কাজ আর সত্য, ঘৃণা আর প্রেম (অনুবাদ)

[অ্যাড্রিয়ান ট্যান ((http://en.wikipedia.org/wiki/Adrian_Tan)) হচ্ছেন সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত এক ঔপন্যাসিক। আশির দশকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তার লেখা দুটো উপন্যাস ঝড় তুলে দিয়েছিল সিঙ্গাপুরে। ২০০৮এ নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির ((http://www.ntu.edu.sg/Pages/default.aspx)) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এই গুণী লেখকের দেয়া বক্তব্যের লিখিত অনুবাদ এটি।]

আমাকে আজকের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য শুরুতে ‘উই কিম উই স্কুল অফ কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশনের’ ফ্যাকাল্টি আর স্টাফদেরকে ধন্যবাদ জানাতেই হচ্ছে। কোনরকম বিতর্ক, নিন্দা অথবা প্রতিবাদের ভয় ছাড়াই এখানে দশ মিনিট কথা বলতে পারাটা আমার জন্য আসলেই একটা অসাধারণ সম্মান আর সুযোগের ব্যাপার। এ কথা আমি বলছি একজন সিঙ্গাপুরবাসী হিসেবে তো বটেই, তার চাইতেও বেশি একজন স্বামী হিসেবে।

আমার স্ত্রী মানুষ হিসেবে চমৎকার, আর কেবল একটা ছাড়া বাকি সব দিক দিয়ে নিখুঁত। সে একটা ম্যাগাজিনের সম্পাদক। জীবিকার জন্য সে মানুষের ভুল শুধরে দেয়। আর সোয়া দশক ধরে নিজের দক্ষতার ছোরায় সে শান দিয়েছে বাসায় আমার আর তার কথাবার্তার সময় অনুশীলন করে।

আর এদিকে আমি হচ্ছি একজন উকিল। বুঝতেই পারছেন, আমার দিন চলে মানুষ যে কতটা ভুল সেটা তাদেরকে ধরিয়ে দিয়ে। অন্যদের সাথে অমত পোষণ করাই আমার রোজগারের উপায়।

তারপরও আমাদের সংসারের পরিবেশ কিন্তু চমৎকার! কারণ একটাই, এক সম্পাদক আর এক উকিলের মধ্যে তর্ক শুরু হলে সবসময় স্ত্রীই জেতে।

তাই শুরুতেই আমি ছেলেদেরকে যে কথাটা বলতে চাই: হৃদয়টা যখন একবার জিতে নিয়েছো, তখন আর তার সাথে প্রতিটা তর্কে জেতার দরকার নেই।

বিয়েকে ধরে নেওয়া হয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মত একটা ঘটনা হিসেবে। তোমাদের কেউ কেউ হয়তো এর মধ্যেই বিয়ে করে ফেলেছো। কেউ হয়তো কখনোই বিয়ে করবে না। কেউ হয়তো করবে, ভবিষ্যতে। কারো আবার বিয়ে করতে এতই ভাল লাগবে যে একবার নয়, বারবার বিয়ে করবে। ওটাকেও খারাপ বলছি না।

বিয়ের দিনের পরই গুরুত্বের দিক থেকে যে দিনের কথা আসে, তা হচ্ছে আজ: তোমাদের গ্র্যাজুয়েশন। তোমাদের শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি। তোমাদের শেখার পালা শেষ।

“শিক্ষা হচ্ছে একটা জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া” আর এজন্য তোমাদেরকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে আর মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে হবে আর ডক্টরেট করতে হবে আর প্রফেসর হতে হবে আরও অনেক কিছু – এইসব মিথ্যা কথা হয়তো তোমরা শুনে এসেছো। এগুলো তোমাদেরকে কারা বলে জানো তো? শিক্ষকেরা। এর মধ্যে কি কোন দুরভিসন্ধি খুঁজে পাও না? যত যাই হোক, তারা নিজেরা শিক্ষা ব্যবসাটার সাথে জড়িত। তোমরা না থাকলে তারা যাবেন কোথায়? তাই তারা পুরনো ক্রেতা হিসেবে ধরে রাখতে চান তোমাদেরকে।

সুখবর হল, তারা ভুল বলেছেন।

তবে দুঃসংবাদটা হচ্ছে, তোমাদের আর কিছু শেখার দরকার নেই তার কারণ তোমাদের জীবনেরও আর কিছু বাকি নেই। জীবন শেষ হয়ে গেছে। কেউ কেউ হয়তো এটা শুনে কষ্ট পাবে, যেহেতু এখনো তোমাদের বয়স বিশ ছুঁইছুঁই কিংবা কেউ সবে বিশ পার করেছো হয়তো। লোকে হয়তো ৭০, ৮০, ৯০ বছর পর্যন্ত বাঁচার আশা শোনাবে তোমাদেরকে। যেটাকে বলে গড় আয়ু।

গড় আয়ু – কথাটা বেশ লাগে আমার। এটা বলতে আমরা বুঝি একদল লোক গড়পড়তা কতদিন বাঁচবে সেটা। কিন্তু আজ আমি এটা নয়, এর চাইতেও বড় একটা ধারণার কথা বলতে এসেছি তোমাদেরকে – সেটা হচ্ছে, জীবন থেকে তুমি কী চাও।

শুনে হয়তো খুশি হবে যে গড় আয়ুর হিসেবে সিঙ্গাপুর এখন পৃথিবীতে তৃতীয়। আমাদের আগে আছে অ্যান্ডোরা আর জাপান, আর সাথে আছে স্যান ম্যারিনো। এই দেশগুলোর লোক কেন বেশিদিন বাঁচে তার কারণ কিন্তু খুবই স্পষ্ট! চারটা দেশেরই একটা জায়গায় মিল আছে – তা হল আমাদের ফুটবল টীমগুলো একেবারে বাজে। বিশ্বকাপে নিজের দলকে খেলতে দেখে যে আমাদের দেশের কারো রক্তচাপ বেড়ে যাবে (আর তার থেকে মৃত্যু) এমন আশঙ্কা খুবই কম, শান্ত একটা আরামের ঘুমে ডুবে যেতে পারে বরং!

সিঙ্গাপুরিয়ানদের গড় আয়ু ৮১.৮ বছর – ছেলেদের ৭৯.২১ বছর, আর মেয়েদের তার চাইতে ৫ বছর বেশি। সম্ভবত বাথরুমে অতিরিক্ত যে সময়টা ওরা কাটায় সেটা পুষিয়ে দিতে।

তো, তোমরা এখন বিশের কোঠায় দাঁড়িয়ে ভাবছো যে সামনে আরও ৪০টা বছর পড়ে আছে। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য আর এগিয়ে যাওয়ার জন্য আরও চারটা দশক।

একটা দুঃসংবাদ দেই। খবরের কাগজ পড়ে দেখো। কত লোক ৫০, ৪০, ৩০ বছর বয়সে মারা পড়ছে। কিংবা হয়তো গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর পরই। নিজেদের গড় আয়ু পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে নি জানলে নিশ্চয়ই খুব হতাশ হত তারা!

আজ একথাই বলতে এসেছি আমি। আয়ুর কথা ভুলে যাও।

কারন যত যাই হোক, এই হিসেবটা করা হয়েছে গড়পড়তার ভিত্তিতে। আর সেই গড়পড়তা মানুষ হওয়ার ইচ্ছে তোমরা কখনোই পুষতে পারো না।

বরং নিজের ইচ্ছেগুলোকে আরেকবার ঝালিয়ে নাও। তোমরা হয়তো ভেবে নিয়েছো, সামনের দিনগুলোতে কাজ করবে, প্রেমে পড়বে, বিয়ে করবে, সংসার করবে। গ্র্যাজুয়েট হিসেবে হয়তো শুনেছো, তোমাদেরকে মোটা বেতনের খুব দায়িত্বপূর্ণ কোন চাকরির খোঁজে নামতে হবে।

তোমাদের কাছ থেকে এগুলোর আশা করে মানুষ। তাদের এই আশা যদি মেটাতে যাও, তাহলে পুরো চেষ্টাটাই জলে যাবে।

এসবের আশা করতে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে নিজের গণ্ডিটাকে ছোট করে ফেলা। আর দশজন মানুষের তৈরি করা সীমার মধ্যে নিজের জীবনটাকে বেঁধে ফেলা। ছাপোষা মানুষদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু তোমরা কখনোই তাদের মত হতে চেয়ো না। আর যদি তাই চাও, তাহলে সিঙ্গাপুরের সেরা মেধাবীদের কাছে পড়তে আসারও কোন প্রয়োজন ছিল না।

তোমাদের বরং জীবন নামের বিশৃঙ্খলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। জীবন থেকে কোন কিছুই পাওয়ার আশা করা যায় না। কারণ সে কখনোই কারো প্রতি সুবিচার করে না। শেষে গিয়ে যে সব পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব মিলবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই। জীবন নিজের মত চলে, এর ওপর তোমার কোন হাত নেই। দিনকে দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা, প্রতিটা মূহুর্তে ভাল আর খারাপ জিনিস ঘটতে থাকবে তোমার জীবনে। ভাগ্যের মোকাবেলায় অস্ত্র হিসেবে পড়াশোনা কিংবা ডিগ্রি খুবই দুর্বল।

কিচ্ছুর আশা ক’রো না। কতদিন বাঁচবে তার হিসেব-নিকেশ একেবারে ভুলে যাও। কেবল বেঁচে থাকো, জীবন চালিয়ে নাও। বলেছি তো, তোমাদের জীবন আজকেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। তোমরা এর চাইতে লম্বা আর কখনো হবে না, তোমাদের শরীর আর কখনো এত সুস্থ থাকবে না আর জীবনে হয়তো তোমাদেরকে দেখতে কখনো এর চাইতে ভালও লাগবে না। সব ভাল-র চুড়োয় আছো তোমরা এখন, এরপর থেকে সবই নিচে নামতে শুরু করবে। অথবা উল্টোটাও হতে পারে। কেউ বলতে পারে না আসলে।

তাহলে এর অর্থ কী দাঁড়াচ্ছে? জীবন যে শেষ – এটা তোমাদের জন্য ভাল।

কারণ, যেহেতু জীবনটা শেষ – তোমরা এখন মুক্ত। মুক্ত-স্বাধীন হলে কত চমৎকার সব কাজ করা যায় সেগুলো বলছি শোনো।

প্রথম কথা হচ্ছে: কাজ ক’রো না।

তুমি করতে বাধ্য এমন যে কোন জিনিসই হচ্ছে কাজ। স্বভাবটাই এমন এর – করতে ভাল লাগে না।

কাজ তোমাকে মেরে ফেলবে। জাপানি ভাষায় একটা শব্দ আছে ‘কারোশি’ – অর্থ হচ্ছে অতিরিক্ত কাজের চাপে মৃত্যু। কাজ যে কীভাবে মেরে ফেলতে পারে তার সবচাইতে নাটকীয় উদাহরণ হতে পারে এটা। আসলে কাজ কিন্তু এর চাইতেও অনেক সূক্ষভাবে তোমার মৃত্যু ডেকে আনবে! কাজ করতে থাকলে দিনের পর দিন, অল্প অল্প করে তোমার আত্মাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে সে, যতদিন না সবটা নিঃশেষ হয়ে যায়। একটা পাথর গুঁড়িয়ে যেভাবে ধুলোবালু হয়ে যায়, ঠিক সেভাবে।

খুব প্রচলিত একটা ভুল ধারণা আছে এরকম – কাজ করাটা দরকারি। একেবারে বাজে চাকরি করে, এমন লোকের সাথে দেখা হলে দেখবে, তারা বলছে যে তারা নাকি রোজগার করছে। মোটেই না! তারা বরং মারা যাচ্ছে; দ্রুত নিভে যাওয়া জীবনটাকে অর্থহীন, আর তার চাইতেও ভয়াবহ যেটা, মারাত্মক কিছু কাজের মধ্য দিয়ে শেষ করে ফেলছে।

লোকে তোমাদেরকে বলবে, কাজ নাকি মহান করে, অন্যরকম একটা সম্মান দেয়। কাজ নাকি মুক্তি দেয়! কিছু নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে ঢোকার মুখে লেখা থাকতো এটা – কাজ মুক্তি দেয় ((http://en.wikipedia.org/wiki/Arbeit_macht_frei)) । যতসব ছাইপাঁশ।

জীবনের শেষ অল্প কিছুটা সময় শান্তিতে কাটাবে – এই আশায় বাকি পুরোটা জীবন এমন কিছু করে কাটিয়ে দিয়ো না যেটা তুমি অপছন্দ করো। যেই শেষের জন্য এতটা করছো, তা কখনো না-ও আসতে পারে।

চাকরি পাওয়ার লোভটাকে জয় করো। তার চাইতে বরং এমন কিছু খুঁজে বের করো যেটা করতে তোমাদের ভাল লাগবে – তারপর সেটা করো। একবার, বারবার করো। এক সময় দেখবে সেটায় ভাল হয়ে উঠছো; দুটো কারণে এমনটা হবে – জিনিসটা তোমার পছন্দের, আর সেটা তুমি বারবার করছো। শীঘ্রই দেখবে কেমন মূল্যবান হয়ে উঠছে ব্যাপারটা।

আমি ভাষাপ্রিয় মানুষ, আবার তর্ক করতেও ভাল লাগে। এজন্যই আমি উকিল হয়েছি। কাজটা আমার এত পছন্দের, বিনা পারিশ্রমিকেও করতে পারি চাইলে। আর যদি বা এই পেশায় না-ও আসতাম, আমি অন্তত এমন কিছু করতাম যেটায় গল্প বানাতে হয় – খেলাধুলা নিয়ে সাংবাদিকতা করতাম হয়তো।

তাহলে তোমরা কী করবে? নিজেরাই খুঁজে বের করো – তোমাদের জায়গা কোথায় সেটা। এজন্য খুব যে চিন্তাভাবনা করতে হবে এমনটা মনে হয় না আমার; কারণ জীবনের এই পর্যায়ে এসে নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে ধারণাটা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা নিজের কাছে। বরং আমি তো মনে করি – এখন নিজের আগ্রহের পেছনে ছোটা থেকে নিজেকে ঠেকিয়ে রাখাটাই কঠিন হয়ে পড়ার কথা। কোন্‌ ব্যাপারগুলো তোমাদেরকে অন্যরকমভাবে টানে – সেটা এখন জানা থাকার কথা ভাল করেই। যেমন ধরো, নিজের বিদ্যা জাহির করা কিংবা নিজেকে অন্যদের চাইতে বড় মনে করার ইচ্ছে থাকলে শিক্ষক হতে পারো।

এমন কিছু খুঁজে বের করো যেটা তোমাকে একই সাথে শক্তি দেবে, তোমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে, সব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। প্রতিটা দিনে নতুন এক উদ্দীপনা নিয়ে যা তোমাকে জাগাবে। এমনটা যদি না হয়, তার মানে তুমি নিশ্চয় কাজ করছো।

তোমাদের বেশিরভাগই সম্ভবত যোগাযোগ কিংবা এই জাতীয় কাজের দিকে যাবে। তাদেরকে আরেকটা কথা বলে রাখছি: সত্য থেকে সাবধান! আমি বলছি না যে তোমরা সত্য বলবে, কিংবা লিখবে – কারণ এমন কিছু সময় আসবে যখন এগুলো করাটা কেবল যে ঝুঁকিপূর্ণ হবে তা-ই নয়, বরং অসম্ভবও হয়ে পড়বে। কাউকে আঘাত দিতে সত্যের জুড়ি নেই, আর দেখবে – তুমি কারো যতটা কাছে যাবে সত্য গোপন করার বেলায় তোমাকে ততটাই যত্নবান হতে হবে। ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়া কিংবা স্পষ্ট করে সত্য না বলাটাও কখনো কখনো কঠিন কাজ, আর সেই সাথে ভালও। আগপাছ না ভেবে সত্যি কথাটা বলে দিতে একটা ছোট বাচ্চাও পারে, কিন্তু চুপ থাকাটা কখনো যে কতটা জরুরি সেটা বোঝার জন্য যথেষ্ট পরিণত হতে হয়।

সত্য থেকে সাবধান থাকতে হলে প্রথমেই সেটা জানতে হবে। তার জন্য দরকার নিজের কাছে সৎ থাকা; আয়নার মানুষটাকে কখনো ধোঁকা দিতে যেও না।

তোমরা যে জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছো, কাজ করাটা যে একেবারেই উচিত হবে না আর সত্য বলার ব্যাপারে সাবধান থাকবে – এগুলো জানানো হয়ে গেল। এবার যেটা বলবো – অন্যদের অপছন্দের পাত্র হও।

শুনতে কেমন লাগছে জানি না, আসলে কিন্তু ব্যাপারটা অত সহজ নয়। এমন একজনের কথাও কি মনে পড়ে যে তোমাদেরকে পছন্দ করে না? অথচ মানুষের জন্য আজ পর্যন্ত যাঁরা কাজ করে গেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই দারুণরকম ঘৃণার শিকার হয়েছেন – কেবল একজন মানুষের নয়, বেশিরভাগ সময়েই প্রচুর মানুষের কাছ থেকে। সেই ঘৃণার ব্যাপ্তি এতই বিশাল ছিল যে তারা একঘরে হয়েছেন, অত্যাচারিত হয়েছেন, খুন হয়েছেন, এমনকি কোন এক কুখ্যাত মূহুর্তে ক্রুশবিদ্ধও হয়েছেন।

অন্যদের অপছন্দের পাত্র হওয়ার জন্য যে খুব খারাপ হতে হবে এমন নয়। বরং বেশিরভাগ সময় নিজের কাছে যা ঠিক, সে অনুযায়ী কাজ করতে গেলেই দেখা যায় মানুষ ঘৃণা করতে শুরু করেছে। ভালবাসা পাওয়াটাই সহজ আসলে, নিজের দৃঢ় কোন বিশ্বাস না থাকলে আর মানিয়ে চলতে জানলেই হয়; যাতে একসময় সাধারণের একজন হয়ে যাও। কিন্তু তোমাদের অবস্থান কখনোই সেরকম হওয়া উচিত না। এত যে খারাপ মানুষ পৃথিবীতে, তাদের কাউকেই যদি চটিয়ে না দাও তার মানে দাঁড়াবে তুমি নিজেই আসলে তাদের একজন। তুমি ভুল কিছু করছো কিনা সেটা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তোমার জনপ্রিয়তা।

মুদ্রার উল্টোপিঠে কী আছে? প্রেমে পড়া।

আমি কিন্তু বলছি না কারো ভালবাসার পাত্র হতে। ওটার জন্য অনেক বেশি আপোস করতে হয়। নিজের চেহারা, ব্যক্তিত্ব আর মূল্যবোধ পালটে ফেলতে পারলেই যে কারোর ভালবাসা পাওয়া যায়।

বরং বলছি, আরেকজন মানুষকে ভালবাসতে শেখো। তোমাদেরকে আমার একথা বলাটা একটু বেমানান লাগছে, তাই না? তোমরা হয়তো ভেবে নিয়েছো প্রেমে পড়ার ব্যাপারটা চট করেই হয়ে যাবে, তোমাদের অজান্তেই। পুরোপুরি ভুল ভাবছো। আজকের পৃথিবী হচ্ছে প্রেমবিরোধী। অন্যের ভুলত্রুটি বের করার জন্য আমরা সবসময় অণুবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াই। কাউকে ভাল না বাসাটাই অনেক সহজ এখন ভালবাসার চাইতে। একটা কারণ খুঁজে বের করো, ব্যস! তাহলেই কাউকে অপছন্দ করতে পারবে। ভালবাসতে হলে চাই মানুষটাকে পুরোপুরি গ্রহণ করে নেওয়া। এই কাজটা কঠিন, আর এটাই একমাত্র কাজ যেটা আমার করার মত মনে হয়।

কাউকে ভালবাসতে পারলে পাওয়ার মত অনেক কিছু আছে। ভালবাসলে প্রশংসা পাবে, অনেক কিছু শিখতে পারবে; ভালবাসায় আকর্ষণ থাকবে, আর থাকবে এমন কিছু যেটাকে আমরা সুখ নাম দিয়েছি, এর চাইতে ভাল কোন শব্দ পাই নি তাই। কাউকে ভালবাসো, দেখবে নিজেকে সবদিক থেকে উন্নত করার একটা অবিরাম উৎসাহ পেয়ে যাচ্ছো। জানবে, বস্তুগত ব্যাপারগুলো সব কতটা ঠুনকো। মানুষ হয়ে জন্মেছো বলে কৃতজ্ঞ হবে। আত্মার খোরাক যোগাবে এই ভালবাসা।

কাউকে ভালবাসাটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি সত্যিকারের মানুষটাকে খুঁজে বের করাটাও। নাচতে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ করে প্রথম দর্শনে যা হয় সেটাকে প্রেম বলে না – লোকে যত যা-ই বোঝাক তোমাদেরকে। ভালবাসা ধীরে ধীরে বাড়ে – ডালপালা ছড়িয়ে, ফুল ফোটানোর আগে মনের মধ্যে শেকড় গেড়ে বসে। বোকা গাছের চারা না এটা, বরং যে কোন ঝড়কে মাথা পেতে নেওয়ার মত শক্তিশালী গাছ। কাউকে ভালবাসলে দেখবে, বুদ্ধির কাছে চেহারা কিছুই নয়, আর শরীরের চাইতে হৃদয়টা অনেক অনেক বড়।

এ-ও জানবে তখন, ভালবাসা ফিরে না পেলে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। ভাল তো আর তুমি ফেরত পাওয়ার জন্য বাসছো না। বাসছো নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, নিজেকে উৎসাহ যোগানোতেই ভালবাসার আসল শক্তি।

সবশেষে যেটা জানবে – কাউকে ভালবাসতে গেলে মধ্যমপন্থা বলে কিছু নেই সেখানে। কেউ হয় একেবারেই ভালবাসে না, নয়তো শরীরের প্রতিটা বিন্দু দিয়ে ভালবাসে, প্রাণপণে আর তীব্রভাবে ভালবাসে, কোন সঙ্কোচ কিংবা অনুশোচনা ছাড়াই ভালবাসে। তোমাকে আচ্ছন্ন করে নতুন করে জন্ম দেবে ভালবাসা, আগের চেয়েও ভাল একজন তোমার জন্ম দেবে।

অ্যাড্রিয়ান ট্যান

কাজ ক’রো না। সত্য গোপন করো। মানুষের অপছন্দের পাত্র হও। কাউকে ভালবাসো।

মূল বক্তৃতার লিঙ্ক ((http://halfhalf.posterous.com/dont-work-be-hated-love-someone))

এ ধরনের আরও কিছু অনুবাদ:

স্পার্ক্‌স – চেতন ভাগত

ব্যর্থতা যখন কাম্য, কল্পনা যখন প্রয়োজনীয় – জে কে রোলিং

সামিরা সম্পর্কে

পীচ-গলা তরলে আটকে পা, দুঃস্বপ্ন অন্ধ দুই চোখে/ অসতর্ক হৃদয় পোষ মানে মিথ্যে বলার আফসোসে.../// প্রকাশিত লেখার কপিরাইট সংশ্লিষ্ট লেখক সংরক্ষণ করেন এবং লেখকের অনুমতি ছাড়া লেখা আংশিক বা পূর্ণভাবে কোন মিডিয়ায় পুন:প্রকাশ করা যাবে না।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে অনুপ্রেরণা, অনুবাদ, ইতিবাচক, সাহিত্য-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

63 Responses to কাজ আর সত্য, ঘৃণা আর প্রেম (অনুবাদ)

  1. আয়নিত অন্ধকার বলেছেনঃ

    প্রথম আলোর “স্বপ্ন নিয়ে”তে দেয়া যায়! প্রতি সপ্তাহে এরকম একটা আর্টিকেল থাকে। অনেক ভালো লেগেছে!:D

  2. মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

    বুজতে পারলাম ব্যাটা বেশ রোমান্টিক— নিরস ভাষন জিনিসটাও তার গলা দিয়ে আমার কবিতার চেয়ে বেশি রোমান্স নিয়ে বের হয়েছে—-:P 😛

    অনুবাদ তো সুন্দর হয়েছে- নতুন করে বলার কিছু নেই- সব সময়ই তাই হয়।
    :love: :love:

  3. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    এত্তো সুন্দর কথাগুলো! অনুবাদটা তো এক কথায় অসাধারণ হয়েছে!
    :clappinghands:

  4. সাবরির অনিক বলেছেনঃ

    অ্যাড্রিয়ান ট্যান পোলাডা তো দেখি বড়ই রোমান্টিক
    :love: :love: :love:

  5. অক্ষর বলেছেনঃ

    আমি নাই হয়ে গেলাম ! একদম নাই হয়ে গেলাম ! কি পড়লাম এইটা ? উনি কি মানুষ ! অসাধারণ ।

    আর সামিরা আপি, :babymonkey: :babymonkey: :babymonkey: :love:

  6. চুপকথা বলেছেনঃ

    ইন্সপায়ার্ড 😀

  7. শাফায়েত বলেছেনঃ

    স্টিভ জবস সেই বিখ্যাত ভাষণে এধরণের কিছু কথা বলেছিলেন যেই কথাগুলো আমি শুনতে শুনতে মুখস্থ করে ফেলেছি। এ লেখাটি সেটার থেকেও ভালো লাগলো,অনেক গুলো লাইন বান্ধায় রাখার মতো। সরবে এটা আমার প্রথম মন্তব্য,ধন্যবাদ অনুবাদককে,অনুবাদ দারুণ হয়েছে।

  8. একুয়া রেজিয়া বলেছেনঃ

    সামিরা, আপনার অনুবাদের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি আমি 🙂 :beshikhushi:

  9. নূরবাহার ঈয়াশা বলেছেনঃ

    বেশ ভালো লাগলো পড়ে সামিরা 🙂

  10. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    ভালোবাসার পার্টটা বেশি ভাল পাইলাম… :huzur: আর পুরো অনুবাদ তো গোগ্রাসে গিললাম। জয়তু সামিরাপি ! :love:

  11. শারমিন বলেছেনঃ

    অসাধারণ
    :love: :love:

  12. কিনাদি বলেছেনঃ

    অন্নেক সুন্দর 😀

  13. তারেক বলেছেনঃ

    কথা গুলো যেমন সুন্দর, ঠিক অনুবাদটাও তেমন 🙂

  14. আসিফ বলেছেনঃ

    কথাগুলো ভাল লেগেছে । অনুবাদটা ১০০ মিটার স্প্রিন্টের মত ছিল(অধিকাংশ অনুবাদই ১০০ মিটার হার্ডলস হয়) ।
    ধন্যবাদ প্রাপ্য।

    • সামিরা বলেছেনঃ

      আমার কাছে যদিও মনমত লাগে নি অনুবাদটা, তারপরেও অন্তত বোধগম্য হয়েছে জেনে খুবই ভাল লাগলো। 🙂 যেমন কিছুদিন আগে ‘চা বানানোর নিয়ম-কানুন’ নামে একটা অনুবাদ করেছিলাম, যেখানে অনেকে অর্থটা বুঝতেই পারেন নি অনুবাদের দুর্বলতার কারণে।

  15. খেয়ালী কিশোর বলেছেনঃ

    চমৎকার বক্তৃতার ঝরঝরে অনুবাদ…ভাল্লাগলো পড়ে। অনুবাদকে ধন্যবাদ 😀

  16. এম.এইচ.কে বলেছেনঃ

    বেটা কয় কি? পুরাই তো টাস্কিত :thinking: কাম কাইজ না কইরা আরাম কেদারায় বইসা শুধু সুখানুভুতি আর ভালোবাসার অথৈ সাগরে ডুব সাতার 😛

    • সামিরা বলেছেনঃ

      হাহা। পরে আরেকজনও এই মন্তব্য করেছিল। তবে শুনতে এরকম মনে হলেও তিনি বোধহয় এভাবে বোঝাতে চান নি, ধরেই নিয়েছেন হয়তো যে সবারই কোন না কোন প্রিয় কাজ আছে, আরামকেদারায় শুয়ে-বসে থাকার চাইতে! 😀

  17. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    দারুণ লেগেছে। দুর্দান্ত

  18. ইতস্তত বিপ্লবী বলেছেনঃ

    প্রিয় সব কথার সম্ভার…
    বাস্তবায়ন করতে পারলে কত চমৎকারই না হত! কিন্তু বুড়োদের বোঝানো যে কষ্ট!!

    বরাবরের মতই…অনুবাদ অসাধারণ !! :huzur:

  19. শুভানন রাযিক বলেছেনঃ

    কি বলে এই লোক, মাথা খারাপ হওয়ার অবস্থা 😯
    সবাইকে যদি তার কথাগুলো বুঝানো যেতো :thinking:

    অনুবাদক সামিরা আপুর প্রশংসা আর করবোনা, কয়দিন পরপর কি সব অনুবাদ করে 😛 :huzur: :huzur: :huzur:

  20. নোঙ্গর ছেঁড়া বলেছেনঃ

    খুবই চমতকার অনুবাদ, একদম ঝরঝরে। বিষয়বস্তুও ভালো লাগলো।

    কষ্ট করে অনুবাদ করার জন্য ধন্যবাদ 🙂

  21. সুখী মানুষ বলেছেনঃ

    ”সবশেষে যেটা জানবে – কাউকে ভালবাসতে গেলে মধ্যমপন্থা বলে কিছু নেই সেখানে। কেউ হয় একেবারেই ভালবাসে না, নয়তো শরীরের প্রতিটা বিন্দু দিয়ে ভালবাসে, প্রাণপণে আর তীব্রভাবে ভালবাসে, কোন সঙ্কোচ কিংবা অনুশোচনা ছাড়াই ভালবাসে। তোমাকে আচ্ছন্ন করে নতুন করে জন্ম দেবে ভালবাসা, আগের চেয়েও ভাল একজন তোমার জন্ম দেব ”

    কমপ্যারেটিভ ভালবাসা । ভাল জিনিস । পড়ার মাঝ পথে এসে ভুলে গিয়েছিলাম এইটি একটি অনুবাদ । একজনের অনুবাদকের সার্থকতা এইখানেই । অসাধারন ।

    • সামিরা বলেছেনঃ

      ভাবছিলাম। যে, সবাই যতটা বলছে আসলেই যদি ততটা ভাল লেগে থাকে অনুবাদ, আমার কষ্ট সার্থক! 🙂 অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

  22. শামসীর বলেছেনঃ

    এমন কিছু খুঁজে বের করো যেটা তোমাকে একই সাথে শক্তি দেবে, তোমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে, সব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। প্রতিটা দিনে নতুন এক উদ্দীপনা নিয়ে যা তোমাকে জাগাবে। এমনটা যদি না হয়, তার মানে তুমি নিশ্চয় কাজ করছো।

  23. কানিজ আফরোজ তন্বী বলেছেনঃ

    তুমি ভুল কিছু করছো কিনা সেটা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তোমার জনপ্রিয়তা।- ভাগ্যিস আমি জনপ্রিয় না! :happy:
    খুব ভাল হয়েছে আপি 🙂

  24. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    তোকে আমার নতুন করে কী বলা উচিত বুঝতে পারছি না।
    তুই তো জানিস, তোর লেখনীকে আমি হিংসা করি।
    জানিস, তোর সবগুলো লেখা আমি দম আটকে পড়ে যাই।
    তুই জানিস, তোর প্রতিটা লেখা, হোক সেটা তোর নিজস্ব কিংবা কোন অনুবাদ, আমাকে কতটা আকর্ষণ করে।

    তবে একটা কথা তোর অজানা।
    তোর এই লেখাটা পড়ে আমার শুধু মনে হলো, নিজের কথাগুলো পড়ছি।
    আমার মনের ভেতর থেকে কোন একজন নিয়ত এই কথাগুলোই ক’দিন ধরে বলে যাচ্ছে আমায়।

    আর কেউ জানুক বা না-ই জানুক, তুই তো এখনকার এই আমাকে জানিস, ঠিক না রে পাখি?

    লেখা প্রিয়তে নিলাম।

    তোর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা। :beshikhushi:

    • সামিরা বলেছেনঃ

      কী বলবো আপু?

      সেইদিন তোমার সাথে কথা বলতে বলতে এই পোস্টের কথাই মনে হচ্ছিল বারে বারে। শেষ আর বলা হয় নাই।

      তোমার জন্যও প্রিয় আপুনি! :beshikhushi:

  25. Kiron বলেছেনঃ

    Osadharon. Ae lekhata Ame Sobar Sathe Shere korte Say……Onubad ta o onek valo laglo.. Thanks :nono: :nono: :nono: 😀 😀

  26. বাংলামায়ের ছেলে বলেছেনঃ

    অসাধারন হয়েছে, সামিরা। আপনার লেখা নির্বাচন এবং অনুবাদ দুটোই নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়……

    এমন আরো আরো লেখা চাই…আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

    • সামিরা বলেছেনঃ

      অনেক ধন্যবাদ।
      পাবেন আশা করি, চেষ্টা করবো নিয়মিত অনুবাদ করার।
      আপনারাও কোন ইংরেজি লেখা ভাল লাগলে সাজেস্ট করতে পারেন কিন্তু! 🙂

      • বাংলামায়ের ছেলে বলেছেনঃ

        অবশ্যই করবো…

        আমার কোনো পছন্দের লেখা আপনার হাতে অনুবাদ হলে সেটা তো অসম্ভব খুশির ব্যাপার বৈ কি…

  27. ইফতি বলেছেনঃ

    ”মানুষ হয়ে জন্মেছো বলে কৃতজ্ঞ হবে। আত্মার খোরাক যোগাবে এই ভালবাসা।”

    হু। মানুষ হয়ে জন্মেছি বলে কৃতজ্ঞ.. :happy:

    সরবে সবচাইতে প্রিয় লেখা এটাই।একসাথে এতগুলা ভাল কথা দুনিয়ার আর কোথাও পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। দেয়ালে বান্ধায় রাখার মত। সিল মেরে মনের বাক্সে ঢুকিয়ে রাখতে পারলে আরো ভাল হত । যখন মন চায় দেখে নিতে পারতাম 8)
    সমাবর্তন অনুষ্ঠান গুণী মানুষের দেয়া এমন ভাষন ভাল পাই। এমন অনুবাদ আরো দিয়েন আপু। 😀

  28. জেড এইচ সৈকত বলেছেনঃ

    চমৎকার লেখা। অনুবাদটাও অসাধারণ হয়েছে।

  29. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    আজ আরেকবার পড়োলাম এটা। মনের ভেতরে খুব ঝড় বয়ে যাচ্ছিলো। পড়ার পরে নতুন করে শক্তি পেলাম। আরো একবার ধন্যবাদ সামিরা এমন একটা অসাধারণ বক্তৃতা অনুবাদ করার জন্যে। :beshikhushi:

  30. সৈকত বলেছেনঃ

    ১০ মিনিটে অনেক কিছু শিখলাম। ধন্যবাদ অ্যাড্রিয়ান ট্যান এবং অনুবাদক কে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।