রামাদান গ্রাফ! (কোন দিন কেমন মুসল্লি পাওয়া যায় মসজিদে?)

বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে ফেইসবুক এবং ব্লগ বাসিরা কয়েক ইস্যুতে অনেক বেশি জানেন। ধর্ম, ক্রিকেট, হুমায়ূন আহমেদ তাদের মধ্যে অন্যতম। আমি সব কটাতেই চুপ থাকি। নিজের সীমাহীন অজ্ঞতা + অযোগ্যতা একটা বড় কারণ। তবুও ছোট্ট একটা নীরস রম্য পোস্ট লিখলাম ভুল করে ধর্ম বিষয়ে!

রমজান এলেই প্রতিবার প্রচুর লোক মসজিদে আসা শুরু করে এবং শপথ নেয় যে আর জীবন মসজিদ ছাড়বে না! এবং প্রতিবার একই কাহিনী ঘটে! মসজিদে মুসল্লির পরিমাণ সেই রকম ভ্যারি করে। কখনো বাড়ে কখনো কমে আবার ঈদের পর আবার একই হয়ে যায়!
এর মধ্যে প্রথম রোজার সময় ফজরের নামাজে প্রায় জুমার কাছাকাছি লোক চলে আসে! তারপর দিন যত যায় কমতে থাকে আমাদের মুসল্লি! এর পর শবে কদর এর সময়ে সেই রকম মুসল্লি! শর্টকাট উপায়ে বেহেশত লাভের আশায় আর কি! এই শর্ট কাটের কারণেই হয়ত মুসল্লির পরিমাণ বাড়লেও সমাজে শান্তির পরিমাণ বাড়ে না!

আর শুধু মসজিদে না অন্যান্য দিকেও আমাদের নানান সমিস্যা দেখা যায়!

ইসলাম অনুযায়ী

প্রথম ১০ দিন  রহমতের

২য় ১০ দিন মাগফিরাতের।

৩য় দশদিন জাহান্নাম থেকে মুক্তির।

আর আমরা যেটা করি

প্রথম ১০ দিন ইফতার শপিং!

২য় ১০ দিন,  ঈদ শপিং

৩য় ১০ দিন, ঈদ শপিং এর সিক্যুয়েল!!

এই খানে আত্মশুদ্ধির স্থান নাই!

অনেকে আবার অন্যকে শুদ্ধ করার কাজে লেগে যান! ফেইসবুকে পুলিশি তল্লাশি চালান! কে কী শেয়ার করে বেড়ায়, কার রোজা কবুল হবে না হবে সেটা নিয়ে পাবলিক প্লেসে তর্ক বিতর্ক করেন! (আপনি বেশি জানলে ইনবক্সে বলে বিদায় হন। সবাই তো আপনার মতের সাথে এগ্রি নাও করতে পারে!) সবাইকে জোর করে জান্নাতে ঢুকানোর জন্য এত মরিয়া হয় ক্যান আমি বুঝি না! দেইখা মনে হয় বেহেস্তি ডেসটিনির এজেন্ট হইছে একেক জন!

আর হয় বিতর্ক। রোজা কোথায় কীভাবে শুরু হবে না হবে (সারা দুনিয়ায় একদিন দুই দিন নাকি ৩ দিন), তারাবীহ কত রাকআত, সূরা কত জোরে কত আস্তে পড়তে হবে না হবে! ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি! সব্বাই এক্সপার্ট! যদি আপনার বিতর্কে কোন কিছু না বদলায় তাহলে কইরেন না! যাদের বিতর্কে সিদ্ধান্ত বদলায় তারাই করুক!

আর টিপিকাল আস্তিকতা নাস্তিকতা তো চলছেই চলবেই! ২ দলের অবস্থাই তো আমনে আমাত্তে বেশি বুঝেন! এই বিতর্কের ফল ভালো হয় নাই/ না। তাই অংশ না নিয়ে অন্য কোন ভালো কাজ করেন!

আত্মশুদ্ধি এবং আত্মা শুদ্ধি খুব জরুরি বিষয়। সেটা নিয়ে বিতর্ক হোক। সেই প্রচেষ্টা চলুক।

বোহেমিয়ান সম্পর্কে

পেশায় প্রকৌশলী, নেশায় মুভিখোর আর বইপড়ুয়া। নিজেকে খুঁজে পাবার জন্য হাঁটতে থাকি। স্বপ্নের সাথে হাঁটা, স্বপ্নের জন্য হাঁটা। https://www.facebook.com/ibappy
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে হাবিজাবি-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

13 Responses to রামাদান গ্রাফ! (কোন দিন কেমন মুসল্লি পাওয়া যায় মসজিদে?)

  1. অক্ষর বলেছেনঃ

    আমি ভাই এইসব বিষয় কম বুঝি তাই অফ যাই ! আমি টুপটাপ :voypaisi:

  2. সামিরা বলেছেনঃ

    গ্রাফখানা ভাল পেলুম। 😀
    ছোট (আর তাড়াহুড়ায় লেখা?) পোস্ট, কিন্তু অনেকগুলি পয়েন্ট আসছে।

  3. Mahfuz বলেছেনঃ

    shotti kotha bola hoiyeche ei post ta te….

  4. তুসিন বলেছেনঃ

    গ্রাফখানা পছন্দ হইছে 🙂
    :love:

  5. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    গ্রাফটা ভালো লাগলো…

    কিন্তু, লেখাটা তেমন রম্য হয় নি…… 🙁

  6. নোঙ্গর ছেঁড়া বলেছেনঃ

    ছবিটা সেইরকম দারুণ কথা বলতেসে।

    মসজিদে এই ব্যাপক পার্থক্য পরিষ্কার টের পাওয়া যায় :happy:

  7. রাইয়্যান বলেছেনঃ

    হায়! আমিও তো একই পাপে পাপী! :crying:

  8. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    সবই বুঝলাম, পুরো মনের কথা তুলে আনা হল।
    কিন্তু ঘটনা হল, এত ছোট পোস্ট কেন? পরে মনে হল অসম্ভব ব্যস্ততার ভেতর লেখা।

    আরেকটু পড়তে চেয়েছিলাম বিষয়টা নিয়ে। 🙁

    • বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

      হ্যাঁ। আসলেই আমি একটা সাই ফাই লিখছিলাম। প্লটে আটকে গেলাম। এই দিকে গ্রাফটা তৈরি ছিল। নামিয়ে দেয়া উচিৎ মনে করি দিলাম!

      সরি ফর দ্যা পুওর কোয়ালিটি 🙁

      • ফিনিক্স বলেছেনঃ

        আরে এটা খারাপ হইছে এইটা তো বলি নাই! কিন্তু আরও একটু ধরে লিখলে আরও বেশি ভালো লাগত, এই আরকি। 🙂

        তোমার সাইফাই এর অপেক্ষায় রইলাম। 😀

  9. মাহি বলেছেনঃ

    প্রায় একইরকম একটা গ্রাফআমার এক স্যার আঁইকা দেখাইছিলেন।
    মনে পইড়া গেল … 😀

    আসলেই মজা পাইলাম … 🙂

  10. বিজন শাহরিয়ার বলেছেনঃ

    আপনার লেখাটা পড়ে আমার ক্লাস এইটের এক কাহিনী মনে পইড়া গেল। 😀 ভালো লাগছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।