধ!)
খোলা চোখেও যারা অন্ধ, সেই অন্ধত্বের কোন প্রতিকার নেই।
কিন্তু, আর কতো? আর কতোকাল এই অন্ধত্ব বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে? আর কতোকাল এভাবে শুধু দোষাদোষী চলবেই, জনগণ মরবেই?
আর কতোগুলো প্রাণের বিনিময়ে সরকারের টনক নড়বে? আর কটা দুর্ঘটনার বিনিময়ে আমরা নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ জীবন পাবো?
অল্প কথায় অনেক বলা!
দারুণ! :dhisya:
প্রজ্ঞার হাতে বারুদ আছে!
সোঁদা বারুদ। জ্বলে উঠতে পারে না! :angel_not:
:dhisya:
আর কতোগুলো প্রাণের বিনিময়ে সরকারের টনক নড়বে? আর কটা দুর্ঘটনার বিনিময়ে আমরা নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ জীবন পাবো?
এই প্রশ্নের জবাব চাই
প্রশ্ন তো অনেক ভাইয়া। কিন্তু, জবাব দেবার কেউ নেই!
ইতিবাচক প্রশ্ন। সমাধানের প্রত্যাশী। এখনো স্বপ্ন দেখি।
স্বপ্ন দেখবো বলেই তো স্বপ্ন উড়াই সরব উদ্ভাসে!
🙂
শিরোনাম দেখে সুকুমার রায় এর একটা সংস্করণ হবে বলে ভেবেছিলাম। লিখেছেন ভালো। একদম সোজা প্রশ্নটা করেছেন ভাই প্রজ্ঞা। কিন্তু যাদের কাছে এই সোজা প্রশ্ন তারা এটাকে এমন জটিল করার প্রজ্ঞা যে কোথা থেকে পান তা বুঝি না।
তাদের প্রজ্ঞা আছে, তাই তারা জটিল করতে পারেন। প্রকৃতার্থে তো আপনার, আমার মতো সাধারণ মানুষই প্রজ্ঞাহীন! এমন প্রশ্নের উত্তর পাবো না জেনেও করি! 🙁
সহমত
প্রশ্নটার উত্তর যেটা জানি সেটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না! নতুন একটা উত্তর যদি কেউ দিতো…… 😐
নতুন উত্তর?! কেউ দেবে না ভাইয়া! কেউ না! 🙁
আমার মনে আছে, বসুন্ধরায় যখন আগুন লেগেছে যানা গেল ফায়ার সার্ভিসের করুণ হাল! তার আগে কার টনক নরে নি। আর সরক! এখানে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দূর্ঘটনা হচ্ছে। এমন কোন রাস্তা নেই যেটা স্বাভাবিক আর ভাল। সব রাস্তাই ভাঙ্গা কিংবা ভাঙ্গা হচ্ছে। এই ঢাকাতেই তো আমি কোন ভালো রাস্তা দেখিনা।
আমাদের দেশের মন্ত্রীবর্গ! কি আর বলব? নিজের বাড়ির সামনের রাস্তাই ঠিক করেন না! সারা দেশের উন্নতি আর কি করবেন?! 🙁
*জানা
*নড়ে
দুঃখিত বানান ভুল 🙁
আয়হায় আপু! করেছেন কি? সরবের বানান-স্বর দেখলে খবর ছিল! 😛 (এট্টু ভয় পাওয়ালাম আর কি!)