বিপন্ন মানবতা
ওরা পাড়ি দিয়েছে রক্তের খেলা,
নির্ঘুম রাত, মরণের ডাক,
ছুটতে গিয়ে একবার ফিরে তাকায় নি,
এ যে জীবন বাঁচানোর খেলা।
যে খেলায় কোন নিয়ম নেই,
মৃত্যুর ঠিকানাই শেষ শুধু।
ওরা পাড়ি দিয়েছে রক্তের খেলা,
শুনেছে,
নাফ নদীর ওপারে জীবনের আহবান,
তবু, পাথর হৃদয় আজ
মানবতা বোঝে না,
সীমান্ত আজ অনেক বড়,
কান্নায় নোনা জল হোক
নাফ নদীর আজ,
যে জলে মিশে আছে
রক্ত, ঘৃণা, হতাশা।
সীমানার কাঁটাতারে আটকে
বিপন্ন মানবতা।
পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, আমাদের মাঝে বোধ গুলো এখন মনেহয় আর কাজ করে না, সব কেমন যেন অন্যরকম হয়ে গেছে, কিছুদিন পর আমরা নতুন কোন ইস্যু নিয়ে মেতে উঠব, ভুলে যাব এদের…… আমাদের কাছে জীবনটা আনন্দ উপভোগে কাটিয়ে দেবার জন্য-ই যেন, কেমন একপাতার জীবন যাপন করা…… অদ্ভুত…… যতক্ষণ নিজে খেয়ে-পরে বিলাসে-আয়েশে চলতে পারি ততক্ষণ আর কোন ভাবনা নেই……
ভালো লাগছে না কোন কিছু………
কেমন যেন হয়ে গেছি আমরা। আবার, অনেককে দেখছি রোহিঙ্গাদের ঢুকতে না দেয়ার পেছনে যুক্তি দেখাচ্ছে।
খুব কষ্ট হচ্ছে।
রোহিঙ্গারাও তো মানুষ। দুই দেশের সরকারের সমঝোতার ভিত্তিতে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত ওদের আশ্রয় দেয়া যেতে পারতো বলে বিশ্বাস করি।
পোস্টে ছবি যোগ করার দরকার আছে? ব্যানার বিশেষ করে? অন্য ছবি দেয়া যেত হয়তবা।
আমি ব্যানার পোস্ট এ একটা কমেন্ট করেছিলাম
বাংলাদেশ সরকারের অবশ্যই উচিৎ কূটনৈতিক ভাবে সমাধান করা, সাথে সাথে মানবিক দিকটিও মাথায় রাখা উচিৎ।
আর ধর্মের ভিত্তিতে না দেখে মানুষ হিসেবেই দেখা উচিৎ। (অবশ্য ধর্মের ভাই ডাকাকে নেতিবাচক ভাবেও দেখা উচিৎ না!)
এম্প্যাথিক সিভিলাইজেশন নামের একটা বইতে আইডিয়া ছিলো এই রকম আমরা সবাই নিজেদের আইডেন্টিটি ধরে রেখেই এম্প্যাথিক/ সমানুভূতিক হতে পারি।
অন্যের কষ্ট বুঝতে পারি। সাহায্যের হাত বাড়াতে পারি।
এটা নিয়ে আমরা এত হাউকাউ কেন করছি বুঝছি না। আরেকটু সহনশীল কি হতে পারি না?
ব্যানারের ছবি সরিয়ে দিলাম।
এটা নিয়ে ‘হাউকাউ’ করছি, কারণ, একটা জনগোষ্ঠী জীবনের বাঁচানোর তাগিদে তাড়া খেয়ে এখন অন্য দেশে ঢুকতে না পেরে পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে। মানবিক দিক থেকে এটা অনেক কষ্ট দিচ্ছে।
আমি জানি, এর সাথে অনেক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ইস্যু জড়িত এবং সরকারের সিদ্ধান্ত অনেক কিছুর উপর ভিত্তি করে। তবে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে ব্যাপারটার অমানবিকতা আমাকে খুব পোড়াচ্ছে।
“তবে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে ব্যাপারটার অমানবিকতা আমাকে খুব পোড়াচ্ছে।” সহমত
ধন্যবাদ 🙂
কী বলবো আর! 🙁
ভাইয়া, কবিতা কম শব্দের হয় দেখে হোম পেইজে পুরোটাই চলে আসে, ছবিসহ। তিন-চার লাইনের পর ‘insert more’ নামের যেই অপশনটা আছে সেটা দিয়ে দিতে পারেন।
ধন্যবাদ। আমি সমস্যাটা দেখেও ঠিক করতে পারছিলাম না।
@স্বপ্ন বিলাস আরে আমি আমরা হাউকাউ বলতে ফেইসবুক/ ব্লগ এ যারা হাউকাউ করছে তাদের কথা বুঝাচ্ছি!
হাউকাউ বলতে অযথা তর্ক করাকেই বুঝাচ্ছি। একেকজনের একেক রকম মতামত থাকতেই পারে। গণতন্ত্র বলে কথা।
ফেইসবুক এইটা নিয়ে স্ট্যাটাসে ভেসে গেলো!
ভালো বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রচুর সুযোগ আছে।
ও, আমার বুঝতে ভুল হয়েছে। আজকাল গণতন্ত্র আর শুদ্ধ সমালোচনা কে অনেকে এক করতে পারে না দেখেই সহনশীলতার এতো অভাব দেখা যাচ্ছে।
ভয় লাগছে, এটা লিখে আবার ‘ছাগু’ ট্যাগ পাই নাকি! :thinking:
আপনার ছন্দ অনুভব করছি, এমন কি এ বিষয় নিয়ে কাজ ও করছি। আমার কলিগ রা এসব এলাকায় গিয়ে নিউজও করছে।
বাস্তবতাঃ এটা বড়ই নির্মম। আমারতো ধারনা মায়ানমারে যা হচ্ছে, তা আমরা হয়তো ধারনাও করতে পারছি না। সমস্যা আরো একটি। বাংলাদেশের রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি এগুলো কোন কিছুই বাংলাদেশ কোনটাই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রনে নেই। পররাষ্ট্র পলিশিরতো কথাই নেই। সুরতরাং সরকারের যদি কিছু করার ইচ্ছাও থাকতো, তাদের হাত বাধা কিনা এটা ব্যাপার।
সরকারকে রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি এসব নিয়ে অনেক কিছুই ভাবতে হয়, যা আমাদের ভাবতে হয় না। এই লেখা সম্পূর্ণ সেই সব প্রেক্ষিত বাদ দিয়ে শুধুই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা।
বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ কূটনৈতিক ভাবে সমাধান করা, মানবিক দিকটিও মাথায় রাখা উচিৎ।
কূটনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ সব সময়ই দুর্বল।
মানবিকতার বড় অভাব, empathy শব্দটার অর্থ বুঝতেই অক্ষম বেশিরভাগ মানুষ।
কূটনৈতিক ব্যাপারটি হিসাবে না ধরলে কবিতাটা বড্ড পোড়ালো আমায়!
কূটনৈতিক ব্যাপারেই তো আটকে যাচ্ছে সব!
সেটাই। 🙁
🙁