নিরাভরণ রসুই ঘর থেকে
কুড়িয়ে আনি একশ কুড়িটি গাঁদা ফুল।
কার যে বউ- ফোলা ফোলা মুখ
আদর করে কইতাম নতুন বউ আমারে বিয়ে কর
নতুন বউ হাসত কিনা মনে নাই
মনে পড়ে কাজল টানা দুটি চোখ
মধ্যিখানে একটি গাঁদা ফুল।
আতা গাছের উদর ফুঁড়ে ইশারায়
মধ্যদুপুরে কাঁপে বড় আপার হলুদ ছায়া
লোহা ছুইয়ে আম্মা তাড়িয়েছিলেন ভুত
মধ্যদুপর, আহা মধ্যদুপুর।
আম্মা কখনো ভাত মাখিয়ে দিতেন না
তবুও তার অগোচরে
মাখিয়ে নিই দুঃখ – সুখ আর অশ্রুর প্লাবন
মায়ের হাত আর গাঁদা ফুল অমলিন
রসুই ঘরের ঝাঁঝ আর কানা মাছি খেলা
অমরাবতী সূর্যমুখী আমার!
কোন একদিন এক হিজড়া কইছিলো
‘এই, দুটা ফুল দেবে গো….’
দিয়েছিলাম হলুদ সূর্য কটা, হয়তো হৃদয়টাও
শৈশবেও হৃদয় ছিলো, ছিলো না দেহবিজ্ঞান
মনোবিজ্ঞান পড়ি নাই, মনঃসমীক্ষণও না
তবুও দেহ অপাপবিদ্ধ নয়
পাপের যাতনা তারে ছুয়ে যায়
একশ কুড়িটি গাঁদা ফুলে
পোকায় ছেয়ে গেছে- খুব কেঁদে ছিলে
কাল রাত্রি, আহা কাল রাত্রি!
এইসব গোপন কথা আর একটি গাছ
একশ কুড়িটি হৃদয়ের বিলাপ –
সব শোক জমা থাক
চুরি করে আনি একশ কুড়িটি ফাগুন
আর অনাদিকালের গুপ্তমন্ত্র
যার কোন অতীত নাই ভবিষ্যত নাই
নাই ভাঙ্গন, নাই কষ্টি পাথর
ছুটে আসে সে দুরন্ত নদী
দুই কূল ডুবিয়ে দেয় নিরবধি।
কান্নার কোন আত্মজিজ্ঞাসা নাই, নাই শ্রাবণ
বাসনা আছে, আছে যাতনা
তবুও সে পাহাড় সুদূর
আমাদের উঠোন পেরিয়ে
বুড়ো কড়ইয়ের ডাল এড়িয়ে
মাঠ আর রেল লাইন ছাড়িয়ে জেগে থাকে
জেগে থাকে সমান্তরাল-
দেবদারু দুটো চোখ।
মধ্যখানে বেঁচে রই অনাদিকাল
একশ কুড়িটি ফুল নিয়ে নত গাছ।
> গাঁদা ফুলের ছবি তুলেছেন সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন।
> আমার লেখার খাতা: ইচ্ছেশূন্য মানুষ।
“দিয়েছিলাম হলুদ সূর্য কটা, হয়তো হৃদয়টাও”
“পাপের যাতনা তারে ছুয়ে যায়
একশ কুড়িটি গাঁদা ফুলে
পোকায় ছেয়ে গেছে- খুব কেঁদে ছিলে
কাল রাত্রি, আহা কাল রাত্রি!”
চমৎকার 🙂
ধন্যবাদ স্বপ্ন বিলাস। শুভ কামনা থাকল।
কবিতাটা পড়তে অনেক ভাল লাগলো। অনেক সুন্দর!
ধন্যবাদ সামিরা। ভালো থাকুন।
বেশ লেগেছে কবিতাটি।
:happy: :happy:
চমৎকার লাগল।
আরও ভালো কবিতা সামনে আশা করি … 😀
আপনার দোআ সাথেই থাকল।
ধন্যবাদ।
“মধ্যখানে বেঁচে রই অনাদিকাল…”
ভাল্লাগসে 😀
ধন্যবাদ।
চমৎকার 😀
সামনে আরও ভালো ভালো কবিতা চাই। 🙂
ধন্যবাদ শারমিন।।