কখনও চট করে নিজের ভুলগুলো মাথায় আসেনা। দোষগুলোর ওপরও পর্দা টেনে রাখি একটা।
স্বীকার করতে দোষ নেই যে, জীবনে নিজের প্রতি হওয়া অন্যায়ে যতবার দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি ,তার একাংশও ফেলিনি নিজের করা খারাপ কাজগুলোর জন্য। আমার দোষের একটা তালিকা কেউ করতে বসলে হয়ত অবাক হয়ে বলবেন, “এত?”
হ্যাঁ, এতই আসলে!
দোষ নেই কোথায় বলুন?
মিথ্যা বলি? হ্যাঁ, বলিতো!
দোকানদার যেমন চাল-ডাল ওজন করার সময় কিছু ইটের টুকরো মিশিয়ে দেয়, আমিও তেমনি সত্যির সাথে মিথ্যা মেশাই!
নাহ, ঘাবড়ে যাবেন না। সব সত্যের সাথে মিথ্যা আমি মেশাই না! শুনলে মন ভেঙে যাবে এমন সত্যের সাথে মিথ্যা মেশাই।
কখনও সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় মিথ্যাও বলি। অনেক রান্না করেছেন মা। যেটা সবচে ভাল হয়েছে ভাবছেন সেটাই খেতে খারাপ হয়েছে সবচে। পুরো বাটি শেষ করে হাসিমুখে বলি ,”বেশ লাগলো”! মনে মনে বলি, “ধুর”!
হ্যাঁ, এটা আমার একটা সৌভাগ্য যে এর বেশী মিথ্যা বলার প্রয়োজন কখনই হয়নি।
হিংসাও করি মাঝে মাঝে।
কারও লেখা পড়ে হিংসা হয়, তো কারও গুছিয়ে কথা বলার ক্ষমতা দেখলে!
সুন্দর করে হাসতে দেখলে হিংসা হয়। পহেলা বৈশাখে কাওকে লাজুক মুখে প্রেমিকের হাত থেকে ফুল নিতে দেখলে হিংসা হয়! :love:
হিংসা হয় কাওকে বড্ড তৃপ্তি নিয়ে ঘুমাতে দেখলে। আর হিসেব করি । আমার কত রাত নির্ঘুম চলে যায় সেই হিসেব।
বাব্বা কত হিংসুটে মেয়ে আমি!!!
আমি ঘৃণা করি।
শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া কে ঘৃণা করি।
সেই পুলিশটাকে ঘৃণা করি যে আমার চোখের সামনে একটা ফুলের মত শিশুকে ভীষণভাবে মেরেছিল!
ঘৃণা করি ওই ছেলেগুলোকে, বাসায় আসার পথে রোজ যারা কোন না কোন মন্তব্য করে। আর হাসে! অনেকদিন না মাঁজা দাঁতগুলো দেখিয়ে হাসে। :happy:
ঘৃণা করি আরও অনেককে।
পক্ষপাতিত্ব করি আমি।
কৃপণ আমি। টাকা হিসেব করে খরচ করি। কে যেন বলেছিল আমি নাকি ভালও বাসি হিসেব করে!
ভঙ্গুর আমি। তুলোর মত নরম। আর ঝড়ের মত অস্থির!
রাগ হয় আমার, ভীষণ! যাকে মায়াভরে কাছে টানি -তাকেই আবার ঝলসে দেই।
“রাগিয়েছ কেন আমাকে?এত সহজে ক্ষমা করবো ভেবেছ?” তবে দেই। ক্ষমা করে দেই। কারণ এই আমিই আবার কাঁদি রাগ করছি ভেবে!
ক্লাস করিনা, ভাল লাগেনা করতে।
“সবার ভাল লাগে, তোমার ভালো লাগেনা কেন?”
কি জানি! স্কুল – কলেজের ক্লাসগুলোর মত লাগেনা। কি যেন নেই। বেমানান লাগে নিজেকে।
এই যাহ্, শুরু করেছিলাম নিজের দোষগুলো বলতে বলতে। এখন আবার কৈফিয়ত দিচ্ছি। শুনবেন না! একদম না!
আমি দোষী।
🙁
🙁
এভাবে নিজেকে দোষী আমি সবসময়েই করি। কৈফিয়তও দিয়ে পারিনা। নিজের ক্ষেত্রে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও গুরুজনেরা বলেন, নিজেকে দোষী দেখার মাঝেই নাকি উন্নতির প্রথম ধাপ নিহিত। কেননা, এরপরেই শুরু হয় সেই অপরাধ/ভুল-ত্রুটি সংশোধনের প্রচেষ্টা।
দোষী/অপরাধী অনুভূতি না থাকলে নিজেকে উন্নয়নের প্রচেষ্টাও শুরু হয়না — সেটা মনে হয় আমরা সবাই বুঝি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো :guiter:
ঠিক বলেছেন। তবে প্রথম ধাপেই যেন আটকে না থাকি এই দোআ করবেন। 🙂
হুঁ! দোয়া রইলো 😀
মজা পেলাম!! দোষী হইছো এখন আমাদের খাওয়াও!!! একটু বেহিসেবি খাওয়া 😛
এতে অনেক দোষ কাটা যাবে 😛
এইভাবে বলাটা সহজ নাকি কঠিন ভাবছিলাম! আমি কিছু বলব না!
😛
কি উপলক্ষে খাওয়াবো?
এভাবে ভাবতে পারাটা কিন্তু দারূণ… নিজেকে ভালো মতো যাচাই করা যায়, শেখার ক্ষেত্রটা বাড়ে……।
ভাবনা জোগানো লেখা!
ধন্যবাদ। নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা হিসেবেই লিখলাম। 🙂
আমি একটা কথা সব সময়েই বলি,
যে যা দেখতে চায় সে তাই পারে, আপনি কি আপনার ভাল দিক গুলো ভেবে দেখেন ?
যদি দেখেন তবে দেখবেন ভাল’র পরিমান হয়তবা বেশিই
ভালোটাই দেখি সবসময় 🙁
এবার একটু খারাপগুলোর দিকে মনোযোগ দিলাম আরকি 🙂
দোষ স্বীকার করা কিন্তু একটা অনেক বড় একটা গুণ! :happy:
সবাই এটা পারে না। আমি আমার নিজের দোষগুলোকে আমার সীমাবদ্ধতা মনে করি। এগলো কাটানোর পরিকল্পনাও করি। বাস্তবায়ন করা হয় না। 8)
সব দোষ কিন্তু স্বীকার করিনি 😛
আমিও অনেক পরিকল্পনা করি, ইনশাআল্লাহ বাস্তবায়ন ও করতে পারব একদিন। 🙂 আপনিও লেগে যান।
লেখাটা দারুণ… নিয়মিত না লেখার দোষে দুষ্ট না হবার অনুরোধ করি… :guiter:
ধন্যবাদ।
চেষ্টা করবো। 🙂
হিংসা করছি :wallbash:
:nono:
ভালো লেগেছে। 😀 তবে খানিকটা হিংসিত এভাবে ভাবার জন্য।
হাহহা! 😛
মিলগুলো খুজিয়া পাইয়া কিঞ্চিৎ অভিভূত 😛 । তয় রাগের কথা শুনিয়া একটু ভয় পেলুম। :voypaisi:
তবে চমৎকার লেখা। :clappinghands:
চিন্তার খোরাক আছে।
আরেকটু গভীর থেকে ভাবতে হবে।
:thinking:
আচ্ছা! আরেকটু গভীর থেকে ভাববো 😛
“পহেলা বৈশাখে কাওকে লাজুক মুখে প্রেমিকের হাত থেকে ফুল নিতে দেখলে হিংসা হয়!” আইচ্ছা! :love:
লেখাটা আমার ভাল লাগছে খুব, অন্যরকম তাই। 😀
নিয়মিত লেখো হে পিচ্চি। 🙂
😳
হিংসা ব্যাপারটা তো আমার ভেতর ভীষণ প্রবলভাবে উপস্থিত!!! এই পোস্টটা দেখেই তো হিংসিত হয়ে গেলাম!! :thinking:
আনেক ভাল লাগলো আপু।
:love:
:penguindance:
লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো তন্বী ,
:clappinghands:
keep it up….
:happy: