মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এমন কোন বাংলাদেশী নেই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ত্যাগ, সাধনা-তাকে উত্তাল না করে। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বাংলাদেশের সংগ্রাম, বিভীষিকা উঠে এসেছে সে সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্টারে। এমন কিছু পোস্টার নিয়েই এই পোস্ট।
১. এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে
শিল্পী: কামরুল হাসান
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বীভৎসতা কি প্রকাশ করা সম্ভব কোনভাবে? আর, কোন ভাবে যদি করাই যায়, সেটা নিশ্চয়ই এর চেয়ে ভালো হতে পারতো না। বড় বড় চোখ, রক্ত-লাল জিভ আর বিষদাঁত একে কোন এক গহীন অন্ধকারের ভয়ানক জীবকে তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারে।
২. এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
শিল্পী: কামরুল হাসান
যার নেতৃত্বে এক হয়েছিল বাংলাদেশের সব মানুষ, যিনি এক সাতই মার্চের ভাষণে উত্থান-পাত্থাল করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে রক্তের স্রোত, যার ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলার আহবানে সাড়া দিয়েছিল বাংলার মানুষ-সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ পোস্টারে।
৩. বাংলার হিন্দু, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার মুসলমান আমরা সবাই বাঙালি
বাংলাদেশ, সেই শত বছর পূর্ব থেকে ধর্মীয় ভাবনায় সংকীর্ণ না থেকে এক হওয়া এক দেশ। কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে লড়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধেও এক হয়েছে যে দেশের সব ধর্মের মানুষ। সবাই মিলেই তো এই দেশ, এই জাতি।
৪. বাংলার মায়েরা মেয়েরা সকলেই মুক্তিযোদ্ধা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদানের কথা অস্বীকার করবে এমন সাহস কারো হওয়া উচিত না। চার লক্ষ নির্যাতিত বাংলাদেশী নারী ছাড়াও সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এমন অগণিত মুক্তিযোদ্ধার অবদানই তো আমার বাংলাদেশ।
৫. সদা জাগ্রত বাংলার মুক্তিবাহিনী
শিল্পী: নিতুন কুণ্ডু
দিন-রাত, সকাল-সন্ধ্যা, শীত-গ্রীষ্ম কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নিজের বুকের রক্ত বিলিয়ে স্বাধীনতা এনেছেন যেই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের দৃঢ়, সংকল্প অনমনীয়তা যেন প্রকাশ পায় এ পোস্টারে।
৬. স্বাধীনতা, না হয় মৃত্যু
দেশ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়া লাখ মানুষের মনে একটাই কথা ছিল, ছিনিয়ে আনবে স্বাধীনতা, প্রয়োজনে নিজের জীবনের বিনিময়ে।
আরো কয়েকটি কার্টুন:
এই কার্টুনগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকাশিত হয় The People পত্রিকায়……
মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে ইয়াহিয়ার দুরবস্থা আর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের দূর থেকে লেলিয়ে দেয়া বাহিনী দেখা যায় এই ছবিতে।
ঢাকায় অবস্থিত রেডিও পাকিস্তানের শাখায় জোর করে পাকিস্তানের গুণগান করতে বাধ্য করতো পাকিস্তানীরা।
ঢাকায় আগত বিভিন্ন বিদেশী সাংবাদিক ও কূটনৈতিকদের সামনে নিজেদের ভয়াল রূপ গোপন করে তাদের ধোঁকা দেয়া ছিল ইয়াহিয়ার পরিকল্পনা। সেভাবেই মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ নৃশংসতা ঢাকা দেয়ার চেষ্টা চালায় পাকিস্তানীরা।
সর্বশেষ, এই পোস্টার থেকে দেখা যায়, কী ভয়ানক পার্থক্য ছিল পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে! যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ করেছে ত্বরান্বিত।
[মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকাশিত আরো বেশ কিছু পোস্টারের ছবি জোগাড় করা সম্ভব হয় নি ব্লগারের পক্ষে। যেমন: ‘একেকটি বাংলা অক্ষর অ আ ক খ একেকটি বাঙালির জীবন’, ‘রক্ত যখন দিয়েছি আরও রক্ত দেব’, ‘বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধা’।
এই পোস্টারগুলোর কোন লিংক পাঠকদের মধ্যে থেকে দিতে পারলে এই ব্লগে যোগ করে দেয়া হবে। ধন্যবাদ। ]
নতুন কিছু ছবি ও তথ্য দেয়ার জন্য ফেসবুকের ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন’ পেজ এর অ্যাডমিনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দারুণ হয়েছে পোস্ট!
ধন্যবাদ 😀
ঐতিহাসিক পোস্টারগুলো !! দারুণ লাগলো দেখে 🙂
ধন্যবাদ 🙂
খুব জরুরী একটা পোস্ট!
অনেকেরই হয়তো আগে দেখা নেই……
ধন্যবাদ………
ধন্যবাদ 🙂 😀
অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া 😀
অনেক ধন্যবাদ 😀