নার্সিসাস নামের এক তরুণ প্রতিদিন এক হ্রদের পারে বসে পানিতে নিজের প্রতিচ্ছায়া দেখতো।
একদিন সকালে এমনি বিভোর হয়ে নিজেকে দেখার সময় হ্রদের পানিতে পড়ে ডুবে মরে নার্সিসাস। সে যেখানে পড়ে যায়, সেই জায়গাতে একটা ফুল ফোটে। সেই ফুলের নাম রাখা হয় নার্সিসাস।
হ্রদটা ছিল একটা বনের পাশে। একদিন বনের দেবীরা এসে দেখলেন, হ্রদের আগেকার মিষ্টি পানি বদলে সব চোখের নোনা পানিতে ভরে গেছে।
তারা হ্রদটাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছো কেন?
হ্রদ উত্তর দিল, আমি নার্সিসাসের জন্য কাঁদছি।
দেবীরা বললেন, কাঁদাটাই স্বাভাবিক। বনের ভেতর আমরা নার্সিসাসকে কত চেয়েছি, কিন্তু কেবল তুমিই তো সবচেয়ে কাছ থেকে ওর সৌন্দর্য দেখতে পেতে।
হ্রদ তখন প্রশ্ন করলো, তাই? নার্সিসাস সুন্দর ছিল?
দেবীরা অবাক হয়ে বললেন, বলো কী? এটা তো তোমারই সবচেয়ে ভাল জানার কথা। ও তোমার পানিতেই তো প্রতিদিন নিজেকে দেখতে আসতো।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হ্রদ বললো, আমি নার্সিসাসের জন্য কাঁদছি ঠিক, কিন্তু আমি আসলে কখনো খেয়াল করি নি যে ও সুন্দর ছিল। আমি কাঁদছি কারণ ও যখন আমার তীরে বসে থাকতো, তখন ওর চোখের গভীরে আমি আমার নিজের সৌন্দর্য প্রতিফলিত হতে দেখতাম।
মূল গল্পের লিঙ্ক: ((http://paulocoelhoblog.com/2009/12/23/narcissus-and-the-lake/))
নার্সিজম কি নিজের প্রেমে নিজের হাবুডুবু খাওয়া কে বলে?
আমিও মাঝে মাঝে নার্সিজমে ভুগি!
নিজের আঁকা অখাদ্য-কুখাদ্য ছবির দিকে তাকিয়ে ভাবি, “কি একখান ছবি আঁকলাম!”
হ্যাঁ।
মাঝে মাঝে আমিও ভুগি। সবাই ভোগে মনে হয়। 😛
গল্পটার শেষটা তো দুর্দান্ত লাগল!
সরবের অনুবাদক স্বরকে জাঝা!
The Alchemistএর prologue!
” আমি কাঁদছি কারণ ও যখন আমার তীরে বসে থাকতো, তখন ওর চোখের গভীরে আমি আমার নিজের সৌন্দর্য প্রতিফলিত হতে দেখতাম।”
বড় আজব এ ধরণী!
বেশ ভাল লাগল। স্বচ্ছ অনুবাদ। 🙂
ধন্যবাদ আপু। 🙂
হুম ধরণী আসলেই আজব!
🙂
দারুণ লাগলো 🙂
ধন্যবাদ আপু! 😀
🙂 মে বি ‘দ্য আল কেমিস্টের’ মুখবন্ধের লেখা। ভাল অনুবাদ খুঁজছিলাম। পেয়ে গেলাম 🙂
ঠিক ধরেছেন! 🙂
কি আজিব!! 😮
অনুবাদ ভালো হয়েছে……… :clappinghands:
হুম একটু আজব বটে!
গল্পটা অসাধারণ! আর অনুবাদকের কল্যাণে আরো কাছে এলো গল্পটা!! অসাধারণ!!
:huzur:
অনেক অনেক ধইন্যাপাতা! 😀
গল্প প্রথমে মাথার উপর দিয়ে গেল। কিছুই বুঝলাম না।
ইয়াদ ভাইয়ের কমেন্ট পড়ার পর অ্যান্টেনা কিছুটা ধরতে পারছে।
🙁
এরপর থেকে আরো বোধ্য অনুবাদ করার চেষ্টা করবো।
অসাধারণ গল্প। অসাধারণ অনুবাদ। পড়ে মনটাই ভরে গেল। :beshikhushi:
ধন্যবাদ আপুনিইইই! :beshikhushi:
অনুবাদ ভালো লাগলো :clappinghands:
🙂 ধন্যবাদ!
গল্পটা খারাপ হয়নি কিন্তু বুঝার জন্য দুইবার পড়তে হলো :voypaisi:
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। 🙂
নার্সিসাসের চোখ দুটো বোধহয় বেশি স্বচ্ছ ছিল! :thinking:
ভালো লাগলো! 🙂
হাহা। বোধহয়। 😀
ধন্যবাদ।