পৃথিবীখ্যাত কিছু পেইন্টিং নিয়ে এই লেখা, যেগুলো মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে স্থান-কালের সীমা অতিক্রম করে। এমন নয়,এই ছবিগুলোই পৃথিবীর সেরা ছবি, কিন্তু, এরা সেরা ছবিগুলোর অন্যতম-তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
The Mona Lisa
যে মানুষের পেইন্টিং সম্পর্কে কোন ধারণাও নেই, সেও জানে মোনা লিসা সম্পর্কে। ৭৭সে.মি.*৫৩সে.মি. আকারের এই পেইন্টিং সম্পর্কে নির্দ্বিধায় বলা যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পেইন্টিং এটা। ইতালিয়ান শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ এর মধ্যে এই ছবিটি আঁকেন। অনেকে মনে করেন এটি Lisa Gherardini এর ছবি। আবার অনেকেই বলেন, এই ছবিতে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি নিজের নারী রূপ আঁকার চেষ্টা করেছেন।
বর্তমানে এটি ফ্রান্সের বিখ্যাত লুভর জাদুঘরে আছে।
বিখ্যাত চিত্রকর পাবলো পিকাসোর আঁকা সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি এটি। মানুষের উপর যুদ্ধের ভয়াবহতা কত ভয়ংকর, তা দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। স্পেনের যুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনী কর্তৃক গুয়ের্নিকা শহরে বোমাবর্ষণের ঘটনার প্রতি সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণে এই ছবিটি আঁকেন তিনি। ১৯৩৭ সালে আঁকা ছবিটির আকার ৩৪৯সে.মি.*৭৭৬ সে.মি.।
বর্তমানে এটি আছে স্পেনের দ্য সোফিয়া জাদুঘরে।
নরওয়্যেজিয়ান চিত্রকর Edvard Munch এর আঁকা ছবিটি বিখ্যাত হয়ে আছে কয়েকটি কারণে। প্রথমটি হল, এই ছবিটি কয়েকটি মাধ্যমে এঁকেছেন চিত্রকর। তেল, প্যাস্টেল ইত্যাদি মাধ্যমে ১৮৯৩ থেকে ১৯১০ এর মধ্যে ছবিগুলো আঁকেন তিনি। বিখ্যাত হবার আরেকটি কারণ, বিখ্যাত ‘আর্ট থিফ’-রা কয়েকবার এটা চুরি করেছে। পরবর্তীতে অবশ্য ফেরতও পাওয়া গিয়েছে।
চিত্রকর এই ছবি আঁকার পেছনের কারণ হিসেবে বলেন, এক সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের সময় আকাশের লাল রঙ রঙ দেখে থমকে দাঁড়ান তিনি। আগুনের মত লাল রঙ দিয়ে প্রকৃতি যেন নিজের ভীষণ ভয় প্রকাশ করেছে। সেখান থেকেই ছবিটি আঁকেন তিনি।
৯১সে.মি. * ৭৩.৫ সে.মি. আকারের ছবিটির প্রথম ভার্শনটি বর্তমানে আছে ওসলোর জাতীয় জাদুঘরে।
যারা যারা ‘দ্য ভিঞ্চি কোড’ বই পড়েছেন বা সিনেমাটা দেখেছেন, তারা সবাই এই ছবিটার ভক্ত হবার কথা। এই ছবিতে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এঁকেছেন, বাইবেলে বর্ণিত যীশু খ্রিষ্টের সেই রাতের খাবারের যখন তিনি ঘোষণা করেন, এই টেবিলে বসা ১২জনের একজনই তাকে ধরিয়ে দেবেন।
এই ছবিটি নিয়ে অনেক রহস্য আছে গবেষকদের কাছে। অনেকের মতে, যীশুর ডান পাশে বসে থাকা মানুষটি John the Apostle নয়, বরং, Mary Magdalene নামের একজন মহিলা!
৪৬০সে.মি*৮৮০সে.মি. আকারের পেইন্টিংটি বর্তমানে আছে, ইতালির মিলান শহরের Santa Maria delle Grazie-এ।
এই ছবিটিও পাঁচটি ছবির সিরিজের অংশ, যা Paul Cézanne ১৮৯০ থেকে ১৮৯৫ এর মধ্যে আঁকেন। দু’জন মানুষ বসে বসে নিমগ্ন হয়ে কার্ড খেলার দৃশ্যই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ছবিতে। ছবিটি বর্তমানে আছে কাতার রাজ পরিবারের কাছে।
এই ব্লগ পোস্টে এই ছবিটির স্থান পাওয়ার কারণ-এর মূল্য। ২৫০মিলিয়ন ডলারে বিক্রিত ছবিটি এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ছবি।
[পাঠকদের মতামতের ভিত্তিতে এর পরবর্তী পর্ব আসতে পারে……]
পাঠকদের মতামত ইতিবাচক। পরের পর্ব চাই। 😛
পাঠ সংখ্যা বড়ই নেতিবাচক 😛
“লাস্ট সাপার” আগে থেকেই ভাল লাগত, “দি দ্যা ভিঞ্ছি কোড” পড়ে আর মুভিতে এটার উপর কিছু কাজ দেখে এটা অনেক আগ্রহের বিষয় ছিল আমার কাছে অনেকদিন। বইটা পড়ে তাও পুরো বুঝা যায় না, জিনিসটায় আগ্রহ থাকলে মুভিটা দেখে নিতে পারেন 🙂
“মোনালিসা”র শেষে ভিঞ্ছি লিখেছিলেন- ‘এই মহিলা হাসছেন, কারন তিনি তার দুঃখ লুকিয়ে রাখতে চান’। আমার কাছে ছবিটা সবসময়ই দুঃখের মনে হয় 🙁
মোনালিসা দেখে আমার মনে হয়, এটা এতো বিখ্যাত হবার কারণ কী?! :thinking:
পেইন্টিং আমি এমনিতেই কম বুঝি, বিশেষ করে পিকাসো কিছুই বুঝি না 🙁 গুয়ের্নিকা যেবার প্রথম দেখেছিলাম, বর্ণনা পড়ার আগ পর্যন্ত ছবিটা কোথায় শুরু তাই ধরতে পারতেছিলাম না 😳
আমিও খুব বুঝি তা না। প্রতিটার সম্পর্কে পড়ে পড়ে জেনেছি 😛
ছবি আঁকা :crying: শুরু করা দর্কার!
হা হা
এত দাম হবার কারণ কী ছবিগুলার! আমারে ১০% দিলেও তো হইত। চলুক
ছবির দামের পেছনে মূল কারণ আসলে ঐতিহাসিক গুরুত্ব না, বরং টাকার গরম বলে আমার মনে হয়। কোন একটা বিখ্যাত ছবি আমার কাছে আছে-এটা দেখানোই মূল উদ্দেশ্য……
পরের পর্ব চাই। :happy:
আচ্ছা, দেখি। 🙂
The Card Players,The scream এই দুটো ছবি ভালো লেগেছে বাকি গুলা দেখতে দেখতে বোর হয়ে গিয়েছি।পরের পর্ব চাই। আরও ভালো ভালো ছবি দেখতে চাই। 😀
চেষ্টা করবো পরের পর্ব দেয়ার 🙂
দা কার্ড প্লেয়ার্স – ছবিটা দেইখা হতাশ। এইটা আসলে কেনো বিখ্যাত ? মাথায় দুইটা বাড়ি দিতে মন চায় নিজের, হয় আসলেই মুল্য বুঝিনা ছবির গুলার আর নাইলে মনে হয় আমিই ঠিক
এর চেয়ে অনেক ভালো ছবি আছে। দামী ছবিগুলো নিয়ে পরের পোস্টটা দিতে পারি…
ছবি সবসময়-ই খুব খুব বেশিরকম ভালো লাগে……
এখানের প্রত্যেকটা ছবি অনেক প্রিয় আমার, অবশ্য তেমন যে বুঝি, তা না…… 🙂
পিকাসোর গুয়ের্নিকা অনেক ছোটবেলাতে দেখেই ভালো লেগেছিল……
একটা কথা খুব ভালো লাগে, অনেক আগে পড়া পিকা্সোর ছবি দেখে — ‘ভুল পাতা ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যায় পিকাসোর পাখি…………।’
পরের পর্ব অতি অবশ্যই চাই…… 🙂
আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে 🙂
হায়! ছবি আঁকতে মুঞ্চায় 🙁
আমার দৌড় প্যাস্টেল পর্যন্ত 🙁 “গ্রামের দৃশ্য” নামে একটা গৎবাঁধা সিনারি পারতাম, স্কুলের পরীক্ষায় সেইটা দিয়েই চালাইছি 😀
ছবি আঁকতে মনে চায়, কিন্তু, আমার দৌড় ভাবনা পর্যন্তই 😀
ভ্যান গগের একটা ছবিও নাইক্কা!!
দুর্দান্ত সব ছবি… আর দামীও তো দেখি।কেনার টাকাও নাই দেখার টাকাও নাই। আপনার পোস্ট দেইখা মন ভরলো 8)
পরের পর্ব দেখবার চাই 😀
দ্রুতই আসবে পরের পর্ব…… 😀
আহহ! প্রায় সবগুলো ছবি সম্পর্কেই জীবনে শুনেছিলুম মনে হলো।
দারুণ লাগলো। পরের পর্ব কই?
পরের পর্ব আসিতেছে……সামনেই কোন এক দিনে! 😛