তুমি কোন পড়ুয়া মেয়ের সাথেই প্রেম ক’রো। এমন মেয়ের প্রেমে প’ড়ো, যে কাপড়ের বদলে বই কিনে টাকা শেষ করে ফেলে। অতিরিক্ত বই রাখতে গিয়ে যার আলনার জায়গা শেষ হয়ে যায়। এমন মেয়ের সাথে প্রেম ক’রো, যার কাছে সবসময়েই পড়তে-চাওয়া বইয়ের তালিকা থাকে, বারো বছর বয়স থেকেই যার একটা লাইব্রেরি কার্ড আছে।
এমন এক মেয়েকে খুঁজে বের ক’রো যে পড়ে। কীভাবে বুঝবে? – তার ব্যাগে সবসময়েই একটা না-পড়া বই থাকবে। বইয়ের দোকানের তাকগুলোর ওপর দিয়ে মুগ্ধ চোখ বুলিয়ে নিয়ে যাবে যে, আর পছন্দের বই দেখলে নিঃশব্দে চিৎকার করে উঠবে। পুরনো বইয়ের দোকানে একটা বই হাতে নিয়ে তার পাতা শুঁকতে দেখছো যেই অদ্ভুত মেয়েটাকে – ওই হচ্ছে পড়ুয়া। ওরা কখনোই বইয়ের পাতার গন্ধ না শুঁকে থাকতে পারে না – পাতাগুলো হলদেটে হলে তো কথাই নেই।
রাস্তার ধারের কফির দোকানটায় অপেক্ষা করতে করতে বই পড়বে সে। তার মগে উঁকি দিলে দেখবে – সেখানে ক্রীম ভাসছে, কারণ এর মধ্যেই ডুবে গেছে সে বইয়ের মধ্যে। লেখকের তৈরি পৃথিবীতে হারিয়ে গেছে। সেখানে বসে পড়লে তোমার দিকে কঠিন চোখে তাকাতে পারে সে – পড়ার মাঝখানে কেউ বাগড়া দিলে পছন্দ করে না যে ওরা! বইটা তার ভাল লাগছে কিনা জিজ্ঞেস ক’রো।
আরেক কাপ কফি কিনে দিও তাকে।
মুরাকামিকে নিয়ে তুমি সত্যি সত্যি কী ভাবো সেটা তাকে জানিও। ‘ফেলোশীপ’এর প্রথম অধ্যায় সে শেষ করতে পেরেছে কিনা জেনে নিও। যদি বলে যে সে জেমস জয়েসের ‘ইউলিসিস’ বুঝতে পেরেছে – ধরে নিও যে নিজেকে বুদ্ধিমতী প্রমাণ করার জন্যই কেবল এ কথা বলছে সে। জিজ্ঞেস ক’রো – সে এলিসকে ভালবাসে, নাকি এলিসের মত হতে চায়।
পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেম করা সহজ। জন্মদিন, বড়দিন, বার্ষিকী – যে কোন উপলক্ষ্যেই তাকে বই উপহার দিও। কথার মালায় গাঁথা উপহার দিও তাকে – গানে, কবিতায়। নেরুদা, পাউন্ড, সেক্সটন, কামিংস-এর বইও দিতে পারো। কথা মানেই ভালবাসা – সেটা যে তুমি বোঝো তা তাকে জানিও। বই আর বাস্তবের পার্থক্য সে জানে – এটুকু বুঝে নিও; তবে নিশ্চিত থাকতে পারো – নিজের জীবনকে সে একটু হলেও তার প্রিয় বইয়ের মত করে গড়ে নিতে চাইবে। যদি চায় – তাতে তোমার দোষ নেই কিন্তু!
তাকে কোন না কোনভাবে চেষ্টাটুকু তো করতে হবে।
তার সাথে মিথ্যে ব’লো। সে যদি ব্যাকরণ বোঝে, তাহলে এটাও বুঝে নেবে যে তোমার মিথ্যে বলার প্রয়োজন ছিল। কথার বাইরেও আরো অনেক কিছু থাকে: প্রেরণা, মূল্যবোধ, বিরোধ, সংলাপ। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে না তুমি মিথ্যে বললে।
তাকে হতাশ ক’রো। কারণ যেই মেয়ে পড়ে, সে জানে যে ব্যর্থতা থেকেই এক সময় পরম পাওয়া আসে। কারণ সে জানে সবকিছুরই শেষ আছে। জানে, তুমি সবসময়েই একটা নতুন পর্ব লিখতে পারবে। জানে, তুমি যতবারই শুরু করো না কেন প্রতিবারই জয়ী হয়ে ফিরে আসতে পারবে। জীবনে একজন-দুজন খলনায়ক থাকবেই – এ কথাও জানে সে।
তুমি যা কিছু হতে পারো নি সেগুলোতে ভয় কিসের? যেসব মেয়ে পড়ে, তারা এও জানে – বইয়ের চরিত্র যেমন গড়ে ওঠে, মানুষও তেমন। ‘টোয়াইলাইট’ সিরিজের চরিত্রগুলো ছাড়া।
তুমি যদি কোন পড়ুয়া মেয়েকে খুঁজে পাও, তাকে নিবিড় করে নিও। রাত দুটোয় ঘুম ভেঙে যদি দেখো একটা বই বুকে জড়িয়ে বসে সে কাঁদছে – তাকে এক কাপ চা বানিয়ে দিও, আর জড়িয়ে ধরে রেখো। কয়েক ঘণ্টার জন্য হয়তো তাকে তুমি হারাবে – কিন্তু সে শেষমেশ তোমার কাছেই ফিরে আসবে। সে এমনভাবে কথা বলবে যেন বইয়ের চরিত্রগুলো সব বাস্তব – কারণ কিছুক্ষণের জন্য তারা আসলেও তাই হয়ে উঠবে।
একটা বেলুনে বসে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিও তুমি। কিংবা কোন রক কনসার্ট চলার সময়। অথবা এর পরের বার যখন সে অসুস্থ হয়ে পড়বে – তখন খুব সাদাসিধেভাবে বোলো। Skypeএ বসে।
তখন তোমরা এত বেশি হাসতে থাকবে – মনে হবে যেন হৃৎপিণ্ডটা কীভাবে যে এখনও ফেটে গিয়ে বুকটাকে রক্তে ভাসিয়ে নিচ্ছে না! তোমরা নিজেদের জীবনের গল্প লিখবে – অদ্ভুত নামের সব বাচ্চা থাকবে তোমাদের, আরও অদ্ভুত হবে তাদের রুচি। সে তাদেরকে ‘ক্যাট ইন দ্য হ্যাট’ আর ‘আসলান’কে চিনিয়ে দেবে – একই দিনেই হয়তো। বুড়ো বয়সে শীতকালে একসাথে হাঁটতে যাবে তোমরা – তার নিচু গলায় কীটসের কবিতা আবৃত্তি শুনতে শুনতে বুট থেকে তুষার ঝেড়ে ফেলবে তুমি।
তুমি এমন এক মেয়ের সাথে প্রেম ক’রো যে পড়ে – কারণ তুমি তার যোগ্য। তোমার জীবনটাকে সবচেয়ে বেশি রাঙিয়ে দিতে পারে এমন মেয়েই পাওয়া উচিত তোমার। তবে তোমার যদি তাকে একঘেয়েমি, বাজে সময় আর আনাড়ি প্রস্তাব ছাড়া আর কিছু না দেওয়ার থাকে – তবে তোমার একলা থাকাই ভাল। তুমি যদি পৃথিবী আর এর বাইরের অন্য সব পৃথিবীকেও পেতে চাও – এমন মেয়ের সাথে প্রেম ক’রো যে পড়ে।
আরও ভাল হয়, যদি এমন মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারো যে লিখতে ভালবাসে।
প্রেম করব ! পড়ুয়া মেয়ের সন্ধানে নামতে হবে দেখছি!
খুবই ভালো একটা অনুবাদ।
:love: :love:
ঐ পিচ্চি! এগুলা প্রেম করার জন্য অনুবাদ করি নাই। :haturi:
বিবাহ করার আগে মাথায় রাখলেই চলবে! 😛
না না , প্রেম করতেই হবে। আর পড়ুয়া তো মাস্ট 😛
মাথায় রাখার সময়তো সামনেই।এমন মেয়েতো খুঁজে পাচ্ছি না। সাহায্য করবেন দয়া করে
একটা ম্যাচমেকিং সাইট খুলে ফেলবো দেখি! শুধু পড়ুয়াদের জন্য। 😀
পুলাপাইনের শখ কত, ধরতে পারলে :haturi:
পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেম করতে চাইলে আগে নিজেও পড়ুয়া হও 😛 😛
সেটাই! আপনাদের বিয়ের দিন এই পিচ্চিকে সাইজ করা হবে। 😛 😛
সাইজ !!!! 😯 :crying:
পড়ুয়া জানি কি ভাইয়া ?? 😯
অসাধারণ! ঠিক যেন মনের কথাগুলো, অনুবাদ না হলে হয়তো কখনো পড়তামই না এই লিখাটা!! দুর্দান্ত!
খুশি হলুম! :penguindance:
ইয়ে আপু, মেয়েদের জন্য কিছু বলেন নাই যে! 😛 (নজ্জায় নাল হবার ইমোটা পাইতেসি নাহ )
আরে আমি লিখি নাই তো, লিখলে বলতাম! 😛
হাহাহা। এই যে নজ্জায় নাল হবার ইমো: 😳
Read. 😉
ধন্যবাদ। 🙂
উঁহু, নিজে খোঁজার জন্য জানতে চাইসিলাম 😛
সেইটা বুঝছি তো! 😛
🙄
অসাধারণ
আমি অনেকদিন এমন সুন্দর লেখা পড়িনি।
খুবই ভালো একটা অনুবাদ।
:happy: :love: :happy:
অনেক ধন্যবাদ, লেখককে আর আপনাকে। 😀
হি হি। অন্নেক মজা পাইলাম।তার উপর আমি আবার ব্যাপক বই পড়ি।
:happy: :love:
হাহাহ। 😀 ভাল তো!
তুই কি অ্যাড দিলি 😛
তুই কি অ্যাড দিলি ?? 😛
তুই ও এই কথা কইলি? যাহ! মাইন্ড খাইলাম। 😳 :haturi:
হা হা হা ! ! আরেহ ব্যাপার না, এই অ্যাড খারাপ না, মানুষের তোকে খুঁজে পেতে সমস্যা হবে না। (আমি কিন্তু ফাজলামি করতেছি)
:happy: 😛
আইচ্ছা মাফ কইরা দিলাম। 😛
হা হাহা হা
সামিরা আপুর পোস্টে তিষা একটু বিনামূল্যে সেলফ প্রোপাগান্ডা চালিয়ে দিল! ভাল ভাল। :happy: :happy:
কিন্তু কি বুঝালে বন্ধু? জায়গা খালি আছে এইটা? 😯 😛 😛
হি হি
আমি কই আইসা কি কইলাম!! আল্লাহ আমারে উঠাইয়া নেও! নাইলে দড়ি ফালাও বাইয়া উঠি। :crying: :wallbash:
মনের কথাগুলোরই যেন অক্ষরে প্রকাশ। অনুবাদ করলে হয়তো কখনোই পড়া হতো না। যাই, এখন এই রকম মেয়ে খুঁজি :love:
শুভ কামনা! 😀
দেখছ আপি এই খেয়ালী কিশোরও বলে, মনের কথাগুলোই যেন “আমাকে” (দ্বারা) প্রকাশ। এইবার আমার পড়ুয়ে মেয়ে বিয়ে করা ঠেকাও দেখি ! 8)
হাহা!
মেয়েতো অনেক আছে- পড়ুয়া ছেলেও আছে- কিন্তু পড়ুয়া মেয়েতো ডুমুরের ফুল- বর্ষণমুখর আকাশে প্রখর সূর্যালোকের মত দুর্লভ, যদিও দু একটা পাওয়া যায়, হীরে বসানো কাচের ফুলের মত দুর্মূল্য ভেবে আর কাছে যাবার সৎ সাহস পাই না ।এমন মেয়ে সত্যিই দুর্লভ, যার কাছে স্বর্ণের চলতি বাজারদরের চেয়ে লাইব্রেরীতে কোন নতুন বই এলো সেই খবর বেশি উত্তেজনাকর আর দরকারি মনে হবে!
অনেক দিন খুজছি, এখনো পাইনি- খুব সম্ভব কখনো পাবো ও না!
যে জিনিস নেই, সে জিনিস পাওয়া সম্ভব নয়- বাঙ্গালী রমণীরা ফেয়ার এন্ড লাভলি মেখে আরো লাভলি এন্ড ফেয়ার হতে হতে আর বই পড়ার সময়ই পাচ্ছে না যে!- পাবো কিভাবে?
আমি ঠিক জানি না, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা আসলেই কম বই পড়ে? আমার পরিচিতদের মধ্যে কিন্তু বই পড়া, গয়নাগাটি নিয়ে মাথা না ঘামানো মেয়ে ভালই দেখেছি! দোয়া করি আপনিও যেন পেয়ে যান। 😀
মন্তব্যের ভাষা ভাল লেগেছে। 🙂
আরেকটা জিনিস – বাঙালি রমণীরা হয়তো ভাবে যে লাভলি অ্যান্ড ফেয়ার হলেই তারা বেশি পছন্দনীয়া হবে (তার পেছনে কারণও থাকে মনে হয় কিছু), ছেলেরা চাইলে কিন্তু আস্তে আস্তে এই ধারণা পালটে দিতে পারে। 🙂 তখন দেখবেন বই-না-পড়া মেয়েই দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে।
সহমত
পড়ুয়া মেয়েটা যখন বই থেকে মুখ তুলে দেখে, লেখকের স্বপ্নময় চরিত্ররা কেউ কেউ সামনে হেঁটে বেড়াচ্ছে, তখন সেই চরিত্র কিন্তু পড়ুয়া বালিকার দিকে একবার চেয়েই মুখ ফিরিয়ে নেয়। কারণ পড়তে পড়তে বইয়ের লেখার কালো কালিগুলো যে মেয়েটার চোখের নিচে জায়গা করে নিয়েছে!!! তাই স্বপ্নের আরেকটিবার ফিরে তাকানোর জন্য যদি মেয়েটা বই ফেলে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি তুলে নেয় তাহলে সেটা কি খুব বেশি অন্যায় হয়???
সে জিনিস নেই এমনটা কিন্তু নয়, আপনারা- আমরা সেই জিনিস কতটা দেখতে চাই বা কতটা সাদরে গ্রহণ করি, সেটাই হচ্ছে বিষয়!!! কারণ মুখে বলা বা ব্লগে লেখা অনেক সহজ, কিন্তু বউ যদি বই পড়তে পড়তে তরকারি পুড়িয়ে ফেলে; বাস্তব জীবনে সেটা অ্যাক্সেপ্ট করাটা এত সহজ নয়!!
আমি মনে করি, এশিয়ান মেয়েরা আমেরিকান (এবং ক্ষেত্রবিষেশে ইউরোপিয়ান) মেয়েদের চেয়ে বেশি পড়ুয়া হয়। কিন্তু ঠিক কতদিন তারা পড়ুয়া থাকবে, সেটা শুধু বাস্তবতার সাঁকোর উপর গড়া পথটুকু দিয়েই নির্ধারিত হয়।
নিজের মতটুকু দিলাম । একটুখানি!! রূঢ় হলে ক্ষমাপ্রার্থী!!!
কথা সত্য!
লেখাটা এত্তো ভালো আর অনুবাদটাও এতো অসাধারণ হয়েছে-কী আর বলবো!
খুবই সুন্দর। একটানা পড়ে গিয়েছি…… :clappinghands:
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
ফিরে এসে একটা পাঁচ তারকা দিয়ে যাবার লোভ সামলাতে পারলাম না 😀
আমারও এই মাত্র মনে পড়লো। আমিও একটা ৫তারকা দিলাম। :happy:
😛
দারুণ লাগলো :clappinghands:
থ্যাঙ্কু সাদামাটা। 🙂
আমার আসলে থ্যাঙ্কস দেওয়া উচিত হচ্ছে না, ক্রেডিট আসলে লেখকের। 😛 লেখকের হয়েই থ্যাঙ্কস!
লেখকের আসল পোস্ট ও মনে হয় এত হয়নি!
হা হাহাহা!
নগদে ৫ তারা… 😀
😀
দারুণ লিখেছো গো আপু :yahooo: :clappinghands:
লিখি নি তো, অনুবাদ করেছি। লেখিকা হচ্ছেন বস! 😀
অনুবাদকে কি “সংকলিত করিয়া নিজের ভাষায় লেখা” বলে না :thinking:
ওয়াও সায়েম ভাইয়া । দারুন কমেন্ট করেছেন :clappinghands: আপনার পর্যবেক্ষনের তুলনা হয় নাহ :happy:
সামিরাপুর কমেন্ট/শেয়ার না পাওয়ার দুঃখ ঘুচল 😀 ব্যাফুক হিট মাশাল্লাহ! 😀
যদিও লেখার টপিক আমার ক্ষেত্রে ‘শর্ত প্রযোজ্য’ 😀
আলহামদুলিল্লাহ্। 😛
কী রকম শর্ত? 😀 জাতি জানতে চায়!
কমু না 😀
এমন মেয়ে কই পামু????
আছে ভাই! টর্চলাইট নিয়ে খুঁজতে শুরু করে দেন। 😀
“বইয়ের চরিত্র যেমন গড়ে ওঠে, মানুষও তেমন। ‘টোয়াইলাইট’ সিরিজের চরিত্রগুলো ছাড়া।”
এই লাইনটাতে চরম মজা পাইসি। =))
হুম বুঝলাম। বিয়ের আগে দেখে নিতে হবে মেয়ে বই পড়ুয়া কিনা। বই পড়ুয়া না হইলে বাদ 😛
যাক ভাল হইছে। এখন আপনাকে বিয়ে করার লোভে সব মেয়ে বইপড়ুয়া হয়ে যাক, দেশের উন্নতি হবে! 😀 😀
প্রেম করলে যে পড়তে চায় না তার সাথেই প্রেম করা উচিত… যে পড়তে চায় তাকে ডিসটার্ব করার মানে কি রে ভাই! :thinking:
আরেহ তাই তো ! !
😛 আপনি কইরেন না, তাহলেই হবে!
:nono: কাউকে ডিসটার্ব করা ঠিক না… উহুহ… এক্কেবারেই ঠিক না :nono:
ঠিক একেবারে ঠিক কথা… :clappinghands:
😛
সামিরা,
আপনার অনুবাদ করা লেখাটাকে স্বর্নাক্ষরে আমার নিজের ছোট্ট ঘরে বাঁধিয়ে রাখতে ইচ্ছে করছে। হরতালের জন্যে গত দুদিন থেকে সব কাজ কর্ম বাদ দিয়ে টানা বাসায় থাকছি। নিজের পড়ার টেবিল আর গল্পের বইয়ের আলমিরার ধূলোগুলো নিজের হাতে পরিস্কার করেছি। গোর্কির “মা” থেকে শাহরিয়ারের “লাইলী” পর্যন্ত সবগুলো বই নাড়াচাড়া করছিলাম। আর মাঝে মাঝে ছোট ছোট দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে ভাবছিলাম কবে অখণ্ড অবসর পাবো আবার আগের মত বই পড়ার। ব্যস্ততার জন্যে আগের মত করে বই পড়া হয়না বলে কিছুদিন আগে একটা বই পড়া কর্মসুচির গ্রুপে যোগ দিয়েছি। গত দু কদিনে পড়েছি কৃষন চন্দের “গাদ্দার” লিও টলস্টয়ের সেরা ছোটগল্প। আজ সারা রাতও কেটে গেলো বইয়ের আলমিরার সব পুরনো বই নেড়ে চেড়ে। মধ্যরাতে মুখবইয়ের পাতায় আপনার অনুবাদের লিঙ্কটা পেয়েই মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়লাম। মনটা অসম্ভব রকমের ভালো হয়ে গেলো।
গল্পের বই পড়ার জন্যে ছোটবেলায় পরিবার থেকে উৎসাহ যেমন পেয়েছি ঠিক তেমনি মাত্রাতিরিক্ত বই পড়ায় মারও কম খাইনি। এখনো আমার ছুটির দিনগুলো কাটে বইয়ের মাঝেই। কিন্তু পড়ে তৃপ্তি আসেনা। আপনার অনুবাদের সবটুকু কথা আমাকে তীব্রভাবে স্পর্শ করেছে। জীবনে অনেক অন্যরকম কাউকে দরকার নেই শুধু এমন কেউ এলেই খুশি হব যে এই পড়ুয়া ধরনটাকে সম্মান করবে।
লেখাটা পড়ে এতই মুগ্ধতা কাজ করছে যে মনে হচ্ছে এই লেখাটা আমি রোজ পড়বো। আপনার জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা।
শুভসকাল- 🙂
ভাল থাকুন নিরন্তর।
শুভ সকাল আপু।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভাল লাগলো। 🙂 আমি আসলে আশাই করি নি এত ভাল লাগবে সবার, আরও ভালভাবে অনুবাদ করা যেত মনে হচ্ছিল।
অনুবাদ করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে মনে হয় যে এটা করে কী লাভ, সবাই তো মূল লেখাই পড়তে পারে চাইলে। এবার সার্থক মনে হচ্ছে!
আপনিও ভাল থাকবেন। 🙂
কিন্তু বিয়ের পর? যখন পুরো একটি সংসার কাঁধে এসে পড়ে? সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্না করে স্বামী-বাচ্চাদের নিয়ে নিজে তিরী হয়ে অফিসের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়া আর দিন শেষে ফিরে আবার রান্না ঘরে ঢোকা , বাচ্চার পড়া দেখানো আর পরের দিনের জন্য আবার প্রস্তুত হওয়ার মধ্যে পড়ার সময় কোথায়? বই পড়ার থেকে তখন বাচ্চার টিফিন বানানো বা বাড়ী-ঘরের ঝুল ঝাড়াই মনে হয় বেশি কাজের মনে হয় তখন। যে মেয়ে পড়তে এতো ভালোবাসে, সংসার নামক কুৎসিত ঘূর্ণিতে পড়ে তার আর যে কাজের সময় থাকুক কিটস- এর কবিতা মনে রাখার সময় থাকে কি? কি জানি !! বিয়ের পরের এই চিত্রটি আমার খুব বিষাদ আর করুণ মনে হয়।
এখনকার বেশিরভাগ মেয়েই তো বিয়ের পর ঘরের কাজ করতে চায় না। সারাদিন হিন্দি সিরিয়াল দেখে পার করে দেয়। তার থেকে নিশ্চয়ই বই পড়া ভাল!!!!!!!!! :happy:
বিয়ের পর বই পড়ার সময় আসলেই কমে যায়, একমত। 🙁 তবে আমি এও দেখেছি, প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকলে চাকরি-সংসার সব করেও কেউ কেউ বই পড়া ছাড়ে না। একজনের কথা শুনেছিলাম, বাচ্চা হওয়ার পর এক হাতে বাচ্চাকে খাওয়াতেন আর অন্য হাতে বই ধরে পড়তেন – যাতে পড়ার অভ্যাস চলে না যায়!
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় আর কি! কম করে হলেও হয়। 🙂
হুম সুন্দর.:-)
হুম ধন্যবাদ। 🙂
সবাই ধুমায় পড়তেসে!
পুরাই উগাবুগা অবস্থা!
অসাধারণ পোস্ট :happy:
মানুষ ভালবাসা ভালবাসে! 😛 গতকাল থেকে এই একটা কথাই ঘুরতেছে মাথায়। 😀
যথারীতি আরেকটি চমতকার অনুবাদ। :beerdrink:
“যেসব মেয়ে পড়ে, তারা এও জানে – বইয়ের চরিত্র যেমন গড়ে ওঠে, মানুষও তেমন। ‘টোয়াইলাইট’ সিরিজের চরিত্রগুলো ছাড়া।”-এই লাইনটা একদম খাসা!! :clappinghands:
আর………অপজিট ভার্সনটা আপু নিজেই লিখে ফেলেন। 😛
আর……ইয়ে……শেষ লাইনটা কেন যেন একটু বিশেষভাবে চোখে পড়ছে। এটা কি কোন কিছুর ইঙ্গিত?? :guiter:
লেখিকার ইঙ্গিত, অনুবাদিকার না। অনুবাদিকা নির্দোষ! :angel_not:
চমৎকার অনুবাদ ……
ধন্য! 🙂
অসাধারণ ।।
🙂
কয়বার পড়লাম নিজেও জানি না।
কিছু কইতে পারতেছি না…
সাংঘাতিক জটিল … 😀
আনন্দিত হলাম! যদিও জানি না কেন এত ভাল লাগছে সবার। 😀
এত ঝরঝরে অনুবাদ… খুব সামান্য কথা, অসাধারণ প্রকাশ… :huzur:
🙂 থ্যাঙ্কু মেঙ্কু!
আরও কয়বার পড়লাম এবং আরেকটা মন্তব্য করলাম। এটা নিয়ে কিন্তু পচাইয়েন না।তাহলে কান্না করে দিব। :crying:
আমি পচাবো না, ভয় নাই পিচ্চি। 😛
তিষা আপু, পড়ুয়া হওয়ার চেষ্টায় আছেন 😛
একটা মন্তব্য করা দরকার ছিল। কিন্তু এখন যদি করি তাইলে আরেকদফা পচানি খাইতে হবে। তাই চুপ থাকলাম। 😐
এই না হলে আমার সামিরাপু :happy: :love:
এই লেখা থেকে শিক্ষা পেলাম পড়ুয়া মেয়ে বিয়ে করলে লস 😛
তাই নাকি? 😛 কেন মনে হল এমনটা?
এমন ছেলের প্রেমে পোড়ো, যে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকার চেয়ে তোমার সাথে কথা বলতেই বেশী পছন্দ করে! এমন ছেলেকে ভালোবেসো, যে তোমার ফেইসবুকের ছবিতে লাইক দিতে ব্যস্ত থাকেনা, বরং তোমার শেয়ার করা ভালো একটি লেখা ‘পড়ে’ মন্তব্য করে।
এমন এক ছেলেকে খুঁজে বের কোরো যে তোমাকে ভালো ভালো লেখার লিঙ্ক দেবে, প্রায়ই যে তার স্টাডী রুম থেকে তোমাকে জোরে ডেকে বলবেঃ ‘এই! এদিকে আসোতো, তোমাকে একটা জিনিশ পড়াই।অসাধারণ একটা লেখা!’
তুমি এমন এক ছেলের সাথে প্রেম কোরো যে পড়ে এবং আলোচনা করে – কারণ তুমি একজন ভালো শ্রোতা, একজন ভালো বিশ্লেষক এবং পড়তে ভালোবাসো, তাই তোমরা পরস্পরের যোগ্য।
আরও ভাল হয়, যদি এমন ছেলেকে বিয়ে করতে পারো যে তোমার লেখাগুলোকে ভালোবাসে।
:love:
চমৎকার বলেছেন। কিন্তু এই যুগে তাকে আদৌ পাওয়া যাবে কি ???
কেনো পাওয়া যাবেনা?! 🙂 আমিতো এই যুগেই বিয়ে করলাম 😀
এই পোস্টের সেরা মন্তব্য!
একটা জীবন শুধু বই পড়া আর বাগান করার জন্য থাকলে ভাল হত 🙁
“” বাচ্চা হওয়ার পর এক হাতে বাচ্চাকে খাওয়াতেন আর অন্য হাতে বই ধরে পড়তেন – যাতে পড়ার অভ্যাস চলে না যায়!”‘ এমন মনোবল একেবারে খুব অল্প কিছু মানুষের থাকে। এটাকে তাই উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যায় না।
সিরিয়াল তো দূরে থাক(এমন আজব কাজের সময় না থাকাই ভাল) , বিয়ের পর টিভিতে রোজ আধা ঘন্টা খবর দেখার সময় থাকবে কিনা সন্দেহ হয়।
তবে ছেলেদের কাছে কিন্তু সুন্দরী, সাজু-গুজু করা, সিরিয়াল আর অল্প বিস্তর রান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকে এমন মেয়েই বেশি পছন্দ, নাকি ? কি জানি, হয়তো সবাই এমন না।
সামিরা, আপনার অনুবাদ ভাল হয়েছে।
:love: :love: :love:
পারফেক্ট!
:happy:
কিন্তু মিথ্যে বলা আর হতাশ করা যোগ হয়েছে কেনো ?? :O 🙁
জানি না তো আপু। 😛 অভিজ্ঞতা নাই!
এই ঐতিহাসিক পোস্টে একটা স্মারক রাখতে হলেও কমেন্ট করার তাগাদা অনুভব করলাম
ঝরঝরে অনুবাদ। এই ব্যাপারটা ভালো লেগেছে। পড়তে পড়তে কফির কাপে ডুবে যাবার অংশটাতে এসে আমার খেয়াল হলো — এরকম হবার ইচ্ছেও আমার ছিলো একটা সময়। যখন অনেক বই পড়তাম। জীবনের ঠেলায় পড়ে অমন পাঠকসত্ত্বা হারিয়ে গেছে কবেই!
সবকিছুই ভালো লাগলো। শুধু মিথ্যে বলার ব্যাপারটা ছাড়া। কোন কিছুতেই মিথ্যে বলা ঠিক না। কোনদিন না। কোন অবস্থাতেই না।
একটা জায়গাতে লেখা পেলাম — লেখকের তৈরি করা জগত। আহাহা! এই ব্যাপারটা অদ্ভূত সুন্দর। পারলে আগামীতে “বই-স্মরণ” টাইপের কিছু লিখবো, বুক রিভিউ না মোটেই। বাচ্চাকালে যেসব বই পড়ে স্বপ্ন-স্বপ্ন লাগতো, তাদের স্মরণ করা আরকি!
আমার ধারণা এই “সিরিয়ালের” সমাজে পড়ুয়া মেয়েদের সম্ভবত প্রবল সংকট। যেমনি সংকট পড়ুয়া ছেলেরও।
ধন্যবাদ ভাইয়া!
আপনার সাথে একমত। মিথ্যে বলাটা কোন অবস্থাতেই ঠিক না। 🙂
আর হুম, সিরিয়ালের সমাজে পড়ুয়া মেয়েদের সঙ্কট প্রবল হতে পারে; তবে সিরিয়ালই যে একমাত্র কিংবা মূল কারণ সেটা নাও হতে পারে। যেমন ধরেন কোন মেয়ে সারাজীবন বই-টই পড়ে যদি দেখে যে সিরিয়াল-দেখা মেয়ে রূপ-সচেতনতা ইত্যাদি কারণে তার চাইতে বেশি আরাধ্য হচ্ছে – তখন পড়ুয়া মেয়ের সংখ্যা কমে যেতেই পারে। 🙂
সহমত সামিরা 🙂 🙂 :beshikhushi:
অনুবাদকঃ
মূল বিষয়বস্তু নিঃসন্দেহে খুবই ভালো। কিন্তু অনুবাদের এ কি হাল ! আক্ষরিক অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করলে কি আরও ভালো হতো না? মূল লেখাটির সাহিত্যরস/আবেগ অনুবাদে আপনি তুলে ধরতে পারেননি। 🙁
এরপর থেকে ভাল করার চেষ্টা থাকবে। 🙂
😛
কমেন্ট পড়তে পড়তে কাহিল……তারপরও পড়লাম 🙂
পড়ুয়া হতে অনেক সাধ জাগে……যদিও কতটা হতে পেরেছি বা পারবো জানিনা…… তবে পড়ার জগৎটাও অনেকটা নেশার মত ( অবশ্যই ভালো নেশা)
…… একবার ডুব দিলে ছেড়ে আসা সহজ না… 😛
মাঝে মাঝে ভাবি, অবসর জীবনে খালি পড়ব……… আর সবকিছু বাদ 😀
ছাত্রীজীবনের মত অবসর আর পাবি বলে মনে হয় না! 😛
🙁
অনেকবার পড়লাম। আরেকবার মন্তব্য না করে থাকতে পারলাম না 😀
সোহায়লাপুর কথাটা অসাধারণ লেগেছে!
😀 আমারো!
চমৎকার হয়েছে ……… এবং আমিও কিন্তু একটি পড়ুয়া মেয়ে । 😛
:happy:
অসাধারণ :love: :love: :love:
ধন্যবাদ পিচ্চি! 😀
সরবে রেজিস্টার করে প্রথম কমেন্ট এই চমৎকার লেখাটাতেই দিলাম, খুব সুন্দর অনুবাদ করেছ সামিরা :love: ভাল অনুবাদ করা বহুত কঠিন তা অভিজ্ঞতা থেকে জানা, যেভাবে নিখুঁতভাবে লেখিকার বক্তব্যটা ফুটিয়ে তুলেছ সেজন্য অনেক অভিনন্দন।
P.S. নিজের পড়ুয়া হওয়া না হওয়া নিয়ে কোন কমেন্ট করলাম না, যারা চিনে তারা বুঝবে 8)
অনেক অনেক ধন্য হলাম লাবণ্য! 😀
হ্যাঁ আমি তো জানি। 😛
ছোটকাল থেকেই আমার বংশে বইপোকা (পাঠ্যবই নহে!) মেয়ে হিসেবে আমার বিশেষ কুখ্যাতি আছে। 😛 নাওয়া খাওয়া ঘুমের কোন ঠিক থাকে না আমার বই হাতে পেলে। ছোটবড় সকলেই যার পর নাই আমার এহেন স্বভাবে বিরক্ত। 🙁 মনে বড় আশা, একজন আমারে যেন বুঝে।এমুন একটা মানুষ যেন জুটিয়া যায় যে বিরক্ত না হয়ে হাসিমুখে এই পড়ুয়া আমার সাথে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে পাগল হয়ে ছুটে আসবে। 😀
দারুণ অনুবাদ আপুনি 8)
আশা পূরণ হোক! 😀
পোস্টের চেয়ে কমেন্ট পড়ে মাথা ঘুরতেসে!
পোলাপাইন!
হাহা। 😛
আমার পড়ুয়া মেয়ের শাথে প্রেম ছিল 🙁
অনুভূতি মিলে যাচ্ছে , ঘটনাগুলো দেশের বাইরে…. কোন এক সময় “সরবে” লিখব 😀
“ছিল”? 🙁 খুবই দুঃখ পেলাম শুনে।
অবশ্যই লিখবেন। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান!
হাহা …ওকে তবে সরাসরি নিজের নামে লিখব কিনা ভাবতেসি
apu,pore onek valo laglo… :happy: :happy: :happy:
জেনে অনেক খুশি হলাম। 😀
এই লেখাটার কথা ভুলেই গেস্লাম, আপু!
এইটাকে সেরা বল্ব, না আজকেরটা? 😀
আপনি যা লেখেন, ঐটাই তো ভালো লেগে যায়! 🙂
(আমি কিন্তু একটা ট্রিট চাই, এত্ত প্রশংসা করার জন্য 😛 )
ট্রিট পাবা ভাইয়া ইনশাআল্লাহ্। 😀
:yahooo:
ঠিক ঠিক :clappinghands: :huzur:
“আপু যা লেখে তাই ভাল লেগে যায়”– কেন?
🙁
কিছু লেখায় প্রসংশার প্রয়োজন পড়ে না।
কিছু লেখায় কিছু না বলে চলে যেতে বাঁধে, মনে হয় অসম্মান করছি।
আর, আমি তাকে খুঁজে পেয়েছি বলেই হয়তো আমার এতোটা উচ্ছাস।
অসাধারণ।
অভিনন্দন! 😀
*প্রশংসা* হবে। আর অনেক ধন্যবাদ পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য। 🙂
“আরও ভাল হয়, যদি এমন মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারো যে লিখতে ভালবাসে।”
আহা ! শেষলাইনটা পছন্দ হয়ে গেলু তো … । :love:
:babymonkey:
এই লেখাটা বুকমার্ক করে রাখা। মাঝে মাঝেই পড়ি । বড় ভাল লাগে। 😀
ফেসবুকে শেয়ার দেয়ার সময় এই বিষয়ে নিজের কিছু কথা বলছিলাম। এখানেও দিয়ে রাখি কমেন্ট হিসেবে। পোস্টের সাথে দেখতে ভাল লাগবে। 😛 এরপর থেকে যখন এই লেখা রিভিশন দিব তখন নিজের কথাগুলোও যেন মনে/চোখে পড়ে। 😀
” শুধু পড়ুয়া মেয়ে বলব না , মননশীলতায় নারী-পুরুষ পার্থক্য করে দেখার কিছু নেই। একটা ছেলে যেমন চাইবে তেমনি কোনো মেয়েও এমন পড়ুয়া ছেলেকে চাইতে পারে। ছেলে মেয়ে যেই হোক ,হিন্দী সিরিয়াল দেখা , কাপড় কিনে টাকা শেষ করা , পুরোপুরি গোড়া্,অপবিজ্ঞানমনস্ক,
ডিজুস ,চল মেয়ে দেখতে যাই,নোংরা কথা বলে বিশ্রীভাবে গা দুলিয়ে হাসা টাইপ প্রানীরা কেউ পড়ুয়া হয় না।অভিজ্ঞতা বলে পড়ুয়ারা অনেকটুকু মানুষ। এদের সাথে কথা বলা যায়। আর কথা বলতে পারা, কথা বুঝতে পারা একটা বড় ব্যাপার। পড়ুয়া মানুষ তাই এমনিই পছন্দ করি।
আর পড়ুয়া মানে শুধু গল্প উপন্যাস পড়া বুঝি না। মার্কেজের বই যেমন তেমনি চেয়ারে বসে আগ্রহ নিয়ে হিউম্যান ইভুলোশন,ক্যান্সার নিয়ে পড়ছে ,পরীক্ষায় হুবহু লেখার জন্য গু গু করে নোট করে মুখস্থ করা না , স্রেফ জানার জন্য পড়ছে এই দৃশ্যও অসাধারন ।রাত দুটোয় ঘুম ভেঙ্গে যদি দেখি এই অবস্থা, এক কাপ চা বানিয়ে এনে তার পাশে বসে থাকায় যায়..:) ,তখন হয়ত তড়াক করে টেবিলের উপর উঠে গিয়ে পা দুলিয়ে বসে এইমাত্র বুঝতে শেখা ডিএনএ রেপ্লিকেশন,কিভাবে লুপ তৈরি হচ্ছে বুঝাচ্ছে এমন হতে পারে কিংবা হাত নেড়ে নেড়ে চোখ বড় করে সদ্য শেষ করা কোন বইয়ের কাহিনী বলে যাবে..:প (পড়ার উত্তেজনায়,বলার উত্তেজনায় চায়ে যে চিনি দিতে ভুলে গেছি এটা না বুঝলেই হয়..:D..)
(আর পাশাপাশি নোলানের Memento, Batman Begins দেখা, The Dark Knight Rises কখন বের হবে এই আগ্রহটুকু থাকলেও খুব ভাল হয়..:D..) ”
হাহা, চাহিদা একটু বেশি হয়ে গেল না? 😀 তারপরে, সহমত পোষণ করলুম!
*তারপরেও*
ধন্যবাদ ভাই।
চাহিদা একটু বেশি ছিল আরকি 😛 কিন্তু আমি ভাগ্যবান। মিলে গেছে সবটুকু 😀
অনেক দিন পরে তোমার এই লিখা টা বের করে পরলাম। প্রথমত মূল লিখা টা এককথায় অসাধারণ !! তার উপরে তোমার লিখা টা পড়তে পড়তে সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ গুলোর কথা মনে পরে যাচ্ছিল !! কেন জান ?? ওদের অনুবাদ টা এতো সুন্দর হয়, যে টের পাওয়া যায়না যে আসলেই এটা অনুবাদ !! নীচে লিখা না থাকলে হয়তো ধরেই নিতাম এটা তোমার লিখা। :happy:
ওহ !! আরেকটা কথা, আমি হয়তো এরকমই এক পড়ুয়ার প্রেমে পড়েছি অনেক দিন হল 😛
হেহে, অভিনন্দন! পরিচয় করিয়ে দিও। 😀
এই ব্লগে আমার প্রথম মন্তব্য………..
চমত্কার অনুবাদ…….
এবং আরো অনেক কিছু…….. অনেক কথা…..
এবং আরো বেশী ভালোলাগা…..
অনেক ধন্যবাদ সামিরা আপু এই অসাধারণ অনুবাদের জন্য…. এখন থেকে এই ব্লগে নিয়মিত হবো আপনার টানে…. :beshikhushi: :beshikhushi: :beshikhushi:
আমারও অনেক অনেক অনেক ভালোলাগা আর ধন্যবাদ তোমার প্রথম মন্তব্যের জন্য! এই সামান্য লেখার জন্য সরবে নিয়মিত হবে শুনে খুব খুশি হলাম।
তুমি সেই মেয়ের প্রশংসা করবে,যে এত সুন্দর করে অনুবাদ করতে পারে!আপু এককথায় সেইরাম!http://shorob.com/wp-includes/images/smilies/icon_happy.gif
😳
কি সুন্দর করে অনুবাদ করো আপু !! পড়তে পড়তে তাক লেগে যায় !
:love:
এই অনুবাদ এখনও কারও পড়া বাকি ছিল দেখে ভালো লাগলো। 😛
এই দুর্দান্ত অনুবাদটা আগেও ২/৩ বার পড়েছি। কিন্তু এত্তদিন পর আজকে আবার এই লেখাটা হঠাৎ ফেবুতে প্রচুর শেয়ার হচ্ছে!! কেন? :thinking:
কাহিনীটা ঠিক ধরতে পারলাম না। 😛
আর… অনুবাদের ব্যাপারে তো “মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন”!! :beshikhushi:
আর কমেন্টগুলো পড়লে তো পুরাই… 🙄 🙄 =)) =))
😛
পোস্টটা না, পোস্টটা কপি করে এক আপু স্ট্যাটাসে দিয়েছিলেন, সেটা শেয়ার হয়েছে। 😀 আমি নিজেও একটু অবাক হইছি।
শিক্ষামূলক লেখা! বিয়ের আগে ব্যাপার গুলা মাথায় রাখতে হবে! :love:
হাহা 😀
অনেক সুন্দর একটা অনুবাদ।
পড়ে অনেক ভালো লাগল 🙂
🙂 মূল লেখাটাই খুব বেশি সুন্দর আসলে।
কে জানত এই লেখা ইতিহাস সৃষ্টি করবে?!
বাংলা ব্লগের হিসেবে সে রকমই তো বটে!
প্রাউড অব ইউ। প্রাউড অব ইট!
অনুবাদ ভালো হয় নি হে!
স্টিল :love:
ভাইয়া & আপু, আজ আবার পড়তে এসেছি।
আর আপনার কমেন্টে এটাও লিখতে পারতেনঃ “প্রাউড অফ ইউ”
😀
হাহা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গোলাপ ফুল দিলাম তো! 😛
Accha assignment copy kora meye hole hobe na ….. :p
Mane Ekhane to meyera porasuna korte caina Ei r ki 🙁
আহা রে! কোথায় থাকেন আপনি? 🙁
গল্পটা পড়ে খুবই ভাল লেগেছে। এমনিতেই বই পড়ি, গল্পটা পড়ার পর বই কেনার নেশা আরো বেড়ে গেছে । এবার আর ঈদে বইয়ের মার্কেট হবে,,,,
বই কেনার নেশা বেড়ে গেছে জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো।