গোঁধূলি লগন

ওই একা খাইস না!!

আজাদ জবাব দিলো না, তাকে চিন্তায় মগ্ন দেখা যাচ্ছে,

কিরে শুনিস না??

জয়নাল এর চিৎকার এ আজাদের সম্বিৎ ফিরল,

প্রায় টান দিয়ে জয়নাল বিড়িটা নিলো আজাদের হাত থেকে,

কি ভাবস এত??

কিছু নারে,

অবশ্যই কিছু ভাবতাছস, কখন থাইকা ক্যা ক্যা করি, জবাব তো দেস না…

ও, কি জানি বলতেছিলি, গম্ভীর মুখে আজাদ বলল,

পুবখালি তে কাইল আগুন লাগছিলো খবর পাইছস??

কস কি, কেমনে??

জানিনারে, কেও লাগাইছে অবশ্যই, ২ টা হিন্দুবাড়ি পুইড়া খতম,

আহহা, মরছে কেও??

২ টা পরিবার কয়লা একদম, ঘুমায় ছিল, বাইর হইতে পারে নাই।

আহারে।

বিষণ্ণ মনে আজাদ বাড়ি ফিরছে,

হটাত ডাক শুনে থমকে দাঁড়ালো।

আজাদ ভাই…

কণ্ঠটা বাঁশির মত মিষ্টি, আজাদ বুঝেছে এর মালিক কে।

কেয়া দ্রুত সামনে আসলো ,সে আজ খোঁপা করেছে, খোঁপায় কচুরিপানার ফুল,

হাতেও ফুল। পড়নে নীল রঙের একটা শাড়ি।

এইগুলান তোমার লাইগা

ফুল দিয়া আমি কি করুম??

আমি কি জানি, দিছি নিবা, না দিলে মন ভাইঙ্গা যাবে, মন ভাঙ্গা মসজিদ ভাঙ্গা এক কথা,

এই বলে সে খিলখিল করে হাসতে লাগলো,

আজাদ কথা না বলে ফুল নিলো,

এই সময় কই যাও আজাদ ভাই??

আমার বাড়ির রাস্তা, বাড়ির রাস্তা দিয়া মানুষ কই যায়??

বাড়ির রাস্তা দিয়া মানুষ চুরি করতে যায়, আড্ডা মারতে যায়, আবার লুকায় লুকায় বিড়ি ও খাইতে যায়,

এই বলে সে আবার হাসি শুরু করলো।

আজাদের মেজাজ খারাপ হল এবার,

পরক্ষনেই সে খেয়াল করলো, নিশ্চয়ই তার মুখ দিয়ে বিড়ির গন্ধ আসছে, আজ সে বিড়ি খেয়ে লেবু পাতা চিবুতে ভুলে গেছে, কি সব্বনাশ!!

আজাদ বিরস মুখে বলল, বিরক্ত করিস না তো, যা নিজের কামে যা, আমার রাস্তা আটকাস না,

এহ, তোমারে আটকাইছে কে?

কি ভাইবা হাটতেছিলা, ডাক না দিলে তো খালে পড়তা, মানুষ ভাবত কানা হইয়া গেছ,

আবার সে হাসি দিলো, আজাদ এবার উত্তর না দিয়ে হাটা ধরল, কেয়া বড় জ্বালায়, বাড়ির সামনে গাছ থেকে পাতা ছিড়ে চিবুতে লাগলো।

বাড়িতে ঢুকতেই মা বলল, আসছস তুই, তোর চাচা আসছে,

মাজহার ভাই আসছে??

হ্যাঁ সবাই আসছে

কও কি, আজাদ দ্রুত ভিতরে গেলো।

কফিল উদ্দিন সাহেব ঝামেলায় পড়েছেন, শহরের পরিস্থিতি ভালো না, গণ্ডগোল লাগবে বলে মনে হচ্ছে, ব্যবসা পাতি তাই কর্মচারীর কাছে ছেড়ে একমাত্র ছেলে মাজহার কে নিয়ে তিনি তাই গ্রামে চলে এসেছেন। মাজহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তার ও বন্ধ চলছে পরীক্ষার।

গ্রাম বেশ কাছে হওয়ায় তিনি চলে এসেছেন, ছেলেটার উপর ও লক্ষ্য রাখা যাবে, কি সব ছাত্রলীগ ফাত্রলীগ করে, খালি সভা সমাবেশ আর মারামারি বাদে এরা কিছুই পারেনা

আবার নাকি দেশ পরিবর্তন করবে, কোনদিন দেখা যাবে পুলিশের গুলি খেয়ে পড়ে আছে।

রুনু……

ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কে ডাকলেন তিনি,

জি ভাইজান??

মাজহার আর আজাদ কই?

ওরা তো ছাঁদে, গপসপ করে

ভালো, ভায়ে ভায়ে মিল আমার অত্যধিক পছন্দ,আজাদ কলেজে ভর্তি হয়েছে, সেও অনেক জ্ঞান পাবে।

জি ভাইজান,

যাও এক কাপ চা বানিয়ে দাও,

আচ্ছা ভাইজান।

রুনু উঠে গেলেন

কফিল উদ্দিন পাখা দিয়ে বাতাস করতে লাগলেন, যা গরম পড়েছে।

আজাদ আর মাজহার ছাদে বসে আছে। মাজহার পকেট থেকে ক্যাপ্টেন সিগারেট বের করলো…

নে খা,

আমি এসব খাই না ভাইজান

মিথ্যা বলবিনা, আমি তোর চেহারা দেখেই বুঝেছি

আজাদ একটু অপ্রতিভ হয়ে নিলো,

আরাম করে খা, লেখা পড়া কেমন চলে তোর??

ভাল ভাইজান

গুড, প্রেম ট্রেম করিস??

না ভাইজান

ভালো,

“এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,”

আজাদ মাজহারের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চাইল।

ঢাকার খবর জানিস??

তেমন না ভাইজান,

অবস্থা ভালো না, কিছুদিনের মাঝেই বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেবেন মনে, হয়,

জাতি উনার ভাষণ শোনার অপেক্ষায় মুখিয়ে আছে, অন্যদিকে তাকিয়ে মাজহার বলল।

উনার ভাষণ এ কি লাভ হবে??

উনার ভাষণ জাতির জন্য খুব ই জরুরি, উনি যেভাবে বলবেন, যা বলবেন সেভাবেই সব হবে, যদ্দুর জানি, ৭ই মার্চ উনি সবাইকে রেসকোর্সে

ডেকেছেন।

আপনি যাবেন??

অবশ্যই যাব, ওইদিন উনি জাতিকে দিক নির্দেশনা দিবেন

আমিও যেতে চাই ভাইজান,

যাবি??

হু

দেখি কি হয়।

৭ই মার্চ ভোর, কিছু না বলেই ওরা ২জন বের হয়ে গেলো, ফজর আজান হবে হবে,

নদীর পাড়ে আরও ৭ জন অপেক্ষা করছে ওদের জন্য, মাঝিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে দ্রুত নদী পার হল ওরা,

ঢাকা অনেক দূর, আরও অনেক পথ বাকি……।

আজাদ ও মাজহার কানে ধরে দাড়িয়ে আছে বাইরে,

কফিল উদ্দিন ওদের ঢুকতে দেন নি

তারা সারাদিন সারাদুপুর কোথায় ছিল তা না জানিয়ে যাবার জন্য এই শাস্তি

ওরা বলছে দল বল নিয়ে নৌকা ভ্রমণে বেরিয়েছিল, ৯ জন ছেলে, নৌকার মাঝি ও একই কথা বলেছে, তবু উনার মন খচ খচ করছে।

এতগুলা লোক মিথ্যা বলবেনা ঠিক, তবে উনি তো উনার ছেলে কে চেনেন, উনার মনে ক্ষীণ সন্দেহ হচ্ছে ওরা শেখ সাহেবের ভাষণ শুনতে গিয়েছিলো কিন্তু প্রমাণের অভাবে বলতে পারছেন না।

ওরা যদি নৌকা ভ্রমণেই যাবে তবে না বলে যাবার কথা না, উনি অবশ্য বাধা দিতেন ঠিক, মাজহার সাঁতার জানে না, আজাদ জানে, তবু ভয় থাকতো

জমি জমা কম নেই উনাদের, বিঘায় বিঘায় পড়ে আছে, ছেলেগুলো কে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিলে মন্দ হয় না, দেশের পরিস্থিতি ভালো না।

শেখ সাহেব ছেলেগুলোর মাথা খাচ্ছেন, উনার ভাষণে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, ঈশারা ইঙ্গিতে উনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।

ভ্রু কুচকে উনি ছোট ভাই মহিউদ্দিনের সাথে কথা বলবেন বলে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন।

আজাদ ও জয়নাল কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছে,

জয়নাল হঠাত বলে উঠলো

তোর কি মনে হয় যুদ্ধ অনিবার্য??

হু,

আমরা কি পারবো?

অবশ্যই পারবো, আমাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর মত নেতা আছেন,

পারতেই হবে আমাদের।

যদি যুদ্ধ হয় তুই কি যাবি??

জানিনা…

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আজাদ বলল।

আজাদ বাড়ির রাস্তায় চলে এলো, সামনেই কেয়া দের বাড়ি কেয়াকে বেশ কিছুদিন যাবত দেখছেনা, মেয়েটা ওকে জ্বালায় ঠিক

কিন্তু সে এটা কে উপভোগ করে কেমন জানি অভ্যাস হয়ে গেছে ওর জ্বালাতন,

কেয়াদের বাড়ির সামনে আসতেই কুমকুম এর সাথে দেখা,

তোর বইন কই রে??

বুবুর শইল বালা না

ক্যান কি হইছে?

জ্বর, ঠাণ্ডা, শইল বড় দুর্বল, বিড়বিড় করে সারাদিন জ্বরের ঠেলায়,

ওহ

আজাদ মন খারা করে বাড়ি ফিরল।

ঢাকা থেকে প্রচুর মানুষ গ্রামে আসছে, ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন,

এক রাতে হাজার হাজার আর্মি নেমেছে, কয়েক লাখের কাছাকাছি মানুষ মারা গিয়েছে, দলে দলে মানুষ গ্রামে আসছে, সেই কি আহাজারি,তাদের, আকাশ বাতাস ভারি হয়ে আসছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলতে লাশের মেলা বসেছে, ঢাকায় মাটি খুঁড়লে রক্ত বের হবে এমন যায়গার অভাব নেই, অসংখ্য মা বোন ইজ্জত হারিয়েছে,

এমন শিশুর অভাব নেই যে এক রাতে তার মা বাবা সবাইকে হারিয়েছে, পাকিস্তানের পিপলস পার্টির নেতা, জুলফিকার আলী ভুট্টো সে রাতে অপারেশনের পরপর হোটেল ইন্টারকনে বসে বললেন

“আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ পাকিস্তান কে রক্ষা করেছে, ইসলামের বিজয় হয়েছে,” দূরে তখন ডেইলি পিপল জ্বলছিল।

আজাদ, মাজহার ও গ্রামের আরও লোকজন মিলে লঙ্গরখানা খুলে বসেছে, শরণার্থীদের সেখানে ৩ বেলা খাওয়ানো হয়,

৭ গ্রামের মানুষ চাল ডাল শাক সবজি টাকা পয়সা যে যা পারছে তা দিয়ে সাধ্যমত তাঁদের সাহায্য করছে,

শরণার্থীর প্রায় সবাই বিধ্বস্ত, কালরাত্রির ঘটনায় প্রত্যেকেই কাওকে না কাওকে হারিয়েছে,

মানুষের কষ্ট দেখে পানি ধরে রাখা দায়।

কেয়ার সাথে আজাদের এই উছিলায় একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে, দেশ ময় তখন যুদ্ধ শুরুর প্রস্তুতি।

এপ্রিল মাস,

দিন দিন শরণার্থী বাড়ছে, আজাদরা সাধ্যমত করছে, অনেকটা শিডিউল মেনে কাজ করার মত,

এক বিকেলে আজাদ ও মাজহার তাদের ছাঁদে দাড়িয়ে আছে,

দু জন সিগারেট খাচ্ছে, তাদের সাথে আরও ৭ জন আছে

জয়নাল হটাত বলে উঠলো,

আমরা কি এভাবে বসে থাকবো??

আজাদ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে মাজহারের দিকে তাকাল,

মাজহার চুপচাপ,

আজাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

আমরা এখনও দুর্বল, সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মত সাধ্য এখনও আমাদের হয়নি, কি ই বা করতে পারি আমরা,

তাই বলে চুপচাপ বসে থাকব?? ওরা গণহারে আমাদের মারছে, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে, পাকিস্তানে,

এভাবে তো সম্ভব না, জয়নালের কণ্ঠে কিছু একটা ছিল,

মাজহার এবার সিগারেট ফেলে বলল,

কিছু করতে চাস তোরা??

সবাই মাথা নাড়ল,

তাহলে রেডি থাক যে কোন মুহূর্তে ডাক আসবে, আমি জানাব তোদের কে,

তারা জানল না, সেই দিন ই বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ এর আমতলায় তৈরি হল, মুজিবনগর সরকার এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আর তাজউদ্দীন আহমেদ নিলেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব, তাদের প্রথম গার্ড অফ অনার দেন তাদের অঞ্চলের ই সন্তান তাদের ই মামাত ভাই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, যিনি এসপি মাহবুব নামে খ্যাত।

১০

মাজহার বসে আছে কফিল উদ্দিন, মহিউদ্দিন ও আজাদের মা রুনু

মাজহার নিরবতা ভাঙল,

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন দেশে যুদ্ধ লেগেছে, বাংলার বীর সন্তানেরা যুদ্ধে যাচ্ছে,

কেও জবাব দিচ্ছে না

আমাদের এভাবে বসে থাকলে চলবেনা, কিছু করতে হবে…

কফিল উদ্দিন এবার বলে উঠলেন,

হ চারটা বোমা মারলে আর ২ টা ফাকা গুলি ছুড়ে জয় বাংলা ধ্বনি দিয়া দেশ স্বাধীন করা যায় না,

এখানে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সেনাবাহিনী তোমাদের প্রতিপক্ষ, ২ দিন পর পালিয়ে কূল পাবে না একেকজন!!!

কিন্তু আমাদের তো চেষ্টা করা উচিত ভাইজান, চমকে দিয়ে বলে উঠলেন মহিউদ্দিন,

কি বলতে চাও তুমি??

আমি বলতে চাই যে ওদের যেতে দেয়া হোক, দেশ ওদের চায়,

কিন্তু নিশ্চিত মৃত্যু জেনে ছেলেদের আমি যেতে দিতে পারিনা মহি,

আপনারা যদি আমাদের মানা করেন তবু আমরা যাব, যেতে দিলে ও যাব, শুধু মৌখিক সম্মতির জন্যই আমি এসেছি, মাজহার দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করলো,

মাজহারের কথার জবাব না দিয়ে কফিল উদ্দিন উঠে দাঁড়ালেন,

উনার ঘাড় ব্যথা করছে, প্রেশার বেড়েছে, সম্ভবত, অতি টেনশনে উনার এমন হয়।

১১

সন্ধ্যা হবে হবে করছে,

সূর্য ডুবে যাবে কিছুক্ষণের মাঝে,

রুনু কাঁদছেন, আজাদ আর মাজহার কে বিদায় দিচ্ছেন তিনি, কফিল উদ্দিন অন্যদিকে চেয়ে আছেন, সম্ভবত উনার চোখেও জল, মাজহার বাইরে দাড়িয়ে আছে।

আজাদ কফিল উদ্দিন কে সালাম করতে আসলে কফিল উদ্দিন তার কপালে চুমু খেলেন, বললেন, দেশ স্বাধীন না করে ফিরবি না, খালি হাতে যেন না ফিরতে দেখি,

আল্লাহ এর হাতে তোদের সমর্পণ করে দিলাম, যা।

আজাদ আর মাজহার নদীর ঘাটে যাচ্ছে, সবাই সেখানে অপেক্ষা করছে, আজাদের চোখ কিছু খুঁজছে,

কিছুদূরে দেখা গেলো কেয়া দাড়িয়ে আছে,

আজাদের খুব ইচ্ছা করলো, কেয়ার চোখের দিকে একটি বার তাকাতে,

সে তাকাল না, স্বাধীনতা আসুক স্বাধীন দেশে সে যত ইচ্ছা কেয়াকে দেখবে

কেয়ার পড়নে লাল রঙা শাড়ি, গোধূলির লাল রং আর কেয়ার শাড়ি মনে হচ্ছে মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে,

আজাদ মনে মনে বলল “আমি আসবো, কথা দিলাম, তোমার কাছে অবশ্যই ফিরে আসবো”।

সূর্য ডুবছে, কেয়া ঝাপসা চোখে তাকিয়ে আছে, আজাদদের নৌকাটা দিগন্তে মিলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে,

আঁধার নামছে, বিস্তৃত ঘন কালো অন্ধকার।

[ মাজহার ঢাকার একটা মিশনে নভেম্বরে শহীদ হয়, তার বীরত্বের স্বীকৃতস্বরূপ সরকার তাঁকে বীরবিক্রম উপাধি দান করে,

আজাদ যুদ্ধ করে ফিরে আসে, যুদ্ধে তার একটা পা কেটে ফেলতে হয় গুলি লাগার কারনে,

কেয়াকে পাকিস্তানি আর্মি ধরে নিয়ে যায়, যুদ্ধের পর তাঁকে ভারসাম্যহীন অবস্থায় পাওয়া যায়, এক রাতে ফাঁস পেঁচিয়ে সে আত্ম হত্যা করে।

একটা যুদ্ধ যেমন একটা জাতিকে অনেক কিছু দেয় , তেমন অনেকের কাছ থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয়,

অনেক মূল্য দিয়ে কিনে আনতে হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। ]

সমাপ্ত

নিবিড় সম্পর্কে

স্বপ্নবাজ, স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি, স্বপ্ন ভঙ্গ হয়, তবু স্বপ্ন দেখা ছাড়িনা,
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে গল্প, সাহিত্য-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

13 Responses to গোঁধূলি লগন

  1. অক্ষর বলেছেনঃ

    :huzur:

    স্বাধীনতা অনেক মূল্য দিয়ে কেনা, মাঝে মাঝে মনে হয় ‘৭১ এ কি আমি পারতাম মাজহার বা আজাদের মত সাহসী হতে ? উত্তর যাই হোক, এই আজাদ , মাজহাররা আমাদের এত সুন্দর একটা দেশ উপহার দিয়েছে যার বিনিময়ে আমাদের উচিৎ এই দেশটাকে আরও সমৃদ্ধশালী করে তোলা , দেশের জন্য সামান্য হলেও কিছু করা।

  2. মাহি বলেছেনঃ

    অনেক ভালো লাগছে রে !
    তবে এই ধরণের ভালো লেখায় বানান ভুলগুলা না থাকলে আরও ভালো হইত।

    লেখা দেওয়ার আগে কয়েকবার কইরা দেখে তারপর দিস।
    আর সামনে অনেক ভালো লেখা দিবি … 😀

  3. জুবায়েদ বলেছেনঃ

    সুন্দর লেখা। ভাল লাগা রইল।

  4. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    দেশটা কত ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে-কত মানুষ যে এ কথাটা ভুলে যায়! কীভাবে ভুলে বুঝতে পারি না 🙁

    চমৎকার একটা গল্প লেখার জন্য ধন্যবাদ :clappinghands:

    অনেকগুলো লাইনের শেষে ‘দাড়ি’-র বদলে ‘কমা’ চলে আসছে। একটু ঠিক করে নিলে ভালো হয়। 🙂

    • নিবিড় বলেছেনঃ

      এখন ঠিক আছে??

      আসলে এইটা সত্য ঘটনার উপর লেখা, আজাদ আর মাজহার চরিত্র দুটি সম্পর্কে আমার চাচা হন , আজাদ চাচা বাবার সাথেই যুদ্ধ করেন, আর মাজহার চাচা ঢাকায়।

      আসলে যারা হারায় তারাই একমাত্র বোঝে হারানোর যন্ত্রণা কতটুকু।
      ধন্যবাদ ভাইয়া।
      🙂

      • স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

        না ভাইয়া। এখনো ঠিক হয় নাই।
        একদম প্রথম লাইন থেকে দেখ। যেখানেই লাইন শেষ হবে সেখানেই ‘দাড়ি’ হবে। 🙂

        যেমন:
        [ওই একা খাইস না,
        আজাদ জবাব দিলো না, তাকে চিন্তায় মগ্ন দেখা যাচ্ছে,
        কিরে শুনিস না,
        জয়নাল এর চিৎকার এ আজাদের সম্বিৎ ফিরল,
        প্রায় টান দিয়ে জয়নাল বিড়িটা নিলো আজাদের হাত থেকে,
        কি ভাবস এত??
        ]

        এটা হবে:
        [ওই একা খাইস না।
        আজাদ জবাব দিলো না, তাকে চিন্তায় মগ্ন দেখা যাচ্ছে।
        কিরে শুনিস না?
        জয়নাল এর চিৎকার এ আজাদের সম্বিৎ ফিরল।
        প্রায় টান দিয়ে জয়নাল বিড়িটা নিলো আজাদের হাত থেকে।
        কি ভাবস এত??]

  5. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    আমি পড়ার সময় পাই নাই রে। পড়ে কাল মন্তব্য করব ইনশাআল্লাহ্‌

  6. অদ্ভুত ছেলে বলেছেনঃ

    সুন্দর গল্প। ভালো লেগেছে। 😀
    তবে পর্ব করে দিলে ভালো হইত মনে হয়

  7. নোঙ্গর ছেঁড়া বলেছেনঃ

    সুন্দর গল্প। ধন্যবাদ রইলো

  8. শারমিন বলেছেনঃ

    ভালো লেগেছে 😀

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।