একটা ছবি হাজার শব্দের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কিছু ছবি মানুষের ইতিহাস বদলায়, কিছু ছবি মানুষকে স্বপ্ন দেখায় আর কিছু ছবি মানুষকে করে বাকরুদ্ধ।
এমনই কিছু ছবি নিয়ে এবার ‘দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো-৭’:
Yemen, Fighting for change
ফটোগ্রাফার: স্যামুয়েল আরেন্ডা
১৫ই অক্টোবর। সানা, ইয়েমেন। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছিল যায়েদ। এসময় সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত হয়। টিয়ার গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে দু’দিন কোমায় থাকে যায়েদ।
তার মা ফাতেমা, আহত সন্তানকে আগলে বসে আছেন। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা অক্ষয়-তা পৃথিবীর যে প্রান্তের হোক না কেন।
The Fury of the Tsunami
ফটোগ্রাফার: কইচিরো তেজুকা
১১ই মার্চ, ২০১১। জাপানে আঘাত আনে রিকটার স্কেলে ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প। সাথে নিয়ে আসে ভয়ংকর সুনামি। ১৫০০০ এর উপর নিহত মানুষ, তেজস্ক্রিয়তার ছোবল আর বিশাল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ রেখে যায় এ সুনামি।
ধ্বংসযজ্ঞের মুহূর্ত: জাপানের নাতোরি শহরের উপর দিয়ে সুনামি চলেছে সেন্দাই এয়ারপোর্টের দিকে।
Randers
ফটোগ্রাফার: মোগেনস ভন হ্যাভেন
মোটরক্রস ওয়ার্ড চ্যাম্পিয়নশিপ এ একজন প্রতিযোগীর দুর্ঘটনার মুহূর্তের ছবি।
১৯৫৫ সালে ডেনমার্কে তোলা ছবি।
Ghaziveram
ফটোগ্রাফার: ডন ম্যাককলিন
১৯৬৪ সাল। গ্রীস-তুরস্ক যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের হাহাকার স্পর্শ করেছে মানুষের জীবনকে।
তুরস্কের একজন মহিলা তার স্বামীকে হারানোর পর মুহূর্তের ছবি। কী ভীষণ দুঃখ তার চোখেমুখে ফুটে উঠেছে……!
anti-war protest
ফটোগ্রাফার: ডন ম্যাককলিন
১৯৬২ সাল। যুদ্ধের সম্ভাবনায় মুখোমুখি কিউবা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মুখোমুখি আমেরিকা। সমগ্র পৃথিবী ভয় নিয়ে অপেক্ষা করছে পারমানবিক বিস্ফোরণের ভয়াবহতা আর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনার।
লন্ডনে এক যুদ্ধবিরোধী একলা যুদ্ধের বিরোধিতামূলক পোস্টার নিয়ে বসে আছে পুলিশের সামনে।
The iraqi prisoner
ফটোগ্রাফার: জন মার্ক বোজো
২০০৩ সাল। ব্যাপকবিধ্বংসী অস্ত্রের অজুহাতে ইরাক আক্রমণ করে আমেরিকা। উৎখাত হয় সাদ্দাম সরকার, হাজারে হাজারে মানুষ মারা যায়, বন্দী ক্যাম্পগুলোতে নির্যাতনের শিকার হয় শত শত মানুষ।
এমনই এক বন্দী ক্যাম্পে পিতার কোলে তার চার বছর বয়সী ছেলে। বাবার কাছে থাকার ইচ্ছে, আবার মুখঢাকা কালো কাপড় ও হাতের হ্যান্ডকাফের প্রতি ভয় দোটানায় ফেলে নিরীহ শিশুটিকে। যেই অবস্থাতেই থাকুক না কেন, নিজের ছেলের প্রতি বাবার ভালোবাসায় চির ধরে না এতটুকু।
সেই ‘ব্যাপকবিধ্বংসী অস্ত্র’-এর কোন খোঁজ কিন্তু পাওয়া যায় নি।
The dead child
ফটোগ্রাফার: এরিক রাফনার
২০০১ সালে তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা। তাদের হামলায় আফগানিস্তান ছেড়ে পালায় হাজারে হাজারে মানুষ। পাকিস্তানে এসে ক্যাম্পে থাকা এসব মানুষের জীবনে খাওয়া, পরা, আনন্দ নয়, বেঁচে থাকাই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল।
পাকিস্তানের ‘জলজাই রিফিউজি ক্যাম্পে’ পানিশূন্যতায় মারা যাওয়া এক বছর বয়সী শিশুর দেহ এটি। শিশুটির মুখে লেগে থাকা আলতো হাসিটুকু কেন যেন হৃদপিণ্ডটাকে শীতল করে দেয়।
তবুও পৃথিবীতে যুদ্ধ থামে না……
আগের পর্বগুলো:
দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো-৩: স্বাধীনতা
The Iraqi Prisoner দেখে থমকে গেলাম….
কেন এতো যুদ্ধ……
এই প্রশ্নের উত্তর খঁজে ফিরি। উত্তর মেলে না……
*খুঁজে
দুঃখজনক কিছু না হইলে মনে হয় ফটোগ্রাফি বিখ্যাত হয়না… কয়দিন আগেই একজন তিব্বতি নিজেই গায়ে আগুন ধরায়া মারা গেলো… ক্লিক ক্লিক ক্লিক… কেউ বাঁচাইলো না…
সেটাই মনে হয় সত্যি। ভালো কিছু মনে ভালো দাগ কাটতে পারে না……
সব দুঃখের ছবি। 🙁
দুঃখ ছাড়া মনে হয় দুনিয়া কাঁপাতে পারে না………
🙁 🙁
🙁 🙁
নেক্সট পুষ্ট হাসিখুশি চাই!
চেষ্টা করবো 🙂
দেখারাম দেখে যাই…
দেখতে থাকুন 🙂