কাল এল ক্লাসিকো তে নিজেদের মাঠে বিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে বার্সা , নিজেদের মাঠে এমন পরাজয়ে বার্সা, দলের খেলোয়াড় , কোচ ও অন্যান্য কর্মকর্তা ব্যতীত সাপোর্টটার, মশা, মাছি , চিকা , গরু, সকলে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন । বিশেষ করে “বাংলাদেশ ,উগান্ডা , ও কঙ্গোর সাপোর্টটার মধ্যে বিশেষ প্রভাব লক্ষ করা যায় । এই নিজেদের মাঠে এই নাক্কারজনক হার মানতে না পেরে বাংলাদেশের সাপোর্টটাররা ইতোমধ্যে “অসীম সংখ্যক” সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল , এবং পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য হিসেবে গণ্য হয়েছে “যে ঘটনা” তা হল “সেই তদন্ত কমিটি “ তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে । বাংলাদেশে এই প্রথম কোন তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদেন জমা দিতে পারায় তাদের “বিশ্ব শান্তি পুরষ্কার দেবার সুপারিশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট “বারাক মামা (বারেক ওবামা)
এই তদন্ত প্রতিবেদনে বেড়িয়ে এসেছে “সুরঞ্জিতের কাল বিড়াল “ , জানা গেছে এক অজানা অধ্যায়, কেন হারল বার্সা !! কে ছিল এর পেছনে !!! এই সকল তথ্যই বেড়িয়ে এসেছে তদন্তে ।
জানা গেছে “বার্সার হারার প্রধান কারণ “বুয়েট”!!! এই বিষয়ে নিচে বার্সার কোচ পেপ গারডিওলার মতামত দেয়া হল
“আসলে কিছু দিন আগে আমি ফেসবুকের মাধ্যমে “বুয়েটে”র অচালবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি , বুয়েটের কিছু স্টুডেন্ট ক্লাস করতে না পারার কষ্টে ফেসবুকে যে কান্না কাটি শুরু করে দিয়েছিল । সেই কান্নার জল কম্পিউটারের মনিটর ভেদ করে আমার ঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল , তাদের আর্তনাদে ফেসবুকের হোম পেজ ছিল থমথমে , আমি বুয়েটের আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখতে পেলাম । তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম , সেই সকল অবুঝ স্টুডেন্টদের জন্য কিছু করা উচিত , আমি আমার দলের সকলকে এই ঘটনা খুলে বলি , এই অত্যন্ত কষ্টকর , লোমহর্ষক , কথা গুলো শুনে আমার দলের খেলোয়াড়দের মনোবল একে বারেই ভেঙ্গে যায় , তারা বুয়েটের স্টুডেন্টদের কষ্টে এত বেশি কষ্টিত হয় যে তারা মাঠে নামতে অপারগতা জানায় , কিন্তু আমি যেহেতু কোচ তাই আমি আমার বুকে পাষাণ বেঁধে তাদের মাঠে নামতে বাধ্য করি , আসলে সেই কারণেই আমরা হেরেছি , এটা হচ্ছে “বুয়েটের” প্রতি আমাদের সামান্য ভালবাসা”
তিনি আরও বলেন “ আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি আমাদের এই হারে “বুয়েটের” সকল মাদ্রিদ সমর্থক খুশি , আসলে আমরা এই সকল অবুঝ প্রান স্টুডেন্টদের মুখে হাসি ফুটাতে চেয়েছি , তাদের খুশিই আমাদের খুশি”
একি সাথে তিনি বুয়েটের বার্সা সমর্থকদের নিরাশ না হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন “ বুয়েট খুললেই আবার আমরা জিতা শুরু করব, নিরাশ হবার কিছু নেই”
সব শেষে তিনি বুয়েটের প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন “তাড়াতাড়ি ক্লাস শুরু করার ব্যবস্থা করেন , আমরা বেশি দিন হারতে পারব না”
এ দিকে রোনালদোর গোল প্রসঙ্গে তিনি বলেন “রোনালদো গোল করার জন্য অত্যন্ত উদগ্রীব ছিল, আমরা দেখলাম বেচারা অফসাইড পজিশন থেকে ও গোল দিতে চেয়েছে এবং বল জালে জড়িয়ে ও ফেলেছিল , এ ছাড়া ও বেচারা আমাদের বিরদ্ধে খুব কম দিতে পারে তা ও যা পারে প্রায় সবই পেনাল্টিতে , তাই আমরা ভাবলাম হারবই যখন তখন গোল দিতেই দেই ,”
তিনি আরও বলেন “আমি শুনেছি বুয়েট খুললে পুনম পাণ্ডেও খুলবেন, তাই আমরা চাই বুয়েট তাড়াতাড়ি খুলক , তিনি বুয়েট প্রশাসনকে অবিলম্বে ক্লাস শুরু করার অনুরদ জানান ।
তবে বুয়েটের প্রতি তার এত “ভালবাসার” কারণ কি সম্পর্কে জানতে চাইলে এক মর্মান্তিক ঘটনা জানা যায় । আমরা তা তার নিজ ভাষায় বর্ণনা করছি
“ ছোট বেলা থেকেই আমার বুয়েটে পড়ার অনেক শখ ছিল , আমার আম্মু বলছিল আমি পারব , আমি ও জানতাম আমি পারব , আমি বুয়েট থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলাম , আসলে সেটা অনেক আগের কথা , আমি জানি আমার কথা শুনে অনেকেই অবাক হবে , কিন্তু এককালে বুয়েটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হত , তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই সাব্জেটে মাত্র একজন শিক্ষার্থী ভর্তি করাত , তাই সবাই এই সাব্জেটে ভর্তি হতে হলে শুধু ১ম হলেই আরও অনেক গুনাবলি লাগত ,তো, আমি পরীক্ষা দিয়ে যৌথ ভাবে ১ম হই , আমার সাথে যে প্রথম হয়েছিল তিনি হলেন “শাকিব খান” যাই হোক আমি সিউর ছিলাম আমি “টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং” পাবই পাব , কারণ “মা বলেছিল আমি পারব” কিন্তু কি বলব দুঃখের কথা “বুয়েট কর্তৃপক্ষ “ কোন এক অজানা কারনে “আমাকে” বাদ দিয়ে “শাকিব খান”কে “টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং” এ ভর্তি করায় । সে দুঃখে আমি বুয়েট থেকে চলে আসি , তবে আসার আগে আমি বুয়েটের বিরদ্ধে মামলা করি , আদালত আমার পক্ষে রায় দেয় , সেই থেকেই বুয়েটে “টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং” বলে কোন সাব্জেট নেয় এবং “শাকিব খান”ই এই সাব্জেটের শেষ “স্টুডেন্ট” তারপর আমি ফুটবল খেলা শুরু করি তারপরের ইতিহাস তো সবই জানেন”
(আমি বার্সার সাপোর্টটার , সুতরাং কোন কোন বার্সার সাপোর্টটার দয়া করে কিছু মনে করবেন না, এইটা শুধু মাত্রই একটি রম্যলেখা )
সিরিয়াস হয়ে পড়তে নিয়েছিলাম। তবে মজা পেয়েছি 😛
যদিও শেষের প্যারাটা একটু ‘কেমন যেন’ হয়ে গেছে……
কেমন জানি মানে কি লেখার মান খারাপ?? নাকি অন্য কিছু
লেখার মান খারাপ হলে পরবর্তীতে অবশ্যই ভাল করার চেষ্টা করব
আর অন্য কিছু হইলে কি করব!!! (মাথা চুলাকানর ইমু )
খারাপ না। তবে লাইনগুলো একটু একটানা হয়ে গেছে……
বুঝাতে পারি নাই মনে হয় :thinking:
যেটুকু বুঝলাম , তা কাজে লাগাতে চেষ্টা করব ,
পরবর্তীতে ও যদি একই সমস্যা থাকে তাহলে বুঝবেন আসলেই বুঝতে পারিনি । তখন আবার বুঝাতে হবে!!!
ধন্যবাদ :love:
🙂
😛
🙂
কুল… কিপিটাপ! :love:
:happy:
বার্সা পোস্টেও বুয়েট চইলা আইল 😯 😯
😛
বুয়েট হেথা, বুয়েট সেথা, বুয়েট সবখানে 😛
😯 😯 :thinking:
😀
😛
তিনি আরও বলেন “আমি শুনেছি বুয়েট খুললে পুনম পাণ্ডেও খুলবেন, তাই আমরা চাই বুয়েট তাড়াতাড়ি খুলক , তিনি বুয়েট প্রশাসনকে অবিলম্বে ক্লাস শুরু করার অনুরদ জানান
=)) =)) =)) =))
:love:
বার্সার সাপোর্ট করস বইলা এতো ভদ্রভাবে লিখসস।
আমার মত রিয়ালের হইলে বুঝা যাইত … :love:
মজা পাইসি। পুনম পান্ডে এইখানেও খুলবে। ওরে খাইসে! হা কইরা চাইয়া রইসি দেখার লাইগা। 😛
লেখা ভাল্লাগসে। :happy:
– একজন বার্সা সাপোর্টার