সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার…বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন কটূক্তি বা মন্তব্য অবশ্যই রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এ ধরনের আপক্তিকর মন্তব্যের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতার সৃষ্টি ও পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়। (( ১-০৬-২০১২, প্রথম আলো)) নীচের অফটপিক মন্তব্যটি দেখুন প্লিজ!
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ জিডি করা হয়। এই শিক্ষকের নাম হাফিজুর রহমান, তিনি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক।
শাহবাগ থানা সূত্র জানাায়, হাফিজুর রহমান কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি বার্তা লেখেন। ওই বার্তার কোথাও প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করা হয়নি। বার্তার একটি স্থানে তিনি ‘হায়েনা’ শব্দটি উল্লেখ করেন। ((২৪-০৪-২০১২, প্রথম আলো))।
গত বছরের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র-পরিচালক তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনিরসহ পাঁচজনের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘মৃত্যুকামনা’ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ওই শিক্ষক। ...হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুহুল আমিন খন্দকারের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১২৪এ ধারায় (রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ) মামলা দায়ের করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।আর তা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে আগামী ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে। ((৮-১-২০১২, খবর২৪))
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।…বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর তাঁর চারিত্রিক সনদে এ শাস্তির কথা উল্লেখ থাকবে বলেও কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় ((২২ এপ্রিল ২০১১, কালের কণ্ঠ ))।
একটি অফটপিক মন্তব্যঃ মহাজোট সরকারের গত তিন বছরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন ছাত্র। ((১৮-০৩-২০১২, প্রথম আলো))
আসুন আমরা সবাই জাতির জনকের কন্যা রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন কামনা করি।
(সকলের কাছে সাহায্য প্রার্থী কী কী লিখলে কোন প্রকার মামলার শিকার হবো না জানতে চাই।
উত্তর কিছু না লিখলে। কিছু না বললে। কিছু না করলে।)
– নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
কেন জানি হতাশ হয়ে যাচ্ছি দিন দিন, এরকম করে কথা হয়তো আটকাতে পারবেন, ভাবনা-চিন্তা? সিদ্ধান্ত?? সেগুলোর জন্য কোন আদালতে যাবেন আপনারা??
ব্যাপারটা অনেক বেশী হতাশজনক। একটি দেশের প্রতিটা নাগরিকের বাকস্বাধীনতা ও সমালোচনার অধিকার থাকা উচিত। রাষ্ট্রোদ্রোহ মামলা যেভাবে করা হচ্ছে, অন্যান্য মামলায় তেমন তড়িৎগতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
কিছু বলতেই ভয় লাগছে……
এখানে তো মন্তব্য করা যাবে না!
আমরা ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নয় রাজা নির্বাচন করি । রাজারাত একটু খারাপ ব্যাবহার করতেই পারেন । এতে কোন সমস্যা নেই । এইদেশে একটা থিওরি দিয়ে সব কিছু জায়েয করা যায় তা হল “ উনি অত খারাপ না” । খারাপের মধ্যে উৎকৃষ্ঠমানের যোগ্যতা সম্পন্ন লোক বাছাই করা আমাদের কর্তব্য ।
সবাই যা ইচ্ছে তাই করবে। কেউ কিছুই বলার ক্ষমতা রাখবে না। পারলে আইন করে বন্ধ করে দেয় যেন কেউ কিছু না বলি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আপত্তিকর ছবি এবং তাদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ছড়া প্রকাশের অভিযোগে নোয়খালীতে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=199154&cid=2
🙁