“ তুম ইতনা দের কিউ কিয়া টিচার ? ম্যায় তো বোর হো গায়া ।’’
মোহনার মুখ থেকে এইসব কথা শোনার পর আমার চোখ তো ট্যারা হয়ে গেলো। এইসব কি বলে এই মেয়ে ?
মোহনা আমার অবস্থা দেখে বলে“ ক্যায়া হুয়া টিচার ?’’
আমি ট্যারা ভাব কাটিয়ে বললাম “এগুলো কি বল তুমি ? হিন্দি কথা বলতে হয় না। আর তুমি হিন্দি কথা কোথা থেকে শিখেছ ?”
মোহনা বলল “কেন ডোরেমন থেকে। সবচেয়ে প্যাঁয়েরা ডোরেমন। টিচার তুমি ডোরেমন দ্যাখো না ?”
“ না আমি ডোরেমন দেখি না । এইসব পচা কার্টুন দেখতে হয় না ।’’
এইসময় রুদ্ধ বলে “ দরেমন ভালো তুমি পচা ।’’
সেই সাথে দেখি গুলগুলি মাথা নাড়ে যে ডোরেমন ভালো আর আমি পচা ।
আমি বললাম যে ডোরেমন নিয়ে কথা পরে হবে আগে পড়তে বসতে হবে এমনিতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে । রাইমস পড়াবো বলে রাইমসের বই বের করলাম। সাথে সাথে মোহনা একটা চিৎকার করে বলল “টিচার ইয়ে মেরা বুক হ্যাঁয় মুজে বাপাস কারদো । ’’
আমি প্রথমে অবাক হয়ে পরে নির্বিকার মুখে বই দেখতে লাগলাম।
এইবার সে হুমকি দেওয়া শুরু করলো,“তুম সামজা নেহি ইয়ে মেরা বুক হ্যাঁয়।’’
আমার মেজাজ এইবার ভীষণ খারাপ হল, আমি বললাম ,“তুমি বাংলায় কথা বল তা না হলে আমি তোমাকে তোমার বই দিব না।’’
সে খুব বিরক্ত হয়ে বলল,“টিচার আমার বই দাও।’’
তারপরে আমি ওকে বই ফেরত দিলাম। দেখি সে বই নিয়ে বিনা কারণে হাসছে আর বলছে,“ইয়ে কিতনা মাজেদার বুক হ্যাঁয় ।’’
আমার তো চোখ ছানাবড়া। এই মেয়ে কি বলে!!!এইসব রাইমসের বই কি কমিক্সেরে বই!!
আমি বললাম,“ কে তোমাকে বলেছে যে এইটা কমিক্স বই?”
ও বলল,“কেন তুমি দ্যাখো নাই, ডোরেমন এইরকম করে কমিক্সেরে বই পড়ে হাসে আর বলে ইয়ে কিতনা মাজেদার বুক হ্যাঁয়।’’
আমি বললাম,“এইটা কমিক্সেরে বই না আর ডোরেমনের মত করতে হয় না। ’’
এরপর সে আমার দিকে হতাশ চোখে তাকালো। এমন একটা ভাব যে আমি কিছুই বুঝিনা।
আমি বললাম, “A-Z পর্যন্ত লিখ।’’
আমি এই ফাঁকে ওর H. W দেখছিলাম।
একটু পড়ে দেখি সে হাসি হাসি মুখ করে ঘুমাচ্ছে।
আমি বললাম,“কি ব্যাপার মোহনা তুমি না লিখে ঘুমচ্ছ কেন?”
মোহনা আমাকে অবাক হয়ে বলল,“কেন টিচার তুমি দেখনি নোবিতা পড়তে বসে ঘুমায়? তাই আমিও ঘুমচ্ছি।’’
আমি বললাম,“নোবিতা তো পচা।তাই পড়তে বসে ঘুমায়। তুমি তো ভালো,তুমি পড় ঠিক আছে।’’
ও বলল,“ঠিক আছে ।’’
পড়া শেষে আমি আন্টিকে বুঝিয়ে বললাম যে ডোরেমন দেখা বন্ধ করে দিতে।আন্টি বলল,“ ঠিক আছে।’’
আমি যখন ওদের বাসার থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলাম তখন শুনতে পাই যে মোহনা , রুদ্ধ , গুলগুলি ডোরেমন , ডোরেমন করে গান গাচ্ছে। আমার অজান্তে এক দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে আমার রাজকুমারীর রাজ্যের আজ ভীষণ বিপদ যতক্ষণ পর্যন্ত না ডোরেমন নামক এই বিভীষিকাময় দৈত্যের শেষ হয়।
ডোরেমন নামক এই বিপদটার হাত থেকে যে কবে বাঁচা যাবে……
সবার বাসার বাচ্চা এই ডোরেমন নামক বিভীষিকার খপ্পরে পড়েছে……
হ্যাঁ সেটাই আজকাল সব জায়গায় একই সমস্যা। 🙁
একটা স্কুল এ কয়েকদিনের জন্য অন্য একজন টিচার এর বদলে কাজ করেছিলাম। প্লে-র ছাত্রছাত্রী রা আমাকে প্রথমেই দেখে প্রশ্ন করল – ” তুম ইতনে ছোটি কিউ হো মিস! তুম কৌনসি ক্লাস মে পারতে হো? ” আমি হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছিলাম না।
আর যে দিন চলে আসবো, সেদিন বলল – “তুম হামে ছোড়কে মাত যাও” …আমি মনে মনে ভাবছিলাম যত তাড়াতাড়ি পারি ভাগি এখান থেকে। নাইলে আমি নিজেও বাংলা কথা ভুলে যাবো !
অনেকেই এটার ভয়াবহতা নিয়ে বলছিল এটা যে এই পর্যায়ে চলে গেছে সেটা জানতাম না!
অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য
(রুদ্ধ বানান কি এটা হবে না?
কমিক্সেরে > কমিক্সের )
বিভাগ এর সময় খেয়াল করুন। বিবিধ না দিয়ে চিন্তাভাবনা কিংবা অন্য কিছু।
আর ট্যাগও দিন নিয়মিত।
এই লেখাটা দেখা উচিৎ আমাদের সবার
http://shorob.com/?p=2480
ধন্যবাদ। 😀
লেখার কারণটা ভয়াবহ আসলেই। তবে পড়তে গিয়ে হাসবো না কাঁদবো বুঝি নাই ঠিক। লেখা ভাল হয়েছে তোমার। 😀
ধন্যবাদ আপুনি 😀
আমার ভাগ্নে টা এখনো কথা বলতে শিখেনি। কিন্তু ওকে খাওয়ানোর সময় টিভিতে ডোরেমন ছেড়ে দিতে হয়। নাইলে খায় না :O
আমি শঙ্কিত , ও আবার প্রথম কথা হিন্দীতেই বলে কিনা !
শিশুটির পিতা-মাতা যা চাইবেন, সেই পথেই সন্তান বড় হবে…
আমার মতে ওর ডোরেমন দেখা বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ প্রথমে কয়দিন কান্নাকাটি করবে পরে ঠিক হয়ে যাবে এখন থেকে বন্ধ না করলে পরে আরও বেশি সমস্যা হবে।
আর ডোরেমন ছাড়াও তো আরও অনেক কার্টুন আছে ওগুলো দেখতে দেন।আমার ভাগ্নেটাও আগে দেখত এখন বুঝনোর পরে দেখা বন্ধ করে দিয়েছে।
এবারের বইমেলায় যখন গেলাম, প্রতিটা বাচ্চাকে কেবল ডোরেমনের ছবিওয়ালা বই নিয়ে হুড়াহুড়ি করতে দেখলাম। অথচ অনেক দোকানে ওই বইয়ের পাশেই ঠাকুরমার ঝুলিও ছিল, কিন্তু সেসবে তাদের কোন আগ্রহ দেখলাম না। চিন্তার বিষয় হল বইবিক্রেতারাও বাচ্চাদের টেনে আনতে ডোরেমনের বইগুলো সামনে সাজিয়ে রেখেছিল।
ডোরেমনের বই, বেলুন, রাবার, শার্পনার,বল- কি যে পাওয়া যায় না… নিজেরাই যদি সবদিক দিয়ে এভাবে বাচ্চাগুলোকে এসবের দিকে ঠেলে দেই, ওদের আর পুরো দোষ কী 🙁
হ্যাঁ বাচ্চাদের আসলে পুরো দোষ নেই কারণ আমারা বড়রাই এই সম্পর্কে সচেতন না।আর মা যেখানে হিন্দি সিরিয়াল দেখে সেখানে বাচ্চারা তো হিন্দির প্রতি আগ্রহী হবেই।
আর ডোরেমনের বই, বেলুন, রাবার, শার্পনার,বল না সবই পাওয়া যায় কারণ বাচ্চারা আজকাল শুধু ডোরেমন দ্যাখে তাই ওরা ডোরেমনের জিনিস কিনতে চায় আর সেটাকেই কাজে লাগায় একদল লোক।
বাবা মা রা খুবই খুশি হয় দেখি বাচ্চাদের ডোরেমন দেখা নিয়ে। অনেকেই মানে প্রায় সবাই বুঝে না কেন এটা দেখতে দেয়া উচিত না। আমার বাসায় পিচ্চি আছে আছে অনেক গুলো। ওরাও পছন্দ করে খুব। তবে হিন্দি ভাষায় কথা বলতে এখনো দেখিনি।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মা-বাবা বা বড়রা এই ভয়াবহ সমস্যা সচেতন না যে আজকে তারা বাচ্চাদের আদর করে যা দেখতে দিচ্ছে তা আসলে কতটা ভয়াবহ। বিষয় হচ্ছে এই কার্টুনটাতে কোনও ভালো জিনিস নেই আমি নিজে দেখেছি যে,এইটা কতটা ভয়াবহ এর মধ্যে শুধু শিখায় কি করে পড়াশুনা ফাঁকি দিতে হবে,কি ভাবে মায়ের সাথে মিথ্যা বলতে হবে,কি ভাবে মেয়ে পটাতে হবে আর,কি ভাবে কাজ ফাঁকি দিতে হয়।
১. প্রশ্নটা নিয়ন্ত্রনের নয়। প্রশ্নটা এখানে বিকল্পের।
আমাদের মায়েরা যদি হিন্দী সিরিয়াল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন,
তাদের গল্পের রাজকুমারী যদি শিশুর মনের আকাশে পংখিরাজ উড়ানোর সময় না পায়,
গল্প বলা দাদুরা যদি কেবল দুরের গ্রামের একলা বুড়ো বুড়ি হয়ে পড়েন;
স্প্যাস ক্যাট ডরেমন তো উড়বেই শিশুর আকাশে আকাশে।
২. হিন্দী প্রিয়তাকে কেবল শিশুর দোষ না বলে, বাকিদের প্রভাব বলাই ভাল। ইউরোপের নন-ইংলিশ দেশে নাকি লোকেরা ইংরেজী বুঝেও বলতে চায় না। আর আমরা কথায় কথায় হিন্দী বাতলে আনন্দ পাই। উপরের “তুম ইতনা দের কিউ কিয়া টিচার ? ম্যায় তো বোর হো গায়া ।’’ লাইনটা বোঝার ক্ষমতা থাকাই আমার হিন্দী দর্শনের উত্তর দক্ষিণ সাফ করে দেয়। আমি কম জানি না এবং কম বলি না। যত দোষ ওই পিচ্চিটার ঘাড়ে।
৩. আমাদের দেশে চাইল্ড এডুকেশন পলিসি বলতে কিছুর অস্তিত্ব আছে কি না জানি না। কিন্তু.. আনন্দের সাথে শিক্ষা কেবল বইয়ের পাতায় থামবি মেরে ঘুমিয়ে থাকে। বিনোদনের শেষ সুযোগ করে দেয় এই ডোরেমন।
– দুঃখে বললাম, রাগে নয়।
দুর্দান্ত কমেন্ট
খুব সুন্দর করে বলেছেন। একমত।
আমাদের দেশে সিসিমপুরের মতো অসাধারণ কার্টুন থাকতে কেন সবাই ডোরেমনের মতো একটা কার্টুন বাচ্চাদের দেখতে দেয় আমি বুঝি না! অদ্ভুত ধরণের রাগ লাগে……
কারণ যেখানে মারা নিজেরাই হিন্দি সিরিয়াল দ্যাখে সেখানে বাচ্চারা কি করবে?
আর বাবা-মারা তো এইসব বিষয়ে সচেতন না যে তাদের বাচ্চারা যা দেখছে তা ওদের জন্য উপযুক্ত কি না।
পরিস্থিতি আসলেই অনেক ভয়াবহ।
উপরের লেখাগুলোতে কয়েকটি হিন্দি বাক্য আছে যেগুলো আমি ঠিকমত বুঝিনি। হিন্দি ভাষার প্রতি কোনোদিনই আমার মমতা ছিলো না। ফলে আমি যথেষ্ট খ্যাত বলেই প্রতিষ্ঠিত। আর হয়তো সে কারণেই হিন্দি প্রসঙ্গে আমি যথেষ্ট রেসিষ্ট। :haturi:
বাংলা ভাষাকে পদদলিত করে যে পরিবার হিন্দি-উর্দু-ইংরেজিকে প্রশ্রয় দেয়, তাদের চেয়ে ছোটোলোক কেউ হতে পারে না। উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি বা ফরাসী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হয়। কিন্তু হিন্দি ভাষা কোন কাজে লাগে তা আজও বুঝতে পারলাম না।
ডোরেমন কার্টুনে শুধু ভাষাই নয়, এর শিক্ষা নিয়েও শঙ্কা আছে। শুনেছি শিশুরা নাকি এটা দেখে মিথ্যা কথা বলাও শিখছে। ধিক্
হ্যাঁ ডোরেমন দেখে বাচ্চারা শুধু মিথ্যা কথা বলতে না আরও অনেক কিছু শিখেছে যেমন কেমন করে পড়াশুনা ফাঁকি দিতে হবে, কেমন করে মেয়ে পটাতে হবে, পরীক্ষায় কম নাম্বার পেলে কেমন করে মায়ের কাছ থেকে খাতা লুকাতে হবে। এইসবই বাচ্চারা ডোরেমনের মাধ্যমে শিখছে।
আমার ছেলেবেলায় আমাদের বাসায় ডিশ এন্টেনা বস্তুটা একটা অতি দুষ্প্রাপ্য বস্তু ছিল । কারণ আমার বাবা প্রচন্ড পরিমাণে স্যাটেলাইট চ্যানেল নেয়ার বিপক্ষে ছিলেন, মূলত তার প্রধান আশঙ্কা ছিল দুটো, পড়াশোনায় ক্ষতির আর অতিরিক্ত আজেবাজে জিনিস দেখার নেশা করে ইঁচড়ে পাকা হয়ে যাওয়া । 😛 আমি যখন ক্লাস এইটে তখন আমার এক আত্মীয়ের হাত দিয়ে আমাদের বাসায় অনেক শর্তসাপেক্ষে ডিশ আসে । আমি মনে করি প্রথম সমস্যা হচ্ছে হিন্দি চ্যানেলগুলোর অবাধ সহজলভ্য ব্যাপ্তি । আর দ্বিতীয় কারণ বাবা মায়ের উদাসীনতা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে হিন্দিপ্রীতি । বাবা মায়ের সচেতনতাই প্রথম ও শেষ সমাধান এই সমস্যার অন্তত যতদিন আমরা ডোরেমনকে বাংলা করে ডাব না করতে পারছি । আর মিথ্যে বলার ব্যাপারে এই ব্লগেরই আরেক পোস্টে আমি দেখেছি ডোরেমন আসলে নাবিতাকে বরং নাকি তিরস্কার করে মিথ্যা বলার জন্য । যেহেতু আমি নিজে এই কার্টুন দেখিনি কখনো তাই এই ব্যাপারটা নিয়ে এই দুমুখী উক্তি আপাতত কনফিউজিং রয়ে গেল । তবে আমি মনে করি, মিথ্যে কথা বা সৎ একজন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য ছোটখাট কিছু কার্টুন থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ শিশুর পরিবেশ, তার আশেপাশের মানুষদের আচরণ । কোন মানুষই জন্ম থেকে খারাপ কাজ শিখে আসে না। পরিবেশ আর লালনপালনের ধরনই নির্ধারণ করে একটি শিশু লাইফে কেমন মানুষ হতে যাচ্ছে । এই প্রসঙ্গে আমি এই ভিডিও দুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি ।
http://www.youtube.com/watch?v=eI4qRtdFWoM&feature=relmfu
ডোরেমন আসলেই নোবিতা মিথ্যা বলতে তিরস্কার করে কিন্তু সেই তিরস্কার কখনই কার্যকর হয় না। কারণ নোবিতা সহজেই তার মিথ্যা দিয়ে ডোরেমনকে ভুলিয়ে দিতে পারে। আর পরিবেশ বেশি গুরুত্বপূর্ণ পালন করে ঠিক আছে কিন্তু এইসব ছোটখাট কিছু কার্টুন ভূমিকা কিন্তু কম না কারণ একটি শিশু যখন তার দিনের অর্ধেক সময় ধরে একটা কার্টুন দ্যাখে তার অনেক প্রভাব শিশুটির উপর পরে। সে তার নিজের অজান্তেই ওইসব করা বা বলা শুরু করে যা সে দেখেছে। এর উদাহরণ তো আমার ছাত্রী।
তাহলে তো যে চ্যানেলে দেখায় সেটা স্যাটেলাইটের লোকদের বলে ব্লক করে দেয়া ছাড়া উপায় নাই! অবস্থা যেরকম আমি হলে অন্তত তাই করতাম । আর বিকল্প কার্টুনের ব্যবস্থা করাটাও কঠিন কিছু না। আর হ্যাঁ শিশুর চারপাশের পরিবেশের মধ্যে এইসব কার্টুন পড়েই যায় বৈকি। 🙁
আপু- এরকম চলতে থাকলে পরের প্রজন্ম বাংলা বলতেই ভুলে যাবে! :/
আমার পিচ্চি বোনটাও এরকম ছিল- অনেক কষ্টে ডোরেমন থেকে মন ফিরিয়েছি 😳
বিবিসি রেডিওতেও এই বিষয়ে একটা প্রতিবেদন বের হয়েছিলো। শেয়ার করলাম।
[youtube=http://www.youtube.com/watch?v=BDDYMuRgi0U]
কোন বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া এর আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ ব্যাপার না শারমিন।
আমাদের দেশে ডোরেমনের মত প্রতিদিন নতুন করে পর্ব আসে এমন কয়টা কার্টুন আছে?
সিসিমপুর আর মীনা, এই দুই ছাড়া আমাদের কার্টুন সম্ভার আর কোথায়? তাও সেই পুরনো পর্ব বাচ্চারা বারবার কেন দেখবে?
অস্থির হওয়া সহজ কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা বের করা অনেক কঠিন।
এই ব্যাপারে বেশ কিছু মানুষের সাথে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু সামনে এত প্রতিবন্ধকতা যে সামনে এগুতে গেলেই তাদের হোঁচট খেতে হচ্ছে।
খুবই দুঃখজনক পরিস্থিতি।
হ্যাঁ সেটাই পরিস্থিতি খুবই দুঃখজনক ।
বিকল্প ব্যবস্থা বের করা বের করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সবাই এগিয়ে আসলেই এইসব প্রতিবন্ধকতা দূর করা যাবে।
অন্যভাষা ও সংস্কৃতির আগ্রাসন রোধে বাধা বা নিষেধাজ্ঞা কতটা কাজের হবে, সে ব্যাপারে আমি ঠিক নিশ্চিত নই। যেটা দরকার সেটা হলো নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি, চর্চা ও প্রসার……আর তাহলেই ‘ডোরেমন’ আসুক কিংবা ‘কাহানি ঘর ঘর কি’ আসুক, কিছুই আমাদেরকে এতটুকু শংকিত করতে পারবে না।
আপু,পড়ে খুব ভাল লেগেছে।