অনার্স শেষ বর্ষ।
পেপারে এই রকম পরিচয় শুনলে মনে হতো কত বড়, এখন মনে হচ্ছে ধুর কিছুই না!
ছোটবেলায় আমরা যে স্কেলে সব কিছু দেখি বড় হতে হতে সে অনুপাতে বড় কিছু কেন যেন আমাদের চোখে ধরা পড়ে না।
ভার্সিটিতে গিয়ে আমি কিছু সমস্যায় পড়ি।
কী খাওয়া যায়?
কোথায় ঘুমানো যায়?
কোথায় বিশ্রাম নেওয়া যায়?
অফ-টাইম কীভাবে পার করা যায়?
অফ-টাইম পার করার জন্য গেলাম লাইব্রেরীতে।
ভার্সিটিতে নতুন ভর্তি হওয়া স্টুডেন্টরা লাইব্রেরীতে গিয়ে পারলে র্যাকের সব বই নামায় ফেলে।
নিউক্লিয়ার ফিজিক্স থেকে শুরু করে জাভা কোন কিছু বাদ নাই।
তাদের জুতা গুলো ঝকঝকে।
কয়েকদল তুমুল আত্মবিশ্বাসী।
কয়েকদল ভয়ে ভয়ে পা ফেলে।
বাইরে ভয়াবহ গরম, আর লাইব্রেরীতে আরামের ঠান্ডা। তার মধ্যেও কয়েকটা চেয়ারের উপর ফ্যান চলছে। এরকম একটা চেয়ার বেছে নিলাম, চেয়ারে বসলেই ইচ্ছা করে দুলতে।
সামনে বিশাল বিশাল সব জ্ঞানের বই। মনে হল এমন পরিবেশে এই সব বই পড়ার কোন মানে হয় না।
আহমদ ছফা রচনাবলী পেলাম। কোনদিন এই লোকের বই পড়ি নাই।
তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানি না। পড়া শুরু করলাম। আলী কেনান এর ঘটনা।
ভালো লাগলো।
*****
শেষ বর্ষের স্বাদ যে কবে পাব!
কাছাকাছি একটা চিন্তা আমার মাথাতেও আসে। আগে পত্রপত্রিকায় নিজের এখনকার বয়সের মানুষের কথা পড়লে মনে হত, আরে কত বড় মানুষ! আর এখন?
লাইব্রেরির দিকে আমি তেমন একটা মাড়াই নাই। একবার ধুলিধূসরিত গল্পের বই বাসায় এনে পড়া শুরু করছিলাম, সেই অভ্যাসও শেষমেশ টেকে নাই।
আমি ৭ দিন ধরে আহমদ ছফার ৮টা উপন্যাসের সমগ্র পড়ে শেষ করলাম এই একটু আগে! অনেক চিন্তা ঘুরতেছে মাথায়।
বই পড়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করো সবার সাথে। 🙂
এইটা কী লিখলা?
শুরু হবার আগেই শেষ!!! :crying:
এইটা কী লিখলা?
শুরু হবার আগেই শেষ!!! :crying:
আরো চাই আরো
“সামনে বিশাল বিশাল সব জ্ঞানের বই। মনে হল এমন পরিবেশে এই সব বই পড়ার কোন মানে হয় না।”
আমার মত অবস্থা:)
বি:দ্র:আমি ৭ দিন ধরে আহমদ ছফার ৮টা উপন্যাসের সমগ্র পড়ে শেষ করলাম
@সামিরা
বইয়ের নামগুলো একটু বলবেন।দেখি আমার পড়া আছে কি না।
লেখা পড়ে তো মন ভরলো না। :crying:
আর, ইয়াদ টাইপের লেখা খুব মিস করি……
পুরো ভার্সিটি লাইফ লাইব্রেরি ব্যবহার করেছি এসি-র ঠাণ্ডা বাতাসে ঘুমানোর জায়গা হিসেবে…… 8)
😛
আমি লক্ষ্মী বালক। লাইব্রেরীতে গিয়ে আয়েশ করে বসি এবং পড়াশোনা করি!!!! :angel_not: :angel_not: :angel_not:
আমাদের লাইব্রেরীতে ঘুমাতে দেয় না! ঘুমালে টেবিলে এসে ঠক ঠক করে!
কষ্ট
আহারে 😛
আমি তোর লেখা খুব মিস করি।
এইরকম উকি মেরেই চলে গেলি! 🙁
আবার আসিব ফিরে……..
😀