বালিকা আমি তোমার বর্তমানকেই ভালবাসি।
তুমি আরও একটু লম্বা হলে কিংবা আরও একটু ফর্সা হলে,
তোমার হাসিটা আরও সুন্দর হলে,
কিংবা তোমার দেহের বাকগুলো আরও গভীর হলে-
তুমি নিশ্চিত থাকও তোমাকে এর চেয়ে বেশি ভালো আমি বাসতাম না ।
বালিকা আমি তোমায় ভালবাসি।
লাল চুড়ি পড়া তোমার চমৎকার হাত দুটি ,
তোমার অবাধ্য এলোমেলো চুল,
বার বার যা কপালের উপরে উড়ে উড়ে আসে ,
তোমার নাক তোমার ঠোট ,
তোমার সমস্ত অসঙ্গায়িত দেহ ,
তোমার সমস্ত নান্দনিক ঐশ্বর্য ,
যেমন আছে বর্তমানে আমি তারই বন্দনা করি।
বালিকা আমি তোমার সামগ্রিক বর্তমানকে ভালবাসি।
তাই তোমাকে একফোঁটাও বদলাতে হবে না
আমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্যে-
শুধু আমাকে প্রাণভরে ভালবাসলেই চলবে ,
অনেকগুণ বেশি ভালবেসে তোমায় ভরিয়ে দেব।
বালিকা তুমি এত সুন্দর কেন?
তুমি যখন কথা বলও- তখন তোমাকে সুন্দর লাগে,
আবার যখন চুপ করে থাকো-
উদাস আনমনে থাকিয়ে থাকও এদিক সেদিকে ,
যখন হাঁটো এলোমেলো উদ্দেশ্যহীন,
যখন কোথাও বসো,
সব সময় তুমি অদ্ভুত মায়াবী-
সব সময় তুমি অদ্ভুত সুন্দর।
বালিকা তোমার চোখ দুটো এত জীবন্ত!
এত বিষণ্ণ, এত টলটলে গভীর মায়া সেখানে –
আমি শুধু হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
আমি তোমার নরম হাতদুটোতে হাত রেখে
ও চোখে অনন্তকাল চেয়ে থাকতে চাই
বালিকা সামান্য সময়ের জন্যে কি বসবে আমার পাশে?
তোমার চিবুক তুলে একবার কি
তাকাবে আমার দিকে?
তাকাও না একবার- আরেকবার ধন্য হই,
সার্থক হই আরেকবারের মত।
——————————
মিজানুর রহমান পলাশ
নজরুল ইসলাম হল, বুয়েট।
৮/৬/২০১২
পলাশ ভাই, বালিকারা নিষ্ঠুর :crying: তারা বুঝতে চায় না, তারা খালি লিপিষটিক ঘষে আর আমাদের মনের দরজায় কষঘাত করে এই বলে, “এই ! সুন্দর লাগতেছেনা? বলো না! বলো না!”, হায় আমি কেমন করে বুঝাই,
ঐ ঈষৎ লালাভ গোলাপী ঠোঁটে
শক্ত-কৃত্রিম রঙ না ঘষে,
একবার যদি আমার ঠোঁটটাকে
দিতে ছুতে,
আমি হয়তো জানাতে পারতাম,
তোমাকে মেঘের দেশের রানীর মতো লাগছে।
চুমু খেয়ে না হয়,
নিজেকে মিথ্যে রাজাই ভাবতাম!
কবিতায় প্লাস ! :love:
আরে আমি তো মাত্র একবার চোখ তুলে তাকাতে বলেছিলাম। তাতেই মনে হচ্ছে ধন্য ধয়ে যাবো।
আর তুমি দেখি একশগুন এগিয়ে গেছ- একদম ঠোট দিয়ে ছুতে চাও।
বালিকাতো ভয় পেয়ে পালিয়ে যাবে-
বালিকার মন, বড়ই ভীতু- বিশ্বাসে তার বড়ই ভয়।
🙁 🙁
বালিকা তো খুশি হয়ে যাবে আপনার কবিতা পড়ে! 😛
তাই নাকি- এহেম এহেম।
বালিকা খুশি না হোক- বালিকাদের কেউ একজন খুশি হলেই চলবে।
বালিকা কই, এইটা দেখে কোন কমেন্ট করিবে না বালিকা??? 😛
বালিকা আছে আমার কল্পনায়- সেখানে বালিকার সাথে আমার প্রতিনিয়ত বাদানুবাদ হয়। কল্পবালিকা কল্পনায় কমেন্ট করবে- আপনারা বাস্তব জগতের মানুষেরা তা কি করে দেখবেন?
উপরের তিন লাইনের খাটি বাংলা হলো- বালিকা কমেন্ট করবে না, কারন বালিকা বলে কিছু নাই। বালিকারা সবাই পরিপূর্ণ নারী হয়ে গিয়েছে- তাই বালিকার বাস শুধু কবির অন্তরে।
:dhisya: :penguindance:
গুলি করেন আর বোমা মারেন- আমি আমার প্রিয় জিনিস আপনার কথায় ছাড়ছি না।
সমালোচক সাহেবরাও মাঝে মাঝে বুঝতে পারে না- জনমত বুঝতে ব্যর্থ সমালোচকের ভবিষ্যত অন্ধকার।
ছবিটা ভালো লাগে নাই আরও সুন্দর ছবি দেওয়া যেত। 😛
কিন্তু কবিতাটা ভালো লেগেছে। 😀
এর চেয়ে ভাল ফটো আর পেলাম না- আফসোস সুন্দরের পূজারি আমি, আমার অর্ঘ্য গ্রহণে সৌন্দর্য্যের বড়ই অনাগ্রহ। ধরা দেয় তো দেয় না- দেখা দেয় তো দেয় না- তেমনি সার্চ দিলে আসে তো আসে না।
কবিতা ভাল লেগেছে তাহলেই হবে- ছবিটা মেকি, কবিতাটির অনুভূতি আসল- কবিতাটিই আসল।
উপসংহার
ভালবাসা = বালিকা বন্দনা
বন্দনা করলেই আসে না, ঝাড়ি দিলে বালিকারা তো আসার কথা চিন্তাই করবে না।
ভালবাসা= বালিকাকে অনুভব করে বালিকার প্রতি আকুতি জানিয়ে বালিকার জন্যে বন্দনা।
“করলাম না ভালবাসা , আই লাভ ইউ ফেরত দে ”
এতো ভালোবাসা বুঝিনা মাগার কবিতা ভালো লাগছে :brokenheart: :penguindance:
বালিকাকে দেখতে ইচ্ছে করছে আমার। কোথায় সে?
এত ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া দায়! 😛
পলাশ ভাই,
অনেক আগের হয়তোবা এই পোস্ট কিন্তু এতো সুন্দর কবিতা পড়ার পরে যদি আপনাকে একটা ধন্যবাদ না দিই,নিজের কাছে নিজেকে ছোট অকৃতজ্ঞ মনে হবে।
আরো লেখা চাই… :love: :love: :love: :love: