[ আলেক্সানডার পুশকিন ( Alexander Pushkin, 1799-1837 )
রাশিয়ার সব কবিদের গুরু। তিনি যখন লিখতে শুরু করেন তখন রাশিয়ান
সাহিত্যের ভান্ডার ছিলো অপ্রতুল। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে মৃত্যুর সময় তিনি
শুধু সাহিত্য সম্ভারই গড়ে যাননি, নিজেকে সাফল্যের চূড়ায় সমাসীন করেছেন।
রাশিয়ার পরবর্তীকালের সব লেখকই তাঁর কাছে গভীর ঋণের কথা
স্বীকার করেন অকপটে। আজও পুশকিন ঐতিহাসিক কোনো অস্তিত্ব নন,
বরং জীবন্ত উপস্থিতি হিসেবে গণ্য। গদ্য এবং কবিতায় তাঁর স্বচ্ছতা,
স্বতন্ত্র-শৈলী, মৌলিকতা, এবং বহুপ্রসূতা— রোমান্টিকতার
উচ্ছ্বাস ও ক্লাসিকতার গাম্ভীর্যের সম্মিলন, রাজনৈতিক মতাদর্শ ও
সেন্সরের মুখোমুখি কাব্যকলার প্রতি বিশ্বস্ততা, তাঁকে প্রেরণার জ্বলন্ত
প্রবাহমানতার উদাহরণে পরিগণিত করেছে রাশিয়ার
সৃষ্টিশীল মানুষ ও জনগণের কাছে।
জন্মেছেন, মস্কোয়। শিক্ষালাভ করেছেন সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে জারসকোয়ে
সেলো’র লাইসীতে। এই শহরেই জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন।
বালক বেলায় দক্ষিণ রাশিয়ায় নির্বাসনে ছিলেন তিন বছর।
এই নির্জনবাসই শৈল্পিক সম্ভারে ভরে দেয় তাঁর জীবন। দীর্ঘ কবিতা,
The Bronze Horseman, তাঁর সেরা সাহিত্যকর্মের একটি।
রাজধানীর বেদনাঘন সৌন্দর্য বর্ণিত হয়েছে এতে। ]
ওলগা ম্যাসনের প্রতি
ওলগা, সকালের তারা তুমি,
আফ্রোদিতির ধর্মকন্যা,
অলৌকিকতা সৌন্দর্যের,
সোহাগে জড়াতে
কত সাবলীল তুমি,
অবহেলায় জাগাও
উন্মাদনা।উষ্ণ চুম্বনে
কামনার গোপন মুহূর্ত গড়ো; তারপর
যখন অগ্নি ঘেরে আমাদের,
বাইরে দাঁড়াই,
শুনি তোমার চাপাস্বর;
কৌতুকের হাসি
অভিমানী সখীর সাথে;
বন্ধ ঘরে ।
আমাদের ভালবাসায়,
লিঙ্গ-পুজার বোকামীতে,
স্বর্ণও পরিত্যক্ত, ওলগা তোমার সৌন্দর্যে,
হে কামনার যাজিকা,
মিনতি— একটি রাত অন্তত
ভরে তোলো ভরপুর উল্লাসে, বিস্মৃতিতে ।
*******************
আপনার পোস্টটা দেখা যাচ্ছে না ঠিকমত। এডিট অপশনে পুরো পোস্টটা সিলেক্ট করে ‘show kitchen sink’ দিয়ে ‘format’ থেকে ‘paragraph’ সিলেক্ট করে দেখেন, ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। 🙂
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, সামিরা ।
আশা করি, এবার দেখা যাচ্ছে লেখাটা ।
শুভেচ্ছা । 🙂 🙂
আরো কবিতার অনুবাদ পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম 🙂