জীবনে প্রথম চা বানাতে গেলাম সেদিন মাত্র। ভোরবেলার দিকে আজকাল আমার বিবেক জেগে ওঠে, তাই আম্মুর ঘুম না ভাঙিয়ে নিজেই কোনরকম পূর্বজ্ঞান কিংবা পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই মাঠে নেমে পড়লাম। চুলায় পানি দিলাম প্রথমে, এক কাপের একটু বেশি। জানতাম পানি ফুটে না ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়, মিনিট পনেরো পর এসে দেখলাম পানি গিয়ে পাতিলের তলায় ঠেকেছে। তড়িঘড়ি করে আরো খানিক পানি দিলাম, আবার ফুটে উঠলে দিলাম এক চামচ চাপাতা। তারপর আবার ঘুরেফিরে এসে তো আমার মাথায় হাত! লিকারযুক্ত পানিও তখন গিয়ে পাতিলের তলায় ঠেকেছে। বাস মিস হয়ে যাওয়ার ভয়ে নতুন করে পানি আর দিলাম না, ওভাবে ছেঁকে ফেললাম কাপে। এত কম চায়ে পাউরুটি ভিজবে না, আবার এখন পানি গরম করারও সময় নেই, তাই স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিই ঢেলে ‘এক কাপ’ করে ফেললাম চা-কে। 😀 তবে তখন আর পাউরুটি ভেজানোর সময় ছিল না, আম্মু যাতে ঘুম থেকে উঠে হার্ট অ্যাটাক না করে তাই ঐ বস্তুই ঢকঢক করে খেয়ে ফেললাম।
তারপর আরো দুদিন চেষ্টা করেছি, বড় বোন আর সতীর্থিনীদের পরামর্শ নিয়ে। ঐ গল্প আরেকদিন! ব্যর্থ-মনোরথ হয়ে আন্তর্জালে খোঁজ করতেই ‘এনিম্যাল ফার্ম’ আর ‘১৯৮৪’র বস লেখক জর্জ অরওয়েল তার রেসিপি নিয়ে হাজির হলেন। শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না, তাই সামনের প্রচণ্ড ব্যস্ত একটা সপ্তাহের কাজকর্ম বাদ দিয়ে চলে এলাম সরবে!
হাতের কাছে প্রথম যেই রান্নার বই-ই পান না কেন, সেটাতে চা বানানোর নিয়ম-কানুন নিয়ে খোঁজাখুঁজি করে দেখুন; হয় কিছু পাবেনই না, আর যদি বা পানই – দেখবেন যে আসল কথা বাদ দিয়ে দায়সারা কিছু নিয়ম লিখে রেখেছে।
তাজ্জব ব্যাপার বটে এটা, কারণ – একে তো আয়ার, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের মত এদেশেও চা হচ্ছে সভ্যতার সবচেয়ে জরুরি স্তম্ভগুলোর একটি, সেই সাথে আবার এ এমন এক ব্যাপার যা নিয়ে বিতর্কের অবধি নেই।
একেবারে নিখুঁত এক কাপ চা বানানো নিয়ে নিজের রেসিপিতে চোখ বুলোলে কমসে কম ১১টা অসাধারণ দিক খুঁজে পাই আমি। এর মধ্যে দুটো নিয়ে মোটামুটি ঐকমত্যের সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে, তবে অন্তত চারটা নিয়ম আছে যেগুলো নিয়ে বিতর্ক চরমে। এই হচ্ছে আমার একান্তই নিজের ১১টা নিয়ম – সবগুলোই আমার চোখে সেরা:
- প্রথম কথা হচ্ছে, আপনাকে অবশ্যই ভারতীয় অথবা শ্রীলঙ্কার চা ব্যবহার করতে হবে। স্বীকার করি, চীনা চায়ের এমন কিছু গুণ আছে যেগুলো এযুগে অপছন্দ করার জো নেই – খরচ বাঁচায় তো বটেই, সাথে আবার দুধ ছাড়াও খেতে পারা যায় চাইলে – কিন্তু তেমন উদ্দীপনা জাগে না আসলে খেয়ে। আপনার নিজেকে আগের চাইতে জ্ঞানী, সাহসী কিংবা আশাবাদীও মনে হবে না এটা খাওয়ার পর। ‘চমৎকার এক কাপ চা’ স্বস্তি-জাগানিয়া এই কথাটা কেউ যদি কখনো উচ্চারণ করে, আপনি নিশ্চিন্তে ধরে নিতে পারেন যে সে ভারতীয় চায়ের কথা বলছে।
- দ্বিতীয়ত, চা সবসময়েই অল্প করে বানাতে হয় – পটে আর কি! হাঁড়িতে চা বানালে মোটেও স্বাদ পাবেন না আপনি; আর ইয়া বড় ডেকচিতে যে চা বানায় মিলিটারিরা, ওটা খেতে গেলে চুনকাম আর তেলচর্বির মত লাগে। পট হতে হবে মাটি কিংবা চীনামাটির তৈরি। রূপো কিংবা ব্রিটানিয়ার পটে চা একেবারে বিশ্রী হয় খেতে, এনামেলের পট তো আরো বাজে। তবে কেন যেন দস্তার পটে চা বেশ ভাল হয়, ইদানিং তেমন পাওয়াই যায় না যদিও!
- তিন নম্বর কথা, পটটাকে আগে থেকেই তাতিয়ে নেবেন আগুনে। এমনিতে যেমন গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া হয়, সেটা না করে উনুনের ওপর রাখলেই ভাল কাজে দেয়।
- চতুর্থত, চা-টা কড়া হতে হবে। সোয়া গ্যালনের পট কানায় কানায় ভরতে চাইলে উঁচু উঁচু করে ছয় চা-চামচ চাপাতা দেবেন। টানাটানির এই সময়ে অবশ্য সপ্তাহের প্রতিদিনই এই নিয়মে চলতে পারবেন না আপনি; তবে আমার বিশ্বাস, বিশ কাপ পানসে চায়ের চেয়ে এক কাপ কড়া চা অনেক ভাল। যে কোন সত্যিকারের চাপ্রেমীই যে কেবল কড়া চা পছন্দ করেন তাই নয়, বরং একেকটা বছর গড়ানোর সাথে তারা আরো বেশি কড়া চা পছন্দ করেন – বুড়ো পেনশনারদেরকে যে কেন অতিরিক্ত রেশন দেওয়া হয় সে তো বুঝতেই পারছেন এইবার!
- পাঁচ নম্বরে বলছি, চা সরাসরি পটে দিয়ে দেবেন। ওটাকে অবশ্যই ছাঁকনি, মসলিনের ব্যাগ কিংবা এরকম কোন জেলে পুরবেন না। চাপাতা নাকি ক্ষতিকর – এমনটা ভেবে কোন কোন দেশে পটের নলের ভেতরে ছোট্ট ছাঁকনি ঝুলিয়ে দেয় সেগুলো আটকানোর জন্য। আসল কথা হচ্ছে, আপনি কোনরকম সমস্যা ছাড়াই ইচ্ছেমত চাপাতা গিলে ফেলতে পারেন, আর পটে চা ছেড়ে না দিলে এটা কক্ষণোই ঠিকমত মিশবে না।
- ষষ্ঠত, পটটাকে কেতলির কাছে নিয়ে যেতে হবে, উল্টোটা করা যাবে না কোনভাবেই। আঘাত হানার সময় পানিটাকে ফুটতে হবে, যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে পানি ঢালার সময় একে আগুনের ওপর রাখতে হবে। কেউ কেউ বলে, ফোটানোর জন্য টাটকা পানি ব্যবহার না করলে হয় না, তবে আমি কখনো এর মধ্যে আলাদা কোন বিশেষত্ব দেখি নি।
- সাত, চা বানানোর পর একে নাড়বেন, আরো ভাল হয় যদি জোর একটা ঝাঁকুনি দিতে পারেন। তারপর পাতাগুলোকে থিতানোর সময় দিতে হবে।
- আট নম্বর নিয়ম হচ্ছে, ভাল একটা ব্রেকফাস্ট কাপ থেকে চা খেতে হবে আপনাকে – মানে বেলনাকৃতির যেগুলো সেগুলো; চ্যাপ্টা আর চিকন কাপগুলো না। ব্রেকফাস্ট কাপে চা ধরে বেশি, আর অন্যটায় ভালমত খেতে শুরু করার আগেই দেখবেন চা অর্ধেক ঠাণ্ডা হয়ে বসে আছে।
- নবম কথা: চায়ে দেওয়ার আগে দুধ থেকে ননী তুলে নিতে হয় সবসময়। বেশি ননীওয়ালা দুধে চায়ের স্বাদ একেবারেই ভেস্তে যাবে।
- দশ নম্বর, কাপে প্রথমে চা ঢালতে হবে। এই জিনিসটা নিয়েই বিতর্ক সবচেয়ে বেশি; ব্রিটেনের যে কোন পরিবারেই দেখবেন এটা নিয়ে অন্তত দু’ধরনের মতবাদ চালু আছে। দুধ আগে দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাসী যারা, তারা আপনাকে যত শক্তিশালী যুক্তিই দেখাক না কেন; আমি জানি আমার নিজের যুক্তির কোন জবাব নেই। সেটা হচ্ছে, আপনি যদি চা আগে দেন আর তারপর নাড়তে নাড়তে দুধ দিতে থাকেন, তাহলে কতটুকু দুধ দিচ্ছেন সে ব্যাপারে আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকছে পুরোপুরি; কিন্তু উল্টোটা করলে দুধ যে বেশি হয়ে যাবে সেটা নিশ্চিত।
- শেষ কথা হল, চায়ে চিনি দেওয়া যাবে না – যদি না আপনি রাশানদের ঢঙে চা খান। জানি, খুব ভালভাবেই জানি যে এই ব্যাপারে আমি সংখ্যালঘু। কিন্তু তাতে কী? চিনি দিয়ে চায়ের মজা যদি নষ্টই করে ফেললেন তবে কোন্ মুখে নিজেকে সত্যিকারের চাপ্রেমী দাবি করেন আপনি? চায়ে মরিচ কিংবা লবণ দিতে চাওয়াটাও একইরকম বোকামি। বিয়ারের যেমন তেতো হওয়ার কথা, চায়েরও ঠিক তাই। চিনি দিচ্ছেন – এর অর্থ আপনি চা নয়, বরং চিনির স্বাদ পরখ করছেন। তার চেয়ে বরং গরম পানিতে চিনি গুলিয়ে খেলেই হয়!
কিছু লোক বলে যে তাদের নাকি চা ভাল লাগে না, কেবল উষ্ণ আর সতেজ থাকার জন্যই নাকি তারা চা খান – তাই চায়ের স্বাদ তাড়াতে চিনি দেন। এই সব বিভ্রান্ত মানুষদেরকে বলে রাখছি: অন্তত দুটো সপ্তাহ চিনি ছাড়া চা খেয়ে দেখুন, আর কোনদিনও চায়ে মিষ্টি দিতে চাইবেন – এমন সম্ভাবনা খুবই কম।
ওপরের কথাগুলো যে কেবল চা বানানো নিয়ে বিতর্কিত ব্যাপারগুলোই তুলে এনেছে এমন নয়, পুরো কাজটা যে কেমন কৌশলী হয়ে উঠছে দিনকে দিন – সেটাও বোঝা যাচ্ছে এখান থেকে। চায়ের পট নিয়ে এক রহস্যময় সামাজিক রীতি গড়ে উঠেছে (যেমন, পিরিচ থেকে চা খাওয়াটা এত বাজেভাবে দেখা হয় কেন বলতে পারেন?), শুধু তাই নয় – ভবিষ্যদ্বাণী, মেহমানদের আসার খবর আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া, খরগোসকে খাওয়ানো, পোড়া ক্ষতের পরিচর্যা আর কার্পেট ঝাড়ু দিতে চাপাতার ব্যবহার নিয়েও যথেষ্ট লেখা যায় চাইলে। আপনার রেশন থেকে ঐ বিশ কাপ ভাল, কড়া, যত্ন নিয়ে বানানো জিনিসগুলোকে মুচড়ে বের করে আনতে চাইলে পট গরম করে নেওয়া কিংবা ফুটন্ত পানি ব্যবহার করার মত ছোটখাটো ব্যাপারগুলোতে নজর না দিলেই নয়!
[চা মানুষ খায় না, পান করে – জানি সেটা। পানের চলিত রূপ খুঁজে না পেয়ে তাই ভুল কথাটাই লিখে ফেললাম!]
মূল লেখার লিঙ্ক: A Nice Cup of Tea – George Orwell ((http://www.booksatoz.com/witsend/tea/orwell.htm))
বেশ ভাল লাগলো!
😀 আরো বিস্তারিত মন্তব্য করতে পারেন চাইলে!
সত্যি বলতে, আমার কাছে ভালো আর মোটামুটির মাঝে লেগেছে এটা। 🙂
শুরুটা একটু দুর্বল।
তবে কী, লিখতে লিখতে লিখিয়ে… 🙂
শুরুটা আমার কাছেও দুর্বল লেগেছে। 🙂 কিন্তু তাড়াহুড়ায় ছিলাম দেখে আর ঘষামাজা করা হয় নি। আলস্য জয় করতে পারলে করবো কখনো দেখি।
আসলেই ভাবনার বিষয়, কেন কোন রান্নার রেসিপি বইতে কখনো চা বানানোর কথা লিখা হয় না?? ঝামেলাটা কোথায়? এটার কোন নীতমালা নাই! 😛
বেশ ভালো লাগলো নিয়ম কানুনগুলো……
আর সবার জন্য, আমি কিন্তু ‘চা’তাল! 😀
তবে একটু সাজেশান, অনুবাদ করতে গেলে কি একদম সব লাইন থাকতেই হবে এমন নিয়ম আছে কোন?? মানে ধরেন, আমাদের দেশের মানুষজন রেশনের সাথে খুব বেশি পরিচিত না, তাই ওরকম একটা লাইন দিলে হঠাৎ করে ধাক্কা মতো লাগে! শুধুই মতামতটা জানালাম…
আমি সব লাইন দেই। অনুবাদে আসলে কদ্দুর manipulate করা যায় জানা নাই। নিয়মের ব্যাপারটা জানি না দেখেই সাবধান থাকি আর কি! যেমন একবার একটা ভাষণ অনুবাদ করতে গিয়ে একটা বিশেষ শব্দ বাদ দিয়ে গেছিলাম, এখন সবসময়েই আতঙ্কে থাকি কে এসে আবার কী বলে বসে! 😀
সাজেশন ভাল লাগছে ভাইয়া। আমি আরেকটা জিনিস ভাবতেছি, অপরিচিত অংশগুলিতে ফুটনোট দিয়ে দেওয়া যায়, তাই না? যেমন আমরা ছোটবেলায় যে সেবা-র অনুবাদগুলি পড়তাম ওখানে ছোট ছোট টীকা থাকতো কোন কোন পৃষ্ঠার নিচে…আপনার মন্তব্য পড়ে মনে পড়লো। 😀
চমৎকার! ফুটনোটের আইডিয়াটা দারুণ…
খেয়ে দেখতে হবে এভাবে বানিয়ে!
৬ নাম্বার পয়েন্টটা আমি বুঝতে পারি নি, বুঝিয়ে দিলে ভালো হয়।
আর, চিনি ছাড়া চা খাওয়াটা ভাবতে পারছি না এখনো, তবে ২ সপ্তাহ চেষ্টা করে দেখা যায় 😛
আমিও ভাবতে পারি না চিনি ছাড়া চা খাওয়ার কথা। 😛
ইয়ে। 😛 কথা হচ্ছে, আমি নিজেও কনফিউশিত ৬ নম্বরটা নিয়ে। কারণ পানি যদি ফুটন্ত অবস্থায় কেতলিতে দিতে চাই, তাহলে কেতলিকেই পটের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু এখানে উল্টোটা দেখা যাচ্ছে। 😳
আপু তুমি চা – পাগলি নিশ্চিত! 😛
হাহা। চা ভাল লাগে খুবই (অনেকেরই লাগে মনে হয়), ছোটবেলায় আরো বেশি লাগতো! 😀 তবে দিনে একবারের বেশি খাই না সাধারণত, খুব বেশি হলে দু’বার।
আর আমি আসলে রান্নাবান্না পারি না কিছু, মানুষ তো দেখি আর কিছু না পারলেও চা-টা পারে, আমি তা-ও পারি না। এই জন্য লেখাটা পড়ে মজা পাইছিলাম। 😀 যারা আসলেই চা বানাতে পারে তাদের কেমন লাগবে বুঝতেছি না তাই। 😀
আর আমি কফি কফি বলে পাগলামি করি খুব। 🙂
প্রথমত, মাত্র কয়দিন আগেই চা বানাতে শিখেছেন- একথায় ব্যাপক বিস্মিত হলাম আপু!!!! 😯
দ্বিতীয়ত, এইরকম মারাত্মুক নিয়মে চা বানানোর রেসিপিও যে অনুবাদ করা যায়- এমন যুগান্তকারী পদক্ষেপে মুগ্ধ হয়ে গেলাম!! :beerdrink: :balancin:
পরিশেষে, উপরিউক্ত ১১টা নিয়মের বেশিরভাগই আমি বুঝি নি……… 🙁
(কিন্তু তাই বলে আমার চা-টা কিন্তু খুব একটা খারাপ হয় না আপু…… 😛 )
বেশিরভাগই বোঝো নাই! 🙁 অনেকেই বোঝে নাই দেখি। ব্যর্থ অনুবাদ দেখি পুরাই, কারণ চা বানাতে না পারলেও মূল লেখাটা আমি ভালভাবেই বুঝছিলাম। কোন্ কোন্ জায়গা বোঝা যাচ্ছে না বলবা একটু? 🙁
ভালো লাগছে আমার মত চাতাল দের জন্য। যদিও কিছু জিনিস মাথার উপর দিয়ে গেলো!
কোন্গুলি? 🙁
এত কম চায়ে পাউরুটি ভিজবে না, আবার এখন পানি গরম করারও সময় নেই, তাই স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিই ঢেলে ‘এক কাপ’ করে ফেললাম চা-কে। তবে তখন আর পাউরুটি ভেজানোর সময় ছিল না, আম্মু যাতে ঘুম থেকে উঠে হার্ট অ্যাটাক না করে তাই ঐ বস্তুই ঢকঢক করে খেয়ে ফেললাম।
. . . হাসতেই আছি!!! =)) =)) =))
😛 তুমি বানাইতে পারো চা? 😀
একবার ট্রাই দিসিলাম, হয়নাই কিছু 🙁
এইভাবে হবেনা দোস্ত…… ট্রায়াল এন্ড এরর প্রসেস চালু কর…এমনেতেই ভালো চা বানাইতে শিখ্খা যাবি !!!…… 😛
সেই প্রসেসে কত চাপাতা আর দুধ-চিনি নষ্ট হবে ভাবতেছি। 😛
তবে তুই খেতে রাজি থাকলে বানাতে পারি। 😀 😀
😳
ওরে খাইছে! এতকিছু !! 🙁
অরওয়েল বস! 😀
খুব সহজ জিনিসটাকে কেন এত কঠিন করা জানতে পারা যাবে?