আমি তোমায় কতটা ভালবাসি,
তা তুমি না জানলেও জানে আমার কিবোর্ড
আমার মোবাইল, আর তার কি প্যাড,
আর আমার ঘরের আসবাবপত্র
যাদের উপর দিয়ে সকল ঝড় যায়
তোমার উপর উঠা প্রচণ্ড রাগের ফসল
সেই ঝড় এরাই পোহায়
কতটা ভালবাসি জানে
তোমার বাড়ির সামনের সেই দেয়াল
তোমার দেখা পাবার জন্য যার উপর
আমি দীর্ঘক্ষণ হেলান দিয়ে থাকি
বেচারাকে আমার পক্ষ থেকে সরি বলে দিও
আরও জানে , সেই দূর্বা ঘাস গুলো
তোমার উপর সঞ্চিত ক্ষোভ
যাদের মাড়িয়ে আমি পশমিত করি
তাদেরকে সরি বলে দিও
আমার ভালবাসার কথা শুনতে চাইলে
এদের কারো কাছে জিজ্ঞাসা করো
এরাই জানে আমার ভালবাসার কথা
এরাই আমার নির্বাক সাক্ষী
“বেচারাকে আমার পক্ষ থেকে সরি বলে দিও” — কেন? স্যরি কেন?? :thinking: 😯
খোঁজ নিয়ে দেখুন, ‘বেচারা’ আসলে ভীষণ খুশি ভালবাসার সাক্ষী হতে পেরে!!! :love:
চার রেটিং দিলাম (মাইন্ড করলেন না তো?) :angel_not:
অফটপিকঃ আজ থেকে শতবর্ষ পরে কেউ যখন সরবের হিস্টোরি ঘেঁটে এই কবিতাটা পড়বে, তখন নিমেষেই আন্দাজ করতে পারবে এটা ২০১২ সালের আশেপাশে কোন সময়ে লেখা হয়েছিল! কারণ হল প্রথম প্যারাটা 😀 কিবোর্ড, মোবাইলের কীপ্যাড. . . এগুলোর রমরমা সময় তো এটাই, রবি ঠাকুর জীবনানন্দদের সময়ে প্রথম প্যারায় এগুলো নিশ্চয়ই থাকবে না! আর পরবর্তী যুগে চলে আসবে এমন ডিভাইস যার আর কিবোর্ড-কিপ্যাড দরকার নাই 😛 সেক্ষেত্রে আপনার প্রথম প্যারাটা শুধু আপনার ভালোবাসাই নয়, বরং ভালোবাসায় সময়কালকেও বন্দী করে রাখছে 😀 [আঁতেল্টুস বিশ্লেষণ, হিহি]
😀
কথা তো সত্যিই!!!
😛
নির্বাক সাক্ষী সবাক হলে কখনো কখনো বোধহয় ভালোই হয়। তাই না?
হম 🙂
আরে এভাবে তো কখনো ভাবি নি!
ভালো লেগেছে বেশ 🙂
🙂 😀
অনেক ভালো লাগছে। :love: তবে ওদেরকে সম্ভবত সরি বলার দরকার নাই। ভালবাসার এই সামান্য অত্যাচারে ওরা কিছু মনে করবে না বলেই আমার বিঃশ্বাস। 🙂
:love: