আমাদের সমাজের বিবেক, মুক্তমনা, সুশীল ও অতিরিক্ত জ্ঞানী ভাই-বোনেরা যখন নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন, আমার মনেই হয়না তারা নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছেন! আমার মনে হয়, তারা যৌন স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছেন, আরও স্পেসিফিকেলী বলতে রাইটস ফর ভ্যাজাইনা ! কথাগুলো রুড, তাও বলি! কথায় কথায় তারা পশ্চিমা, উন্নত দেশ গুলোর উদাহরণ টানেন! কিন্তু কলা খেতে হলে ছিলকা পুরোটাই ছিলা লাগে। অর্ধেক ছিলে খাওয়াটা হাস্যকর, পশ্চিমা, বিশেষ করে ইউএসএ তে টিনেজ প্রেগন্যান্সির ব্যাপারে কোনো ধারণা আছে তাদের?
( বড় করে দেখতে – http://i.imgur.com/0IvgY.png )
এগুলো তো শুধু তথ্য কিংবা স্ট্যাটিস্টিক্স, এবার আরেকটু গভীরে যদি যাই, তাহলে যে চিত্র দেখা যায়, তা হলো –
# 4 in 10 girls become pregnant at least once before age 2০
# Each year 1 million teen girls < age 20 become pregnant and a half million give birth
# Every hour, 100 teen girls get pregnant and 55 give birth
# 1 in 4 teen parents has a second child within 24 months
# Two thirds of the fathers are teenagers themselves
– Rima Himelstein, M.D., is a Crozer-Keystone Health System pediatrician and adolescent medicine specialist.
( ড. রিমা হিমেস্টাইন সম্পর্কে জানতে, তার ফোন ও এড্রেস, তার শিখাগত যোগ্যতা, সম্মাননা সব কিছু পাবেন এখানে। http://www.healthgrades.com/physician/dr-rima-himelstein-2wnnw । এছাড়াও ইউটিউবে পেতে পারেন তার বেশ কিছু লেকচার)
বিশ্বের সবচাইতে পিউর ডেমোক্রেটিক দেশ, স্বপ্নের দেশ আমেরিকা, যারা কিনা দুধের বাচ্চাকেও প্রোপার সেক্স এডুকেশন এ দীক্ষিত করতে ব্যস্ত, তারা দেখি এখন টিনেজ প্রেগন্যান্সি নিয়ে মাথার চুল ছিঁড়ে ফেল্বার উপক্রম! এতো সেক্স এডুকেশন নিয়ে লাফায়, কিন্তু আমরা যে সামাজিক মুল্যবোধ এ বিশ্বাস করি, সংস্কৃতির আবহে বড় হয়ে উঠাতে বিশ্বাস করি, তার অভাবে তাদের অবস্থা অনেকটা এরকম, টিনেজারেরা বলে –
” Teen pregnancy looks so much cooler on Mtv. you guys are a drag man”
উল্লেখ্য, বিকৃত মস্তিষ্কের ফলপ্রসুত চলমান একটি আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল, এমটিভি, গত ৩ বছর যাবত একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে যার নাম 16 & pregnant। এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিলো অতি মহান, ছিলো বলছি, কারণ উদ্দেশ্য ছিলো টিনেজ মেয়েদের প্রেগন্যান্ট হতে গিয়ে কতো ঝক্কি পোহানো লেগেছে, কিন্তু ফল হয়েছে উলটা! দর্শকদের মাঝে টার্গেটেড শ্রেনী, অর্থাৎ টিনেজ ছেলে-মেয়েরা আরও আসক্ত হয়ে গেলো এই অনুষ্ঠানের প্রতি কিইংবা টিনেজ বয়সে প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রতি !
এ সম্পর্কিত বেশ কিছু কমেন্ট দেখলাম, যেখানেই টিন প্রেগন্যান্সি নিয়ে কোনো আর্টিকেল দেখেছি।
সামুতেই এক মুক্তমনা, সুশীল বড় ভাইয়ের পোস্টে একটা কথা পড়েছিলাম, যেটকা আমি জীবনেও ভুলবোনা,
“ সাড়ে সাত ইঞ্চি কাপড়ে সুন্দর দেহবল্লরীর নারী অবশ্যই আকর্ষণীয়া। বিবর্তনে নারীর সৌন্দর্যের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। প্রজননের মাধ্যমে বংশগতি চলমান রাখতে নারী পুরুষের পারষ্পরিক শারিরীক আকর্ষণের ভুমিকা মুখ্য।“
অবশ্যই ভাই, আপনি একেবারে ১০০% সত্যি বলেছেন, তবে একটা কথা কি, ৮-১০ বছরের বোরকা পরা মেয়েরাও না রেইপড হয়, তাদের না যৌনলিপ্ত করবার জন্য নিজেকে হাই ক্লাস নিশিকন্যা সাজতে হয়না ! নারী-পুরুষের পারস্পরিক শারীরিক আকর্ষনের জন্য যে সাড়ে সাত ইঞ্চি কাপড় প্রয়োজনীয়, তা কিভাবে প্রমান করবেন? আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে, যেখানে নারী পুরুষ কাপড়ের মর্যাদা এখনও বুঝেনি, তারা সাড়ে সাত ইঞ্চি কাপড় ছাড়াই যেমন প্রজননে অংশ নেয়, ঠিক একইভাবে একেবারে কাঠ মোল্লা ও তাদের বিবিও বোরকার উপরে পারলে লেপ গায়ে দিয়েও প্রজননে অংশ নেয়। আর প্রজননে যে শারীরিক আকর্ষন মুখ্য ব্যাপার সেটা টিনেজ প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রেও মুখ্য ব্যাপার।
কথা হলো, টিনেজ প্রেগন্যান্সিতে সমস্যা কোথায়?
১) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্য এই যে, টিনেজ কোনো মেয়ে প্রেগন্যান্ট হওয়া মাত্র তার পরিবার এবং তার সেক্সুয়াল পার্টনার তাকে ত্যাগ করে, আর পরিবার ত্যাগ না করলেও অন্তত সহযোগীতা করতে চায় না। সে ক্ষেত্রে জন্মপুর্ব বা প্রিনেটাল কেয়ারের অভাবে তার মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ধরেন, নিউরাল টিউব ডিফেক্ট।
২) টিনেজ প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্বাভাবিক শারীরিক সমস্যাটির নাম হলো হাই প্রেশার। আর এই হাই প্রেশার ও মুত্রে উপস্থিত অতিরিক্ত প্রোটিন এর কারণে উদ্ভুত মারাত্মক যে রোগটি দেখা দেয়, তা হলো প্রিক্ল্যাম্পশিয়া। এর ফলে প্রি-ম্যাচিউর বার্থ এর মতো আরও বড় ধরণের সমস্যা দেখা দেয়।
৩) কম ওজনের বাচ্চা প্রসব খুবি স্বাভাবিক এ ক্ষেত্রে। আর, একটি বাচ্চা স্বাভাবিকের থেকো অত্যন্ত কম ওজন নিয়ে জন্মানো যে বিপদজনক, তা যে কেউ বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
৪) এছাড়াও এনিমিয়া হবার আশংকা খুবি উচ্চ।
আসল কথা হলো, টিনেজ প্রেগন্যান্সি কখনোই স্বাভাবিক তো নয়ই, কোনো প্রকারেই উতসাহ দেবার মতো কোনো উপলক্ষ্য নয়। তবে, টিভি চ্যানেলের ব্যবসা বলে কথা, তারা চাইলে মরা মানুষ কবর থেকে উঠিয়েও ব্যবসা ফাঁদতে পারে, তাদের কাছে এটা কোনো ব্যাপার না।
সেক্স এডুকেশন তখনই স্বার্থক হবে, যখন তা ছাত্র-ছাত্রীকে বুঝাতে সক্ষম হবে যে এটা ভাত খাওয়া, বাথরুম করার মতোই কোনো স্বাভাবিক কর্ম না। সেক্স এডুকেশন মানে শুধুই কনডম আর কন্ট্রাসেপ্টিভ এর ব্যবহার সম্পর্কে জানানো নয়, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সাথেও তার মেলবন্ধন থাকা লাগবে। অবাধ সেক্স কিংবা সেক্স রাইটস কোনো আধুনিকতার উদাহরণ নয়, প্রস্তর যুগের আগেও মানুষ তাই করতো !
জানি, এটা কোনো রেফারেন্স হতে পারেনা, তবুও বহুদিন আমেরিকা কাটিয়ে একজন প্রবাসী বাঙ্গালী (হুমায়ূন আহমেদ স্যার) এর লেখা “মে ফ্লাওয়ার” বই থেকে কয়েকটি লাইন তুলে দিচ্ছিঃ
“ শিশুটির বয়স বার পার হওয়ামাত্র স্কুল থেকে তাকে জন্ম নিয়ন্ত্রনের সাজসঅরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে। এটি নতুন হয়েছে, যাতে যৌন রোগে আক্রান্ত না হয় সেই ব্যবস্থা। বয়োসন্ধি বয়সে যখন তারা শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনে হতচকিত, সেই সময়টায় তাদের কাটাতে হবে সঙ্গী কিংবা সঙ্গীনির খোজে – যাদের পরবর্তী সময়ে তারা বিয়ে করবে। কি ভয়াবহ সেই অনুসন্ধান! একটি মেয়েকে অসংখ্য ছেলের মধ্যে ঘুরতে হবে যাতে সে পছন্দমত কাউকে খুঁজে পায়। সময় চলে যাবার আগেই তা করতে হবে। প্রতিযোগীতা, ভয়াবহ প্রতিযোগীতা।“
এই বইটি ১৯৯১ সালে লেখা। বর্তমান স্ট্যাটিস্টিক্স দেখে সহজেই অনুমেয়, এখন আর কেউ “পরবর্তী সময়ে বিয়ে” করার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই দিকে পা মাড়ায় না, কিন্তু “সেক্স এডুকেশন” ও যথেষ্ট সরঞ্জাম নিয়েই কিন্তু সে এই পথে আসছে।
একটি জাতি তার সংস্কৃতিকে সঙ্গী করে হাজার বছর পাড়ি দিয়ে বিশ্বে নিজস্ব পরিচিতি করে নেয়, আমরাও নিয়েছি, আমাদের নিজস্ব প্রচন্ড ক্ষমতাধর সংস্কৃতি দিয়ে। সে সংস্কৃতিতে ছাত্র শিক্ষককে সালাম দেয়, সে সংস্কৃতিতে মৃত্যুর আগেও পুত্র-কন্যা তার পিতা-মাতাকে সৃষ্টিকর্তার পরেই স্থান দেয়, সে সংস্কৃতিতে যৌনতাকে পবিত্র কর্ম হিসেবে স্থান দেয়া হয়, স্বামী-স্ত্রী’র মাঝে এক রহস্যময় ভালোবাসার গোপন বহিঃপ্রকাশ আর নতুন একটি সৃষ্টির পৃথিবীর আলো দেখবার এক অন্যরকম সুন্দর পথ হলো যৌনতা। দিন শেষে পাশ্চাত্যেই বাচ্চাদের বই এ নতুন অধায়ের সুচনা হয় “বাবা-মা ছাড়াছাড়ি হওয়া নিয়ে”, আর আমাদের গরীব ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুর্খের দেশে স্কুল ছুটির পর বাচ্চারা ছুটে আসে মার কোলে, বাবার বুকে।
নারীবাদিদের একটা রিকোয়েস্ট করবো, তাদের তো আবার উপদেশ দেয়া বিশাল রিস্কের ব্যাপার। একটু ইট-পাথর ভাঙ্গা মহিলাদের দিকে তাকান, একটু গ্রামাঞ্চলে মোল্লাদের অত্যাচারে জর্জড়িত মা-বোনদের দিকে তাকান, একটু শিক্ষার আলোর দিকে শুধুই তাকিয়ে থাকা বোনদের হাতটা ধরে শিক্ষার পথে নিয়ে আসতে সাহায্য করুন। বোরকা টেনে খুলে লেগিন্স তো অনেক পরালেন, এবার না হয় একটু ওনাদের দিকেও তাকান।
বাসায় গিয়ে কমেন্ট করতে হবে।
সেক্স এডুকেশন মানে শুধুই কনডম আর কন্ট্রাসেপ্টিভ এর ব্যবহার সম্পর্কে জানানো নয়, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সাথেও তার মেলবন্ধন থাকা লাগবে। অবাধ সেক্স কিংবা সেক্স রাইটস কোনো আধুনিকতার উদাহরণ নয়, প্রস্তর যুগের আগেও মানুষ তাই করতো ! – -এই জায়গার সাথে দারুণভাবে একমত।
তবে তোমার লেখায় পুরুষবাদিতার একটা অভিযোগ আসতে পারে!! সাধু সাবধান!
যে কোনো “-বাদী”র বিপক্ষে আমি। তা সে পুরুষবাদী হোক আর নারীবাদী। -বাদী হওয়া মাত্র পুরুষ-নারী নিয়ে সে টানা-হেচরা শুরু করে দিলো।
আমি খুব ভালো করেই জানি, এই লেখা পড়ে যে কোন নারীবাদী তোমাকে পুরুষবাদী বলে একটা অভিযোগ করবে,
কিন্তু সত্য এতে বিন্দুমাত্র ও বদলাবে না,
কথিত নারী স্বাধীনতার নামে এখন প্রগতিশীল ও চুশিল সমাজের মাঝে যা হয়, তা
নেহায়েত নোংরামি বাদে অন্য কিছু না,
যার ফলাফল টিন এজ প্রেগন্যান্সির মত মারাত্মক কিছু।
লেখা ভালো লেগেছে,
চালিয়ে যাও। :clappinghands:
:thinking:
Women’s right is not sexual or vaginal rights. there are more to that. its about economic and social freedom. Unfortunately the male dominated society has used the right of sex to repress them economically and socially. btw, teen pregnancy is not a problem with girls, but with men and their intentions to avoid contraceptive (especially true for Bangladesh and other 3rd World countries). In our country (including india and other 3rd WC), teenage pregnancy also happens withing wedlock. men marry multiple times and under aged girls are married off and they are impregnated by their husbands at an early age, causing a high level of maternity problems and death… as you can see, this is nt rape and has nothing to do with borka or hijab and yet its a problem. how can u solve it?
Women’s right is not sexual or vaginal rights. there are more to that. its about economic and social freedom. Unfortunately the male dominated society has used the right of sex to repress them economically and socially
– একেবারে কঠিনভাবে একমত !!
আপনার পরবর্তী অংশের রেশ ধরে বলি। একজন মেয়ে কখনোই একা একা আর যাই হোক, প্রেগন্যান্ট হতে পারবেনা। তার একজন মেইল পার্টনার লাগবেই, আর তাই টিনেজ প্রেগন্যান্সির পেছনে যে কমপক্ষে দু জন মানুষের অবদান (!!), তা অবশ্যই ও সহজেই অনুমেয়। কিন্তু, আমি এখানে থার্ড ওয়ার্ল্ডের কথা টানিনি। আমার লেখাটির মুল উদ্দেশ্য ছিলো, আমাদের সমাজের মুক্তমইনা বিবেকবান মানুষ গুলো যখন উন্নতির গ্রাফে শুধুই পশ্চিমাদের দিকে আঙ্গুল তুলেন, তখন গ্রাফের বাইরের অন্ধকার অংশেও আঙ্গুল তুলে দেখানো উচিত। যা কিছু ভালো, আমি নিজ স্বার্থেই তা অনুকরন করবো, কিন্তু শুধুমাত্র আমেরিকা, ইউরোপ বলে তাদের সামাজিক ব্যাধী ও তাদের উতস গুলোকেও কেনো আধুনিকতার লেবাস পরিয়ে আমি আমাদের সমাজে ঢুকানোর চেষ্টা করবো, যেখানে ইতিমধ্যেই আমাদের সমস্যার অন্য নাই ? আমি কি বোঝাতে পেরেছি? না বোধ হয়, আমি আবার চেষ্টা করবো, আমার দিক থেকে ব্যাপারটি বোঝানোর জন্য। পড়বার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
যেখানে ইতিমধ্যেই আমাদের সমস্যার অন্য নাই ?যেখানে ইতিমধ্যেই আমাদের সমস্যার অন্ত নাই ?
দুঃখিত, টাইপো 😛
” যা কিছু ভালো, আমি নিজ স্বার্থেই তা অনুকরন করবো” একমত আর এমন অনুকরণের জন্য আমরা বাস/ট্রেন এ যাওয়ার সময়েও আমরাও একহাতে বাস এর হ্যান্ডল আর অন্যহাতে ছোট বই/ই-বুক রিডার ধরার মত অভ্যাস গুলো বেছে নিতে পারি। আর এমন অনুকরণের শুরুটা আমাদের থেকেই হতে হবে ,কোন টিভি প্রগ্রাম/সুশীল সমাজ / নারীপুরুষ কোন বাদী দের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না।
লেখাটি তে তথ্য অনেক আছে তবে কিছু গুরুত্বপূর্ন দিক আর আলোচনা নেই তাই অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে । ধন্যবাদ
লেখাটা ভালো লেগেছে। :clappinghands:
তিনেজ প্রেগন্যান্সীর সমস্যাগুলো এভাবে জানা ছিল না……
পুরুষবাদীতা বা নারীবাদীতা নিয়ে কথা না বলে বলবো, অন্তঃত টিনেজ প্রেগন্যান্সী নিয়ে সতর্ক হবার মতো সময় চলে এসেছে। আর, এটাও ভাবনার সময় যে, সব কিছুতেই কি আমাদের পশ্চিমাদের অনুসরণ করার কোন প্রয়োজন আছে কি না।
কোন প্রয়োজন নেই। সকল উন্নত দেশগূলোর মতো আমাদেরকেও এ ব্যাপারে নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষন করতে হবে যে, “পৃথিবীর যেই মেরুর যেখানেই কোন ভালো কিছু ঘটেছে, তা অনুকরন করবো, যেখানেই অকল্যানকর কিছু ঘটেছে, তা বর্জন করবো।” যথেষ্ট !
সহমত।
টাইপো আছে কমেন্টে 🙂
ইমম্যাচিউর্ড কোন কিছুই তো ভালো নয়… তবে সেটা নিয়ে ব্যবসায় লাভ আছে বৈকি।
ঝুনা নারিকেলের থেকে কচি ডাবের প্রাধান্য বাজারে বেশী, জানেন বোধ হয় 8) ?
লেখাটা অনেক ভালো লাগল। আর নিবিড়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
অসাধারণ এবং আমার মতে সার্থক প্রচেষ্টা … 😀
মাহী, তোমায় সর্বোত্তম ভালোবাসা ! :love:
গার্মেন্টসকর্মী, ইট-ভাঁটার শ্রমিক ইত্যাদি পেশার মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে ও তার বাইরে নানাস্থানে পুরুষদের দ্বারা ধর্ষিত হয়। ধর্ষণ পরবর্তী ঘটনা গর্ভাবস্থা, এই অবস্থায় সে চাকরি হারায়। এই অবস্থায় ধর্ষণের পরে গর্ভপাত বা অ্যাবরশনকে কি আপনি সমর্থন করেন? একজন নারীর নিজের শরীরের অধিকার মানে কেবল যৌন-সংসর্গের অধিকার না, একইসাথে ধর্ষিত না হওয়ার অধিকার, ধর্ষিত হলে বিচার চাওয়ার ও পাওয়ার অধিকার এবং যে কোন গর্ভপাতের অধিকারও এর সাথে জড়িত। আপনি সেগুলোর ব্যাপারে কী মনে করছেন?
যে কোনো মানবিক ব্যাপারে আমি সবসময়ই চেষ্টা করি নিজেকে ঐ জায়গায় রেখে বিচার করতে। আপনি যে পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন, ধর্ষণ পরবর্তী ঘটনা গর্ভাবস্থা, এই অবস্থায় সে চাকরি হারায়। এই অবস্থায় ধর্ষণের পরে গর্ভপাত বা অ্যাবরশনকে কি আপনি সমর্থন করেন?
আমি আসলে এখানে সমর্থন-অসমর্থনের কিছু দেখিনা। পুরো ব্যাপারটাই প্রচন্ড অমানবিক, এ ক্ষেত্রে ঐ বোনেরই তো ডিসিশন নিতে হবে, তার জীবন সে কিভাবে কোন দিকে মোড় নেয়াতে চায়।
একজন নারীর নিজের শরীরের অধিকার মানে কেবল যৌন-সংসর্গের অধিকার না, একইসাথে ধর্ষিত না হওয়ার অধিকার, ধর্ষিত হলে বিচার চাওয়ার ও পাওয়ার অধিকার এবং যে কোন গর্ভপাতের অধিকারও এর সাথে জড়িত।
১০০ বার কিংবা যতো সহস্রবার সম্ভব, একমত ! তবে, শুধুমাত্র যৌন পরিতৃপ্তির জন্য একেকটি জীবন আদ্ধেক এনে এনে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়াটাও অমানবিক বলেই আমি মনে করি ! আমি যে ক্ষেত্রটির কথা বললাম, তা কিন্তু স্মপুর্ণই আপনার বর্ণিত পুর্ব ক্ষেত্রের থেকে ভিন্ন !
পশ্চিমা সংস্কৃতির কোনো দিক নিয়ে আমরা যখন আমাদের মূল্যবোধ দিয়ে বিচার করব তখন স্বভাবতই ‘ওরিয়েন্টালিজম’এর শিকার হব। কোনো সংস্কৃতি বা সমাজকে এভাবে আরেক মূল্যবোধের ভিত্তিতে বিচার করা যায় না। এটাও বলার অপেক্ষা রাখে না যে সকল সিস্টেমেরই নিজস্ব হিতকর এবং ক্ষতিকর দিক আছে। যেহেতু পোস্টটা টিনেজ প্রেগন্যান্সি নিয়ে, এবং আমাদের সমাজে এর প্রকোপ বাড়ছে বলেই আলোচিত হচ্ছে। তাই আমাদের সমাজে যে শ্রেণীর নারীরা টিনেজ প্রেগন্যান্সির শিকার হচ্ছেন, আমি তাদের নিয়েই বলতে চাইছিলাম।
আর আপনার বর্ণিত ‘যৌন পরিতৃপ্তি’র জন্য যারা মিলছে, তারা শহরে বা গ্রামে এখন কনট্রাসেপ্টিভ, কনডমের ব্যবহারও শিখছে। আপনি বা অন্য কেউ যদি তাদের মিলন থামাতে চান, সেটা সম্ভব নয় (সেটার অধিকারও আপনাদের নেই)। তাই উচিত কনট্রাসেপ্টিভ ব্যবহার শেখানো। কনডমের গুরুত্ব চেনানো। প্রেগন্যান্সি ছাড়াও এইডস বা VT বা STD থেকে বাঁচার উপায়ও এগুলো, এটা জানানো।
:dhisya: পোস্ট!
🙂
আপনায় উত্তম ঝাঝা ! :dhisya:
নারীর স্বাধীনতা বলতে আমি বুঝি যৌন স্বাধীনতা নয়, বরং সমাজে তার স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার- পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে। নারী-নারী হওয়ার আগে সে মানুষ। মানুষ হিসাবে তার অধিকার চাই। তাকে দেখতে চাই অন্য কারো অমুখাপেক্ষী হিসাবে। এমন সমাজের স্বপ্ন দেখি, যেখানে নারীর পোষাক নিয়ে রসালো আলোচনা হবে না, কিংবা ফেইসবুকে সমাজ উদ্ধারের নামে পেইজ খুলে নারীর দেহের ব্যবচ্ছ্যেদ হবে না।
আর শহুরে বিলাসিতা নিয়ে নয়, আমাদের কথা বলা উচিত গ্রামের ঐ নারীটিকে নিয়ে যাকে রান্না করতে দেরি হওয়ার কারণে স্বামীর হাতে খুন্তির বাড়ি খেতে হয়, কিংবা বাইরে বের হওয়ার জন্য কাঠমোল্লা স্বামীর নির্যাতনে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও আবারও নির্যাতিত হতে হয়…আমাদের কথা বলা উচিত সেই সব নারীদের নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত ‘অন্য কেউ’ দ্বারা নির্যাতিত। আমাদের কথা বালা উচিত সেই সব নারীদের নিয়ে, যারা নারী হয়ে জন্মাবার অপরাধে আজ পর্যদুস্থ। কিংবা যৌতুকের টাকা না দিতে পারাই মৃত্যুর কাছাকাছি।
সকল মানুষের জন্য শুভকামনা। :huzur:
আর শহুরে বিলাসিতা নিয়ে নয়, আমাদের কথা বলা উচিত গ্রামের ঐ নারীটিকে নিয়ে যাকে রান্না করতে দেরি হওয়ার কারণে স্বামীর হাতে খুন্তির বাড়ি খেতে হয়, কিংবা বাইরে বের হওয়ার জন্য কাঠমোল্লা স্বামীর নির্যাতনে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও আবারও নির্যাতিত হতে হয়…আমাদের কথা বলা উচিত সেই সব নারীদের নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত ‘অন্য কেউ’ দ্বারা নির্যাতিত। আমাদের কথা বালা উচিত সেই সব নারীদের নিয়ে, যারা নারী হয়ে জন্মাবার অপরাধে আজ পর্যদুস্থ। কিংবা যৌতুকের টাকা না দিতে পারাই মৃত্যুর কাছাকাছি।
– একেবারে বুকের জমে থাকা কথা গুলাই বলেছেন, আসেন বুকে আসেন !!!
অসাধারণ পোস্ট!
“যৌনতা, অশ্লীলতা, যৌন শিক্ষা” শব্দগুলোকে বেশিরভাগ মানুষই ভুল বোঝে।
“সেক্স এডুকেশন মানে শুধুই কনডম আর কন্ট্রাসেপ্টিভ এর ব্যবহার সম্পর্কে জানানো নয়, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সাথেও তার মেলবন্ধন থাকা লাগবে।”>> এই বাক্যটার জন্য তোকে স্যালুট।
এই পোস্ট ছড়িয়ে দেয়া খুব দরকার।
একজন ফিনিক্স পাখি, বানান ভুল না ধরে যখন স্যালুট জানায়, তখন আসলেই বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় যে, ভালোই লিখেছি 🙂
ফিনিক্সাফা, ধইন্যা 🙂
বানান ভুল হইছে কিন্তু ভুলে ধরি নাই! 😛
গুরুত্বপূর্ণ টপিক। এ নিয়ে আমি দুইটা লিঙ্ক শেয়ার করলাম। 😡
1. ((http://www.thesun.co.uk/sol/homepage/news/2233878/Dad-at-13-Boy-Alfie-Patten-13-becomes-father-of-baby-girl-Maisie-with-girlfriend-Chantelle-Steadman-15.html))
2. ((http://news.bbc.co.uk/2/hi/8056700.stm))
এখানে এইভাবে লিঙ্ক শেয়ার করে লাভ নাই
লিঙ্ক এর একটা বাটন আছে কিন্তু! কমেন্ট বক্সে
সেক্স এডুকেশনের মানেই বুঝি না মনে হয় আমরা। 🙁
টিনেজ প্রেগন্যান্সির হার কিন্তু আমাদের দেশেও বিপদজনক হারে বাড়চে। ঢাকা শহরের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলায় অল্প বয়স্ক মেয়েদের সাথে নিয়ে তাদের অভিভাবকদের গর্ভপাত করাতে আসার হার এখন অনেক বেশি। সরি, কোন ভালো রেফারেন্স নেই আমার। ব্যক্তিগত কিছু ডাক্তার বন্ধুর কাছে শোনা, এখানে তেমন কেউ থাকলে হয়ত ভালো একটা চিত্র পাওয়া যাবে। পোস্ট খুব ভালো হয়েছে।
আমার মতে টিনেজ প্রেগন্যান্সির বড় সমস্যা মায়ের না, বরং গর্ভের সন্তানের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর ফলস্বরূপ গর্ভপাত করাতে হয়, গর্ভপাতের অধিকার থাকা উচিৎ কি উচিৎ না তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু এটা যে নির্মম একটা কাজ এতে বোধহয় কারোরই আপত্তি নেই।
ভালো পোস্ট, মূল বক্তব্যের সাথে একমত 🙂 আর অনিকের কমেন্টটা সবচেয়ে ভালো লেগেছেঃ আর শহুরে বিলাসিতা নিয়ে নয়, আমাদের কথা বলা উচিত গ্রামের ঐ নারীটিকে নিয়ে যাকে রান্না করতে দেরি হওয়ার কারণে স্বামীর হাতে খুন্তির বাড়ি খেতে হয়, কিংবা বাইরে বের হওয়ার জন্য কাঠমোল্লা স্বামীর নির্যাতনে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও আবারও নির্যাতিত হতে হয়…আমাদের কথা বলা উচিত সেই সব নারীদের নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত ‘অন্য কেউ’ দ্বারা নির্যাতিত। আমাদের কথা বালা উচিত সেই সব নারীদের নিয়ে, যারা নারী হয়ে জন্মাবার অপরাধে আজ পর্যদুস্থ। কিংবা যৌতুকের টাকা না দিতে পারাই মৃত্যুর কাছাকাছি।
শিখলাম বেশ কিছু। আরো জানতে হবে। আমার মেয়েরা এখন ছোট, তবে ওরা বড় হবার আগেই আরো অনেক কিছু জানতে হবে আমাকে।
দারুণ লিখেছেন ভাইয়া। অতীব প্রয়োজনীয় পোস্ট। 🙂