ক্যারোলিনা পাহাড়ের চূড়ায় আশ্রমখানা। মাঝে মাঝে শীতের সময় এতো গভীর বরফ জমে যে নিচের গ্রাম থেকে,সমস্ত পৃথিবী থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পাহাড়ের চূড়া কুয়াশায় ঢেকে যায়,চত্বরের দিকে বরফ গড়িয়ে পড়তে থাকে,আর বাতাস এমন তীব্রভাবে বইতে থাকে যে আশ্রমের ছেলেরা যারা কুটিরের বাচ্চাদের জন্য দিনে দুইবার দুধ নিয়ে যায় শীতে জমে যাওয়া আঙ্গুলের কষ্ট নিয়ে দরজায় এসে তারা পৌঁছে।
“অথবা যারা অসুস্থ তাদের জন্য যখন রান্নাঘর থেকে ট্রে বয়ে আনি,” জেরি বলল। “আমাদের মুখ ঠাণ্ডায় মলিন হয়ে থাকত কেননা আমরা হাত উপরেও তুলতে পারতাম না।আমার হাতমোজা আছে।” সে যোগ করল। “ কিছু ছেলেদের তাও নেই। ”
সে বলেছিল বসন্তের শেষের দিকটা তার পছন্দ। পাহাড়ের পাশ ঘেঁষে রঙের চাদর বিছিয়ে রডেনড্রন ফুটে থাকে,মে ফুলের মতো নরম বাতাস বয়ে চলে হেমলক বিষের মতো স্তব্ধ করে দিয়ে। এটাকে লরেল বলে ডাকত সে।
“যখন লরেল ফুটে উঠে এটা খুব সুন্দর দেখায়,”সে বলল। “তাদের মধ্যে কিছু হয় গোলাপি আর কিছু হয় সাদা।”
শরতের দিকে সেখানে আমি ছিলাম। বিরক্তিকর লেখা থেকে দূরে থাকতে আমি নিরবতা আর একাকীত্ব চাচ্ছিলাম। সাবট্রপিক্স এলাকার ম্যালেরিয়া থেকে দূরে থাকতে পাহাড়ের হাওয়ার প্রয়োজন ছিল। আমি বাড়িতেও ফেরত যেতে চাইতাম অক্টোবরের ম্যাপেল গাছে শিখার মতো উজ্জ্বলতা,ভুট্টার খোসা আর মিষ্টি কুমড়া,কালো কাঠ বাদাম গাছ আর পাহাড়ে উঠবার জন্য। সে সব কিছুই খুঁজে পেয়েছিলাম যেই কেবিনে আমি থাকতাম,যেটা আশ্রমখানার অধীনে ছিল,আধা মাইল দূরে খামারের পিছনে।
যখন আমি কেবিনটা নিলাম,একজন ছেলে কিংবা লোককে পাঠাতে বললাম কাঠ কাটতে ফায়ার প্লেসের জন্য। প্রথম কিছুদিন গরম ছিল,আমার যতটুকু কাঠের দরকার ছিল তা কেবিনেই পেয়ে গেলাম, তখন পর্যন্ত কেউ আসে নি এবং আমিও আমার অনুরোধের কথা ভুলে গেলাম।
একদিন শেষ বিকেলে টাইপ রাইটার থেকে চোখ তুলতেই চমকে উঠলাম। দেখি একটা ছেলে দরজায় দাঁড়িয়ে আছে আর আমার শিকারি কুকুর,একমাত্র সঙ্গী, তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে আমাকে কোনরকম জানান না দেয়া ছাড়াই। ছেলেটার বয়স সম্ভবত বার বছর হলেও সেই তুলনায় বাড়েনি। তার পরনে ছিল ঢোলা পায়জামা আর ছেঁড়া শার্ট আর ছিল খালি পায়ে।
“আজ আমি কিছু কাঠ কেটে দিতে পারব।” সে বলল।
আমি বললাম,“কিন্তু আমি আশ্রমের একটা ছেলে চাচ্ছিলাম।”
সে বলল,“আমি সেই ছেলে।”
“ তুমি? কিন্তু তুমি তো অনেক ছোট।”
“আকার টা বিষয় নয়,কাঠ কাটাটা । ” সে বলল। “অনেক বড় ছেলেরাও ভাল কাঠ কাটতে পারে না।আমি অনেক দিন যাবত আশ্রমে কাঠ কাটছি।”
আমি কল্পনা করে নিলাম আগুন জ্বালাবার জন্য দরকারি ডালপালাটুকু। আমি আমার কাজে ডুবে ছিলাম তাই কথাবার্তাটা চালিয়ে যেতে চাইলাম না। আমি কিছুটা হতবুদ্ধি ও হয়ে গিয়েছিলাম।
“তাহলে তো খুবই ভাল।ওখানে কুড়াল আছে।গিয়ে দেখ তুমি কতটুকু করতে পার।”
দরজা আটকে দিয়ে আমি আমার কাজে চলে আসলাম। প্রথমত ওর ব্রাশ টেনে নেয়ার শব্দ আমাকে ভয় পাইয়ে দিল। তারপর ও কাঠ কাটা শুরু করল। মৃদু আর স্থির শব্দ বইতে লাগলো,আর কিছুক্ষণের মাঝেই আমি তাকে ভুলে গেলাম,নির্ঝর বৃষ্টির শব্দ যেমন কোন বাধার সৃষ্টি করে না। মনে হয় প্রায় দেড় ঘণ্টা পর যখন আমি উঠে আড়মোড়া ভাঙলাম,এবং পাদানিতে তার পায়ের শব্দ পেলাম,তখন দূরের পাহাড়ে সূর্য ডুবছে,আর ভ্যালিগুলো এস্টার ফুলের রঙের চেয়ে ও গাড় লাল রঙ ধারণ করেছে।
“এখন আমাকে রাতের খাবারের জন্য যেতে হবে।আবার আগামীকাল সন্ধ্যায় আমি আসতে পারব।” সে বলল।
আমি বললাম,“আজকে যা করেছো তার পাওনা আমি এখন দিয়ে দেব,” এমনভাবে কথা বললাম যেন কোন বড় ছেলের সাথে কথা বলছি। “ প্রতি ঘণ্টায় দশ সেন্ট? ”
“ যেটাই হোক। ”
আমরা একসাথে কেবিনের পিছনে গেলাম। অবাক হবার মতো প্রচুর কাঠ কাটা হয়েছে। সেখানে ছিল রডেনড্রনের মোটা শেকড় আর চেরির গুড়ি,পাইন আর ওক গাছের কুঁড়া কেবিনের একপাশে পড়ে ছিল।
“কিন্তু তুমি তো একজন পুরুষ মানুষের চেয়ে ও বেশি কাজ করেছো!” আমি বললাম।“এটা তো চমৎকার স্তূপ হয়েছে।”
সত্যিকার অর্থে এই প্রথমবার আমি তারদিকে তাকালাম। তার চুলগুলো ছিল গমের খোসার রঙ্গে,আর চোখ,খুব গভীর,পাহাড়ের আকাশে যখন মেঘ জমে ভারি হয়ে থাকে বৃষ্টি নামবে বলে-ধুসর রঙে,সাথে থাকে অদ্ভুত নীলের ছোঁয়া ঠিক তেমন। যখনকার কথা আমি বলছি,তখন ডুবন্ত সূর্যের আলো তার মুখের উপর পড়েছিল পরিব্যাপ্ত গৌরব নিয়ে যেমন করে সেই আলো পাহাড়কে ছুঁয়ে যায়।আমি তাকে এক কোয়ার্টার দিলাম।
“তুমি কাল আসতে পারো,” আমি বললাম।“এবং অনেক ধন্যবাদ।” সে একবার আমার দিকে,একবার কয়েনের দিকে তাকাল,কিছু বলতে চাইলো কিন্তু কিছু বলতে না পেরে ঘুরে গেলো।
“কাল আমি কিছু লাকড়ি ভাঙবো।” সে ঘাড় ফিরিয়ে বলল। “আপনার লাকড়ি আর মাঝারী ধরনের কাঠ আর গুড়ি এবং বাড়তি কিছু কাজ লাগবে।”
দিনের বেলা কাঠ কাটার শব্দে আমি তন্দ্রা হতের মতো হয়ে যেতাম। এমনকি কাপড়ের বুননের সময় আমাকে বিছানায় চলে যেতে হত। হিম সকালে যখন আমি বিছানা ছেড়ে উঠতাম,তখন সে আসতো এবং কেবিনের দেয়ালে শুকনো লাকড়ির স্তুপ রেখে যেত। বিকেলে স্কুল শেষে সে আবার আসতো এবং আশ্রমে ফিরে যাবার আগ পর্যন্ত কাজ করত।
তার নাম ছিল জেরি;বারো বছর বয়স তার,এবং চার বছর বয়স থেকে সে আশ্রমে আছে। তার চার বছর বয়সের ছবি আমি মনে আঁকতে থাকি,সেই ধূসর নীল চোখ আর একই স্বাধীনতা?না,যেই শব্দটা আমার মনে আসে তা হল “প্রজ্ঞা”। এই শব্দটা আমার কাছে অসাধারণ কিছু একটা এবং সেই গুণ যেটা আমি অসামান্য অর্থে ব্যবহার করি। আমার বাবা তেমন একজন ছিলেন-কিন্তু আমার পরিচিত আর কোন মানুষই পর্বতের বাষ্পের মতো এতো নির্মলতা,এতো শুদ্ধতা,এতো সরলতা নিয়ে ধরা দেয়নি।কিন্তু জেরির মধ্যে তা ছিল। এটা সাহসের ক্ষেত্র কিন্তু বীরত্বের চেয়ে বেশি কিছু। একে সততাই বলে কিন্তু সততার চেয়ে বড় কিছু।
একদিন কুড়ালের হাতলটা ভেঙ্গে যায়। জেরি বলল যে আশ্রমের কাঠের দোকানে এটা ঠিক করা যাবে। আমি কাজটার জন্য তাকে টাকা দিলাম কিন্তু সে তা ফিরিয়ে দিল।
“এটার খরচ আমি দেব।”সে বলল। “আমি এটা ভেঙ্গেছি। খেয়াল না করে কুড়ালটা ধরার জন্য।”
“ প্রতিবার ঠিকভাবে কোপ মারতে কেউই পারবে না।” আমি বললাম। “দোষটা কাঠের ওই হাতলের।যার কাছ থেকে এটা কিনেছি তাকেই এটা দেখাবো।”
শুধুমাত্র তখনই সে টাকাটা নিল। অসাবধানতার জন্য সে নিজেকেই দায়ী করত। সে ছিল স্বাধীনচেতা এবং তার কাজের প্রতি যত্নশীল,যদি কোন কিছু ভুল হত তাহলে কোন ধরনের ছল চাতুরী ছাড়াই তা মেনে নিত।
এবং সে আমার জন্য অপ্রয়োজনীয় কাজ করত,যত্নশীল ছিল যা শুধুমাত্র মহৎ হৃদয়ের মানুষদের মাঝেই দেখতে পাওয়া যায়। সে সব কেউ তাদের শিখিয়ে দেয়নি,কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই যে কোন মুহূর্তে তারা তা করে ফেলে। ফায়ার প্লেসের কাছে সে একটা ছোট জায়গা খুঁজে পেয়েছিল যেটা আমার নজরেই আসেনি। সে নিজে থেকেই ওখানে কিছু লাকড়ি আর মাঝারী ধরনের কাঠ রাখত যাতে হঠাৎ কোন ভেজা আবহাওয়ায় আমি সবসময় শুকনো কিছু জ্বালাবার জন্য পাই।
কেবিনে আসার পথটাতে একটা পাথর আলগা হয়ে গিয়েছিল। সে একটা গর্ত খুঁড়ে সেটাকে বসিয়ে দিয়েছিল যদিও সে ওই পথ দিয়ে আসতো না,নদীর ধার ঘুরে ছোট পথে আসতো। আমি দেখতাম, তার এসব খেয়াল রাখবার জন্য প্রতিদানস্বরূপ যখন আমি কোন চকলেট কিংবা আপেল দিতাম,সে ভাষা হারিয়ে ফেলত।‘ধন্যবাদ’,এই শব্দটাই হয়ত তার মনের ভাব ছিল যা সে মুখে কখনো ব্যবহার করেনি তার স্বভাবজাত আচরণের জন্য।সে শুধু উপহারের দিকে তাকিয়ে থাকতো,আর কিছুক্ষণের জন্য যখন আমার দিকে তাকাত তখন তার গভীর দুটো চোখ দিয়ে কৃতজ্ঞতা ঝরে পড়ত আর মমতা,তার গ্রানাইটের মতো চরিত্রের উপর নরম পরশ বুলাত।
সে যে কোন অজুহাতেই এখানে চলে আসত আর আমার পাশে বসে থাকত। তার খিদে না পাওয়া পর্যন্ত তাকে চলে যেতে বলতাম না।একবার বলেছিলাম যে যখন আমার লেখা শেষ হবে,রাতের খাবারের আগ পর্যন্ত আমরা ঘুরবো। তারপর থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত আমি টাইপ রাইটার ছেড়ে না উঠতাম ততক্ষণ সে অপেক্ষায় থাকত। একদিন কাজ শেষ করতে অন্ধকার হয়ে গেল। আমি তার কথা ভুলে কেবিনের বাইরে চলে গেলাম। দেখলাম,গোধূলির সময় সে আশ্রমের দিকে যাচ্ছে। যখন পাদানিতে বসলাম,সে যেখানে বসে ছিল সে জায়গাটা তখনও গরম ছিল।
আমার পোষা প্যাট এর সাথেও তার সখ্যতা হয়ে গিয়েছিল। তাদের দুজনের মাঝে দারুণ যোগাযোগ ছিল। সম্ভবত তাদের মধ্যে একই ধরনের উৎসাহ,অভিন্ন প্রজ্ঞা ছিল। এটা ব্যাখ্যা করা কঠিন কিন্তু এর অস্তিত্ব ছিল।ছুটির দিনে যখন সেখান থেকে চলে আসতাম,তখন জেরির অধিনে কুকুরটাকে রেখে যেতাম। আমি কুকুরের শিষ আর কেবিনের চাবি দিয়ে দিতাম আর প্রয়োজনীয় খাবার রেখে আসতাম।সে দিনে দুই বা তিনবার কুকুরটাকে দেখতে আসত এবং খাওয়াত আর পরিচর্যা করত। আমাকে রবিবার রাতেই ফিরতে হত এবং জেরি শেষবারের মতো রবিবার বিকেলে কুকুরটাকে নিয়ে বের হত এবং ফিরে এসে বলে যাওয়া লুকনো জায়গায় চাবিটা রেখে যেত।
একদিন ফিরতে দেরি হয়ে গেলো এবং রাতে কুয়াশা বেশি ঘন হয়ে যাওয়ায় আমি আর গাড়ি চালিয়ে আসতে সাহস করলাম না। পরদিন সকালে কুয়াশার চাদর উঠলো এবং সোমবার দুপুরে আমি কেবিনে এসে পোঁছলাম। সেই সকালেও কুকুরটাকে খাইয়ে রাখা হয়েছিল। বিকেলের শুরুতেই উদ্বিগ্ন হয়ে জেরি আসলো।
“সুপারিন্টেনডেন্ট বলেছিল এই কুয়াশায় কেউ গাড়ি চালাতে পারবে না।”সে বলল। “রাতে ঘুমাবার আগে আমি একবার এসেছিলাম আর তখনও আপনি আসেননি। তাই আজ সকালে প্যাটকে আমার সকালের খাবার দিয়েছিলাম। আমি তার কিছু হতে দেইনি।”
“আমি সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। আমি এটা নিয়ে ভাবিনি।”
“যখন আমি কুয়াশার কথা জানলাম,ভাবলাম আপনিও তা জানবেন।”
আশ্রমে তার কিছু কাজ ছিল আর তখনই সে চলে যেতে চাইলো। আমি তার খরচের জন্য এক ডলার দিলাম,সে সেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো এবং চলে গেল। কিন্তু সে রাতেই অন্ধকারে সে আসলো এবং দরজায় কড়া নাড়ল।
(চলবে)
বেশ প্রিয় একটা গল্প ছিল। এটা কি তোমার প্রথম অনুবাদ?
ভালো হচ্ছে।
সামিরার অনুবাদ দেখছো নিশ্চয়? নিয়মিত করতে থাকলে অনেক ভালো হবে।
বানান অনেক ভুল আছে। (আস্তে আস্তে ঠিক হবে ব্যাপার না!)
আশ্রম, …
আর বাক্যের শেষে দাঁড়ি দিয়ে তারপর স্পেস দিতে হয়। এভাবে
এভাবের আগের স্পেসটা খেয়াল করো।
জী ভাইয়া,একেবারে প্রথম।গল্পটা আমারও খুব প্রিয় তাই এটা দিয়েই শুরু করলাম। 🙂
সামিরা আপিরগুলো দেখেই তো আগ্রহ হল।উনি তো বস।
ধন্যবাদ,বানানগুলো ঠিক করার চেষ্টা করছি।
অনুবাদ চলতে থাকুক।
তবে ভাষান্তর না হয়ে রূপান্তর হলে আরও বেশি ভালো হত। অসুবিধা নাই অনুবাদ করতে করতে ঠিক হয়ে যাবে। 🙂
অফটপিক:
বানান, বানান!
🙁
জী,একেবারে কাঁচা হাতের কাজ,তবে চেষ্টায় আছি।
দু’আ করবেন। 🙂
প্রথমবার হিসেবে তো অনুবাদ ভালোই হচ্ছে।
মন খারাপের কিছু নেই।
ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। 🙂
:happy:
এই গল্পটা এত্তো প্রিয় আমার, কী অদ্ভুত মায়াভরা…… আমাদের টেক্সট ছিলো না, কিন্তু বড়দের থেকে পড়েছিলাম……
size doesn’t matter chopping wood- এই কথাটা অসম্ভব প্রিয় আমার, একদম সত্য বলে মানি……
অনুবাদ সুন্দর হচ্ছে, অনুবাদ চলুক, বাকিটুকুর অপেক্ষায়…… আর আরো অনেক চমৎকার কিছুর দারূণ অনুবাদের প্রত্যাশায়……।
অনেক অনেক শুভকামনা……
ওই বয়সটার জন্য এই লেখাটা আসলেই অসাধারণ
আমি শুনেছি কলেজে স্যারের মুখে,তাও rodrix স্যারের মুখে……এত আবেগ আর অনুভুতি দিয়ে বলেছিলেন তাতেই কেঁদে ফেলছিলাম…… :crying:
পরে খুঁজে লাইব্রেরি থেকে পরেছিলাম। 🙁
অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়বার জন্য……যতটা আদর দিয়ে লেখা গল্পটা ততটা দিতে পারছি না…… 🙁
তবে চেষ্টা করছি…… লেখিকা,মাফ করে দিয়েন। 😳