রক্তে আমার রেনিন

ধমনীতে যেনো কি হলো!
আগের মতো আর কুকড়ে উঠেনা,
স্বাভাবিকতা হারায় রক্তের বন্যা।
রক্তের হাহাকার জাগে বৃক্কে,
তার কোষে থেকে কান্না ঝরে রেনিন আকারে।
গাল ভরা নামে তুমি আমিষ নিয়ে খেলো,
উল্টাও তাকে, পাল্টাও তাকে, নাম দাও দুই একে।
হঠাত সে খামচে ধরে আমার শিরা !
শিরা গুলো যেনো আমার রক্তের গলা চেপে ধরে, প্রচন্ড চাপে!
ওদিকে বৃক্কে বয়ে যায় জলকেলির আছড়ে পরা স্রোত।
আয়তনে ফুলে উঠে রক্তের জলীয় আধার।
হৃদযন্ত্রে আমি বারেবারে অনুভব করি,
ছিটকে বেরুচ্ছে রক্ত, অনেক অনেক রক্ত!
সবশেষে, উচ্চ রক্তচাপের পদে,
আরেক পরাজিত মানব এর চুমু অংকিত হলো।

কবিতাটির রচনাকাল ২১শে মে, গভীর রাত। আর ঘন্টা সাতেক পরে ফিজিওলজি ভাইবা পরীক্ষা। উল্লেখ্য, উপরে যা পড়লেন, এটা ব্লাড প্রেশার বাড়বার বেশ কিছু মেকানিজমের একটা। এর নাম রেনিন-এনজিওটেনজিন-এলডোস্টেরন মেকানিজম। ধমনী (artery) তে রক্ত প্রবাহের প্রেশার কমে গেলে কিভাবে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায়, সেটি একটু আবেগ (!!) মথিত করে লিখবার চেষ্টা করলাম। মেডিকেলের পড়াশুনার মতোন বাজে পড়াশুনা আর কোত্থাও নেই “যতোক্ষন পর্যন্ত ছাত্র/ ছাত্রীটি না বুঝে পাতার পর পাতা মুখস্ত করছে”। বলতে গেলে, ৯০% পড়াই বুঝে ও লজিকের সাথে পড়বার যোগ্য। বাকি ১০% এর মধ্যে ৮%-ই হলো বিভিন্ন টার্মস। এগুলা তো ম্যাথেমেটিক্সেও মুখস্ত করা লাগে ! এখন ত্রিকোনমিতিক অনুপাত গুলাকে তো সাইন, কস, ট্যান বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এই টার্ম গুলা যেমন ক্লাস এইটে সবাইকে মুখস্ত করে আসতে হয়েছে পরবর্তীতে দ্রুত অপারেট করতে পারবার জন্য, ঐ ২% টার্ম ও এভাবেই মুখস্ত করা লাগে, পরবর্তীতে রোগির অপারেট করতে।

তবে, ডাক্তারী পড়াশুনা যে খুব সোজা, এইটা যে বলে, তারে কিছু বলার দরকার নেই, ঘরে ঢুকে এক চোট চিৎকার দিয়ে হেসে নিবেন, বিনীত অনুরোধ রইলো! সবশেষে, পরীক্ষার জন্য দোয়া মাগলাম !

এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে কবিতা, পাগলামি-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

8 Responses to রক্তে আমার রেনিন

  1. বাবুনি সুপ্তি বলেছেনঃ

    বাপরে! ভয় পাইছি! থাক থাক ভাইয়া ডাক্তারি বিদ্যা নিয়ে আর কবিতা লেখার দরকার নেই! এইটা পড়েই মাথা ঘুরে যাবার মত অবস্থা! আর তা ছাড়া আগে থেকেই আমি এ ব্যাপারে মহা ভীতু
    😐

    পরীক্ষা ভাল হোক সেই কামনা রইল 🙂

  2. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    পোস্ট ভালো লাগে নাই!

    তোর কাছ থেকে ঝরঝরে গদ্য আশা করি!

    ইয়াদ এর পোস্টও আমার ভালো লাগে নাই।

    তুই কি বুঝে মুখস্ত করিস নাকি না বুঝে?

  3. সামিরা বলেছেনঃ

    মাথা ঘুরাইতেছে! 😯

  4. শারমিন বলেছেনঃ

    ভালো লাগে নাই ।

  5. রাইয়্যান বলেছেনঃ

    :thinking: :thinking: :thinking:

  6. মাশুদুল হক বলেছেনঃ

    খাইছে, যে কবিতা শুনাইলেন 😀

  7. সরল বলেছেনঃ

    অনেক সুন্দর কবিতা…!!!…নিপুণতার সাথে রক্তচাপ কে কবিতাবন্দি করেছেন…!!!!!!

  8. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    কবিতা পড়ে কতক্ষণ বেকুব হয়ে বসে ছিলাম। কী পড়লাম আর কী বুঝলাম-তার থই পাই না।
    তবে ডাক্তারী পড়াটা যে ৯০% বোঝার সেই কথাটা নতুন শুনলাম। আমি জানতাম, পুরোটাই মুখস্ত 😛

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।