“ব্যাধিই সংক্রামক স্বাস্থ্য নয়” – প্রমথ চৌধুরীর বলে যাওয়া বহুল প্রচলিত এই বাংলা প্রবাদটি বোধ হয় আর বেশিদিন টিকে থাকবে না কর্নেল ইউনিভার্সিটির কিছু নাছোড়বান্দা গবেষকদের পাল্লায় পড়ে | কথা নাই, বার্তা নাই, হঠাত করে এরা দাবি করে বসেছে যে, সোশাল নেটয়ার্ক দিয়েই নাকি মানুষের সুস্থ জীবন যাপন নিশ্চিত করা সম্ভব | যেই সকল ভাই-বোনেরা আমার মতই ফেসবুকের সামনে ফেস গুঁজে দিবা-রাত্রি যাপন করেন, এই কথা শুনার পর পরই তাদের চোখের কোণে যে আলোর ঝিলিক এসেছে তা আমি কল্পনা করতে পারছি বৈকি ! স্বাস্থ্য-রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে সারাদিন সোশাল নেটয়ার্ক নিয়ে পড়ে থাকা কি চাট্টিখানি কথা ? যাই হোক, এবার শুনে নিন, আসল কাহিনীটা কী ! তবে কাহিনী শুরু করার আগেই বলে নিচ্ছি, এটা হজম করা একটু কঠিন হতে পারে | এর কারণ এই নয় যে, এখানে অনেক টেকনিকাল জিনিসে ভরা ইঞ্জিনিয়ারিং এর কচকচানি থাকবে, বরং কারণ এটাই যে আমাদের মনের ভিতরে গেঁথে থাকা অনেক ধারনাকে এটা সজোরে আঘাত করবে | আমি সচরাচর ব্লগ লিখি না, কিন্তু এই ব্যাপারটা অনেকের কাছে ইন্টারেস্টিং লাগবে মনে করেই লিখতে বসা |
এই গবেষণাটির কথা শুনে আমি নিজেও একটু ধাক্কা খেয়েছিলাম শুরুতে | আর “পড়বি তো পড় মালীর ঘাড়ে”র মত এই গবেষণা কাজ আবার হচ্ছে আমারই “ইন্টার-একশন ডিজাইন ল্যাব” এ ! ঘটনার সূত্রপাত গুগলের দেওয়া একটা বিশাল ফান্ড এবং ওদের গিফট করা ১০০ টি এনড্রয়েড ফোন থেকে | আমাদের লক্ষ্য ছিল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণায় মোবাইল ফোনকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সেসব নিয়ে একটু খেলাধুলা করা | এক এক জন এক এক রকম চোখ-ধাধানো, তাক লাগানো সব আইডিয়া নিয়ে আবির্ভূত হওয়া শুরু করলো | স্মার্টফোনের জিপিএস ব্যবহার করে আসেপাশের ভালো রেস্টুরেন্ট বের করা তো সেই কবেকার কথা | তার সাথে ব্যবহারকারীর খাদ্যাভ্যাস ও চলাফেরার ইতিহাস যোগ করে নতুন নতুন নানা প্রযুক্তি এসে হাজির | সেগুলোর মধ্যেই আবার কী করে গেমস বা এডুকেশন ঢোকানো যায় সেসব নিয়েও মানুষের উত্সাহের কমতি নেই | ওদিকে রামিন জবেহ নামের একজন প্রফেসর তো মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে তোলা খাবারের ছবিতে কতখানি পুষ্টি আছে সেটা ইমেজ-প্রসেস করে বের করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগে গেছেন | আর এদিকে বাংলাদেশের কৃতি সন্তান প্রফেসর তানজীম চৌধুরী ক’দিন আগে ডার্টমাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে এসে কর্নেলে যোগ দিয়েছেন | উনি মোবাইল এ রেকর্ড করা শব্দ পর্যালোচনা করেই বলে দিচ্ছেন ব্যবহারকারী শারীরিক বা মানসিক সমস্যায় আছে কিনা | সেদিন মেগান নামের একজন পিএইচডি স্টুডেন্ট দেখিয়ে দিল, মোবাইল নাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মিউজিক যোগ করা গেলে তা মানুষকে নাচানাচি করে শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে | ওদিকে মোবাইল ফোনের একপাশে ডাক্তার আর আরেকপাশে রোগী রেখে টেলিমেডিসিনের বাদ্য বাজানো তো আছেই | জেরেমি নামের এক অধ্যাপক আবার মোবাইল ফোনে কথা বার্তা বলার আচার আচরণ পর্যবেক্ষণ করে বলে দেওয়া শুরু করলেন কে কতখানি সামাজিক ভাবে বন্ধুপ্রবন | কিন্তু অধ্যাপক জেফ আবার সন্দেহপ্রবন | সে এইসব কথা বার্তার মধ্যে দিয়ে মানুষ মিথ্যা বলছে কিনা, তা নিয়ে বিশাল গবেষণা করে অস্থির | আর করবে নাই বা কেন? শুধু শারীরিক স্বাস্থ্য চিন্তা করলে তো চলবে না, মানসিক স্বাস্থ্য বলে একটা ব্যাপার আছে না? শরীরটাও ভাল রাখতে হবে, সাথে মনটাও ! আমার ল্যাবমেট সিয়িং আবার এক কাঠি সরেস | সে সরাসরি মানুষের ডাইনিং টেবিলে কথা বার্তা পর্যালোচনা করে বলে দিতে চায়, ওই সময়ে মোবাইল ফোন আসলে সেটা পারিবারিক স্বাস্থের জন্য ক্ষতি করতে পারে কিনা | এছাড়া আছেন, অধ্যাপক সাহারা, যিনি বলে বলে গলা ফাটিয়ে দিচ্ছেন, মোবাইল ফোনে প্রেম করে লোকজনের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য দুইই ধ্বংস হচ্ছে | আরো যে কত কিছু হচ্ছে এই মুহুর্তে আমার মনেও পড়ছে না | কিন্তু স্বাস্থের সাথে মোবাইল ফোনকে পেঁচ মেরে যতরকম কিছু করা সম্ভব, কোনটাই বসে নেই |
কিন্তু এতকিছুর পরেও একটা জিনিস নিয়ে কিছুতেই লোকজন শান্তি পাচ্ছিল না, আর তা হল কীভাবে মানুষকে উত্সাহিত করা যায় স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের প্রতি | প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, আমেরিকার মানুষজন খুবই ভোজন-রসিক | ফ্যাশন করার খুব একটা ইচ্ছা যাদের থাকে, তারাই কেবল শরীর-চর্চা করে মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখে | বাকিরা সুযোগ পেলেই এটা ওটা খেয়ে বিশাল ভুড়ি বানিয়ে নেয় | এ দেশটিতে জান্ক ফুডেরও খুব ছড়াছড়ি | তাই মানুষজন সহজেই মোটা হয়ে যায় | এই অতিরিক্ত মেদের ফলে অনেকেই জীবনীশক্তি হারিয়ে বসছে | এই ব্যাপারটি এখন দেশের সবাইকেই বেশ উদ্বিগ্ন করে তুলেছে | এজন্যই সবাই ভাবছে এমন একটা জিনিস পেলে ভালো হত যা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসে | অনেক চমত্কার চমত্কার মোবাইল সফটওয়ার পাওয়া যায় অবশ্য, যেগুলো দিনে আপনি কতখানি ক্যালরি খেয়েছেন সেটা হিসেব করে বলে দিবে আর কতখানি ক্যালরি আপনার খাওয়া উচিত | সেই ক্যালরি পাবার জন্য কোন জিনিসটা খাবেন, সেটাও সে বলে দিবে | এমন কি সেই জিনিসটা কোথায় পাবেন সেটাও | কিন্তু কথা হলো, মানুষ যদি আপনার সফটওয়ার এর কথা না-ই শোনে তবে এত কষ্ট করে বানানো সফটওয়ার কী কাজে লাগবে? যে ব্যক্তি তেলে ভাজা রোস্ট না খেয়ে থাকতে পারে না, তাকে কালকে থেকে রোস্ট বাদ দিয়ে গাজর খেতে বললেই সে শুনবে ? যতই তাকে অসুখ বিসুখের ভয় দেখান না কেন, মানুষ রোগ হবার আগ পর্যন্ত খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে চায় না – গবেষণা তাই বলে | বরং, কোনো জিনিস বারবার কানের কাছে আজাইরা ঘ্যান ঘ্যান শুরু করলে মানুষ ওই জিনিস থেকেই দুরে সরে আসে | আপনিই চিন্তা করুন, আপনি রোজ সকাল ৭ টা তে ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে ঘুমান. কিন্তু ওই সাত-সকালে যখন ঠিক আপনার স্বপ্নের ভিতরের সিনেমাটা সাসপেন্স আর ড্রামার তুঙ্গে তখন বেরসিক এলার্মের শবদটা কেমন লাগে? যদি ক্লাস বা অফিস থাকে, তবে তো উঠতেই হবে | কিন্তু তা না হলে? কেউ কি পাত্তা দেয় ওই এলার্ম ছুটির দিনে? স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ডাক্তারের বকা না খেয়ে রোজ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে এরকম মানুষ ক’জন হবে বলুন? এর মানে কি দাড়াচ্ছে? ভালো স্বাস্থের লোভ দেখিয়ে বা খারাপ স্বাস্থের ভয় দেখিয়ে মানুষের স্বভাব পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না | তাহলে কী করা উচিত ? আসছি সে প্রসঙ্গে …
এরিক বোমার হলো Interaction Design Lab এর পোস্ট-ডক্টরেট রিসার্চার | তার নামও যেমন “বোমার”, কাজেও সে তেমনি বোমারু বিমানের মতই | কথা-বার্তা গুলোও তার বোমের মত পড়তে থাকে আমাদের আশেপাশে | সেই এরিক একদিন বলে বসলো, “নাহ ! দরকার সোশাল রেভুলেশন” ! আমরা অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকালাম | সে বলে চলল, “এভাবে আর মেনে নেওয়া যায় না | শরীর আমার, স্বাস্থ্য আমার, আর আমি কী খাব, সেটা বলে দেবে ওই ব্যাটা ডাক্তার ? হাউ কাম ??” আমরা এদিকে নিজেদের মধ্যে এরিকের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আশংকা প্রকাশ শুরু করে দিলাম | আমার আরেক ল্যাবমেট ফিল এডাম্স এর অরিজিন হলো ইংল্যান্ড এ | সে তার সেভ করা চকচকে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে কাঁপা কাঁপা গলায় ব্রিটিশ টোনে বলল, “তবে তুমি কি বলতে চাও, তোমার শরীরের কিসে ভালো কিসে খারাপ, সেগুলো তুমি নিজেই ঠিক করবে?” … “আলবত হ্যা”, অনেকটা ফিলের মুখ থেকে কথা টেনে নিয়ে এরিক বলতে শুরু করলো … “আমি দেখব আমার চারপাশের মানুষ কী কী খায় আর কেন খায়, দেখে আমি নিজেই ঠিক করে নিব আমার কী খাব উচিত” | আমাদের ল্যাব এর খুবই আদরের এক পুচকি undergrad হলো ভেরা | সে বলল, তাহলে তো একটা সোশাল নেটয়ার্ক বানানো লাগবে যেখানে সবাই খেয়ে এসে বলবে সে কী খেয়েছে | ওরে বাবা ! এরিক দেখি টপ করে তার কথাটা গিলে ফেলল | “আরে আমি তো সেকথাই বলছি !!” ব্যাস, ভেরার ঘাড়ে দায়িত্ব পড়ল সেই সোশাল নেটয়ার্ক ডিজাইন করার আর ফিল এর দায়িত্ব হলো সেটা বানানোর | আশেপাসের বেশ ক’জন লোকজন যোগার করা হলো, সেই সোশাল নেটয়ার্ক ব্যবহার করার জন্য | কয়েক মাস ধরে চলল ডাটা সংগ্রহ | লোকজন যে যেখানে খাদ্য বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যা পায়, তাই ছবি তুলে পোস্ট করা শুরু করলো মোবাইল সোশাল নেটয়ার্কে আর সঙ্গে যোগ করে দিতে লাগলো তাদের অনুভুতি | যেমন, এক ছেলে একটা দুধের বোতলের ছবি দেখিয়ে পোস্টে লিখল “আমি দুধ খাই, ভালো থাকি”| সেটাতে আবার অনেকজন এসে লাইক দিল | পরেরদিন সেই ছেলে একটা তেলতেলে বার্গারের ছবি তুলে পোস্ট করা মাত্র সবাই বলা শুরু করলো, “গেল, গেল … দুধ খেয়ে যা স্বাস্থ্য বানাচ্ছিল, সব গেল !!” এরপর থেকে সেই বেচারার আর বার্গারের ছবি পোস্ট করা হয়নি | কিন্তু দুপুর বেলা হলে যখন অন্য সবাই খাবার পোস্ট করে তখন তাকেও তো কিচ্ছু একটা পোস্ট করতে হবে | অগত্যা কি করবে, সে দেখল তার বন্ধুদের মধ্যে কার কার দুপুরের খাবারগুলো বেশি লাইক পাচ্ছে, সেখান থেকে একটা বিবেচনা করে খাওয়া শুরু করলো, এবং ছবি দেয়াও | আরে সমাজে মুখ দেখানোর একটা ব্যাপার আছে তো, না কি ?
যা হোক, এভাবে একদিন দু’দিন নয়, বেশ কয়েক মাস চলল | তারপর লোকজন সবাইকে আবার ডাকা হল ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য | সে এক অভাবনীয় ঘটনা | প্রত্যেকে বলা শুরু করলো, তার খাদ্যাভ্যাসে বিশাল পরিবর্তন এসেছে | অনেকেই স্বীকার করলো যে তারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক তথ্য জানতে পেরেছে যা তারা আগে জানত না, যদিও ইন্টারনেটে খুঁজলেই পাওয়া যেত | কিন্তু কে অযথা ইন্টারনেটে ঘুরে ঘুরে স্বাস্থের আর্টিকেল পড়বে বলুন ? ব্যাস ! আর লাগে কি ? এরিক লাফিয়ে পেপার লেখা শুরু করে দিল, সেই পেপার CSCW তে বেস্ট পেপার নমিনেশন সহ accepted ও হয়ে গেল | সনাতন প্রথার বাইরে এসে এরিক বলে দিল, “আমার স্বাস্থ্য, আমার সিদ্ধান্ত” |
কিন্তু মেডিকেল এবং সি,এস,সি, দুই জায়গার লোকজনই এসে এরিক কে পারলে ছিঁড়ে খায় এরকম অবস্থা | “তুমি স্বাস্থের সিদ্ধান্ত আম-জনতার হাতে ছেড়ে দিচ্ছ? বলি, রাজনীতিতে নামার খায়েশ হয়েছে নাকি? এভাবে বসে বসে তত্ব কথা বলা যায় | কিন্তু স্বাস্থের মত সিরিয়াস বিষয় নিয়ে তো ছেলে-খেলা করা যায় না, তাই না ?” কেউ যদি ভুল কোনো তথ্য পোস্ট করে বসে? সেটা দেখে যদি আরেকজন বিভ্রান্ত হয়? অনেকের তো স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক ভুল ধারণা আছে, তাই না? ওগুলো তো সমাজে আরো খারাপ প্রতিক্রিয়া তৈরী করবে| তখন এরিক বলতে থাকলো, “উইকিপিডিয়াতে কোন ভুল তথ্যটি বেশিদিন টিকে থাকতে পারে বলুন ? এমনকি আপনার ফেসবুকের নেটয়ার্ক বড় হলে, সেখানে অনেক রকমের অনেকজন ফ্রেন্ড থাকলে আপনি একটা ভুল তথ্যওয়ালা স্ট্যাটাস কতক্ষণ টিকিয়ে রাখতে পারবেন ? জনগনের সম্মিলিত শক্তির সামনে কোনো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো ভুল তথ্যই বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারবে না | বরং সঠিক তথ্য বিদ্যুত বেগে ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে | মানুষ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে উত্সাহিত হবে | এভাবেই একদিন স্বাস্থ্য-সম্মত একটি সুখী বিশ্ব আমরা পাব |”
যা হোক, এখন দেখার পালা কিভাবে কী হয় …
দারুনতো। 🙂
আমি এক্ষেত্রে goodreads.com সাইটটার কথা বলতে পারি। এই সাইটটার কারনে অনেকগুলো বই আমার টু-রিড লিস্ট এ ঢুকে গেছে। অথচ এসব বই এর নামই জানার কথা ছিল না। 🙂
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ | 🙂
জটিল আইডিয়া
জ্বী, আসলেও নতুন আইডিয়া 🙂
ei dhoroner jinish publisho hoise…….tau ACM e?? ajkal paper ber kora onek easy hoe gase :((( any way acm ki ISI cited ???
জ্বী, ACM এ পাবলিশ হয়েছে | লিঙ্ক এখানে |
আপনার কাছে খুব সহজ মনে হলো ? হবে হয়ত, আমার আসলে গবেষনার পরিধি খুব কম, সুতরাং এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না |
তবে CSCW কনফারেন্সটির Impact factor সর্বোচ্চ (০.৯৯ / ১.০০) [রেফারেন্স] | ACM এর কথা অনুযায়ী এই কনফারেন্সটি তাদের অন্যতম প্রধান কনফারেন্স গুলোর একটি (লিঙ্ক) |
হিসাব অনুযায়ী CSCW এর Paper Acceptance Rate এরকম: [রেফারেন্স]
Paper Acceptance Rate (2010): 58 of 288 submissions, 20%
Overall Acceptance Rate (overall): 639 of 2,629 submissions, 24%
এবং হ্যা, এদেত প্রসিডিংস ISI, ACM, DBLP, Google Scholar, etc. Indexed
[দু:খিত লিন্কগুলো তখন আসেনি |]
জ্বী, ACM এ পাবলিশ হয়েছে | লিঙ্ক http://dl.acm.org/citation.cfm?id=2145279&dl=ACM&coll=DL&CFID=94382071&CFTOKEN=63502666 |
আপনার কাছে খুব সহজ মনে হলো ? হবে হয়ত, আমার আসলে গবেষনার পরিধি খুব কম, সুতরাং এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না |
তবে CSCW কনফারেন্সটির Impact factor সর্বোচ্চ (০.৯৯ / ১.০০) [http://perso.crans.org/~genest/conf.html] | ACM এর কথা অনুযায়ী এই কনফারেন্সটি তাদের অন্যতম প্রধান কনফারেন্স গুলোর একটি (http://dl.acm.org/event.cfm?id=RE169) |
হিসাব অনুযায়ী CSCW এর Paper Acceptance Rate এরকম: [http://dl.acm.org/citation.cfm?id=1718918&CFID=94382071&CFTOKEN=63502666]
Paper Acceptance Rate (2010): 58 of 288 submissions, 20%
Overall Acceptance Rate (overall): 639 of 2,629 submissions, 24%
এবং হ্যা, এদেত প্রসিডিংস ISI, ACM, DBLP, Google Scholar, etc. Indexed
দারুণ পোস্ট!
গবেষণা গুলো খুব পছন্দ হয়েছে আর এরিকের চিন্তাধারায় আপ্লুত………… 🙂
আশাকরি সরব থাকবেন নিয়মিত, যতটুকু সময় করতে পারেন… 🙂
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ | লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে শুনে ভালো লাগলো | সময় বের করার চেষ্টা করব |
দুর্দান্ত ব্যাপার স্যাপার ভাইয়া…
কিন্তু তাহলে আমাদের মতো ভোজন রসিকরা তো একটু কোণঠাসা হয়ে পড়বো! 🙁
কোনঠাসা হবে কেন? অন্যান্য ভোজন-রসিকদের সাথে মিশলেই হবে 🙂
খুঁজতে হবে! 😛
কী অদ্ভূত আইডিয়া! একই সাথে বিস্ময়কর রকমভাবে চমৎকার……
এতো বিশদভাবে এমন একটা অজানা জিনিস জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ……
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ | লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে শুনে ভালো লাগলো
আমার মত ভোজন বেরসিকদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা খুব একটা টাফ না, খাওয়া দাওয়া আমার এমনিতেই পসইন্দ না. . . WASTE OF TIME!! হিহিহি 😛 😛 😀
হা হা হা, অন্য ব্যবস্থা দরকার হয়ত 🙂
হাহাহা। দারুণ মজা পেলাম লেখাটা পড়ে।
আর সোশ্যাল নেটওয়ার্কের আইডিয়াটা আমার নিজের কাছেও বেশ কার্যকরি মনে হল। আমার জন্য দরকার! 😛
:welcome:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ | লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে শুনে ভালো লাগলো |
দারুণ পোস্ট ভাইয়া!
খাওয়া-দাওয়া কি আরও কমাতে হবে নাকি- চিন্তায় পড়ে গেলাম! 🙁
:welcome:
তুমি তো এমনিতেও বেশি একটা খাও বলে মনে হয় না
আমাকে চেনেন নাকি ভাইয়া! জানলেন কীভাবে? 😯
আমি বেশি না খেলেও আমি বিভিন্ন ধরণের খাবার চেখে দেখতে পছন্দ করি। কারণ উপকরণগুলো চেখে টের পেলে বাসায় নিজেই এক্সপেরিমেন্ট চালাই তো তাই। 😛
তুমি তো এমনিতেও বেশি একটা খাও বলে মনে হয় না 😀
ব্যাপক আইডিয়া… :welcome:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ | লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে শুনে ভালো লাগলো …
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ | লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে শুনে ভালো লাগলো …
মজাড়ু পোস্ট!=)-পড়তে ভালো লাগল আর পড়েও ভালো লাগল!
লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে শুনে ভালো লাগলো …
খুব ভালো লেগেছে 🙂
খাওয়া দাওয়াতে আমার যেইরকম অনীহা দেখি একটা সফটওয়্যার ডাউনলোড দিব প্রতিদিন কি খেতে হবে সেটা দেখার জন্য 😀
হাহাহা।
হায় হায়! এই পোস্টে দেখি আমি কমেন্ট নাই!
অই দিন বড় সর কমেন্ট লিখছিলাম। হ্যাং করার পরে আর দিতে মনে নাই! 🙁
এই রকম নিত্য নতুন চিন্তাগুলা ভালো লাগে। আরও আসুক এমন চিন্তা। আরও আসুক এমন পোস্ট
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ স্যার!
পড়ার সময় মনে হল মজার কোন গল্প পড়ছি 🙂
এমন সহজ ভাবে কঠিন বিষয় নিয়ে লেখাও HCI এর মধ্যে পড়ে মনে হয় 🙂
হা হা হা … ধন্যবাদ