– মা দেখ আমি এসে গেছি। মা কই তুমি? মা আমার লক্ষ্মী মা। তুমি এই খানে! আর আমি তোমাকে খুঁজছি। সালাম নানা-ভাই কেমন আছেন? দেখেছেন নানা ভাই মা এই বয়সেও আমার সাথে লুকোচুরি খেলে। মামা, মামী, আর আমার পরী কোথায়? কিরে পরী কেমন আছিস? কী ব্যাপার আমি এসেছি তুই খুশি হস নাই? তোকে বলেছি না চল আগে ঘরে চল পরে কথা হবে।
ব্যস আরেকটা দিনই খেতে হবে হলের এই স্বাদহীন খাবার তারপরেই মার হাতের চিরপরিচিত অপূর্ব খাবার। যা একবার খেলে সেই স্বাদ জিহ্বায় সারা জীবন লেগে থাকে। খেতে খেতে শিশির এগুলো ভাবছিল।
– কিরে শিশির কি ভাবছিস? তাড়াতাড়ি খা, কালকে এক্সাম আছে না?
– হ্যাঁরে দোস্ত কালকের এক্সাম দিয়ে সোজা বাড়ি যাবো। এটাই ভাবছিলাম।
– হুম ভালো যা কয়েকদিন বেড়িয়ে আয় ভালো লাগবে। কিন্তু স্টুডেন্টকে বলেছিস যে কয়দিন পড়াবি না?
– হ্যাঁ বলেছি। তুই যাবি আমার সাথে আমাদের গ্রামের বাড়িতে?
– না রে দোস্ত পরে যাবো। অন্যসময় ঠিক আছে?
– ওকে ঠিক আছে।
এক্সাম শেষ করে ও তারপরেই লঞ্চে উঠলো। লঞ্চে বেশি ভিড় নেই শিশিরের বসতে তেমন বেগ পেতে হল না। ঠাণ্ডা হাওয়া আর লক্ষ তারার ছায়ার মেলা নদীর মধ্যে এক অপূর্ব পরিবেশে শিশির কেমন আনমনা হয়ে যায়। শিশির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। শিশিরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ওর মায়ের। শিশির গ্রামের ছেলে। SSC তে গোল্ডেন GPA পেয়ে নটরডেম কলেজে ভর্তি হয়। তারপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু জীবনটা এত সহজ ছিলো না। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শিশিরের বাবা গ্রামের মধ্যে বেশ অবস্থা-সম্পন্ন তাই নিজের ক্ষমতা দেখানোর জন্য আবারও বিয়ে করে। শিশিরের মা শিশিরকে নিয়ে ওর নানা বাড়ি চলে আসে। শিশিরের বাবা শিশিরকে নিতে অনেক জোড় করেছিল কিন্তু শিশির ওর মাকে ছেড়ে যায়নি। কারণ শিশির ওর মাকে অনেক ভালোবাসে। শিশিরের কাছে ওর মা-ই বাবা। শিশির যখন এইসব ভাবছিল তখন দ্যাখে ওদের লঞ্চের পাশ দিয়ে আর একটা লঞ্চ ধাক্কা দিয়ে গেলো। তারপরে অনেক আর্ত চিৎকার। শিশির চিৎকার করে উঠলো মা ও মা। শিশিরের মনে হল এক সাগর জল ওকে গ্রাস করছে।
মা ও মা চিৎকার করে শিশির ঘুম থেকে জেগে উঠলো। জেগে দ্যাখে ও বই পড়তে পড়তে পড়ার টেবিলে ঘুমিয়ে গিয়েছে। উফ কী দুঃস্বপ্নরে বাবা।
নাটুকে ভাব আছে!
গল্পের নাম ভালো হইছে। কিন্তু গল্প না!
বোহেমিয়ান এর সাথে একমত।
সামনে আরও ভালো করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ
😀
😀
ভাগ্য ভালো এটা দুঃস্বপ্ন! আমি তো ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম 😯
ধন্যবাদ 😀
শেষটা পড়ে একটা নিঃশ্বাস ফেললাম শান্তির, ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম……
আরো লিখার অপেক্ষায় রইলাম……
আর কিছু টাইপো রয়ে গেছে…
“অনেক জোড় করেছিল” এর জায়গায় হবে “অনেক জোর করেছিল”
ধন্যবাদ
সামনে আরও ভালো করার চেষ্টা করবো
🙂
এমন দুঃস্বপ্ন যেন সত্যি না হয় কোনদিন সেই প্রার্থনা। ভাল চিন্তা ভাল কিছুই হয় যেন সব সময়। মন খারাপ না চাইলেও হয়ে যায় মাঝে মাঝে।
হ্যাঁ সেই প্রার্থনাই করি ।
🙂
উফফ…… ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম………
ভালো হয়েছে……… :happy:
ধন্যবাদ আপুনি :happy:
:love: