এক টুকরো মেঘে রোদ্দুরের ঝিলিক দেখতে চান কি?

এক টুকরো মেঘ ছুয়ে রোদ্দুরালোকিত হতে চেয়েছিলো মেয়েটি। আর দশজন মানুষের মতোন স্বাভাবিক একটি জীবন যাপন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু সামাজিক প্রতিবন্ধকতাই যেনো তার জীবনের নির্মম অভিশাপ হয়ে দাড়ালো!
পারিবারিক অসচেতনতার কারণেই সামাজিক প্রতিবন্ধকতাগুলো আমাদের ভিন্নভাবে সক্ষম অথবা বিকল্পদক্ষ ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে বাধা প্রধান করে। বাংলাদেশের এই সমস্ত ভিন্নভাবে সক্ষম তথা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনচিত্র তুলে ধরার জন্যে বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এডভোকেসি নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান) এর ছোট্ট একটি প্রয়াস ৭ মিনিটের শর্ট ফিল্ম    “এক টুকরো মেঘ”

আমার অনেক দিনের স্বপ্ন সচেতনতা সৃষ্টিতে এমন কিছু কাজ করা। অনেককেই আমি অনুরোধ করে করে ক্লান্ত হয়ে ভাবলাম নিজেই উদ্দ্যেগ নেই। সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই তবুও খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলাম আন্তরিক কয়েকজনের মানুষের দেখা…

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বি-স্ক্যানের আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের অগুনতি হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের ছোট ছোট সমস্যাগুলো বাড়তে বাড়তে দিনে দিনে কিভাবে তা একেকটি মানুষের জীবনকে থামিয়ে দেয় -তা তুলে আনার সামান্য একটুখানি প্রচেষ্টা ছিলো চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দ্যমী এই তরুণদের মধ্যে। …হয়তো ভালো ক্যামেরা ছিলো না। প্রফেশনাল এডিটিং বা সাউন্ড ব্যবহৃত হয়নি…হয়তো আরো অনেক ভালো কিছু করা যেতো সাধ্য থাকলে। কিন্তু আন্তরিকতার কমতি ছিলো না আমাদের কারুর মধ্যে। স্বল্প সময়ে অনেক ভুল ত্রুটির মধ্যেও আমরা সবাই মিলে আমাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি শুধু মাত্র সাধারণের মনে একটু নাড়া দিতে। সবাই যেনো একটু হলেও ভাবেন তাদেরই দেশে এমন অসংখ্য মানুষ দিনের পর দিন খাচায় বন্দী পাখির মতোন অসহনীয় এক তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে। এভাবেই মেনে নিয়ে এবং মানিয়ে নিয়ে জীবন পার করে দিচ্ছে…

আপনাদের ইউটিউব ভিডিওটি দেখার বিনীত অনুরোধ করছি। ভালো লাগলে এই কাজটি ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি দিক থেকে দিকে… এর মাধ্যমে সমাজে সামান্য সচেতনতা তৈরি করতে পারলেও আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।
আমাদের বিশ্বাস সাধারণ মানুষ একদিন সচেতন হয়ে উঠবে এবং ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষেরা সব বাধা পেরিয়ে খোলা আকাশের নিচে স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগ করতে পারবে…এক টুকরো মেঘে রোদ্দুরের ঝিলিক দেখা যাবেই।
এই শর্ট ফিল্ম   টি তৈরিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বি-স্ক্যানকে সব ধরণের সহযোগীতা দিয়েছে চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি। আমরা কৃতজ্ঞ তাদের এই আন্তরিক প্রচেষ্টায়!

সাবরিনা সুলতানা সম্পর্কে

“আমার কতো দাবি! কতো চাহিদা! কিছুই পাইনা। যেদিকে হাত বাড়াই সেদিকে অন্ধকার। সব জায়গায় নিয়ন্ত্রণ। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ। প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণ। সব নিয়ন্ত্রণে আমি বাঁধা আর গুমরে গুমরে কাঁদে আমার আশা আকাঙ্ক্ষা। ভালোবাসা!”
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে ইতিবাচক, উদ্যোগ, চিন্তাভাবনা, সচেতনতা-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

14 Responses to এক টুকরো মেঘে রোদ্দুরের ঝিলিক দেখতে চান কি?

  1. অনাবিল বলেছেনঃ

    ভিডিওটা ডাউনলোড করছি…………

    শুভকামনা নিরন্তর………এক টুকরো মেঘে রোদ্দুরের ঝিলিক দেখা যাব………।বিশ্বাস সবসময়ে……………।

  2. অদ্ভুত ছেলে বলেছেনঃ

    সুন্দর শর্টফিল্ম । ভালো লেগেছে 🙂

  3. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    আন্তরিক শুভকামনা ভিন্নভাবে সক্ষম সবার জন্য……আশা করি একদিন তাঁরাও সবার মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করার সব সুবিধা পাবেন।
    ভিডিও ডাউনলোডে দিচ্ছি ……

  4. মাহি বলেছেনঃ

    আমাদের এই সুন্দর প্রত্যাশা আর স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকুক … প্রচেষ্টা সফল হোক …!

    শুভকামনা জানাই … 😀

  5. সামিরা বলেছেনঃ

    হ্যাঁ, চাই। 🙂
    আপনাদের জন্য শুভকামনা আপু।
    দেখছি শর্ট-ফিল্মটা।

    বানান-বিভ্রাট:
    ছুয়ে>ছুঁয়ে
    উদ্দ্যমী>উদ্যমী

  6. বাবুনি সুপ্তি বলেছেনঃ

    শুভ কামনা আপু। এত সুন্দর সব কাজ করছেন আপনারা। খুবই ভাল লাগছে। আমি কাজ করতে পারছি না কোন ভেবেও আফসোস হয় খুব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।