একটা সময় ছিলো যখন একটা পৃষ্ঠা ফটোকপি কিংবা প্রিন্ট করানোর জন্য হণ্য হয়ে দৌড়াতে হত। আশেপাশে পাওয়া যেত না কোনো ফটোকপি কিংবা প্রিন্টারের দোকান। আর পাওয়া গেলেও থাকত না কারেন্ট। ফলে কখনও বসেও থাকতে হত ঘন্টাখানেক। দৌড়াদৌড়ি, সময় আর ফটোকপির দাম মিলিয়ে একটা প্রিন্টের জন্য ভালোই হয়রান হতে হত।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এখন অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে ফটোকপি আর প্রিন্টারের দোকান, সাইবার ক্যাফে। এসব দোকানগুলোর বাইরে ব্যানারে সাধারণত লেখা থাকে ‘ফটোকপি করা হয়’, ‘প্রিন্ট ও কম্পোজ করা হয়’, ‘ছবি থেকে ছবি করা হয়’, ‘স্ক্যান করা হয়’, ‘সিডিতে রাইট করা হয়’ ইত্যাদি। কিন্তু এগুলোর কোনো মূল্যমান তারা দিয়ে রাখে না। ফলে অনেক সাধারণ মানুষ যাদের কম্পিউটার জ্ঞ্যান প্রায় নেই বললেই চলে সুযোগ বুঝে তাদের কাছ থেকে তারা অনেক টাকা দাম রাখে।
নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। বাসায় কারেন্ট ছিলো না দেখে সেদিন একটা দোকানে গিয়েছি মেইল চেক করে একটা ফাইল নামিয়ে প্রিন্ট করতে। কিন্তু নেটের যা স্পিড তাতে মেইল ওপেন করতেই লাগলো পাঁচ মিনিট। নিজেই প্রিন্ট দিয়ে টাকা দেওয়ার সময় বললো ‘ভাই ৫০ টাকা হইসে’
আমি জিজ্ঞাস করলাম ‘আমি কি করসি যে ৫০ টাকা দিব?’
বললো ‘আপনে অনেকক্ষন নেট চালাইছেন, ডাউনলোড দিসেন, প্রিন্ট দিসেন’।
‘ফাইজলামি পাইসেন! প্রিন্ট একটা করতে ৫ টাকাও খরচ পড়ে নাই, আর নেটের স্পিড এত খারাপ সময় তো লাগবেই, টাকাই তো দেয়া উচিত না’ দিলাম কতগুলা ঝারি।
বললো ‘আইচ্ছা ৩০ টাকা দেন।’ দিলাম আরো কতগুলা ঝারি।
পরে বললো ‘আইচ্ছা ২০ টাকা দেন।’
পরে ২০ টাকা দিয়া আসলাম।
কথা হচ্ছে আপনার আমার না হয় প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞ্যান আছে। এক পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে বা স্ক্যান করতে বা ছবি থেকে ছবি করতে কত খরচ পড়বে আপনার আমার জানা আছে, কিন্তু সমাজের অনেক মানুষ যাদের এগুলো সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই তারা কিন্তু ঠিকই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে গ্রাম থেকে যারা ঢাকায় আসছেন তাঁদের সিভি তৈরী বা অনলাইন ফর্ম পূরণের জন্য অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এরা। আবার অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের রেখে যাওয়া ফাইল বা ছবি তারা কাজ শেষে ডিলিট না করে সেভ করে রাখছেন।
সেদিন এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনলাম পুরান ঢাকার অনেক খানেই কিছু দোকান আছে যেখানে লেখা থাকে ‘এখানে মাত্র ৫০ টাকায় ফেসবুক আইডি খোলা হয় ও পাঁচটি ছবি আপলোড করা হয়’ এই ব্যবসার মানে কি? আশ্চর্যের কথা প্রতিদিন অনেকেই নাকি টাকা খরচ করে আইডি খুলছেন।
এসব ভোগান্তির একটা সমাধান হতে পারে দোকানে সব কিছুর একটা মূল্যমান সবসময় ঝুলিয়ে রাখা উচিত। আশেপাশের অনেক মানুষকেই এ ব্যাপারে সচেতন করতে পারি। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সরকারের দিকে চেয়ে না থেকে নিজেরাই পারি আশেপাশের মানুষকে কম্পিউটার এর ব্যবহার সামান্য দেখিয়ে দিতে। আর দেরি কেন আজকে থেকেই শুরু করে দিন না!
খাইসে!
আমিও কোথায় জানি দেখলাম ফেবু আইডি খোলা হয় নিয়ে!!
আসলে ব্যবসার লক্ষ্য হয়ে গেছে যেভাবে হোক টাকা! সততা বলে যে একটা জিনিস আছে!
বদলাতে হবে! মানুষকে সচেতন করাটা একটা উপায় হতে পারে
হুম মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা অর্জন করাটাই যেন এক শ্রেণীর মানুষের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। (ডেস্টিনির কথাই ধরুন না!) 🙁
কী অবস্থা! 🙁
অবশ্য সব জায়গাতেই এ-ই চলে মনে হয় – সুযোগ পেলেই ঠকানো হয় মানুষকে।
হুম। 🙁 মানুষকে সচেতন করা ছাড়া উপায় নেই।
😛 হুম আজব সব কথা! অনেকেই জানে না বলে এমন ব্যবসা করতে পারছে। ঠকানো হচ্ছে সব থেকে বড় ব্যবসা। কেউ নেই যে করে না ।
🙁
আসলেই তো এভাবে ভাবি নি কখনো। আমাদের কাছ থেকে বেশী নিতে না পারলেও তো কত্ত মানুষকে না জানি ঠকাচ্ছে! 🙁
“এখানে মাত্র ৫০ টাকায় ফেসবুক আইডি খোলা হয় ও পাঁচটি ছবি আপলোড করা হয়”
এটা শুনে কেন যেন হাসি থামাতে পারছি না 😛
🙁
ঐ কথা শুনে আমিও হাসি থামাতে পারছিলাম না। বেশি হাসি পাচ্ছে ওদের জন্য যারা ঐখানে আইডি খুলতে যায় 😛
আমার বাসার এলাকায় স্টুডিওতে লেখা ছিলো “এখানে ফেসবুকের ছবি তোলা হয়” :happy:
আমি অনেকক্ষণ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম ব্যানারটার সামনে।
তালিকা এমন আছে —
স্ক্যান এক কপি = ১০ টাকা,
এখানে ইন্টারনেটে রেজাল্ট দেখা যায় = ২০ টাকা
কালার পেইজ প্রিন্ট = ১০ টাকা
কী বলবো? 🙁
এইরকম নতুন নতুন মানুষ ঠকানোর ধান্দা বের হচ্ছে 🙁
‘এখানে মাত্র ৫০ টাকায় ফেসবুক আইডি খোলা হয় ও পাঁচটি ছবি আপলোড করা হয়’ খাইসে!!!!!!!!!!!!!!!!!! :O
🙁 🙁 🙁 🙁
কী আর বলবো…………
🙁 🙁