কাল সকাল থেকে অবেলার মতন
উন্মাতাল করে দেয়া বৃষ্টি যখন।
ঝরতে শুরু করলো, বাঁধভাঙা-অঝোরে।
পৃথিবীর কোন এক কোনে তখন,
কোন এক মানবী।
জানালায় দাঁড়িয়ে রবে
বৃষ্টি ধরার অপেক্ষায় –উদাসে।
মন খারাপ, কিন্তু; ভিজবে না বৃষ্টিতে-
বলতো তা হয় কি করে ?
হাত বাড়ায়ে দিলাম দূরে
নিয়ে এলাম, ঘর থেকে বাহিরে।
মুক্ত পাখির মতন,
আজ না হয় ঘুরবো পথে প্রান্তরে।
থমকে যাওয়া, ভিজে থাকা,
সারি সারি গাছগুলোর কিনারে,
আজ না হয় ফিরবো বাড়ি ঝড়ো কাক হয়ে।
ভ্রু উঁচু করে- সতর্ক মানুষ আশেপাশে
ভেবেছে- পাগল-দুটো করে কি!
এমন ঝড়ে- এমনি ধূসর দিনে-
ঘোরে নাকি কেউ?
বন্ধ করা ছাতা হাতে নিয়ে।
ভাবুক না হয় আজ পাগল
করলাম না হয় একটু পাগলামি
মন খারাপ, কারো;
কিন্তু ভিজবে না বৃষ্টিতে
তা হয় কি করে ?
আজ তো ফিরবই বাড়ি, ঝড়ো কাক হয়ে।
তারপর যদি পাশাপাশি
দাঁড়িয়ে থাকা, তিন তিনটে-
ভেজা মেঘ, ছুঁয়ে থাকা, গাছগুলোতে
নুয়ে থাকে – ফুটে থাকা;
হাজার হাজার-নাগালিঙ্গমে।
আর, পাশে থাকে যদি- ফুলগুলো পেড়ে,
হাতে গুঁজে দেওয়ার মতন, দারুণ কেউ।
তাহলে তো কথাই নাই- হারিয়ে যাওয়া মনে।
বাতাসে তখন কেবলই সুর, গুনগুন করা আওয়াজে।
” এই কবিতাটি সেইসব মানুষের জন উৎসর্গ করলাম। যারা “কিছু ভালো লাগে না” রোগে আক্রান্ত হয় মাঝে মাঝে ।যারা অসীম ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বৃষ্টি হলে ভিজব না ভিজব না বলে জেদ চেপে রাখে। নানান তাল বাহানা করে, যদিও যানে বৃষ্টিতে ভিজলে মন ভালো হবেই হবে। যারা অত্যন্ত ভাবুক হয়েও লুকাতে চায় বাস্তবতার আড়ালে ।”
সুন্দর কবিতা!
বৃষ্টির কারণে অনেক দিন পর গোফরানকে পাওয়া গেল। সব সময় বৃষ্টি ঝরুক তোমার আকাশে……
টাইপো:
“পৃথিবীর কোন এক কোনে তখন,”
কোনে-কোণে 🙂
প্রশ্ন:
নাগালিঙ্গম কি কোন ফুল?
ভাইয়া গুগলে দেখলেই পাবেন। নাগালিঙ্গম একটি ফুল। ছবি দিলাম এই কারনেই। ঢাকা তে হাতের নাগালেই রয়েছে এই ফুল। এই সময়েই ফুল ফোটা আরম্ভ হয়। আমাকে ভালো একটা খাবার এর লোভ দেখালেই বলে দিব কোথায় পাবেন। আর শুক্রবার আসলেই ভিজে আসছি ওটার আসে পাসে দিয়ে। ঘটনা এখানে সত্য। আর বানান ভুলের ব্যাপারে আমি দায়ী নই। সামিরা বলছে ভুল নাই। 😛
আমি কি খাবারের লোভ দেখালে ফুলটার খোঁজ পেতে পারি? 😛
দ্বিতীয় ছবিটা দারুণ হয়েছে! ছবি দেখে ফুলটার প্রেমে পড়ে গেলাম! :love:
কিন্তু সামিরা বলছে যে বানান ভুল নাই! সামিরা? :crying:
এই ফুল টা দেখিস নাই!!! 😛
রমনা পার্কে এত্ত এত্ত গাছে ভর্তি। আম্মুর সাথে হাঁটা হলে, প্রায়ই দেখা পাই।
নাগালিঙ্গমের ঘ্রাণ কিন্তু দারুণ! আর ফলটা ও খুব অদ্ভুত। এটাকে হাতিশুঁড় ও বলা হয়
হু …… দারুন ফুল। ফল গুলা ছোট খাটো ফুটবল এর সমান । 😛 …… রামনা পা্রক এ এটা আছে জানতাম না। 🙂
দেখছি দেখছি লাগছে রে তোর কথা শুনে। আর হাতিশুঁড়-ই এইটারই নাম! তবে ছবিটা দারুণ আসছে! :love:
অবশ্যই অবশ্যই …… ভালো খাবারের গ্রান পেলে সবই সম্ভব !! হাক মাউলা …ফুল তা প্রেমে পরে যাবার মতই … এতো বড় আর এতো রঙ্গিন… সামনা সামনি দেখলে অবাক হবেন…আর সামিরা কে কাঠগড়াই তোলা হোক !! ……।।
যাক! বৃষ্টির কারণে পাওয়া গেল তোমাকে… 🙂
ছবিগুলো একটু বড় আসলে ভালো দেখাতো…………… 🙂
নিয়মিত সরব থাকা হোক!
এইসব ছাইপাঁশ লিখা বেশি বেশি পোস্ট দিতে থাকলে…… মানুষ জন পেটাবে ……… তাই তো চুপচাপ থাকা 🙂 😉
কবিতাটা পড়ে নাগালিঙ্গম ফুলের ঘ্রাণ পেলাম রে!
ভালো লেগেছে :clappinghands:
সবাই বৃষ্টি নিয়ে লিখতেছে দেখি। 🙂
ছবিগুলির সাইজ আরেকটু বড় করে, center-aligned করে দিলে ভাল্লাগবে দেখতে।
ভালো লেগেছে।
বৃষ্টির ছবি থাকলে আরো ভালো লাগত। আমি কিন্তু অন্য বৃষ্টির কথা বলতেসি, আপনি যেই বৃষ্টির ছবি দিসেন ঐটা না 😛
ইঙ্গিত টা যদিও স্পষ্ট নয় …… তবুও কল্পনা করে নিলাম ……… 😛
বৃষ্টি নিয়ে ইয়াদ লিখলে খানাদানা নিয়ে লিখত 😛
“আজ না হয় ফিরব বাড়ি ঝড়ো কাক হয়ে!”
😛
ভেজা মেঘ, ছুঁয়ে থাকা, গাছগুলোতে
নুয়ে থাকে – ফুটে থাকা;
হাজার হাজার-নাগালিঙ্গমে।
ভালো লেগেছে 😀
🙂 🙂 একদিন সময় করে দেখে আসবেন ফুল…… এখনি সময় এই ফুল দেখার