HSC- 2012, যারা ভর্তি হতে চাও বুয়েট, ঢাকা ইউনিভার্সিটি সহ অন্য কোথাও—

 

আমি যখন কলেজে বসে বসে বুয়েটের স্বপ্ন দেখছি সেই সময়টা ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজে একটা মেয়ে ক্রমাগত বড় হয়ে উঠছে-তার সাথে আমার প্রথম দেখা এক কোচিং সেন্টারের আট তলায় এক ক্লাস রুমে- তার পরনে ছিলো শার্ট আর স্কিন টাইট জিন্স ! সবাই তখন তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে আর আমার মাথায় ঘুরছে মুখতা্র স্যারের ক্লাসে বহুল শোনা জ্ঞানদাসের সেই কবিতা-

রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর। 

প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।। 

হিয়ার পরশ লাগি হিয়া মোর কান্দে। 

পরাণ পিরীত লাগি থির নাহি বান্ধে।।

 এত সুন্দর একটা মেয়ে পৃথিবীতে আছে কিন্তু সেদিনের আগে- তার সাথে আমার দেখা হয় নি। সেই সুখ অতি দীর্ঘ হবার আগেই আবার বিচ্ছেদ- আমি প্লাটিনাম ফোরে চলে গেলাম, মাঝে মাঝে তাও দেখা হতো। কখনো মেরিট লিস্টের সামনের ভীড়ের দিকে তাকিয়ে- কখনো সিড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে এক পলক দেখা। আমি হয়তো থেমে যেতাম- মুখ নামিয়ে চলে যেতো সে। ঐ দুটো চোখ কখনো দেখা হয় নি ভাল করে। একসময় আর দেখলামই না। কোচিং বাদ দিয়ে সেও চলে গেল অন্যদিকে, দুজনার দুটি সেথায় পথ আলাদা গেল আবার- অনেকটা সময়ের জন্যে! এই লেখার কোন এক জায়গায় হয়তো আবার উদয় হবে সে!

২. কোচিং সেন্টার নির্বাচন:

নটরডেম কলেজের HSC পরীক্ষা হবে সরকারী বিজ্ঞান  কলেজে। কলেজের টেস্ট পরীক্ষার পরে আমরা কলেজের সাত বন্ধু আরামবাগ ছেড়ে ফার্মগেটে এসে পূর্ব রাজাবাজা্রে একটা ফ্লাট ভাড়া নিলাম। একটা কাজের বুয়া রাখা হলো- রান্না করা আর ঘর মোছা ছিল তার কাজ। আমরা মাসে চারদিন করে পালাক্রমে বাজার করতাম। কে আগে বাজার করবে সেটা নিয়ে প্রায়ই মতবিরোধ দেখা দিত- অধিকাংশ সময়ই বাজার হতো না- রান্না হতো না। আমরা মাসের অর্ধেক সময় খেতাম রাজাবাজার মসজিদের পাশের ছোট্ট একটা হোটেলে।

HSC পরীক্ষার পরে ভর্তি কোচিং এর মৌসুম। কোচিং সেন্টার বিষয়টার উপরে আমার আস্থার অভাব চিরকালের। তারপরেও নিয়ম রক্ষার জন্যে একটা কোচিং এ ভর্তি হয়ে গেলাম। এই কোচিং এ ভর্তি হবার পর আমার হাতে আরেকটা কোচিং সেন্টারের প্রসপেক্টাস চলে আসলো। প্রসপেক্টাসটা সুন্দর ছিলো- প্রচ্ছদে একটা কার্টুন। কার্টুনের ভাষ্য এরকম- অন্য কোচিং গুলোতে খুব ভিড়, ভেতরে কোন জায়গা নেই। এক ছেলে দরজা দিয়ে উকি দিয়ে আছে। ভেতর থেকে শিক্ষক বলছে, বেঞ্চ খালি নেই তো কি হয়েছে এখনো অনেকের কাঁধ খালি আছে- যে কোন একজনের কাঁধে বসে যাও!

এই প্রসপেক্টাস পড়ে আমার মাথা খারাপের মত হলো- ভাবতে লাগলাম, এখানে না ভর্তি হতে পারলে, কোচিং না করলে কোনভাবেই বুয়েটে চান্স হবে না। বাড়ি থেকে পুনরায় টাকা এনে এখানে ভর্তি হলাম। কোচিং করারই ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু কোচিং সেন্টারের প্রসপেক্টাস পড়ে এমনভাবেই ব্রেনওয়াশড হলাম- দুইটা কোচিং সেন্টারেই ভর্তি হতে হলো।

এই ২য় কোচিং এ আমি দুই-তিন দিন ক্লাস করেছিলাম। এরা প্রসপেক্টাসে অন্যের সমালোচনা করেছিল খুব- কিন্তু নিজেরাই ছিলো অগোছালো। পর্যাপ্ত জায়গা ছিলো না- নিয়মিত যথাসময়ে ক্লাস হতো না। বিকেল পাঁচটার ব্যাচ সাড়ে পাঁচটার আগে শুরু হতো না। আর ছিলো আসন সংকট- দুই সাড়ি বেঞ্চের মাঝে চেয়ারেও একদিন বসতে হয়েছিল। আমার টাকাটা জলে গিয়েছিল- পরে আর আমি এখানে কোচিং করি নি! এদের কথা আর কাজের ভেতরে বেশ বড় ধরনের অমিল ছিল। পরে বুঝলাম কোচিং ব্যবসাতে এটাই স্বাভাবিক!

বুয়েট ভর্তির যেসব কোচিং আছে- মানে গুনে ও অন্যান্য ব্যাপারে তারা একই ধরনের। সব কটিতেই বুয়েটের ভাইয়ারাই ক্লাস নেয়। ক্লাসরুম ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও কাছাকাছি ধরনের। সুতরাং কোথায় কোচিং করবো এটা ভেবে দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। প্রিপারেশন ভালো থাকলে কোচিং না করে বাসায় রিভিশন দেয়া ভালো- পরে একবারে ফাইনাল মডেল টেস্টের সময় আলাদা করে টাকা দিয়ে মডেল টেস্ট দেয়া যায়- ওখানে নিজের অবস্থান যাচাই করে নেয়া যায়। আমি পরীক্ষা দেয়া আর মেরিট লিস্ট দেখা ছাড়া কোচিং এর অন্য কোন উপকারিতা পাই নি। কিন্তু আমার বন্ধুরা যারা আগে অত ভালো প্রিপারেশন নিতে পারেনি- কোচিং এ দেড় ঘণ্টায় চার চ্যাপ্টারের লেকচার তারা বুঝতো না- ফলে তাদের সময়টা নষ্ট হতো। অধিকাংশই কয়েক সপ্তাহ পরে কোচিং বাদ দিয়ে বাসায় পড়তে শুরু করেছিল।

সারসংক্ষেপঃ 

  • সবচেয়ে ভালো কোচিং না করে বাসায় বুয়েটের কোন ভাইয়ার সাহায্য নিয়ে প্রিপারেশন নেয়া। সবশেষে কোন কোচিং এ ফাইনাল দুই সেট মডেল টেস্ট দেয়া। 
  • ইচ্ছে থাকলে কোচিং করা যায়। সে জন্যে রিসেন্ট বুয়েটে চান্স পাওয়া সিনিয়র পরিচিত থাকলে তার পরামর্শ মতো- না থাকলে কলেজের বেশিরভাগ ভালো ছাত্র যেখানে ভর্তি হচ্ছে সে রকম কোন একটা কোচিং এ ভর্তি হলেই হবে। 
  • একাধিক কোচিং এ ভর্তি হওয়া যাবে না। লিফলেটে যত ভালো কথাই লেখা থাকুক তার সত্তরভাগ মিথ্যা আর অতিরঞ্জিত। সব কয়টা কোচিং একই রকম- যে নিজেকে যত আলাদা দাবি করুক না কেন। 

 ৩. কোচিং এর ক্লাসের ইতিহাস: 

 কোচিং এ সে এক ক্লাস- যত তার গুন, ততোধিক তার গান। বুয়েটের কোন ভাইয়া এসে ক্লাস নেন- গল্প করেন- চলে যান! যারা না পড়িয়ে গল্প করে চলে যান তাদের ক্লাস করতেই সবচেয়ে মজা পাই। আধঘণ্টা পরীক্ষার পরে দেড় ঘণ্টা ক্লাসে যারা চার অধ্যায়ের নাটক পড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন- তাদের উপরে বিরক্ত হই, একই সাথে তাদের প্রাণপণ চেষ্টা দেখে সহানুভূতি অনুভব করি। কিভাবে সম্ভব?- একদিনে পদার্থ চার অধ্যায় পড়িয়ে বুয়েট ভর্তি লেভেলের সমান জ্ঞান পাইয়ে দেয়া! একি হীরক রাজার দেশ? বললাম হও- অমনি হয়ে গেল!

আমার আগে থেকেই মোটামুটি পড়া ছিল- সুতরাং বুঝতে সমস্যা হতো না! যাই বুঝাতো- নিজে নিজেই বুঝে নিতাম। কিন্তু যারা ছিল অন্যরকম- তিনমাস পড়িয়ে এই কোচিং তাদের বুয়েটের বন্দরে পৌছিয়ে দেবে, এই বিশ্বাস যাদের অন্তরে ছিল তারা বসে বসে ক্রমাগত চুল ছিঁড়ত- আর ক্লাসে ডিস্টার্ব করতো! একদিন বুয়েট থেকে মোটাসোটা এক ভাইয়া আসলেন- আমাদের কেমিস্ট্রি পড়াবেন, ভাল পড়ালেন না- ক্যাডেটের এক ছেলে ডিস্টার্ব করছিলো। ভাইয়া তাকে বেরিয়ে যেতে বললেন, সে গেল না- তার সাথে ঐ ক্লাসে ক্যাডেটের আরো পাঁচ-ছয়জন সবাই মিলে একজোট। টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছি, আমি কেন যাবো?-তাদের বদলে তাই বেরিয়ে গেলেন ভাইয়া।

আরেকদিন আরেক ভাইয়া আসলেন- আইপিই এর স্টুডেন্ট। লেকচার শিট খুললেনই না- পড়াশোনা বাদ দিয়ে উনি  বুয়েটের হল, ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাসে নারী-স্বল্পতা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করলেন। সাবজেক্ট হিসেবে আইপিই কেমন ভালো সাবজেক্ট সে কথা বললেন, মাসে চল্লিশ পঞ্চাশ হাজার টাকা বেতনের লোভ দেখালেন- ঐ সময় এটা অনেক টাকা! এইসব শুনতে আমার বরাবরই ভালো লাগে। ক্লাস শেষে ভাবলাম চমৎকার- ভাইয়া আজ অনেক ভাল ক্লাস নিয়েছেন!

সপ্তাহ কয়েকের মধ্যে অনেকেই আসা বন্ধ করে দিলো- বাসায় বসে নতুন করে নিজে নিজে বই পড়তে লাগলো। আমি তখনো কোচিং এ যাই- নিয়মিত পরীক্ষার পরে বিশাল এক মেরিট লিস্টের প্রথমদিকে নিজের নাম দেখতে ভালো লাগতো আর মাঝে মাঝে পাওয়া যেত চকলেট! শুধু এই পরীক্ষার লোভেই কোচিং করতাম- আর এই পরীক্ষায় খারাপ করার কারনেই অনেকে কোচিং ছেড়ে চলে গেল! তাছাড়া ঐ মেয়েটাকে দেখার একটাও ব্যাপার ছিলো। নিয়মিত না হোক- মাঝে মাঝে তার সাথে ঠিকই মূহুর্তের জন্যে দেখা হতো!

৪. লেকচার শিট ও আমার ছাত্র-ছাত্রী:

গতবছর একটা ভিকারুন্নেসা নুন কলেজের একটা মেয়েকে আমি বুয়েট ভর্তির জন্যে আটদিন পড়িয়েছিলাম। সপ্তম দিনে আমি টিউশনি ছেড়ে দিতে চাইলাম তারা রাজী হলো না। অষ্টম দিনে তারাই আমাকে বললো আর আসতে হবে না। মাঝখানে তিনদিনে তারা অন্য আরেকজনকে খুঁজে নিলো।

মেয়ের এবং তার বাবা-মায়ের দাবী ছিলো লেকচার শিট পড়াতে হবে। সে যে কোচিং এর  ছাত্রী ছিলো তার বিশ বছরের পুরনো অপ্রয়োজনীয় এবং সিলেবাস বহির্ভূত কঠিন কঠিন সব জিনিস ভরপুর এই লেকচার শিট আমি পড়ানোর কোন দরকার দেখিনি। আমি অন্য সবাইকেও মুল বই পড়াতাম তাকেও তাই চেয়েছিলাম। ফলাফল মাসের মাঝে টিউশনি গায়েব।

বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় মূল বই বহির্ভূত কোন কিছুই আসে না। এই ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া যায়।  কোচিং সেন্টার গুলোর লেকচারশীট আর মোটা মোটা গাইড দেখে যারা ভয় পেয়ো না। ওখানে কিছু আছে আগের সিলেবাসের সমস্যা। কিছু আছে বুয়েটের প্রথমদিককার ম্যাথ আর ফিজিক্স কোর্সের প্রবলেম- যেটা বুয়েটে ভর্তির পরে পড়বে- আগে নয়! আর কিছু আছে গাইড প্রণয়নকারীর নিজের মেধা প্রমাণের জন্যে ইচ্ছাকৃত কঠিন করা সমস্যা।

তোমার যদি মূল বই পড়ার অভ্যাস থাকে- HSC পর্যন্ত কিছু কিছু পড়ালেখা করে থাকো, তাহলে বলবো গাইড আর লেকচারশীট জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দাও- মূল বইয়ের কাছে যাও, এটাই কাজে লাগবে। মূল বই সব সময় তোমার অকৃত্রিম বন্ধু। তবে বাজারে বিগত বছরের বুয়েট প্রশ্ন সলভ জাতীয় কিছু গাইড পাওয়া যায়- ওগুলো অবশ্যই একটা কিনবে এবং গত দশ বছরের প্রশ্ন সলভ করবে!

আমার ঐ ছাত্রী পরে বুয়েটে বেশ পেছনের দিকে চান্স পেয়েছিলো। তার যে মেধা ছিলো তার অন্তত প্রথম একশোর ভেতরে আসা উচিত ছিলো- অতিরিক্ত বুদ্ধিমান হবার কারনেই সে সেটা পারে নি!

তবে একটা ব্যাপার- যদি HSC পর্যন্ত প্রিপারেশন খুবই খারাপ থাকে তাহলে দ্রুত প্রিপারেশন নেবার জন্যে টোটকা হিসেবে ভাল কোচিং এর লেকচার শিট ফলো করা যেতে পারে। হাতে সময় খুব কম থাকলে মূলবই কমপ্লিট করা কঠিন।

২০০৯ সালে আমি আরেকটা ছাত্র পড়িয়েছিলাম। চট্টগ্রামের নামকরা কলেজের ছাত্র- সেই সময়ের ডাবল গোল্ডেন ছিলো। HSC পরীক্ষার পরে সে আমার কাছে হলে এসে পড়তো। যখন সে প্রথম আসে পুরো বই তার নখদর্পণে। তার তৎকালীন অবস্থা দেখে আমার মনে হয়েছিল নিশ্চিতভাবেই সে ইলেকট্রিকাল অথবা কম্পিউটারে চান্স পাবে। তার নিজেরও কনফিডেন্স অনেক বেশী ছিলো। সে আমার কাছে বসে বসে বুয়েটের বই- রেসনিক হেলিডে, দাস মুখার্জি সলভ করতো। আমি নিষেধ করলেও শোনেনি।

সে বুয়েটে চান্স পায়নি। ঢাকা ভার্সিটিতেও না। কুয়েটে শেষের দিকে চান্স পেয়েছিল।

একটাই কারন ছিলো –অতি আত্মবিশ্বাসের কারনে সে মূলবই বাদ দিয়ে বাইরের অতিরিক্ত কঠিন সমস্যা- বুয়েটের ম্যাথ ফিজিক্স বই সলভ করতে করতে নিজের HSC বইয়ের জিনিসপত্র ভুলে গিয়েছিল।

অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস খুব খারাপ জিনিস!

৫. আমার ভর্তি পরীক্ষা: 

 বুয়েটে সবচেয়ে নিশ্চিন্ত আনন্দিত মনে ভর্তি পরীক্ষার যদি কোন লিস্ট থাকে, প্রথম দশজনে আমার নাম থাকবে- একথা নিশ্চিত বলা যায়। প্রথমত আমার পরীক্ষার হয়েছিল লাইব্রেরীতে- সেখানে চমৎকার এক অল্পবয়েসী ম্যাডাম গার্ড দিয়েছেন। আসল আরেকটা কারন হলো সেই সুন্দরী ক্যাডেট আমার এক সারি সামনে বসে পরীক্ষা দিয়েছিল। দীর্ঘ অনেক দিন পরে পরীক্ষার হলে তার সাথে আমার দেখা হলো। পরীক্ষার পরে তার সাথে কথা বলবো ভাবলাম।

আগেই শুনে এসেছি 250-270 পেলেই চান্স হবে আর 400 পেলে ইলেকট্রিকাল। আমার দরকার ভর্তি হওয়া নিশ্চিত করা বাকি সব বোনাস। ফার্স্ট হবার কোন দরকার নেই। সুতরাং 600 এর ভেতরে 600 উত্তর দেয়া নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই।  বেছে বেছে আমি যা পারি দিতে দিতে প্রায় 500 এর মতো আনসার দিয়ে ফেললাম। রিটেনে যা দিয়েছিলাম তার প্রায় সবই নিশ্চিত হয়ে দিয়েছিলাম। বেশ কয়েকটা কঠিন প্রশ্নও ছিলো- ছুঁয়েও দেখিনি। আর MCQ তে সবই দাগিয়েছিলাম। একটাও ছেড়ে দিয়ে আসি নি। সহজ দর্শন- চারটার ভুলে একটা সঠিকের মার্ক। না পারলেও আন্দাজে দাগানো উচিত। প্রবাবিলিটি অনুসারেই চারটা আন্দাজে দাগালে অন্তত একটা হবে। ভাগ্য খারাপ থাকলে কাটাকুটি করে 0 আর নয়তো কিছু না কিছু মার্ক পাওয়া যায়ই!

আমার হাতে অনেক সময় ছিলো- এর মাঝে বেশ কয়েকবার ওর দিকে তাকালাম। সে বেশ মনোযোগের সহিত তাড়াহুড়ো করে কি এত লিখছে বুঝলাম না! খাতা থেকে মুখ তুলছেই না। লিখেই যাচ্ছে, লিখেই যাচ্ছে- এত ঘোড়ার আন্ডা লিখে কি হবে?

বের হয়ে আমি সিউর- চান্স পেয়ে গেলাম বুয়েটে! সাড়ে চারশোর উপরে মার্ক পাবো- ইলেকট্রিকাল ও পেয়ে যেতে পারি।  এদিক সেদিক খুজে আর মেয়েটাকে দেখলাম না- কোন এক ফাকা দিয়ে বেরিয়ে চলে গেছে। আজও তার নাম জানা হলো না! দেখা হলে কিছু কথা বলে নামটা জানতাম- চাই কি মোবাইল নাম্বারটাও তো নেয়া যেতো!

কয়েকজনের সাথে কথা বলে অবাক হলাম- কোচিং এ যারা আমার সাথে সাথেই মেরিট লিস্টে থাকতো তারা সবাই প্রায় 600 উত্তর করেছে। কঠিন প্রশ্নগুলোও তারা উত্তর করে আসছে। ফ্লাটে ফিরে দেখি আমার মেডিক্যালের জন্যে প্রিপারেশন নেয়া বন্ধু হামীম- সে বুয়েটেও পরীক্ষা দিয়েছিল- আমাকে বলে আগে যদি জানতাম বুয়েটে পরীক্ষা এত সহজ তাহলে বুয়েটেই কোচিং করতাম। সে কোন প্রিপারেশন ছাড়াই বুয়েটে নাকি 350 উত্তর করেছে।

সবার এরকম কথা শুনে আমি ভাবলাম এবার তাহলে প্রশ্ন খুব সহজ হয়েছে। কিন্তু 450 পেয়েও চান্স পাবো না তাতো হয় না। বাড়িতে ফোন করে আম্মাকে বললাম- আম্মা চান্স পাবো নিশ্চিত, কিন্তু প্রশ্ন সহজ হয়েছে অন্যেরা বেশি ভাল দেয়ায় আমি মেকানিক্যাল পেতে পারি- ইলেকট্রিকাল পাবো না!

আম্মা বললেন তুই সবসময় বেশি টেনশন করিস- তোর কথা কখনোই মিলে না। এই বারও মিলবে না। ইলেকট্রিকালই পাবি!বন্ধু হামীম মেডিক্যাল এবং বুয়েটে কোনটারই ওয়েটিং লিস্টেও ছিলো না। এবং আমাদের সময় প্রশ্ন আগে পরে বেশ কয়েক বছরের মধ্যে কঠিনতম ছিল! যারা 600 উত্তর দেয়ার কথা জানিয়েছিল- বুয়েটে তারা অধিকাংশই চান্স পায়নি। যারা পেয়েছে- আমার অনেক পেছনে ছিল তাদের সিরিয়াল।

আম্মা আরেকবার জিতলেন- আমি আবারও হারলাম!

সারসংক্ষেপঃ 

  • যারা প্রথম হতে চাও তাদের কথা আলাদা। যারা আমার মতো তারা আগে লক্ষ ঠিক করো চান্স পাওয়া অর্থাৎ 300 মার্ক পাওয়া।  
  • চান্স পাওয়ার জন্যে সব পারতে হয় না। আর কোন ভর্তি প্রশ্নেই দশ-বিশ ভাগের চেয়ে বেশি কঠিন প্রশ্ন থাকেনা। বাকি প্রশ্নগুলো সরাসরি বই থেকে তুলে দেয়া থাকে। ওগুলো পারলেই শুধু চান্স নয় একদম প্রথম দিকে চলে আসা যায়। 
  • কখনো সব দিতে যেও না। তাড়াহুড়ো করলে ভুল হবে, সময় সংকট দেখা যাবে। আস্তে আস্তে চেষ্টা করো- ম্যাক্সিমাম উত্তর করতে। একেকটা গোল ঠিক করো প্রথমে 300 তারপরে 400 তারপরে 500অনেকটা প্রথমে চান্স– তারপরে মেকানিক্যাল- তারপরে ইলেকট্রিকাল এভাবে। 
  • একটা ব্যাপার সিউর থাকো- বইয়ের অনুশীলনী আর উদাহরণের সব অংক সরাসরি  করলেই বুয়েটে চান্স পেয়ে প্রথমদিকে চলে আসার মতো মার্ক পাওয়া যায়। 

ভর্তি পরীক্ষার আগে এবং পরে অনেক অনেক উড়ো কথা শোনা যায়।  সে সবে কান দেবে না। তোমার বন্ধু তোমার চেয়ে বেশি জানে না। খোজ নিয়ে দেখো সেও আসলে অন্য কারো কাছ থেকেই শুনে এসেছে।

উড়ো কথা বিষয়ে একটা ঘটনা বলি- আমার একটা স্টুডেন্ট সেও ভিকারুন্নেসার ছাত্রী। 2011 সালের HSC পরীক্ষার সময় তার আম্মু একদিন আমাকে ফোন দিয়ে জানালো মেয়ের নাকি খুব মন খারাপ- খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারন কেমিস্ট্রি পরীক্ষায় সে একটা অংক ভুল করেছে। এদিকে তার নাকি কোন বান্ধবী নাকি বলেছে কেমিস্ট্রিতে 90 এর বেশি মার্ক না পেলে নাকি বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যায় না। ম্যাথ ভুল করায় তার 90 এখন হুমকির সম্মুখীন। হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিলাম না। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম এই GPA এর যুগে তুমি 90 পেয়েছ না 80 পেয়েছ তা বুয়েট-ওয়ালারা জানবে কিভাবে?

সেই মেয়ে ঠিকই ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে এবং প্রথমদিকেই স্থান করে নিয়েছে।

 

.অতঃপর ফলাফল: 

বুয়েটে ভর্তি হওয়া আমার ক্লাস এইটে জন্মানো স্বপ্ন। নাম ছাড়া বুয়েটের ব্যাপারে আর কিছুই জানতাম না তখন।আমার স্বপ্ন বুয়েটে ভর্তি হতে পারাতেই সীমাবদ্ধ ছিলো। প্রথমদিকে আসা অথবা ইলেকট্রিকালে পড়ার কথা চিন্তা করিনি কখনো- ওটার জন্যে অনেক মেধা লাগে- তাই ভাবতাম।

ফার্মগেটে আমরা সাতজন থাকতাম। আমিই একমাত্র বুয়েটে চান্স পেলাম। বাকিরা ঢাকার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই থাকতে পারলো না।

সেই মেয়েটার রোল দেখে এসেছিলাম পরীক্ষার হলে- দেখলাম সেও চান্স পায় নি! বুয়েট নিশ্চিত ভাবেই অতিসুন্দর একটা মেয়েকে নিজের কাছে ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো- আমাদের কপালটাও একটু পুড়লো!

আমার ফলাফলে আরেকট মজার ব্যাপার আছে। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে মেরিন ভর্তি পরীক্ষার ফল পেয়েছিলাম- ফলে টেনশান অনেক কমে গিয়েছিল। টেক্সটাইল পরীক্ষার দুইদিন আগে পেয়েছিলাম বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফল আর ঢাকা ইউনিভার্সিটির আগের দিন পেয়েছিলাম টেক্সটাইলের ফল। ফলে প্রত্যেকটা ভর্তি পরীক্ষার সময় আমি সম্পূর্ণ টেনশন ফ্রী ছিলাম।

৭.ঢাকা ভার্সিটি ভর্তি প্রস্তুতি: 

 একটা ছোট প্রাইভেট কোচিং এ ক্লাস নিয়েছিলাম কয়েকদিন। একটা মেয়ে ভালো করতো কিন্তু বুয়েটের স্কোর আসলো না। সে খুব আশাহত ছিলো।

আমি তাকে ডেকে নিয়ে বললাম একটা করে ম্যাথ ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি বইয়ের ছোট অংকগুলো সলভ করে ফেলো আর চ্যাপ্টারের সূত্র গুলো মুখস্থ করে ফেলো। ঢাকা ভার্সিটির MCQ পরীক্ষায় বড় প্রশ্ন আসার সুযোগ নেই। ছোট অংকগুলোই আসবে- দরকার হলো দ্রুত উত্তর করা।

অনেকদিন তার সাথে যোগাযোগ ছিলো না। ভুলেই গিয়েছিলাম তাকে। একদিন সে ফোন দিয়ে বললো ভাইয়া ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স হইছে, প্রথমদিকেই। আপনার দুলাইনের কথায় কাজ হয়েছে- কোচিং বাদ দিয়ে বাসায় আপনার কথা মতো কাজ করেছিলাম।

এরপরে সে বেশ কয়েকদিন আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিল- মিষ্টি খাওয়াবে। নানা ঝামেলায় আর সময়ই পেলাম না! হয়তো তার আত্মসম্মানে লেগেছে- এখন আর ফোন দেয় না। এর মাঝে মোবাইল চুরি হয়েগেল- এখন আর তাই তার নাম্বারটাও আমার কাছে নেই- অন্যদিকে আমি নিজেও সিমকার্ড বদলে ফেলেছি!

বুয়েট তবু মানা যায় কিন্তু ঢাকা ভার্সিটির MCQ পরীক্ষার জন্যে কোচিং এর কোন দরকার আমি আগেও দেখি নাই এখনো দেখিনা। উলটো সেটা ক্ষতিকর- সময় এবং টাকা নষ্ট!

৮. সবসময় যা মনে রাখবে:

ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার অনেক টোটকা আছে হয়তো। অনেকে গ্যারান্টি বিলিয়ে বেড়ায়- হয়তো সেগুলো কার্যকর।

আমার মতে সাফল্যের জন্যে প্রথম দরকার ডিটার মাইন্ড থাকা- ঐকান্তিক ইচ্ছে আর ক্রমাগত লেগে থাকা। সাফল্যের কোন শর্টকাট উপায় নেই। পরিশ্রম ছাড়া সফল হয় না কেউ।

এর পরে দরকার প্লানিং। আমি কি চাই- বুয়েট না অন্য কিছু! বুয়েটের প্রিপারেশনে ঢাকা ভার্সিটি হয়। মেডিক্যালের জন্যে আলাদা প্রিপারেশন।

এরপরে তিনটা কাজ বাকি-

1. প্রথমে বই পড়া।

2. আবার বই পড়া।

3. প্রথম দুইটা কাজ ঠিকমতো করা।

এর বাইরে কোচিং -গাইড সব অনর্থক। কেউ যদি বলে আমার এখানে কোচিং করলে বুয়েট ভার্সিটিতে চান্স নিশ্চিত তার কথা বিশ্বাস করবে না। বুঝবে এ এক কোচিং ব্যবসায়ী- একে ঘৃণা করা উচিত। তাই তাকে দুচোখে ঘৃণা দিয়ে দগ্ধ করে দেবে!

45-50000 ছেলে কোচিং করে। এরা কিভাবে নিশ্চয়তা দে যেখানে আসন বুয়েটে মাত্র 1000!

সবাই কোচিং করে তাই তুমিও সান্তনা পেতে একটায় ভর্তি হতে পার। কিন্তু ওটা আসলে কিছু নয়। আসল কাজ হলো বাসায় পড়া। দরকার হলে প্রাইভেট টিউটর রাখো- তাও আগে বাসায় পড়া শেষ করো।

আর মনোযোগ দিয়ে মূল বই পড়ো।

৯:

সামনে যাদের ভর্তি পরীক্ষা- সেই ছোট ভাইবোনদের প্রতি শুভকামনা থাকলো। HSC এর পরে কয়েকমাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। মনোযোগ দিয়ে পড়ো। জীবন সত্যিই বদলে যাবে। যত নেশা- ভালোবাসা আছে সব কমিয়ে দাও। কিছুদিন ক্রিকেট খেলা বাদ থাকুক। চ্যাম্পিয়নস লীগ, এল ক্লাসিকো এর পরেও অনন্তবার হবে। সিনেমাগুলো হার্ডডিস্কে জমা থাকলে পরে দেখা যাবে। দেশ বিদেশে ট্যুর গুলোও সামনের সময়ে দেয়া যাবে। কিন্তু বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা জীবনে কিন্তু একবারই দেয়া যায়। সুতরাং একটু পড়ো এইবার! গার্লফ্রেন্ড না থাকলে এই কয়দিনে আর নতুন করে বানানোর দরকার নেই- ভার্সিটিতে উঠলে ব্যবস্থা হবে। আর যদি থেকেই থাকে তাহলে একটু কষ্ট করে দেখা স্বাক্ষাত কমিয়ে দাও- কিছুদিনের বিরহ সারাজীবনের সুন্দর মিলনের পথ প্রসস্ত করে দেবে!

পরিশ্রম করো সফল হবেই। রবিবাবুর মতো করে আমি বলি-

উদয়ের পথে শুনি কার বানী 

ভয় নাই ওরে ভয় নাই 

নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান 

ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই 

 আর হ্যা ক্যাডেটের ঐ মেয়েটা বুয়েটে চান্স পায়নি বলে কিন্তু থেমে থাকেনি- আশে পাশেই আছে সে- এতদিনে আমার সিনিয়রও বনে গেছে। ঐদিনের পর তার সাথে আমার বেশ কয়েকবার দেখাও হয়েছে।  তার ব্যাপারে আমি আর বেশি কিছু বলতে চাইছি না- বেচারী সুখে আছে- থাকুক না! কি দরকার অযথা জ্বালাতন করে!

যারা নোটটা পড়বে এবং যাদের মনে হবে নোটটা কার্যকর- তাদের অনুরোধ একটা কমেন্ট করার আগে একটা শেয়ার অথবা কাউকে ট্যাগ করুন। যত বেশি মানুষের কাছে এটা পৌছবে তত বেশি মানুষ এটা থেকে উপকার পাবে। অন্যের সাহায্যার্থেই প্রচুর শ্রম আর সময়ের বিনিময়ে এটা লেখা হয়েছে।

দৃষ্টি আকর্ষনঃ 

  • মেয়েটা কাল্পনিক- শুধু মাত্র লেখার মাধুর্য্যতার জন্যে তাকে কল্পনা করা হয়েছে।
  • ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পরে প্রথমদিকে লাইফ সমন্ধে দিক নির্দেশনা নিয়ে আমার একটা নোট রয়েছে-‘ তোমরা যারা বুয়েট-১১ ব্যাচ’ শিরোনামে। বুয়েটিয়ানদের জন্যে লেখা হলেও যে কোন ভার্সিটির নবাগত স্টুডেন্ট ওটা থেকে উপকৃত হবে।
  • নোটটি পাওয়ায় যাবেঃ http://www.facebook.com/#!/note.php?note_id=3622754448325 এই এড্রেসে

————————————————-সমাপ্ত——————————————– 

মিজানুর রহমান পলাশ 

facebook/logical.palash 

 

 

মিজানুর রহমান পলাশ সম্পর্কে

এখানে রাত্রি নামে, উড়ে যায় সাদা বক/ জোনাক পোকায় চড়ে স্বপ্ন আলো/ দেখেনা সে মালতী লতা, পলাশ ফুলের শোভা/ কিশোরীর কালো চোখ, আধার কালো !/
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে অনুপ্রেরণা, সচেতনতা, সাহিত্য, স্মৃতিচারণ-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

10 Responses to HSC- 2012, যারা ভর্তি হতে চাও বুয়েট, ঢাকা ইউনিভার্সিটি সহ অন্য কোথাও—

  1. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    দারুণ জরুরি লেখা। অনেক ধন্যবাদ

    এই লেখাটা পিচ্চিদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া দরকার। পিচ্চি মানে যারা এইবার পরীক্ষা দিলো

  2. আহসান বলেছেনঃ

    সহজ কথা কেউ সহজে বুঝতে চায় না। সবাই চায় কঠিনেরে ভালবাসতে 🙁

  3. তাসিন কিবরিয়া ফিমা বলেছেনঃ

    কমার্স এর স্টুডেন্ট দের জন্য কিছু থাকলে ভাল হতো ।

  4. momin hossain বলেছেনঃ

    ami probasi but aponar a advice golo amar kezi one a porua mear ganno ami flow up karabo for her futer.thx lot of brother.

  5. রিপন বলেছেনঃ

    অনেক চমৎকার করে গুছিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ, ভাইয়া।

    বুয়েটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবার। আপনি মূল বই পড়ার জন্য জোর দিয়েছেন। একেক বিষয়ে একাধিক টেক্সটবুক আছে। কয়টা বই পড়তে হবে?

  6. নিলয় বলেছেনঃ

    ভীষণ কাজের লেখা এইগুলো, ভাইয়া 🙂
    সবাই ছোটদের জন্য এইভাবে চিন্তা করে না, অনেকে কোচিং ব্যবসার সাথে জড়িয়ে যায়- না হলে কত্ত জুনিয়র ঝরে না পড়ে হাসিমুখ নিয়ে পড়াশোনা করতে পারত!
    :huzur: :clappinghands:

  7. Mohammad Abdur Rahim বলেছেনঃ

    অসাধারন পোস্ট। পুরাই চেঞ্জ করে দিলেন। সত্যিই পোস্টটি আমাকে অনেক সাহায্য করছে। এত সুন্দর পোস্টের কৃতজ্ঞতা সীকার না করে পারলাম না। আপনি পোস্টিকে যেভাবে সাজালেন তা অনেক প্রসংসনীয়।

    পরিশেষে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা এবং ভালবাসা। :love:

  8. অয়ন বলেছেনঃ

    ভাইয়া আনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লালো। অনেকদিন ধরেই এরকম চিন্তা করছিলাম কি্তু কারো থেকে কোন মত পাচ্ছিলাম না। অবশেষে এটা দারুন লেখা দেখলাম 🙂 ভাইয়া আনার সাথে যোগাযোগ করার কোন উপায় আছে?

  9. Md Anarul বলেছেনঃ

    SSC HSC তে কত পয়েন্ট থাকলে বুয়েট,রুয়েটে পরীক্ষা দেওয়া যায়?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।