আবার আঁকি বুকি। এবারের পোস্টটা একটু টিউটো পোস্ট-আঁকা আঁকির কিছু স্টেপ নিয়ে কথা বার্তা লিখতে বসলাম সাহস করে। আমার আঁকা আঁকির বেশির ভাগই চেষ্টা করি খুব সিম্পল রাখতে। একদম সহজে কালার করার কিছু ধাপ নিয়ে এই পোস্টটা লেখা হবে।
০১। প্রথম ধাপ ড্রয়িং এবং ইংকিং। সামনে থেকে একটা দৌড়ে আসার জেশচার দেখান হচ্ছে-ফোর শর্টেনিং এর একটা টেকনিক কাজে লাগান হয়েছে এখানে। মানে বিষয়টা হল সামনের পা এবং হাত বড় দেখাচ্ছে আবার পিছনের হাত পা ছোট ছোট দেখাচ্ছে এই জিনিসটাকে মাথায় রেখে আঁকা।
০২। পরের ছবিতে ড্রয়িংটাকে সিলহুট বানানো হল। আসলে প্রথমেই সিলহুট করা উচিত শেপ এবং আকার গুলো বুঝে নেবার জন্য। এটা করে নিলে সুবিধা হয় আঁকার সময়।
০৩। এবার কালার শুরু । নরমাল ফটোশপ ব্রাশকে ৪০% অপাসিটি এবং ৪০% ফ্লো দিয়ে রেখে ফ্ল্যাট কালার করা হল। গাড় করতে চাইলে দুইবার বা তিনবার করে লেয়ার দেয়া যেতে পারে। পরে সিলেকশন টুল দিয়ে গ্রাডিয়েন্টের overlay দেয়া হল। গ্রাডিয়েন্টকেও রাখা হচ্ছে ৪০% অপাসিটি তে। এগুলো আসলে রুল না যেমন ভালো লাগে করা যেতে পারে।
০৪। ব্রাশ আগের মত রেখে আলাদা লেয়ারে মাল্টিপ্লাই মুডে গ্রে কালারের শেড দেয়া শুরু। সিলেকটিভ জায়গায় শেড দেয়া হল।
০৫। শেডের কনট্রাস্ট বাড়ানোর জন্য শেড লেয়ার কে ডুপ্লিকেট করা হল।
০৬। এবার আর একটা লেয়ারে নরমাল মুডে রেখে ব্রাশ দিয়ে শাদা লাইট apply করে Gaussian blur filter apply করা হল।
বাস ছবি কালার মোটা মুটি শেষ। এভাবে আঁকার জন্য ইরেজার টুল, সিলেকশান টুল আর গ্রাডিয়েন্টের ব্যবহার জানা খুব জরুরী। সাথে সাথে লেয়ার এবং গ্রুপিং এর কথাটা মাথায় রাখলে সুবিধা হবে-মানে আলাদা আলাদা জিনিস আলাদা গ্রুপে আলাদা লেয়ারে কালার করা। আমি আপাতত এভাবে সহজে কালারিং শিখছি। কোন প্রশ্ন থাকলে যে কেউ জিজ্ঞেস করতে পারেন আর আমার পদ্ধতির কোন ভুল ত্রুটি চোখে পড়লে শুধরে দেবার অনুরোধ রইল।
সব শেষে ফাইনাল ছবিখানা। 🙂
:huzur: :huzur: :huzur:
বাহ! দারুণ তো! :clappinghands: :huzur: :huzur:
তেমন একটা বুঝতে পারিনি, কারণ ফটোশপ কিচ্ছু পারি না… 🙁
তবে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে………
আঁকাআঁকি শিখতে চাই…………………
ছেলেটা এতো ভালো আঁকে! হিংসিত বোধ করি 😛 😀 :clappinghands:
দারুন টিউটোরিয়াল! না দেখলে বোঝার উপায় নেই ফটোশপ দিয়ে কত কিছু করা সম্ভব। বরাবরের মতই অসাধারণ ইঁদুর ভাই :huzur:
ধন্যবাদ সবাইকে।=)-যারা শেয়ার করেছেন তাদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ-কারো যদি কাজে লাগে তাহলেই খুশি।
আমিও ফটোশপ কিছুই পারি না। 🙁
আর আঁকা তো সবসময়ের মতই বস হয়েছে! :huzur: :huzur: :huzur:
ধন্যবাদ ইঁদুর ভাই। জোস হইছে ছবিটা। :clappinghands:
একটা ছোট্ট অনুরোধ। যদি একটু কস্ট করে সব লেয়ারগুলো নিয়ে .psd ফাইলটা আপলোড করে দিতেন তাইলে একটু সুবিধা হত। শেডিং গুলা দেখতে মন চায়। :thinking:
.psd ফাইলের সাইজ অনেক বড় ভাই! :P-শেড দুই লেয়ারে করা আর কি-৪ নাম্বারে দেখান হয়েছে-কিছু কিছু জায়গা সিলেক্ট করে একদম ফ্ল্যাট gray color শেড multiply mode এ দেওয়া।
:dhisya:
আমার আঁকার হাতের খুবই বাজে অবস্থা!
যাই কিছু আঁকি না কেন, সবই বিমূর্ত হয়ে যায়।
আপনার আঁকা এবং সেটা নিয়ে লেখা, দুটোই ভালো লাগে 😀
কী সুন্দর টিউটোরিয়াল। কাজে লাগাতে পারলে বেশ হতো।
আঁকাআঁকি নিয়ে নতুন করে আর না-ই বা প্রশংসা করলাম। 😛
দারুণ… ফটোশপ পারিনা… ইলাস্ট্রেটর কিছু পারি… সেখান থেকে একটা প্রশ্ন করি… ইলাস্ট্রেটরে কোন কাজ করে, পিকচার ফরম্যাটে (জেপিজি) আনলে কোয়ালিটি খুব খারাপ হয়ে যায়… সেটা কী ভাবে দূর করে?
ইলাস্ট্রেটারের কাজ আমি পারি না ভাই-গুগলকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।:)
ভাইয়া- এইটার কারণ, আপনার রেজুলেশন অনেক কম করে রাখা থাকে, বাই ডিফল্ট। যে কোন কাজ করে JPEG তে নেওয়ার সময় রেজুলেশন 300 pixels per inch করে নিলেই আপনি যেমন কাজ করেছেন, হুবহু সেই রকম পাবেন 🙂
ধন্যবাদ। 🙂
দারুন তো! কীবোর্ডের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লুম, এত সুন্দর জিনিস শিখেই তবে ছাড়বো… টিউটোরিয়ালের জন্য ধন্যবাদ 🙂
দারুণ !! দিনদিন ছেলেটার অংকন সুন্দর হচ্ছে। আগামীতে আরো জোশ হবে, আশা রাখছি :love:
ওরে!!
as usual দারুণ, আসিফ ভাই- সব সময়ের মতন 🙂