কিছু ভুল চিন্তা আমাদের মত স্থাপত্য পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে কখনোই করবেনা…এদের চিনতে ভুল করবেনা……কেননা,
১ যদি দেখো কোন এক মেয়ে অথবা ছেলে মাঝরাত্রে অনেকক্ষণ এবং বারবার মোবাইল কানে দিয়ে গরম গলায় কথা বলছে, এবং খুব করুণ মুখে ঘুরে বেরাচ্ছে…কাওকে কিছু অনুরোধ করছে, …এমন অবস্থায় কী মনে হচ্ছে???………………………জ্বিনা………সে শহুরে ফোনপ্রেমে ব্যস্ত না…………………আগামীকালের প্রজেক্ট সাবমিসন পেছানোর চেষ্টা করছে সে!!!
২ যদি আমাদের কখনো দেখো বাথরুমে অনেকক্ষণ ধরে গোসল এ ব্যস্ত কিনবা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পুরো একটা সাবান দিয়ে মুখ ধুতে ব্যস্ত এবং বারাবার নিজেকে আয়নায় দেখা, তাহলে কি মনে হবে?…………জ্বিনা…রুপসচেতন ভাবার কিছুর নাই…ওইদিন আমাদের রঙ খেলা হয়েছে!!!!!এবং একেকজনকে রঙ এর বালতিতে চুবানো হয়েছে………………ঘটনার ভয়াবহতা ( 🙂 ) দেখতে হলে প্লিন্থ এর পাশ দিয়ে হেতে গেলেই হবে
৩ যদি কখন আমাদের দেখো মঙ্গলবার নিউমার্কেট আর ধানমন্ডি বন্ধ বলে হা হুতাশ করছি…এর মানে কী? কাপড়চোপড় কিনবা খাওয়া বা আড্ডাবাজি না বোকারামের দল…মডেল এর জন্য ম্যটেরিয়াল(কাগজ) কিনতে কিনবা প্লটার এ প্রিন্ট নিতে পারাটা আমাদের ওখানে যাওয়াটার একমাত্র উদ্দেশ্য!
৪ আমাদের যদি সবসময় দেখা যায় ল্যপটপ নাইলে পিসি এর সামনে একধ্যনে বসে থাকতে, এমনকি ছুটির দিন সকালেও যদি দেখ তাড়াহুড়া করে পিসি খুলে বসছি, আর মুখ হা করে মনিটরের সামনে কিছু গিলছি …কিনবা নেট এর লাইন নাই বলে রাতবিরাতে নেট এর লাইন এর জন্য দৌড়ে বেরাচ্ছি কিনবা কিবোর্ড এর কি গুলো কাপিয়ে কিছু লিখছি…..এর মানে কী?……………না কোন ফেসবুকে চ্যট নয় কিনবা নিষিদ্ধ কিছু দেখছি হা করে তাও নয়…আসলে নতুন কোন মাথানষ্ট করা একটা কাজ নেটে দেখতে পাওয়া গেছে, যেটা কিনা কোন প্রতিযোগিতা জয় করেছে ,সেটার নাড়িনক্ষত্র বুঝার চেষ্টা চলছে……আর কিবোর্ড দাপিয়ে চলছে কোন পুতু পুতু প্রেমের গল্প না………সামনে কোন কিছুর জমা আছে….বা কোন প্রতিযোগিতা আছে(ডিজাইন নাহলে পোর্টফলিও) সেটাই সচেয়ে ভাল কিভাবে জমা দেওয়া যায় সেই আলোচনা!
৫ আর সবশেষে আআমদের গোত্রীয় কার সাথে যদি সারাজীবন থাকার চিন্তা করো তাহলে একটা কথা মাথায় রাখা খুব জরুরী ভাল কোন খাবার দোকান বা ভাল কোন বেড়ানোর জায়গাতে গেলে খুব বেশিক্ষণ তাকে তমার দিকে ধরে রাখতে পারবেনা আশেপাশে এদিকওদিক তাকাতে থাকলে খুব অবিশ্বাস করবেনা তাকে প্লিজ,…আসলে তোমার সাথে সাথে সে তার আশপাশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে অনেক পছন্দ করে…………………ঈশ্বরের কসম নিজেকে সে জায়গায় কখনো তুলনা করতে যাবে না…কষ্ট বেশি পাবে!…………………তার সুন্দর স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করতে তুমিও হাত বাড়িয়ে দিও প্লিজ!
আবার আসব …ঃ)
আমার কেন জানি মনে হলো তুই “দৌড়ায়ে দৌড়ায়ে” পোস্টটা লিখছিস!! 😛
ভালো লেগেছে, তোদের এই গুণগুলো জানতাম, কারণ জানতাম না সব! :nishana:
তবে কথা ঠিক!! তোদের কখনোই পিরেম করতে দেখা যায় না!! তোরা অতি ভালো! রাত জাগিয়া কাজ করিস, অন্য কিচ্ছু না!! :wallbash:
আরেকটা কথা না বললেই না!! এট্টু পরেই বানান ইন্সপেক্টর হামলা করবে! রেডি থাকিস! 😀
মাথা ভীষণ হট ছিলঃ(…বানান ভুল অনেক আছে তাইনা???পরীক্ষার মাঝখানে লিখসিলামঃ(
আর হ্যাঁ!আমরা রাত জেগে জেগে জোনাকি পোকার কিনবা চাঁদের নিচে বসেও প্রেমের কথা বলতে পারি নাঃপ
স্মাইল দেয়ার আগে একটা স্পেস দিয়ে নিলেই হবে।
আর এটা কঠিন সত্যি আপু মানে তোমার লেখা টা 🙁 কি করে যে থাক তোমরা আপু। ভেবেই তো ভয় পাচ্ছি। আমি একবার একটা আপুকে, ক্লাস থেকে বাসায় ফিরে হাত মুখ ধুয়ে আবার একটা ইয়া মোটকু বই নিয়ে বসতে দেখে টাশকি খাইছি! আর আমি হলে তো টেস্ট না থাকলে ঐ দিন জীবনেও টেবিলের সামনে আমাকে নিতে পারবে না 😛 মহা ফাকিবাজ।
পিনিক্স আপা কুইইই ??? আইসাই দেবানে ঝাড়ি !!! অ-তে অজগর, আ-তে আওয়ামীলীগ 😛 শেখাবে ! দ্যা বানান ইন্সপেক্টর অফ সরব !
মজা পেলাম, তবে শেষে বুঝলাম, লিখাটা বেদনার 🙁 আপনারা মজা-আড্ডা করেন কখন ??
পিনিক্স অ্যাঁ! বানান ইনস্পেক্টর।
আহা আহা , বানান নিয়ে কত কথা, ভালো লিখাটা নিয়ে কারো মাথাব্যথা নাই | বানান ইনস্পেক্টর নিয়ে যত চিন্তা…. :nono:
এত কিছুর জন্যই আমাদের জীবনটায় এত রঙ 😀
হুমম!! কত WRONG!!
এইভাবে বললি দোস্ত! 😮
এই রঙ ‘WRONG’ না 😀
জটিল লাগলো যদিও আগে পড়েছি। শুধু বানানটা একটু ঠিক করে নিলেই একেবারে ঝাক্কাস! 😀
‘৫’ নম্বর পয়েন্টটা পড়ে বেশি ভালো লাগলো 😛
আমিও আর্কিটেকচার স্টুডেন্ট… আপনি কই পড়েন? 🙂