ক্যাম্পাসে, ফেসবুকে, ব্লগে এখন খালি ফুটবল বোদ্ধা, কোচ আর খেলোয়াড় এর সমারোহ!
কেউ মেসিকে শট নেওয়া শেখাতে আগ্রহী, কেউ রেফারি হতে আগ্রহী, কেউ সরাসরি মাঠে নেমেই ইংলিশ লীগ আর স্পেনিশ লীগের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী!
কোন একটা ফুটবল ক্লাবকে সমর্থন না করলে আজকাল মনে হয় মান ইজ্জত নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সমর্থন করার চেয়ে কোন দলের নিন্দা করতেই অনেকে বেশি উৎসাহী!
সব আলোচনা মোটামুটি একই ধাঁচের।
রিয়াল সেরা নাকি বার্সা!
মেসি নাকি রোনালদো!
ইংলিশ লীগ নাকি লা লিগা!
নানা রকম ব্যাঙ্গ ছবি তো আছেই!
কারো হাতে বদনা, কারো হাতে ঝাড়ু, কেউ কারো কাছে মাফ চাইছে….. এমন সব ছবিতে দুনিয়া সয়লাব!
২০০৬ এর বিশ্বকাপের ফাইনালে জিদানের ঢুস নিয়ে যত কার্টুন যত রম্য যত এনিমেশন এসেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি আসে এখন মেসি, রোনালদো নিয়ে!
ইন্টারনেট এর ব্যবহার এখন অনেক বেশি সুতরাং এটা হবেই, কিন্তু তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৌসুমি সমর্থক আর ফটকা দর্শকের সংখ্যা!
চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ড থেকেই মোটামুটি এমন হাউকাউ শুরু হয়!
২০০৯ এ বার্সা চ্যাম্পিয়নস লীগে চ্যাম্পিয়ন হলো ম্যান ইউ কে হারিয়ে!
পরদিন একজন স্ট্যাটাস দিলেন,
“Berca Berca Berca Berca Berca Berca Berca Berca”
নিজের প্রিয় দলের নামের সংক্ষিপ্ত বানান (Barca) মানুষ কখন ভুল করতে পারে??
যখন সমর্থন না করলে মান ইজ্জত নিয়ে কেউ টান দেয়!
গত বিশ্বকাপের সময় টিভিতে দুই তরুণ আলোচনা করছিলো, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা কতবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে!
এমন ভুল কখন করতে পারে??
যখন কথা বলার জন্যই কথা বলতে হয়!
ব্লগার নাফিস ইফতেখারের একটা কথা বেশ ভালো লেগেছে, “সমর্থক হওয়ার পাশাপাশি দর্শক হওয়াটাও জরুরী।”
অন্য দলের দোষ ধরার আশায় যদি আপনি খেলা দেখতে বসেন তাহলে ফুটবল আপনাকে বিনোদন দিতে পারবে না।
অন্য দলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখালে খেলাটা যেমন উপভোগ্য হবে, তেমনি নিজ দলের প্রতি ভালো লাগাটা আরো দৃঢ় হবে।
বেশ ঝাঁঝালো লেখা। আর আপনার ট্যাগগুলো দেখে তো হাসতে হাসতে ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা।
আসলে, আমার মনে হয়, আমাদের দেশের শহরগুলোতে খেলাধুলার সুযোগ তেমন নেই তো, এজন্য দেখে মজা মেটায় ছেলেপুলেরা। আর দেখতে দেখতে আসলেই একেকজন বোদ্ধা হয়ে উঠেন। একেবারে ক্লাবের ম্যানেজারের চেয়েও।(ক্লাবের কোচ হয়না, ম্যানেজার হয়, এটা তো অন্তত জানি 😀 😀 )
দেশের ফুটবল ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল মনে হচ্ছে। 🙂
একটা ধাঁধা বলতেসি। পারলে খন্ডন করুন। 😛
“দুই কুলে জাল ফেলে
এক কুড়ি দুই ছেলে
মাছ যদি জালে আসে
কেউ কাঁদে কেউ হাসে”
২২ জন মিলে আর কোন জালে মাছ ধরবে! হে হে!
ধাঁধাঁ টা বেশ মজার!
ইয়াদ অন ফায়ার!!
একমত একমত!!
তবে আমি এই জাতীয় ফুটবল/ সমর্থন নিয়ে চেঁচামেচি করে সময় নষ্ট করার মানেও বুঝি না!
প্রথমত, ট্যাগ দেখে যারপরনাই হাসলাম। হাহাহাহা
দ্বিতীয়ত, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতেই লজ্জা লাগে। প্রায়ই ভাবি, ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস মারবো। পরে খেয়াল করি, আমার হোমপেজের পুরোটা জুড়েই ওদের শব্দলীলা। খেলা হলে একটা স্ট্যাটাস দিতেই হবে– সেদিন আর কোন কাজ কেউ করুক বা না করুক।
বিরক্তিকর একটা ব্যাপার। ফান করার স্টাইলে গালাগালিও দেখসি মেসি আর রোনালদো সমর্থকদের
কিছু মানুষ আসলে অযথা তর্ক করে মজা পায়, যার কারণেই এই মাতামাতির শেষ নেই
Dear Yaad, I need your Help Immediately to solve my website related problem. One of my website was hacked by someone… I don’t want to know the details but I want to Upload a new website within 24 hours.
I need your response, please mail me at: [email protected]
আমার মনের কথা গুলো লিখার জন্য তোমার জন্য ট্রিট বরাদ্দ করা হলো বন্দর নগরে… :happy:
:love:
ওহ, ট্যাগ দেখে হেসেই খুন… 🙄 =))
ধন্যবাদ আপু!
বন্দর নগরীতে গেলে তোমার সাথে অবশ্যই দেখা করবো ইনশাআল্লাহ! 😀
কথা সত্য।
আমি ২০০৫ থেকে বার্সার সাপোর্টার। তখন বার্সার এত সমর্থক দেখতাম না। রিয়াল মাদ্রিদ হেসে খেলে বার্সাকে উড়ায় দিত।
কিন্তু আজকাল বার্সার এত সাপোর্টারের প্রধান কারণ হলো মেসি। উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা মেসির জন্যই বার্সা সাপোর্ট করে। মেসি বার্সা ছেড়ে অন্য ক্লাবে গেলে তারা নিঃসন্দেহে ঐ ক্লাব সাপোর্ট করা শুরু করবে।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সমর্থকদেরও একই অবস্থা।
কিন্তু কে সেরা এটা নিয়ে এত কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করলে যেন সমর্থকদের হয় না। মেসি অথবা রোনালদোর বাড়ানো বলে দলের কেউ গোল মিস করলে তাকে গালি দিয়ে ঐদিন আর ক্ষান্ত হয় না।
আরে ভাই সাপোর্ট করস ভালো কথা তাই বলে অন্য দল হারলে এত উৎসবের কি আছে!
আবার অনেকেই বিপক্ষ দল ভালো খেলসে এটা মানতে নারাজ। তাদের ধারণা দুনিয়াতে কেবল তার দলই ভালো খেলে।
ঐ কথাটা ভালো লেগেছে “অন্য দলের দোষ ধরার আশায় যদি আপনি খেলা দেখতে বসেন তাহলে ফুটবল আপনাকে বিনোদন দিতে পারবে না।”
রোনালদিনহো যুগে! :happy:
আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড়!
বার্সায় যত গোল দিসে এখন পর্যন্ত সব গুলোর ভিডিও কালেক্ট করসি!
মাঝে মাঝেই দেখি!
রোনালদিনহোর সুসময়ে আর কারো সাধ্য ছিলোনা তার আশেপাশে যাওয়ার!
পুরো ফুটবল বিশ্বকে দেখিয়ে গেলো কিভাবে ড্রিবলিং, বল কন্ট্রোল, পাসিং করতে হয়!
হুম রোনির খেলা অনেক মিস করি 🙁
এই পোস্টটি খেলাধুলা বিভাগে প্রকাশিত এবং ট্যাগ করা হয়েছে আর্সেনাল, ইংলিশ লীগ ভুয়া, কান্নকাটি, কিন্তু অমুক দলের খেলা ভালো লাগে না, কুতকুত, কোন দলের সমর্থক না, খেলা বুঝুন আজাইরা লাফালাফি ফালাফালি বাদ দেন, ঘোড়ার ডিম, চ্যাম্পিয়নস লীগ, জিদানের ঢুঁস, ঢিসুম, ফটকা সমর্থক, বার্সা, মাতারাজ্জি, মেসি ভুয়া, মেসি শট নিতে পারে না, মেসি সেরা, মৌসুমি কারে ভালোবাসো তুমি, ম্যান ইউ, রিয়াল, রোনালদো ভুয়া, রোনালদো সেরা, লা লিগা ভুয়া, ২০০৯
হাসতে হাসতে শ্যাষ =)) =)) =))
পুষ্ট বালা হইছে। রিয়াল বালা পাই :love: :love:
১৯৯৭ থেকে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল দেখছি । কিন, গিগস, স্কলস, স্কিমিস্মাইকেল, বেকহাম, নেভিল, বাট, কেন্টনা’দের নৈপুণ্যে মুগ্ধ হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ম্যান ইউনাইটেডের সমর্থকে পরিণত হই ।তাছাড়া সেরি এ তে ইন্টারও আমার পছন্দের দল । ২০০২ কিংবা ০৩ এর দিকেও ক্লাব ফুটবল নিয়ে আলোচনা করার মানুষ ছিল হাতেগোনা । সাম্প্রতিক কালে আমার বয়সী এমনকি বয়সে বড়দের মধ্যেও ২/৩ বছর ধরে খেলা দেখুয়া অতি উৎসাহীদের অল্প বিদ্যার ভয়ংকর প্রদর্শনী ও ইতিহাস অজ্ঞতা তদুপরি তীব্র জ্ঞ্যান জাহিরে তে রীতিমত চমকিত হই ।
“ইন্টারনেট এর ব্যবহার এখন অনেক বেশি সুতরাং এটা হবেই, কিন্তু তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৌসুমি সমর্থক আর ফটকা দর্শকের সংখ্যা!”
– কথা সত্য। এই জন্যই এগুলা খেলা দেখি না আমি। 😛
টিভির আরো অনেক কিছুর বেলাতেই মনে হয় খাটে এই কথাগুলা – কে যে কেন দেখে সেইটা বোঝা দায়।
যদিও আমি খেলার খ ও বুঝি না কিন্তু তোমার লেখার ট্যাগ গুলো দেখেই হাসতে হাসতে পরে গেলাম 😛
লেখাটা পড়ে খুব মজা পেলাম। বছর পাঁচেক হয়েছে ক্লাব ফুটবল দেখি। কিন্তু, যে দলকে সমর্থন করি, তার প্রতিটা খেলা দেখি। আর অন্যান্য ভালো খেলাগুলো তো অবশ্যই। নিজের সমর্থন করা দল হোক আর অন্য কোন দল-ভালো খেলা সব সময় পছন্দ করি। মৌসুমী সমর্থক আর গোঁড়া সমর্থক এই দুইয়ে মিলেই বারোটা বাজাচ্ছে ফুটবলের সমর্থনের।