প্রথম পর্ব
খুব যে ঘুরেছি এক জীবনে তা নয়। তবে স্বপ্ন দেখতে বাধা কোথায়? কখনো হাতে টাকা হলে এবং সামর্থ্য থাকলে কোথায় কোথায় যাবো, অনেক ভেবেছি। এ ভাবনা যেন শেষ হবার নয়! হিমালয়ের বরফের রাজ্য থেকে ইউরোপের অপরূপ মধ্যযুগীয় স্থাপত্য ঘুরে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন বা আমাজনের গভীর অরণ্য-কোন কিছুই স্বপ্ন থেকে বাদ পড়ে না। এমন কিছু জায়গার কথাই আসবে এ পোস্টে, যেখানে একবার অন্তত যেতে চাই।
Jiuzhaigou Valley
Jiuzhaigou Valley এর সঠিক বাংলা উচ্চারণ করতে না পারলেও এখানে যাওয়ার ব্যাপারে আমার মনে কোন সন্দেহ নেই। চাইনিজ ‘Jiuzhaigou Valley’ এর অর্থ ‘Valley of Nine Villages’।
৬০০ বর্গ কি.মি. এর এই উপত্যকা চীনের সিচুয়ান প্রদেশে।
কী আছে এখানে?
নানা রঙের লেক! রঙের ভিন্নতায় ভাসিয়ে নেবে আপনার মনকে।
ঝর্ণা ও জলপ্রপাতের অপূর্ব সমারোহ।
আর আছে পাহাড়।
তুষারশুভ্র পাহাড়ঘেরা উপত্যকার মাঝ দিয়ে বয়ে চলা রঙিন নদী। পৃথিবীর আর কোথাও কি রূপকথার এমন জগত আছে?
আমার জানা নেই।
চারপাশে গাঢ় সবুজের সমারোহ, মাঝ দিয়ে বয়ে চলা খাদের অতলে নদী, শান্ত লেক, জলপ্রপাত। হঠাৎ করে ছিটকে আকাশে দিকে ওঠা গরম পানির ধারা। পাখির ডাকের গান আবার হরিণ, বাইসন বা নেকড়ের শব্দ-প্রাণীদের এক অভয়ারণ্য।
২০ মিলিয়ন একর জমির উপর গড়ে ওঠা পৃথিবীর প্রথম ন্যাশনাল পার্কে আছে ১৭০০ প্রজাতির গাছ ছাড়াও প্রায় ৬৮ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী।
দু’টা সিসমিক প্লেটের সংযোগস্থলে হবার কারণে ভূমিকম্পের খুব উপযুক্ত স্থান ইয়োলোস্টোন। ২০১০ সালে মাত্র ২ দিনে সব মিলিয়ে এখানে ক’টা ভূমিকম্প হয়েছিল জানেন? -২৫০টা!!!
প্রকৃতির এতো সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে এখানে আর যাবার অপেক্ষা করছি আমি।
প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপে একটা কাঠের ঘরে বসে আছেন। আপনার মাথায় পেছনে সবুজ পাহাড়, পায়ের নিচে ধবধবে সাদা বালি, সামনেই সাগরের স্বচ্ছ পানি আর ভেসে আসা হু হু বাতাস।
বোরা বোরা দ্বীপ এর সৌন্দর্য ভাষায় বোঝানোর সামর্থ্য মনে হয় নেই।
১.৭ বিলিয়ন একর জুড়ে থাকা সবুজ বন, যার অনেক স্থানে এখনো কোন সভ্য মানুষের পায়ের ছাপ পড়ে নি। প্রায় আড়াই মিলিয়ন রকম পোকা, দশ হাজার প্রজাতি গাছ, ২০০০ প্রজাতির পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণী। বুক চিরে বয়ে গেছে এক বিশাল আমাজন নদী যার মাঝ দিয়ে যার সাথে যুক্ত শতক শাখানদী।
এ এক রহস্যের আবাস, এ এক সৌন্দর্যের আধার-আমাজন বন।
আমাজন বনে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকবে কী করে!
ভ্রমনের শখের বর্ণনা কিন্তু এখনো শেষ হয় নি……
[ছবিসূত্র:ইন্টারনেট]
অসাধারণ।
বেছে বেছে কি করে যেন সব চিন্তাতীত সৌন্দর্য্য নিয়ে এলেন। আরে, মানুষের কল্পনার চেয়ে সুন্দর হতে পারে কোন স্থান, ছবি না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। বিশেষ করে ভ্যালে অব নাইন ভিলেজ আর বোরো দ্বীপ দেখে মনেই হলো, জগতে কিছুই দেখলাম না।
কবে যে যাবো……
দারুণ লেগেছে। 😀
ধন্যবাদ! 😀
ছবিগুলো কেমন জানি ফটোশপড লাগছে! অবশ্য সুন্দর কিছুর কাছে না গেলে বোঝা যায় না কোনটা কতটা সুন্দর।
কিছু এডিটিং থাকে অবশ্য এমন ছবিতে। তবুও, এডিটিং মাইনাস করে করে ভাবলেও অনেক সুন্দর!
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটটা দেখেছেন ভাইয়া? ঐ সাইটে গেলে সুবহানআল্লাহ্ ছাড়া আর কোন শব্দ মুখে আসে না আমার। মনে হয় অন্য যে শব্দ বলবো সেটাই অবিচার হবে।
এত সুন্দর পৃথিবীটা, এত সুন্দর!
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটটা আসলেই অসাধারণ!
আমারো এমন একটা লিস্ট আছে 🙂 মানে ছোট বেলায় করেছিলাম আর কি।
অবশ্য এখানে অনেক গুলোর নামই জানা ছিল না আগে। দারুন জায়গা গুলো 🙂
😀
আমার লিস্ট নিয়ে তো বিপদে পড়েছি। শেষ হতে চায় না 😛
খেলুম না!! এইসব ছবি দেখায়ে মনটারে বাউল বানায়ে দিলে হইবো কেমনে??
কাজ কর্মে তো আর মন বসে না!! 🙁
খেলার কী দরকার! চলেন ঘুরে আসি 8)
আমিও ঘুরতে চাই! :crying:
তবে অবশ্যই আগে দেশের সব জায়গা ঘুরে দেখার পরেই বৈদেশ যাবার ইচ্ছে হবে, তার আগে নয়।
আমারও দেশের সব জায়গা ঘুরেই বাইরে যাবার ইচ্ছা……